জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ - Jihad Fi Sabilillah

অজস্র মুজাহিদের হত্যাকারী, মুজাহিদ এবং তাদের পরিবারের উপর জুলুম নির্যাতনকারী এই মুরতাদ।  একসময় যেসব মিডিয়া তার পিছনে ঘুরত, তারাই আজ তার অপকীর্তি ফ্ল্যাশ করতেছে। আল্লাহ এভাবেই জালেমদের লাঞ্চিত করেন।

কাফেররা আমাদের উপর গনহত্যা চালাচ্ছে। অথচ আমাদের শরীয়ায় তাদের রক্তের কোন মুল্য নেই। হয় খিলাফতের আনুগত্য স্বীকার করবে, নয়তো মরবে। তৃতীয় আর কোন পথ নাই

জঙ্গিবাদ কাকে বলে আমাদের শেখাতে এসো না -শায়খূল হাদিস মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি

জঙ্গিবাদ কাকে বলে আমাদের শেখাতে এসো না -শায়খূল হাদিস মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি

ইমাম শাফে'য়ী (রহ.) বলেন,"আমি আবু হানিফার রায়কে জাদুকরের ফিতা ছাড়া অন্য কিছু মনে করি না। যেমনটি তা একদিকে টানলে হলুদ হয় আবার অন্য দিকে টানলে সবুজ হয়ে যায়।" (আদাবুশ শাফে'য়ী ওয়া মানাকিবাহু: ১৩০ পৃষ্ঠা)

সাহওয়াত/সুরুরি মানহাজের উসুল এবং তাদের সিফাত/বৈশিষ্ট্য_১ম পর্ব — ইমাম আলি ইবনু খুদাইর আল-খুদাইর فرج الله عنه ___ সাহওয়াহ আন্দোলন বর্তমান সময়ে অবশ্যই একটি কঠিন সময় পার করছে। এটি আমাদের জন্য অনুধাবন করা আবশ্যিক যে, যেসমস্ত ঘটনাবলী মূল সাহওয়াহকে ঝড়ের মুখে নিয়ে গেছে এবং একে বিভক্ত করেছে সেগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, না সেগুলো কোন ছোটখাটো পদস্খলন বা কোন অশ্বারোহীর হোঁচট খাওয়ার মতো ঘটনা (অর্থাৎ অনভ্যস্থ কারো দ্বারা সংঘটিত কোন বিরল ভুল)। বরং, এটি একটি আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি যা সময়ে সময়ে তার মৌলিক কার্যধারা ও উদ্দেশ্যগত দিকগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। কিছুকাল দৃঢ়ভাবে বহাল থাকার পর বর্তমানে এটি থেকে দুটি ধারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, এবং (নিশ্চয়ই) আল্লহ ﷻ সুবহানাহুওয়া তা'আলা ছাড়া কোন শক্তি নেই। আসরানিয়্যুন (মডার্নিস্ট) : এরা ছিল বিচ্ছিন হয়ে যাওয়া প্রথম দল এবং এরা মূলত ছিল ইসলামি লেবাসধারী সেকুলার। আমি এর আগে একটি প্রবন্ধ লিখেছি যা তাদের মৌলিক বিশ্বাস এবং স্তরসমূহ ব্যাখ্যা করে। পরাজিত মানসিকতার আন্দোলন : মূল সাহওয়াহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এই আন্দোলন এখনো তার শৈশব পার করছে। একেক সময়ে এটি একেক ধারণা বা আক্বিদাহ বিশ্বাস নিয়ে হাজির হয় যা 'বর্তমান পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ' হয়ে থাকে। তথাপি এটি মূলত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ এবং ক্ষমাপ্রাপ্ত ও অনুমোদিত ইজতিহাদের পোশাক পরিধানকৃত। এই আন্দোলনের বয়স আনুমানিক ২ বছরের বেশি নয়। আমরা দ্বিতীয় দলটি দিয়ে শুরু করব যেটি মূল সাহওয়াহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এটিকেই বলা হয়: নতুন সাহওয়াহ, বা দ্বিতীয় সাহওয়াহ, বা ওয়াক্বি' (সাম্প্রতিক ঘটনাবলী) এর সাহওয়াহ, বা সংশোধিত সাহওয়াহ, বা মধ্যপন্থী (মডারেট) সাহওয়াহ, বা একটি নবায়নকৃত ইসলামি পরিচয়ের আন্দোলন, বা তারা সম্প্রতি নিজেদের যে নাম দিয়েছে: মধ্যপন্থী কার্যধারার আন্দোলন ইত্যাদি। এই সমস্ত নামই এই আন্দোলনের সমার্থক। তাদের বিভিন্ন নতুন প্রস্তাব এবং পদ্ধতি রয়েছে। এগুলোর কয়েকটি হলো : ইমান ও কুফর বিষয়ে তাদের মৌলিক আকিদা: ইমানের মাসআলায় তারা ইরজার দিকে ঝুঁকে থাকে এবং তাকফিরের মাসআলায় তাজাহহুম (অসম্মতি এবং এর মাসআলায় জাহমিয়্যাহ'দের পথ অনুসরণ করা) এর দিকে ঝুঁকে থাকে। এর কারণ হলো, তারা (দ্বীনের ব্যাপারে) কটুক্তিকারীকে (হোক সেটা আল্লহ ﷻ সুবহানাহুওয়া তা'আলা বা রসূলুল্লহ ﷺ কে কটুক্তি করা) কাফির হিসেবে ঘোষণা দেয়না যতক্ষণ না সে (অন্তরে) অবিশ্বাসী হয় (যুহুদ), অথবা তাকেও না যে মানবরচিত আইন দিয়ে শাসন করে, অথবা তাকেও না যে (ইসলামের বিরুদ্ধে) কাফিরদের সাহায্য করে। এই সমস্ত বিষয়গুলো একটি মৌলিক বিষয়ের দিকে ফিরে যায় এবং তা হলো ইরজা। এবং তাকফিরের মাসআলায় তাদের মৌলিক আকিদাসমূহ হলো : ১. কোন স্পষ্টকরন বা ব্যাখ্যা ছাড়াই তাকফিরের ব্যাপারে অনিয়ন্ত্রিত ও সাধারণ নিষেধাজ্ঞা। ২. প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বক্তা এবং বক্তব্যের মাঝে, কর্তা ও কর্মের মাঝে 'আমভাবে এক ধরনের পার্থক্য নিরূপণ করা, হোক সেটি বড় শিরকের মাসআলায় কিংবা কোন প্রকাশ্য ও আপাত বিষয়ে যার বিরুদ্ধে প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল- যদিও (তাকফিরের) কারণগুলি একত্রিত করা হয় এবং এর বাধাসমূহ দূর করা হয়। এই কারণে, (তাদের মাঝে) এমন কোন ব্যক্তিত্ব নেই যে কুরআন ও সুন্নাহতে উল্লিখিত ব্যক্তিদের ব্যতীত কাউকে তাকফির করে (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লহর ﷻ কিতাবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যাদেরকে তাদেরকেই, আমাদের সময়ে কুফরে নিপতিত কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে নয়!)। ৩. 'ইলম পরিত্যাগ করা এবং তাকফীরের মাসআলা বোঝার ব্যাপারে (অন্যদের) তা শেখা এবং বোঝার থেকে সতর্ক করা, এবং এটি শেখানো থেকে বিরত থাকা এবং এ সম্পর্কে লেখালেখি না করা। এর পাশাপাশি নাজদি দাওয়াহ'র ইমামদের কিতাব থেকে (লোকেদের) সতর্ক করা এবং তাওহিদের মৌলিক বিষয়গুলো অধ্যয়ন করা ও শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব رحمه الله -এর কিতাবুত তাওহীদকে অপ্রয়োজনীয় মনে করা, একই সাথে নাওয়াক্বিদুল ইসলাম (ইমান ভঙ্গকারী বিষয়গুলো) এর ব্যাপারে অধ্যয়ন ত্যাগ করা এবং একে একটি ফিতনা এবং তাকফিরের কারণ মনে করা! ৪. আল-ওয়ালা ওয়া আল-বারা এর বিষয়গুলোতে কম আগ্রহ প্রদান, এবং কুফর বিত-ত্বগূত এর প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ পোষণ ও একে কম গুরুত্ব দেয়া, এবং তারা এটি বারবার বলে যে 'আমরা তো এর মাধ্যমে (ত্বগূতের) ইবাদাত করছিনা, আল্লহ ﷻ সুবহানাহুওয়া তা'আলা এর ব্যাপারে আমাদের জিজ্ঞাসা করবেন না এবং এই জ্ঞানে কোন উপকার নেই!' ৫. অজ্ঞতার ওজর দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত অবস্থান গ্রহণ, এমনকি যারা সংখ্যায় অপ্রতুল থেকে অস্বীকার ও বিদ্রোহ করে (যদিও তাদের কাছে জ্ঞান ব্যাপকভাবে উপলব্ধ ছিল) তাদেরকেও এই ওজর দেয়া। তাদের কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে তারা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের মধ্যকার অজ্ঞদেরকেও অজুহাত দেয়। ৬. পারস্পরিক ক্ষমা ও বিশ্ব শান্তির আহ্বান এবং ক্রমাগত এগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে থাকা।

৭. ত্বওয়াগীত'দেরকে তাকফির করা হতে সতর্ক করা, যারা (মানব-রচিত বিধান দ্বারা শরিয়াহকে) প্রতিস্থাপিত করেছে এবং তাদেরকে (ত্বওয়াগীত'দেরকে) যারা তাকফির করে তাদের অপসারণ করা এবং এই মৌলিক আক্বিদাহ'র ভিত্তিতে তাদের প্রতি শত্রুতা ঘোষণা করা। ৮. রাজনৈতিক ব্যক্তিদের থেকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্বকে মাপকাঠি ও লিটমাসস্বরূপ বানানো - সুতরাং যে কেউ তাদের উপর তাকফির করে, এমনকি যদি তারা (রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ) এমন কাজ করে যা স্পষ্ট কুফরের কারণ এবং সেক্ষেত্রে তাকফিরের বাধাগুলো দূর হয় - তাহলেও সে একজন হারূরী তাকফিরি এবং ফিতনাবাজ ব্যক্তি যে আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত নয়! [ শাইখের রিসালাহ «أصول الصحوة الجديدة» থেকে অনুদিত ] ════════ •⊰❂⊱• ═════════ Ṭḥe Muwahhidīn

সাহওয়াত/সুরুরি মানহাজের উসুল এবং তাদের সিফাত/বৈশিষ্ট্য_১ম পর্ব _ ইমাম আলি ইবনু খুদাইর আল-খুদাইর فرج الله عنه পড়ুন আমাদের পেইজে: https://www.facebook.com/share/p/CcRQs5iQwGuSPLsE/?mibextid=oFDknk