Sirat Al Mustaqeem

তাকবিরে তাশরিক ওয়াজিব। আজ সকাল থেকে সময় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর অবশ্যই সকলে পড়ে নিব।

Coca-cola বেশি highlight হওয়ার কারনে coca-colar অন্যান্য drinks এবং PepsiCo-র soft drinks আর mineral water গুলো পেছনে পড়ে গেছে। এটা আমার বন্ধুও কিছুদিন আগে বলেছিল। যারজন্য coke বর্জন করলেও না জানার কারনে অন্যান্য drinks গুলো কেনার সম্ভাবনা থেকে যায়। নিচে coca-cola এবং pepsico-র drinks আর mineral water-এর তালিকা দেওয়া হলোঃ Coca-Cola Company: 1. Coca-Cola 2. Coca-Cola Zero Sugar 3. Sprite 4. Fanta 5. Diet Coke 6. Kinley PepsiCo: 1. Pepsi 2. Diet Pepsi 3. Pepsi Zero Sugar 4. 7UP 5. Mountain Dew 6. Mirinda 7. Aquafina আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আমাদেরকে এই সবগুলো product boycott করার তাওফীক্ব দান করুক, আমীন। - Musabbir Hossain Nibir

💔💔🇵🇸🇵🇸একজন মুজাহিদের শাহাদতের অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য। اللهم ارزقنا الشهادة في سبيلك @knowthyselft

শাসকের চৌকাঠ: শাসকের চৌকাঠ মাড়ানোর ব্যাপারে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। তাদেরকে আমি একটা কথাই বলি সবসময়, যে যুগের শাসক ছিলেন খলিফা হারুনুর রশীদের মতো বুযুর্গ ও আলেম-প্রিয় ব্যক্তি, সে যুগেই উলামায়ে কেরাম শাসকের চৌকাঠ থেকে দূরে ছিলেন। ইমামে আযম শাসকের চৌকাঠ থেকে দূরে থাকার কারণেই নির্যাতিত হয়েছেন। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. শাসকের সাথে আপস করেননি বিধায় অবর্ণনীয় জুলুম সয়েছেন। খলীফা হারুনুর রশীদের যুগে ইমাম আবু ইউসুফ রহ. খলীফাকে বুদ্ধি দেন, তিনি যেন ইমাম মুহাম্মাদ রহ.-কে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন, কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে আগে ইমাম মুহাম্মাদ রহ.-কে কিছুই জানাননি। এরপর খলীফা হারুনুর রশীদ যখন ইমাম মুহাম্মাদ রহ.-কে রাজপ্রাসাদে ডেকে আনান, তখন এসব শুনে ইমাম মুহাম্মাদ রহ. মনঃক্ষুণ্ণ হন। এবং এ কারণেই পরবর্তীতে ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ রহ. এর মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। (১) পরবর্তীতে এই তিক্ত মনোভাব তাঁদের ছাত্রদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। (২) মোটকথা, কোনো যুগেই সালাফগণ শাসকের চৌকাঠ মাড়ানোকে পছন্দ করতেন না, অথচ তাদের অধিকাংশ শাসকই ছিলেন বুযুর্গ ও আলেম-প্রিয় মানুষ। এরপরও যদি তারা শাসকের চৌকাঠ থেকে দূরে থাকাকে আবশ্যক মনে করেন, শাসকের চৌকাঠকে নিজের জন্য ক্ষতিকর মনে করেন, তাহলে এ যুগে কী হবে সেটা বলাই বাহুল্য। (১): বুলুগুল আমানী, ৪৬ (২): আল-জাওয়াহিরুল মুযিয়্যাহ, ১/১৬৬

আপনার ঈদ হোক চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষীদের পণ্যমুক্ত। সাধারণ মানুষের বর্জন যে কত শক্তিশালী হাতিয়ার, তা আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট। ঈমানের দাবিতে এই শক্তিশালী হাতিয়ারকে সঠিক জায়গায় ব্যবহার করুন। আমাদের বর্জন হোক মজলুমের প্রতি ভালোবাসা নিবেদনের জন্য। কুরবানীর এক অর্থ ত্যাগ। এই কুরবানীর ঈদে ইসলামবিদ্বেষীদের পণ্য ত্যাগ করুন। আপনার সাধের কুরবানীর গোশতের সাথে যদি চিহ্নিত অপশক্তির কোমল পানীয় মিশে যায়, তবে আপনার কুরবানীর সার্থকতা রইল কোথায়! -শায়খ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

মুফতিয়ে আজম মুফতি শফী রহ. এর কাছে একজন ব্যাংকার গিয়ে জিজ্ঞেস করে, হুজুর! আপনি ফতওয়া দিয়েছেন আমাদের টাকা দিয়ে কুরবানী করা জায়েয নয়। আমাদের কেউ যেন শরীকও না রাখে। অথচ আমরা দিন-রাত কষ্ট করে টাকা কামাই করি, তাহলে জায়েয হবে না কেন? মুফতি শফী রহ. তখন উত্তর দেন: পতিতাও তো রাত জেগে কামাই করে, তাই বলে কি তার টাকাও বৈধ হয়ে যাবে? সুদের কামাই শুধু রাত জেগে কেন, সারাজীবন কষ্ট করলেও বৈধ হবে না। সূত্র: মুফতি বুরহান সাহেব হাফি.। মুহতামিম, জামিয়া আবু বকর রা.। দারুল উলূম করাচির বহু পুরোনো যোগ্য ফারেগীনদের একজন তিনি।

২৫ বছর বয়েসী কোন লোক নিজেকে মনে মনে মুক্তিযোদ্ধা মনে করে কোটা দাবি করে  বসলে মানুষ তাকে পাগল বা বাটপার বলবে। কিন্তু আপাদমস্তক সুস্থ পুরুষ যখন নিজেকে নারী দাবি করে মেট্রো রেইল, বাস কিংবা হোস্টেলে নারীর জন্য সংরক্ষিত জায়গা দখল করে বসে, তখন সেটাকে নাকি অধিকার বলে মেনে নিতে হবে। লিবারেলিসমের প্রগাঢ় অসংলগ্নতা৷ - আসিফ আদনান

একজন দ্বীনি সেলিব্রেটি ছিলো, মিডিয়া বা সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে যিনি রিচ পেয়েছেন। আমার চেয়ে বয়সে বড়ই মোটামুটি। এক প্রতিযোগিতার পোস্টে তার কমেন্ট দেখে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, "আমাকে একটা সীরাহ সাজেস্ট করুন। আমি একটা সীরাহও পড়ি নাই।" সুবহানাল্লাহ! ইয়েমেনি ইমাম তার আলোচনায় বলেছিলেন, সীরাহ (মাগাযি) হলো সে বিষয় যা সাহাবারা তাদের সন্তানদেরকে কোরআনের মত করে পড়াতেন। আমি খুব স্ট্রংলি বিশ্বাস করি, যারা দাওয়াহ ইলাল্লাহর কাজ করবে, অনলাইনে বা অফলাইনে মুসলিমদের রোল মডেল হয়ে দাঁড়াবে, অবশ্যই রাসূলুল্লাহর জীবন, প্রথমদিকের সাহাবায়ে কিরামদের আদর্শ, তাওহীদ আল-আমালি, আল ওয়ালা ওয়াল বারাআ, ইক্বামাতে দ্বীন নিয়ে পরিষ্কার একটা ধারণা রাখতেই হবে। এটাতে কোনো ছাড় আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। একটা সময় মোটামুটি এ ব্যাপারগুলো দাঈদের মধ্যে ছিলো। কিন্তু এখন আমরা 'সেলিব্রেটি' হচ্ছি। তাই সেক্যুলার সেলিব্রেটিদের থেকে আচরণ শিখছি। ফেইম পেয়ে, কানেকশন পেয়ে খুশি হয়ে যাচ্ছি। 'দাঈ' হচ্ছি না। তাই দাঈর বৈশিষ্ট্য, বুঝ কোনোকিছু থাকা জরুরি আছে বলে মনে করছি না। অথচ সেলিব্রেটি হওয়ার কথা সাকিব আল হাসানদের, চরিত্রহীন নায়ক-নায়িকাদের, সাকিব বিন রশিদ থেকে নিয়ে নষ্ট সুলাইমান সুকনদের। আমাদের না। সেলিব্রেটি মানে হলো তোতা পাখি, যে অপরের এজেন্ডা প্রচার করে। সমাজে যে ভূমিকা রাখে না। দর্শক যা খায় তা করেই তার পেট চলে, মন তুষ্ট হয়। আল্লাহ আমাদেরকে দাঈ, মুয।হিদ, মুসলিম হওয়ার তৌফিক দিন। - ইরফান সাদিক