cookie

We use cookies to improve your browsing experience. By clicking «Accept all», you agree to the use of cookies.

avatar

দারসুল হাদিস

রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহন করো, যা করা থেকে নিষেধ করে তা পরিহার করো। [সুরা হাশর]

Show more
Advertising posts
755
Subscribers
+124 hours
+137 days
+3530 days

Data loading in progress...

Subscriber growth rate

Data loading in progress...

আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা জাহান্নাম ও জান্নাত বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লো। জাহান্নাম বলল, অহংকারী এবং প্রভাব প্রতিপত্তি সম্পন্ন লোকেরা আমার মাঝে প্রবেশ করবে। জান্নাত বলল, আমার কি হলো, মানুষের মাঝে যারা দুর্বল, নীচু স্তরের এবং অক্ষম, তারাই আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। এ কথা শুনে আল্লাহ তা’আলা জান্নাতকে বললেন, তুমি আমার রহমত, আমার বান্দাদের যার প্রতি ইচ্ছা আমি তোমার দ্বারা রহমত বর্ষণ করব। তারপর তিনি জাহান্নামকে বললেন, তুমি আমার আযাব, আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা আমি তোমার দ্বারা ’আযাব দিব। তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই পেট ভর্তির ব্যবস্থা থাকবে। এতদসত্ত্বেও জাহান্নাম পূর্ণ হবে না। তাই আল্লাহ তা’আলা এর উপরে স্বীয় পা মুবারাক রাখবেন। তখন জাহান্নাম বলবে, যথেষ্ট হয়ে গেছে। এ সময়ই জাহান্নাম পরিপূর্ণ হবে এবং একাংশ অপরাংশের সাথে মিলে যাবে অর্থাৎ সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। ( মুসলিম)  দুনিয়ায় সেলিব্রেটি, ষ্টার, বড়লোক, খ্যাতিমান হলে আখেরাতে বিপদ। অপরিচিত, সাধারণ, কপর্দকহীন ব্যক্তির জন্য জান্নাত অপেক্ষা করছে। অবশ্যই ঈমানদার হতে হবে৷ বেঈমান কাফের সর্বাবস্থায় জাহান্নামি।
Show all...
4👍 2
আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার হাওযের প্রশস্ততা এক মাসের পথের সমপরিমাণ এবং তার চতুর্দিকও সমপরিমাণ আর তার পানি দুধ অপেক্ষাও অধিক সাদা এবং তার ঘ্রাণ মৃগনাভি অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধিময়, আর তার পানপাত্রসমূহ আকাশের তারকার মতো। যে তা থেকে একবার পান করবে সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। (বুখারী ও মুসলিম) আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার হাওযের (উভয় পার্শ্বের) দূরত্ব আয়লাহ ও ’আদন-এর মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকেও অধিক। তার পানি বরফের চেয়ে অধিক সাদা এবং দুধমিশ্রিত মধুর তুলনায় অনেক মিষ্ট। তার পানপাত্রসমূহ নক্ষত্রের সংখ্যা অপেক্ষা অধিক। আর আমি আমার হাওযের কাওসারে আগমন করা থেকে লোকেদেরকে (অন্যান্য উম্মতদেরকে) তেমনিভাবে বাধা দেব, যেমনিভাবে কোন লোক তার নিজের হাওয থেকে অন্যের উটকে পানি পানে বাধা দিয়ে থাকে। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেদিন কি আপনি আমাদেরকে চিনতে পারবেন? তিনি (সা.) বললেন, হ্যাঁ, সেদিন তোমাদের বিশেষ চিহ্ন থাকবে যা অন্যান্য উম্মাতের কারো জন্য হবে না। তোমরা আমার কাছে এমন অবস্থায় আসবে যে, তোমাদের মুখমগুল এবং হাত-পা উযূর কারণে উজ্জ্বল থাকবে। (মুসলিম)
Show all...
5👍 1
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের নিয়মপদ্ধতি অনুসরণ করবে, প্রতি গজে গজে প্রতি হাতে হাতে তাদের অনুসরণ করবে। এমনকি যদি তারা ‘দব’ তথা ষাণ্ডার গর্তেও ( অনেক অনুবাদে গুই সাপের গর্তে) প্রবেশ করে থাকে তবে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহুদী ও নাসারা সম্প্রদায়? তিনি বললেন, তবে আর কারা? [বুখারী ] দুনিয়া ব্যাপী মুসলমানদের দিকে তাকালেই এই হাদিসের ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। হালাল - হারাম, ভালো - খারাপ, মানবিক - অমানবিক, কিছুই বুঝার জ্ঞান পর্যন্ত নাই। তথাকথিত আধুনিক হওয়ার নেশায় বুঁদ।
Show all...
👍 5
আয়িশাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাজা খেজুর দিয়ে তরমুজ খেতেন। তিনি বলতেনঃ এর ঠান্ডা ওটার গরম কমাবে এবং এর গরম ওটির ঠান্ডা কমিয়ে দিবে। ( তিরমিজি, আবু দাউদ)
Show all...
6👍 1
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমাকে একমাসে অতিক্রম করার মত রাস্তার দূরত্ব থেকে কাফেরদের মনে ভয় ঢুকিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।” [বুখারী, মুসলিম] এত দুর থেকে যখন কোন এক ব্যক্তিকে কেন ভয় করা হবে?  কারণ তিনি তাঁর মতাদর্শে একনিষ্ঠ, তিনি সত্যাশ্রয়ী, তিনি দুর্ধর্ষ যোদ্ধা এবং তাঁর রয়েছে দুর্ধর্ষ সৈন্যবাহিনী।  কারণ বর্তমান মুসলিমরা তাওহীদে একনিষ্ঠ নয় এবং তারা যুদ্ধ - অস্ত্র থেকে দুরে। দুনিয়ার লাভের জন্য তারা ঈমান ছেড়ে দিতে পারে, কুরআনের নির্দেশ অমান্য করা তাদের জন্য কোন ব্যপারই না। যুদ্ধকে তারা অপছন্দ করে,  আরামে আয়েশে থাকা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তাদের কেউ মানুষই মনে করে না এখন।
Show all...
7👍 2
আবু আইয়ুব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল।”[সহিহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ী ও সুনানে ইবনে মাজাহ]
Show all...
6
ঈদের দিন কয়েকটি কাজ ১) মিসওয়াক + গোসল ২) ভালো সুন্দর পোশাক পরিধান + সুগন্ধি ব্যবহার + খেজুর খাওয়া ,৩) ঈদের স্বলাতের স্থানে যাওয়া। ফিরে আসার সময় ভিন্ন রাস্তা দিয়ে আসা। ৪) যাওয়ার সময় চুপে চুপে ( ঈদুল আজহায় শব্দ করে) তাকবির পড়া ( আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ) ৫) ঈদের দুই রাকাআত স্বলাত আদায়। এর আগে বা পরে কোন ধরনের নফল স্বলাত আদায় হবে না। ৬) স্বলাতের পরে খুতবা শোনা। ৭) খুতবার পরে দান সদকা করা। ৮) ঈদ মোবারক বলা যেতে পারে তবে সুন্নাহ দোয়া করতেই হবে। সুন্নাহ দোয়া --تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَ مِنْكُمْ উচ্চারণ : ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেকা আমল তথা ভাল কাজগুলো কবুল করুন।’
Show all...
3👍 1
ঈদের দিন হালাল বিনোদন উপভোগ জায়েজ। যেমন - বাদ্য-বাজনা ছাড়া ( দফ... এল প্রকার ঢোল ব্যবহার করা যাবে) গান শোনা বা গাওয়া জায়েজ। তবে সে গান প্রেম বা অশ্লীলতার হবে না, নারী কন্ঠে হবে না ( ৭/৮ বছরের মেয়ে অর্থাৎ হায়েজ শুরু হয় নাই এমন মেয়ে গাইতে পারবে) । কবিতা আবৃত্তির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ক্রিকেট ফুটবলের মতো অপ্রয়োজনীয় খেলা নয়, জিহাদে কাজ দেয় এমন খেলা জায়েজ। হারুন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ বকর (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। তখন তাঁর কাছে দুটি বালিকা দফ বাজাচ্ছিল আর গান গাইছিল। আর সেটা ছিল মিনা দিবসের মধ্যে। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বস্ত্রাবৃত ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) বালিকাদের ধমকালেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখের আবরণ সরিয়ে বললেন, হে আবূ বকর! এদেরকে ছেড়ে দাও, যেহেতু এটা ঈদের দিন। ( বুখারী,মুসলিম) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঈদের দিনে মসজিদে একটি সেনাদল আগমন করলেন। যখন তারা অনূশীলন করছিল, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। আমি আমার মাথা তাঁর কাঁধের উপর রেখে দিলাম এবং তাদের অনুশীলন দেখতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই তাদের দেখা ক্ষান্ত করে চলে গেলাম। ( বুখারী,মুসলিম)
Show all...
👍 4 3
ঈদুল ফিতরের দিনের তিনটি সুন্নাহ ১) স্বলাতে যাওয়ার আগে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেয়ে নেয়া। ২) ঈদের স্বলাতের আগে বা পরে কোন নফল স্বলাত আদায় না করা। ৩) এক রাস্তা দিয়ে ঈদের স্বলাতের স্থানে যাওয়া, ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা। আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর এক রিওয়াতে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তা বেজোড় সংখ্যক খেতেন। ( বুখারী) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে সঙ্গে নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে দু’রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তিনি এর আগে ও পরে কোন সালাত আদায় করেননি। ( বুখারী) জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন (বাড়ী ফেরার সময়) ভিন্ন পথে আসতেন। ( বুখারী)
Show all...
👍 4
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ নিজেকে (দুরবস্থা প্রকাশে) বলবে না, আমার মন খবীস (পিশাচ ইতর নিকৃষ্ট) হয়ে গিয়েছে, বরং বলবে (لَقِسَتْ) আমার মন সংকুচিত ও বিমর্ষ হয়ে গিয়েছে।  ( মুসলিম) অন্যের সম্পর্কে তো নয়ই, নিজের সম্পর্কেও নোংরা কথা বলা উচিত নয়, নিজেকে নিকৃষ্ট কিছুর সাথে তুলনা করা উচিত নয়। অনেকে মানুষকে এমনকি কখনও কখনো নিজেকেও নিকৃষ্ট পশুর বাচ্চা বলে গালি দেয় যা জঘন্য।
Show all...
👍 6