cookie

We use cookies to improve your browsing experience. By clicking «Accept all», you agree to the use of cookies.

Advertising posts
2 936
Subscribers
-624 hours
+157 days
+11930 days

Data loading in progress...

Subscriber growth rate

Data loading in progress...

Photo unavailableShow in Telegram
💔 6
সকলে ফজরের সময় জানতে পারি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলা হয়েছে হলের মধ্যে। কিন্তু কালকে রাত থেকে একটা বিষয় মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে, কি হবে জানিনা। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আদর্শিক অবস্থান ছাড়া কোন আন্দোলন বেশিদিন টিকে থাকে না। অধিকারের সংজ্ঞা সবসময়ই পরিবর্তনশীল। আমরা ছাত্রলীগের এমন লোকদেরকেও চিনি, যারা আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যাকান্ডের সময়ে আবরার ফাহাদের পক্ষ হয়ে কথা বলেছে, কিন্তু যখনই কোন পদ লাভ করেছে, তখনই তারা আবররা ফাহাদ এবং তার সমমনাদেরকে স ন্ত্রা সী আখ্যায়িত করেছে। আন্দোলন ধীরে ধীরে আরো কঠিন হতে পারে এবং হতে পারে এটা সরকারের পতনের দিকে যাবে অথবা নাও যেতে পারে। এর সফলতা অনিশ্চিত, কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে কখনো নিশ্চিত সফলতার আশা করি উচিত না, এখানে দেখার বিষয় হলো মানুষ চেষ্টা প্রচেষ্টা ও তীব্র উদ্দীপনা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইদের কাছে আমার একটা আবেদন রেখে যাই, আপনাদের আদর্শ ছাড়া অধিকারের আন্দোলন বেশিদিন স্থায়ী হবে না। ইসলামকে যতদিন আপনারা এই আন্দোলনের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে না পারছেন, ততদিন এটার ভিত শক্তিশালী হবে না। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কোন উদ্দেশ্য নাই, বরং আপনাদেরকে এটার প্রমাণ দিতে হবে যে আপনারা পরে বাঙ্গালী আগে আপনারা মুসলমান। ইসলাম আপনাদের জীবনের আদর্শ। আদর্শিক অবস্থান থেকে আপনারা আপনাদের অধিকার আদায় করেন। কারণ আপনারা জানেন, আপনারা যাদের বিরুদ্ধে আজকে মাঠে ময়দানে নেমেছেন, তাদের উল্লেখযোগ্য এবং বেশিরভাগ অংশই এই অঞ্চলে ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু। তারা মুসলিম বাঙ্গালীদের স্বার্থের বিপরীতে কলকাতার দাদা বাবু এবং কলকাতার হি ন্দু ত্ব বা দী বাঙালিয়ানাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। আবরার ফাহাদকে হত্যার পেছনে কি কারণ ছিলো? ভা র তে র আধিপত্যের বিরোধীতা এবং বাঙালি মুসলমান পরিচয়কে গলা টিপে হত্যা করার মানসা থেকে। তাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূলত কলকাতার হি ন্দু ত্ব বা দী বাঙালিয়ানার প্রতিরূপ। যেহেতু এই আন্দোলন এই আরো বড় ধরনের রূপ নিয়েছে, তাই আন্দোলন এই অঞ্চলের মুসলমানদের ভবিষ্যতের আত্মপরিচয় বিনির্মাণেও ভূমিকা পালন করবে। লড়াই শুধুমাত্র কোটার জন্য না, বরং লড়াই হতে হবে আমাদের আদর্শ এবং আত্মপরিচয়ের অবস্থান থেকে। আমরা আগে মুসলিম পরে বাঙ্গালী। শক্তিশালী নৈতিক ও দার্শনিক ভিত্তি থাকতে হবে। নিছক সরকারি চাকরির কোটাতেই আমাদের অধিকার না, আমাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে এই দেশের মুসলমানদের। ভ| র তের রাজনৈতিক আধিপত্য এবং কলকাতার বাঙালি চেতনার পেছনে লুকিয়ে থাকা হি ন্দু ত্ব বা দী বুর্জোয়া শ্রেণীর মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে। যারা ছাত্রদের উপর হামলা করেছে, তারা এই দেশের বাঙ্গালী মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করেনা, বরং তাদের সম্পর্ক হলো একাত্তরে যারা ভাষা আন্দোলনের আড়ালে কল কাতার হি ন্দু ত্ব বা দী বাঙালিয়ানাকে এই দেশে আমদানি করেছে তাদের বিরুদ্ধে।
Show all...
🫡 11🔥 3💯 2🎄 1
সাময়িক সময়ের জন্য নামটা পরিবর্তন করলাম। দোয়ার দরখাস্ত
Show all...
👍 8😁 2
আলেমদের এই কোটা আন্দোলনের সাথে অনেকেই এক হওয়ার কথা বলছেন। আমি এখানে তীব্র দ্বিমত পোষণ করছি। নিছক আবেগের ভিত্তিতে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না। কোটা আন্দোলন কোন দিকে যাবে এটা আগে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য আলেমদের বলি হওয়ার ব্যাপারটা অমূলক। এখানে আলেমরা যদি আসে, তাহলে এই লড়াই সংঘর্ষের রূপ নিলে আলেমরাই বেশি বলি হবে। শাপলার আন্দোলন আর এটা এক না, শাপলায় ছাত্ররা ছিলো না, যারা ছিলো তারা ওইভাবে প্রতিনিধিত্ব মূলক ছিলো না। ওইটা ছিলো দ্বীনদারদের একটা রুহানি আন্দোলন। যেখানে ভার্সিটির ছাত্রদের চেয়ে বেশি ছিলো মাদরাসার ছাত্র এবং সাধারণ দ্বীনদার আমজনতা। ভার্সিটিতে দ্বীনি রাজনৈতিক জাগরণ শুরু হয় এই শাপলার পর। ধরেন আন্দোলন শেষ হলো, তখন আলেমদের উপর উস্কানির জের ধরে তারা ক্র্যাকডাউন করবে। কলেজ ভার্সিটির ছাত্রদের সাথে আমাদের একাত্বতা বিবৃতি মূলক হতে পারে। তাদের দাবি আদায়ের প্রতি আমাদের সমর্থন অবশ্যই আছে। তবে এই আন্দোলনে আলেমদের যোগ হওয়া নির্ঘাত বোকামি হবে‌। অনিশ্চিত সম্ভাবনার দিকে খেয়াল রেখে আলেমদেরকে নিশ্চিত বলির পাঠানো দূরদর্শিতার পরিচয় না। যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী নিশ্চিত সম্ভাবনা থাকে, তবে আলেমরা সাড়া দিতে পারে । আলেমরা কলেজ ভার্সিটির ছাত্রদের দাবির বিরুদ্ধে না, কিন্তু এই আন্দোলন সফল হোক না হোক পরের ব্যাপার। কিন্তু যদি সফল না হয়, তবে কলেজ ভার্সিটির ছাত্ররা টিকে গেলেও আলেমরা টিকবে না। সাইদিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, এভাবে ধরে ধরে আলেমদের জেলে বন্দী করে হত্যা করা‌ হবে‌। ইসলামকে আমাদের নিছক খেলাফতের স্বপ্ন দেখলেই হবে না, অনেক সময় ইসলামকে টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে‌।
Show all...
👍 21 2
বাংলাদেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা ব্যাপক ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দশ বছর আগে যাদেরকে দেশের শত্রু বলে অভিহিত করা হয়েছিলো, এবং শাপলা চত্ত্বরে মুসলমানদের উপরে গণহত্যা করা হয়েছিল, আজকে সেই একই জায়গা কোটা বিরোধী বিক্ষোভের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের সেই “রাজাকার” বলে দাবি করছে। এটাই ইতিহাসের নিয়ম, ইতিহাস সবসময়ই চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। কিন্তু আমার মতে এখানে কিছু হিসাব নিকাশের বিষয় আছে ইসলামপন্থীদের জন্য। যেই কথা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো সামাজিক ও রাজনৈতিক ট্রান্সফরমেশনের এই সময়টাতে আমাদের ভূমিকা কি এবং কোথায় এটা আমাদের বুঝতে হবে। ইসলামপন্থীরাও এখনো গত দশ বছর ধরে শাপলা কেন্দ্রিক মুসলিম খেলাফতের রাজনৈতিক বয়ান তৈরি করতে পারে না‌ই। এটা স্পষ্টতই আমাদের অদূরদর্শীতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব। ইসলামপন্থীরা অবশ্যই শাপলা পরবর্তী একটা ট্রান্সফরমেশন দিয়ে গেলেও কিন্তু গত দশ বছর আমাদের কোন সিস্টেমেটিক আন্দোলন ও ন্যারেটিভ ছিলো না, আমাদের নিজস্ব কোন রাজনৈতিক বয়ান ছিলো না। যদিও আমরা খেলাফতের দাবিদার এটাই আমাদের আদর্শিক বয়ান, কিন্তু এই ক্ষুধা আমরা জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি নাই। ২২ সালে আমার এক প্রবন্ধে বলেছিলাম, “যতক্ষণ পর্যন্ত চায়ের দোকানের আলাপে গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিপরীতে ইসলামী খেলাফতের আলাপ মানুষ না করবে, ততক্ষণ আমরা এই অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না।” যদি কখনো করেও ফেলি, তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। প্রশ্ন হলো আমরা আমাদের প্রজন্মের মধ্যে কতটুকু ক্ষুধা তৈরি করতে পারছি।জনগণকে কতটুকু খেলাফতের চিন্তার সাথে এঙ্গেজ করতে পারছি এটাও আমাদের ভবে দেখতে হবে। এখন ভাবার মতো বিষয় হলো এই যে জেনারেলদের মধ্যে একটা আত্মপরিচয় কেন্দ্রিক ট্রান্সফরমেশন হচ্ছে, এখানে আমাদেরকে ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধ পুশ করতে হবে। এটা এখন কিভাবে সম্ভব এটা আমি জানিনা, কিন্তু এটা বলি যারা এখন আন্দোলন করছে তাদের এই আন্দোলনের পেছনের মোটিভ হচ্ছে “অধিকার”। তারা কোন শক্তি আদর্শিক অবস্থানের জায়গায় থেকে লড়াইয়ে নামে নাই‌, নিছক অধিকারের বলয়ে তারা এই আন্দোলন নেমেছে যা এখন বিরাট আকার ধারণ করেছে। বাস্তবতা হলো একই অঙ্গনের দুই ব্যাক্তি এখন স্বার্থের জন্য একে অপরের বিরোধী অবস্থানে আছে‌। এই বিরোধীতার অবস্থানকে কাজে লাগিয়েছে যদি তাদের মধ্যে ইসলামকে পুশ করা যায়, তাহলে একটা বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবার সম্ভাবনা আছে। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, তাদেরকে দিয়ে আমাদের ইসলাম প্রতিষ্ঠা উদ্দেশ্য না, উদ্দেশ্য হলো ইসলামী চেতনাকে এখানে শক্তিশালী করা এবং কলকাতা কেন্দ্রিক বয়ানের বিপরীতে ইসলামকে জায়গা করে দেওয়া ইসলাম তাদের মাঝে যত পরিষ্কার হবে, ইসলামী শাসনব্যবস্থার পথ এবং বাতিল ও কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ততই সহজ হবে।
Show all...
9👍 6
Photo unavailableShow in Telegram
👍 7
আল্লাহর পরিকল্পনা বড়ই আজিব। নিশ্চয় আল্লাহর পরিকল্পনা শ্রেষ্ঠ। ২০১৩ এর উত্তাল শাহবাগ থেকে যে স্লোগান দিয়ে বিরোধীতা করা হয়েছিল, আজ এগারো বছর পর একই স্থানে উক্তো স্লোগানের পক্ষ নেয়া হল। ১৩তে যাদের টিস্যু পেপারের মত ব্যবহার করা হয়েছিল, এগারো বছর পর তারা নিজ অবস্থান বুঝতে পেরেছে। চেতনার পূজা ধ্বংস হয়ে গেছে। চেতনাজীবী পরজীবীরা গর্তে বসে কান্না করছে।
Show all...
👍 9
২০১৩ সালে শাহবাগে ইসলাম বিরোধী বিরোধী
Show all...
Repost from Meer Salman
আমিও মনে করি সিপাহে সাহাবা এবং হাক নেওয়াজ জাংভি (রহ) কিছু ক্ষেত্রে একটু কট্টর ছিলেন। কিন্তু তাদের কৃতিত্ব হলো তারা ইরানের মদদে পাকিস্তানে শিয়া বিপ্লবের প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন। এই সত্য আপনাকে কেউ স্পষ্ট করে বলবে না। কিন্তু মালাউন খোমেনি ১৯৭৯ সালের পরে তাদের রাফেজি বিদয়াত এবং জান্দাকা ইসলামি বিপ্লবের নামে রপ্তানি করছিল। এব্যাপারে তাদের ঘোষণা খোলামেলা এবং প্রকাশ্য ছিল। প্রতারক খোমেনি সুন্নিদের প্রতারিত করতে শিয়া-সুন্নি ঐক্যের স্লোগান দিতো। এই স্লোগানে বহু সুন্নিও প্রতারিত হয়। কিন্তু খোমেনির ভয়ানক প্রতারণা ও নৃশংসতার সরূপ বুঝতে একটা ঘটনাই যথেষ্ট। কথিত ইসলামি বিপ্লবের কিছুদিন পর খোমেনির এক নির্দেশে এমন ৫০ হাজার রাজনৈতিক কর্মীর ফাঁসি হয়েছিল যারা শাহের বিরুদ্ধে বিপ্লবে খোমেনির পক্ষে অংশ নিয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে খোমেনির অভিযোগ ছিল তারা প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করছে। যদি তারা কথিত ইসলামি বিপ্লব পাকিস্তানে করতে পারতো তবে সুশীল সুন্নিরা হারে হারে টের পেতো ইসলামি বিপ্লবের কি মজা? সিপাহে সাহাবার এই কীর্তি ইতিহাস মনে রাখবে কিনা জানিনা তবে আরশের অধিপতি অবশ্যই তাদের এজন্য আযর দিবেন যে তারা পাকিস্তানে জিন্দিক খোমেনির বিপ্লবের প্রথম ধাক্কা সফলভাবে নিজেদের রক্ত এবং মাংস দিয়ে প্রতিরোধ করেন৷ শিয়ারা আক্রমণাত্মক হওয়ার বদলে রক্ষণাত্মক হতে বাধ্য হয়।
Show all...
👍 3 1
Repost from Meer Salman
Photo unavailableShow in Telegram
👍 1🤔 1
Choose a Different Plan

Your current plan allows analytics for only 5 channels. To get more, please choose a different plan.