Ali Hasan Osama

ছোটবেলায় ভেতরে একটা কৌতূহল কাজ করত, সিলেটের অধিকাংশ মাদরাসা এদারা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত কেন! আমি যে মাদরাসায় পড়েছি, তার মুহতামিম আল্লামা নূরউদ্দিন আহমদ গহরপুরি রাহ. ছিলেন বেফাকের তৎকালীন চেয়ারম্যান। যার কারণে আমাদের মাদরাসাটি বেফাকের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান সিলেটের হওয়া সত্ত্বেও সিলেটের অধিকাংশ মাদরাসা শুধু বেফাকের বাইরেই ছিল না; বরং সেটাকে চরমভাবে অপছন্দ করত এবং নিজেদের স্বাতন্ত্র্য নিয়েই মহা খুশি ছিল। সিলেটের স্বপ্ন বাদ দিয়ে চট্টগ্রামের মাদরাসাগুলোকে বেফাকে টানার জন্য গহরপুরি হজরতের জীবদ্দশায়ই কর্ণধার পরিবর্তন করে হাটহাজারীর হজরতকে চেয়ারম্যান করা হলো। যার ফলে হাটহাজারী মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের তালিবুল ইলমরাও বেফাক পরীক্ষা দিতে শুরু করল। তবে এখনো বিপুল সংখ্যক মাদরাসা এই বোর্ডের আওতার বাইরেই রয়ে গেল। ঢাকায়ও সবাই যে বেফাক পছন্দ করত, বিষয়টা এমন নয়। এখন যার নেতৃত্বে বেফাক চলছে, তিনিও দায়িত্বপ্রাপ্তির পূর্বে বেফাককে কোন দৃষ্টিতে দেখতেন, তা সচেতন মহলের জানা আছে। দেশে কওমি শিক্ষাবোর্ড অনেকগুলো। কোন মাদরাসা কোন বোর্ডের অধীনে যাবে, এটা তাদের নিজস্ব অভিরুচি ও স্বাধীনতা। বিভিন্ন কারণে বেফাক বোর্ড অন্যগুলোর তুলনায় বেশি এগিয়েছে। তবে এটা চিরন্তন ও শাশ্বত কিছু নয়। পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে অবনতির দিকে যেতে থাকলে ক্রমশ বেফাক তার আবেদন হারাবে। বিকল্প কোনো প্ল্যাটফর্ম শক্তিশালী হলে এবং আদর্শ রক্ষার পাশাপাশি যুগচাহিদা পূরণে অধিক অবদান রাখলে প্রতিষ্ঠানগুলো সেটার দিকে অধিক ঝুঁকবে। যোগ্যতর আসলে যোগ্যের মূল্য কমে যায়। Good - Best - Better বলে একটা ব্যাপার আছে। আর এই আধুনিক যুগে কে-ইবা চায় পিছিয়ে থাকতে! জালালাবাদ (সিলেট) ও ইসলামাবাদের (চট্টগ্রামের) বুজুর্গদের দূরদর্শিতার কথা ভেবে সত্যি অবাক হই। যে বেফাক নিয়ে আজকের ছেলেপেলেরা নতুন করে চিন্তিত; সেই বেফাক নিয়ে তারা চিন্তা ও দুশ্চিন্তা উভয়টাই করে গেছেন আরও বহুকাল আগেই। আল্লাহ তাদের সমাধির ওপর রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন। এটা বেফাক নিয়ে কোনো নেগেটিভ পোস্ট নয়; বরং একান্তই ব্যক্তিগত হতাশার প্রকাশ। আমরাও যেহেতু এ বোর্ডে কয়েকটা পরীক্ষা দিয়েছি এবং সবগুলোতে মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান পেয়েছি, সুতরাং পুরোনো শিক্ষার্থী হিসেবে কষ্ট ও দুঃখ প্রকাশ করার নৈতিক দায়িত্ব তো অবশ্যই আছে। আর উন্নতি ও অগ্রগতির পরিবর্তে অবনতি ও আদর্শচ্যুতি দেখলে কারই-বা কষ্ট না লাগে!

সাহাবাবিদ্বেষীদের ব্যাপারে সাফ কথা

শায়খ আলী হাসান উ/সা/মা'র সার্বিক আপডেট, লেখা ও লাইভ ভিডিও পাওয়ার জন্য নিচের ফেসবুক পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন। https://www.facebook.com/profile.php?id=61561322276973&mibextid=ZbWKwL

ডা. হেমন্ত দেবনাথ থেকে নওমুসলিম ডা. হিদায়াত উল্লাহ। পবিত্র ইসলামের সুশীতল ছায়ায় স্বাগত।

সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। ঈদুন মুবারাকুন আলাইনা ওয়া আলাইকুম।