cookie

Sizning foydalanuvchi tajribangizni yaxshilash uchun cookie-lardan foydalanamiz. Barchasini qabul qiling», bosing, cookie-lardan foydalanilishiga rozilik bildirishingiz talab qilinadi.

avatar

Cyber Security For Mobile Tracking & Hacking

location Tracking📵ফাঁদ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অবশ্যই Tor Orbot Vpn ব্যবহার করুন Mobile location off রাখুন ও Goggle Map's disable করুন বিদেশি নাম্বার দিয়ে Account খুলুন Telegram আনঅফিশিয়াল App Mobotel/ Televpn ব্যবহার করুন Imei number Change করুন

Ko'proq ko'rsatish
Mamlakat belgilanmaganTil belgilanmaganToif belgilanmagan
Reklama postlari
259
Obunachilar
Ma'lumot yo'q24 soatlar
Ma'lumot yo'q7 kunlar
Ma'lumot yo'q30 kunlar

Ma'lumot yuklanmoqda...

Obunachilar o'sish tezligi

Ma'lumot yuklanmoqda...

নয় গুপ্তচররা অতিরিক্ত কথাবার্তা ও প্রশিক্ষণ দিবে। বেশিরভাগ অপারেশনে, বিশেষ করে ইশতিহাদি অপারেশনের ক্ষেত্রে মাসের পর মাস প্রশিক্ষণের দরকার হয় না কিন্তু গুপ্তচররা বুঝাবে যে দরকার হয়। যদি অপারেশনটা বোমা হামলার হয়, তাহলে নানা রকম প্রশিক্ষণ বা বিস্ফোরকের প্রদর্শনী থাকবে। কেনো? একটা শুটিং জাতিয় ফিদায়ই আক্রমনের জন্য গুপ্তচররা মাসের পর মাস প্রশিক্ষণের আবদার করবে। আরো উল্লেখ্য যে, বেশিরভাগ সময়ই গুপ্তচররা আপনাকে আপনার নিজের জায়গায় ও নিজের অস্ত্র (যদি আপনার তা থেকে থাকে) দ্বারা প্রশিক্ষণ নিতে বলবে। এই ধরণের অপারেশনের জন্য গুপ্তচররা যে ধরণের পরিকল্পনার কথা বলে তার প্রয়োজন হয় না এবং বিশেষ করে সেই মাত্রারও না, যা তারা বলে। এর প্রথম কারণ হচ্ছে আপনাকে প্রস্তুত করা (বা উপযোগী করে তোলা) ও আপনার আস্থা অর্জন করা এবং দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে অপারেশনকে পেছানো, যা কিনা আগে থেকেই পাতানো ছিল। অতিরিক্ত কথাবার্তার ব্যাপারে উপরে উল্লেখিত পাঁচ নম্বর পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। গুপ্তচররা চাইবে সব কথা আপনিই বলেন। গুপ্তচররা সাধারণত আপনার চিন্তা-ভাবনা, আপনার প্রচেষ্টা আর আপনি যদি কোন কিছু ভেবে থাকেন তা পরিবর্তন করা বা সংশোধন করা যায় কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাইবে। তারা আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনার দৃষ্টিতে উপযুক্ত টার্গেট কে হতে পারে। তারা চায় যেন আপনি বলেন যে, আপনি শহীদ হতে চান অথবা অন্য মানুষদের মারতে চান। মনে রাখবেন, চুপ থাকাটাই উত্তম পন্থা। দশ সর্বশেষে, আপনি যদি কোন গুপ্তচরের খপ্পরে পড়েছেন বলে সন্দেহ করেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। অবশ্যই (উচিত হবে) সন্দেহভাজন গুপ্তচরের সাথে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। তবে আরো ভালো হয়, আপনি যদি এর আগেই তাদের বলেন যে, আপনার জিহাদের ব্যাপারে মোহ কেটে গেছে। তার চেয়েও ভালো হয়, যদি বলেন আপনি ইসলামের উপরই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন! মিথ্যা বলেন, মিথ্যা বলেন, মিথ্যা বলেন! মনে রাখবেন, আপনি একটা গুপ্তচরের সাথে কথা বলছেন। এর পরে (অর্থাৎ মিথ্যা বলার পরে) সর্বোত্তম হবে, আপনি যদি হাওয়া হয়ে যান। কোন কারণ জানানোর প্রয়োজন নেই অথবা বলতে পারেন যে, আপনার স্ত্রী অন্তঃসত্তা বা আপনি দূরে চলে যাচ্ছেন। আর আপনার ফোরামের ইউজার নেম অথবা ইমেইল এড্রেস পরিবর্তন করাটা কিন্তু বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে। যদি সম্ভব হয়, তাদের বুঝতে দিবেন না, যে আপনি তাদের ব্যাপারে (তারা যে গুপ্তচর এই ব্যাপারে) অবগত। অন্যথায়, তারা বুঝে ফেলবে যে আপনি মিথ্যা বলছেন এবং তাদের তদন্ত জারী রাখবে। সবশেষে বলব, অন্যদের সতর্ক করুন যারা এধরনের চক্রান্তের শিকার এবং তাদের কাছে উপরোল্লেখিত (গুপ্তচরদের প্রয়োগকৃত) পদ্ধতিগুলো প্রকাশ করে দিন। আমি চাই আল্লাহ যেন আমার কাজ গ্রহণ করেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আমার ভাই ও বোনেরা যেন এর দ্বারা উপকৃত হন।
Hammasini ko'rsatish...
সুতরাং যাই হোক না কেন এবং যে হুমকিরই সম্মুখীন আপনাকে করুক না কেনো, এগুলো করতে গিয়ে সে (অর্থাৎ একটা গুপ্তচর) কোনো প্রকারের ঝামেলায় পড়তে চাইবে না। তারা শুধু চায় আপনি কথা বলুন এবং তা যেন হয় সুনির্দিষ্ট (যে কথা তারা জানতে চায়)। ছয় চিত্ত আকর্ষন করার (বা গ্রুমিং-এর) সময় একটা গুপ্তচর সবসময় আপনাকে মেনে নিবে। তারা আপনার মানহাজও মেনে নিবে এবং এই নিয়ে তর্ক করবে না (যদি বলেও থাকে যে আপনার মানহাজ তাদের মানহাজ থেকে আলাদা তবুও)। ধূমপান করা, গান শুনা অথবা ছবি ঝুলানো এ জাতীয় কাজকে (তাদের টার্গেট যদি বলে এগুলো সে করে তবুও) গুপ্তচররা কখনোই নিন্দা জানাবে না; প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরাই এগুলো করে বলে দাবী করবে। তারা সবসময় ব্যাক্তিগত প্রশ্নের উত্তর দিবে এবং আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন তাতে তারা ইতঃস্ততও বোধ করবে না; কারণ পরিশেষে তারা মিথ্যাই বলবে। আপনি যদি রিভার্ট হয়ে (ইসলামে প্রত্যাবর্তন করে) থাকেন এবং আপনার ইসলাম গ্রহণের পূর্বের পাপ কর্মের কথা উল্লেখ করেন তাতে একটা গুপ্তচর একটুও ভ্রূক্ষেপ করবে না। একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া কোনো পরিস্থিতিতে গুপ্তচররা আপনার উপর চড়াও হবে না বা দ্বিমত পোষণ করবে না। আর সেই ব্যাতিক্রমটা হচ্ছে, যদি টার্গেট জিহাদ করার চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে সরে যায় বা তার(অর্থাৎ, টার্গেটের) জিহাদী ঘোর কেটে যায়। তখন গুপ্তচর তার টার্গেটকে বিরক্ত করবে, সাধারণত অতীতের কথা স্বরণ করিয়ে দিবে অথবা তার (অর্থাৎ টার্গেটের) মনে অপরাধ বোধ তৈরি করার চেষ্টা করবে। গুপ্তচর কেবলমাত্র তখনই হতাশ হয়ে পড়বে যখন সে দেখবে তার টার্গেট জিহাদের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে চলে গেছে [যে কথা সে (অর্থাৎ গুপ্তচর) বলছে (যদিও তা আল-কায়দা অথবা জয়স ই মুহাম্মদ যাই হোক না কেনো) তার বিরুদ্ধে চলে গেছে]। সাত নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, এই ব্যক্তি কি আপনাকে বিশ্বাস করে? বর্তমান বিশ্বে যেখানে আক্ষরিক অর্থে যে কেউই গুপ্তচর হতে পারে, সেখানে কেনই বা এই ব্যাক্তি আপনাকে বিশ্বাস করবে? কেন তারা নিজেদের মুজাহিদ দাবী করে এবং তা এমন কাউকে বলে, যার সাথে কম্পিটারের মাধ্যমে পরিচয় অথবা মসজিদে? কেন তারা আপনাকেই বলছে যে তারা জিহাদি অপারেশন করতে চায় বা হিজরত করতে চায়? আপনি কখনও বুঝতেই পারবেন না যে, সে (জিহাদের ব্যাপারে) আন্তরিক ছিল কিনা আর বিষয়টা দুঃখজনক হলেও সত্য। একটু ভেবে দেখুন কেন তারা এতো মানুষ থাকতে শুধু আপনাকে বিশ্বাস করবে আর অন্য কাউকে কেন (বিশ্বাস করবে) না। উত্তর হচ্ছে, কারণ তারা আপনাকে গ্রেফতার করতে চায় এবং এইটা তাদের চিত্ত আকর্ষন (বা গ্রুমিং) প্রক্রিয়ার একটি অংশ মাত্র। আট এখন নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, যদি তারা আপনাকে বিশ্বাস করে থাকে তাহলে কেন তাদের আপনাকে দরকার? যদি তারা চায় আপনি তাদের সাথে হিজরত করেন, তাহলে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন তারা একাকী যাচ্ছে না অথবা অন্য কাউকে সাথে নিচ্ছে না। যদি আভ্যন্তরীণ অপারেশন পরিচালনার জন্য আপনার মত কাউকে তাদের দরকার হয়, তাহলে আপনাকে কেন বাছাই করল। আপনি যদি ওরেগণ (আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্য)–এর ঘটনার দিকে তাকান এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাহলে আপনি দেখবেন যে তারাও ছিল একদল “ভাই” (যারা কিনা প্রকৃতপক্ষে গুপ্তচর ছিল) আমাদের সরলমনা ভাইকে (আল্লাহ তাকে মুক্ত করুন) সেই (অর্থাৎ জিহাদি) কাজে নিয়োজিত করেছিল। এখন যে কেউ নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন “যদি তারা আগে থেকেই একটি সংঘবদ্ধ দল হয়ে থাকে (যাদের মধ্যে বোমার কারিগর মজুদ আছে), তাহলে গাড়ি চালানোর জন্য কেন অন্য কাউকে প্রয়োজন হবে?” যদি কেউ দাবি করে কিভাবে বোমা বানাতে হয় তা সে জানে, তাহলে তারা আপনাকে বোমা স্থাপন করতে বলবে? এটা কি এজন্য যে তারা মৃত্যুকে ভয় পায়? এটা কি এজন্য যে তারা আরো বোমা বানাতে চায়? অথবা এই জন্য যে তারা আপনাকে ফাঁদে ফেলতে চায়? এই বিষয়গুলো বাস্তব, বিশেষত যখন বহু গুপ্তচর এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। যদি এমন একটি দলই মজুদ থাকে যারা নিজেদের মুজাহিদিন দাবি করে এবং আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে কি চাইতে পারে? যদি তারা নিজেদের ফিদায়ী (দল) দাবী করে, তাহলে তাদের কেন আরেকজন বেশি লাগবে? কেন তারা আরো দশজন নিচ্ছে না, কেনোই বা তাদের একজন কম হলে হচ্ছে না? কেন তারা আপনার কাছ থেকে শিখতে চাচ্ছে অথচ তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সম্পর্কে জ্ঞান আছে দাবী করছে? কেন তাদের একজন ক্যামেরাম্যান লাগবে; তাদের মধ্য থেকে কি একজন (প্রশিক্ষণ) ধারণ (ক্যামেরা) করতে পারবে না? কখনো কখনো যখন একটি অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার দরকার হয়, (আর) যদি আপনাকেই বোমা স্থাপন করতে বলে, তাহলে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কেন তারা আপনাকে দিয়ে বোমা স্থাপন করাতে চায় বা (আপনাকে) ফিদায়ই বানাতে চায়? আর তাদের যদি আগে থেকে পরিকল্পনা থাকে, তাহলে কেন তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আপনার মতো (একজন অপরিচিতকে) বিশ্বাস করবে? এই প্রশ্নগুলো অবশ্যই (নিজেকে) জিজ্ঞাসা করা উচিত।
Hammasini ko'rsatish...
বিষয় নিয়ে কথা বলে; কারণ এগুলোই হচ্ছে আলোচনা শুরু করার প্রাথমিক চাবিকাঠি। আর এগুলোই বিশ্বাস অর্জনে কাজে লাগে এবং কাঠখোট্টা বলে মনে হয় না, কারণ কাঠখোট্টা/নীরস (যেমনঃ প্রথম দিনই জিহাদের ব্যাপারে কথা বলা) কথাবার্তা (প্রথমেই) বিপদ সংকেত উত্তোলন করে। একটা গুপ্তচর জিহাদের কথা বলার আগে তার লক্ষ্যবস্তুর উপর মাসের পর মাস ধরে (চিত্ত আকর্ষনের/প্রস্তুত করার লক্ষ্যে) তৎপরতা চালাতে পারে, (কিন্তু) তারপরও তারা ছোটখাট বিষয় দিয়েই কথা শুরু করে; যেমন বলে, “তোমার কি আস-সাহাবের নতুন ভিডিওটা ভালো লেগেছে” অথবা “তোমার প্রিয় জিহাদি নাসিদ কোনটা” ইত্যাদি। দুই আপনি হয়ত খেয়াল করলে দেখবেন মিথ্যা ও অসঙ্গতির আড়ালে বিপদ সংকেত থাকে। এইধরনের বিপদ সংকেতগুলোর মধ্যে হতে পারে; যেমনঃ গল্পের মধ্যে (কাহিনীতে) পরিবর্তন আনা (যা সাধারণত উদঘাটিত হয় যখন আপনি তাদের বুঝতে দেন যে, তাদের গল্প পরিবর্তনের বিষয়ে আপনি সজাগ)। উদাহরণস্বরূপ, একটা গুপ্তচর হয়ত বলতে পারে, সে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অথচ আপনি একটু বুদ্ধি খরচ করলেই দেখবেন, সে অনলাইন হচ্ছে অথবা মসজিদে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে। যখন আপনি বলবেন “আমি ভেবেছি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে” সাথে সাথে তারা গল্পে পরিবর্তন আনবে যাতে তাদের আগের কথার সাথে মিল থাকে; যেমন বলতে পারে – “আমি অনলাইনে ক্লাস করি” অথবা “আমি রাতে ক্লাস করি”। ছোটখাট বিষয়াদি খেয়াল করবেন (যেগুলো অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে), যেমনঃ পরিবারের সদস্য, চাকুরী অথবা কোন বিশেষ বিষয়ে জ্ঞান। যদি এই ব্যাক্তির কথায় কোন একটি গড়মিল খুঁজে পান (যদিও তা কোন ছোট বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত), সতর্কতা অবলম্বন করুন হতে পারে সবকিছুই মিথ্যা। তিন আরেকটি সতর্ক সংকেত/বিপদ সংকেত হচ্ছে একটু গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলা। এর মধ্যে রয়েছে, কোন মুজাহিদিন সংঘঠনের সদস্য দাবী করা অথবা কোন মুজাহিদিন বা কোন বিশেষ শাইখের সাথে যোগাযোগ থাকা অথবা ব্যাক্তিগতভাবে তাদের চিনা বা বিভিন্ন মুজাহিদ নেতার সাথে সাক্ষাৎ থাকা ইত্যাদি। এটা সুস্পষ্ট – যে কেউ এমনটা দাবী করবে, হয় সে মিথ্যাবাদী অথবা যদি সে সত্যবাদীও হয়ে থাকে, তাহলে তার নিজের এবং যে মুজাহিদ ভাইকে সে উপস্থাপন করেছে তাদের উভয়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে সে চরম জাহেল (অর্থাৎ অজ্ঞ)। চার একটা গুপ্তচর সাধারণত নিজেকে বেশীরভাগ সময়ই ব্যস্ত দাবী করবে – যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা নিয়ে। তাই (সচরাচর) না দেখার কারণ হিসাবে মিডটার্মের পড়াশুনা অথবা বাড়ির কাজের অজুহাত দেখিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে ঘন ঘন ক্ষমা চাইবে। গুপ্তচররা এইধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়, নিজেদেরকে স্বাভাবিক প্রমাণ করার জন্য, যাতে মনে হয় এগুলো (অর্থাৎ, তাদের পড়াশুনার চাপ) তাদের এই (অর্থাৎ মুজাহিদ) জীবনধারারই অংশ। তার মানে এই বুঝাচ্ছি না যে, কোন মুজাহিদিন ভাই ছাত্র হবেন না এবং পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন না বরং বাস্তবতা হচ্ছে এমন অনেক মুজাহিদিন ভাই আছেন (যারা ছাত্র এবং পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন)। তারপরও যদি কেউ সত্যিকার অর্থে জিহাদ করতে চায় এবং বিশেষ করে শাহাদাত কামনা করে (ইশতিহাদি অথবা ফিদায়ই হামলার মাধ্যমে), তাদের ক্ষেত্রে পড়াশুনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়াটা মানানসই না। চাকরি বা স্বাস্থ্যগত সমস্যার অজুহাতের তুলনায় তারা (অর্থাৎ, গুপ্তচররা) পড়াশুনার অজুহাতটা অনেক বেশী দিয়ে থাকে; এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, যাকে (অর্থাৎ যে টার্গেটকে) তারা সময় দেয় সে হয়ত মনে করে অসুস্থ্য ব্যাক্তি জিহাদের জন্য যোগ্য না আর যে কিনা চাকুরীজীবী এবং শুল্ক আদায় করে সে (তাগুতের / গুপ্তচরদের) সাহায্যকারী। এসব কারণ উপেক্ষা করলেও এইধরনের অজুহাত এবং দেরিতে (যদিও আপনার মেসেজ পাঠানোর এক বা দুই দিন পর) রিপ্লাই দেয়ার জন্য বারবার ক্ষমা চাওয়াটা খুবই প্রচলিত একটি বৈশিষ্ট্য। পাঁচ গুপ্তচররা তাদের টার্গেটদের সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি বলেন জিহাদ করতে চাই, তাহলে তারা জিজ্ঞাসা করবে আপনি (জিহাদ বলতে) শারীরিক জিহাদ (অর্থাৎ সমর যুদ্ধ) বুঝাচ্ছেন কিনা। আর যদি বলেন আপনার আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান আছে, তাহলে তারা জিজ্ঞাসা করবে কি ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এবং আপনি কি জানেন। প্রত্যেকেরই উচিত সবসময় বুঝেশুনে কথা বলা অথবা ভালো হয় কিছুই না বলা। যে কারণে গুপ্তচররা তাদের টার্গেটদের সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, তার কারণ এই না যে তারা আপনাকে চিনতে পারে নাই বরং আপনি যদি কখনো গ্রেফতার হন, তাহলে তারা যেন বিচারক পর্ষদের (অর্থাৎ জুরির) নিকট আপনাকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে পারে। আপনি যদি অস্পষ্ট হন, তাহলে বিচারক পর্ষদ (অর্থাৎ জুরি) আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করতে না পারার একটা সুযোগ আপনার থাকবে। আর আপনি যদি মুখ বন্ধ রাখেন তাহলে তো আপনার গ্রেফতার না হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। একটা গুপ্তচর আপনাকে হুমকি দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে কিন্তু আপনি আগে কথা না বলা পর্যন্ত সে অপেক্ষা করবে। অবশেষে তারা চায় আপনাকে,
Hammasini ko'rsatish...
গুপ্তচরদের চক্রান্ত বুঝার এবং তা নস্যাৎ করার ১০টি পদ্ধতি ; ঘটনার শুরু গত বছর কানাডীয় ভাই আবদুর রহমান আলব বাহনাসাবি, পাকিস্তানে থাকা মার্কিন নাগরিক ভাই তালহা হারুন, এবং ফিলিপিনের ভাই রাসেল সালিচ নিউইয়র্কে চমৎকার একটি হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। উনাদের পরিকল্পনায় ছিল নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার এবং পাতাল রেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো, এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমবেত হওয়া মার্কিনীদের ওপর গুলি চালানো। প্যারিসের বাটাক্লান কনসার্ট এবং বেলজিয়ামের মেট্রোর ওপর আক্রমণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রমজান মাসে এ হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। একটি চ্যাট এ্যাপ ব্যবহার করে এই তিন ভাই পরিকল্পনাটি নিয়েছিলেন। কিন্তু ভাইদের অসতর্কতা হোক বা অন্য কোন কারণ হোক, তাঁদের এই পরিকল্পনায় মুজাহিদ সমর্থক সেজে এক এফবিআই এজেন্ট অনুপ্রবেশ করে এবং ভাইদের ধরিয়ে দেয়। এবং এই তিন ভাইকে যুক্তরাষ্ট্রে, এবং পাকিস্তানে ও ফিলিপাইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাক্কাল্লাহু আসরাহুম। উল্লেখ্য এই ধরণের লোন উলফ হামলা নিয়ে সাধারণদের মাঝে অনেক সংশয় রয়েছে, আমি সে সকল ভাইকে আল্লামা হামুদ আত তামিমি’র ‘একাকী জিহাদের বিধিবিধান’ নামক বইটি পড়ার অনুরোধ করবো। লিংক- https://www.pdf-archive.com/2017/08/…ire-16-bangla/ শিক্ষা গ্রহণ ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার ভাইদের অসতর্কতার ফলে বেশ কিছু ভাই গ্রেফতার হয়েছেন, বাংলাদেশি এক ভাইও এভাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যাই হোক কাভকাজ মিডিয়া সেন্টারে একজন মুজাহিদ গোয়েন্দা লোন উলফ হামলার ভাইদের জন্য কিছু টিপস দিয়েছিলেন, যা অবলম্বন করলে আল্লাহর ইচ্ছায় ভাইয়েরা গোয়েন্দাদের থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন। বাংলাদেশেও ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে জিহাদ নিয়ে লেখালেখি করা ভাইয়েরা অসতর্কতার ফলে এই ধরণের সমস্যায় পড়েন, তাই কাভকাজ মিডিয়া সেন্টারের সেই প্রবন্ধটি ভাইদের কাছে পেশ করা মুনাসিব মনে হচ্ছে। বাংলা অনুবাদটি ৪/৫ বছর আগে বাবুল ইসলাম ফোরামে প্রকাশিত হয়েছিল, আল্লাহ মুল লেখক ও অনুবাদক ভাইকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন। এখানে জিহাদি তানজিমের সাথে যুক্ত নয়, এমন জিহাদপ্রেমী ভাইয়েরা নিরাপত্তা গ্রহণের মৌলিক কিছু মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। অতিরিক্ত সমস্যা আশা করি আপনি নিজে নিজেই গ্রহণ করতে পারবেন। গুপ্তচরদের চক্রান্ত বুঝার এবং তা নস্যাৎ করার ১০টি পদ্ধতি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার। সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, তিনি বলেন- وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ ۖ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ‎ “এবং তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বলো অথবা প্রকাশ্যে বলো, তিনি তো অন্তর্যামী।” (সূরা মু্লক-৬৭ঃ১৩) এবং শান্তি বর্ষিত হোক শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তার পরিবারবর্গ, তার সাহাবীগণ ও তার অনুসারীদের উপর; তিনি বলেন- “নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে। আর মানুষ সত্য কথা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে মহাসত্যবাদী রুপে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদিতা নির্লজ্জতা ও পাপাচারের দিকে নিয়ে যায়। আর পাপাচার জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে মহামিথ্যাবাদী রুপে লিপিবদ্ধ করা হয়। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ এবং আল-তিরমিজি)।” আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বলেন- وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ ۚ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ‎ “এবং যখন কাফিররা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করার জন্য, হত্যা করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য এবং তারা ষড়যন্ত্র করে আর আল্লাহ্*ও কৌশল করেন, কিন্তু আল্লাহ্*ই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।” (সূরা আনফাল(৮ঃ৩০) সাম্প্রতিক ঘটনার আলোকে, বিশেষ করে আমাদের ওরিগন (আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্য)-এর ভাইয়ের (আল্লাহ তাকে অবিচল রাখুন এবং মুক্ত করুন) বন্দী হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে; আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মুসলিমদের আটকানো এবং পরে বন্দী করার উদ্দেশ্যে গুপ্তচর ও সংবাদদাতারা যেসব কৌশল অবলম্বন করে সেগুলো এড়ানো এবং তাদের সেই সমস্ত চক্রান্ত নস্যাৎ করার ১০টি উপায় লিখবো এবং রেকর্ড করবো। এক একটা গুপ্তচর সবসময় চিত্ত আকর্ষন (বা গ্রুমিং) দিয়ে শুরু করে। এই চিত্ত আকর্ষন (বা গ্রুমিং) প্রক্রিয়াটি কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। যাকে তারা ধরতে চায় তার সাথে সাক্ষাৎ করারও পূর্বে কখনো কখনো তারা (গুপ্তচররা) কয়েক মাসের জন্য একাকী (গোপনে) তথ্য সংগ্রহ করে এবং ফোরামে অথবা মসজিদে সক্রিয় থাকে। প্রথমবার সাক্ষাতে তারা সাধারনত ছোটখাট বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। যেমন ধরুন, কোন অনুবাদ চাওয়া, নাসিদ খোঁজা, বিবাহ উপযুক্ত বর/কনের খোঁজ করা অথবা হালাল খাদ্যের জন্য বিখ্যাত কোন জায়গা ইত্যাদি
Hammasini ko'rsatish...
Files added in August 2017 on www.pdf-archive.com

Archives PDF Archive - August 2017 - www.pdf-archive.com

শাইখ ইবরাহীম আল কোসী (শাইখ খুবাইব আস-সুদানি) (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, “যে ব্যাক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির সন্ধানে হিজরত করেছে, যে মুজাহিদ আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করতে চায় এবং শাহাদাত অর্জনের জন্যে সকল আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত যে প্রতিদানের কোন শেষ নেই, তাঁদের জন্যে বলছি, কখনই তোমার জবান বা মোবাইল ফোনকে ভাইদের গোপন তথ্য ফাঁসের কারণ বানিয়ো না, যা কিনা তোমার ভাইদের বন্দীত্ব এবং মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে, আর শত্রুদেরকে আমাদের দুরাবস্থা নিয়ে উল্লাস করার সুযোগ করে দিবে। আল্লাহর শপথ, আমরা আল্লাহর অনেক নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবার ভয় করি শুধুমাত্র কিছু বিষয়ে আমাদের গাফেলতি এবং অবমুল্যায়নের জন্যে, যেসব বিষয় বাস্তবে অনেক বড় এবং বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”
Hammasini ko'rsatish...
শাইখ ইবরাহীম আল কোসী (শাইখ খুবাইব আস-সুদানি) (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, “যে ব্যাক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির সন্ধানে হিজরত করেছে, যে মুজাহিদ আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করতে চায় এবং শাহাদাত অর্জনের জন্যে সকল আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত যে প্রতিদানের কোন শেষ নেই, তাঁদের জন্যে বলছি, কখনই তোমার জবান বা মোবাইল ফোনকে ভাইদের গোপন তথ্য ফাঁসের কারণ বানিয়ো না, যা কিনা তোমার ভাইদের বন্দীত্ব এবং মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে, আর শত্রুদেরকে আমাদের দুরাবস্থা নিয়ে উল্লাস করার সুযোগ করে দিবে। আল্লাহর শপথ, আমরা আল্লাহর অনেক নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবার ভয় করি শুধুমাত্র কিছু বিষয়ে আমাদের গাফেলতি এবং অবমুল্যায়নের জন্যে, যেসব বিষয় বাস্তবে অনেক বড় এবং বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”
Hammasini ko'rsatish...
গুপ্তচর বুরাইদি বলে, “যেমন, শিহারে আমনির সেফহাউস কোথায় সেটা বের করে আমি তাদের মেসেজ দিয়ে দিলাম এবং নিশ্চিত করলাম যে, এখানেই তাঁরা অভিযুক্তদের রেখেছে। সবশেষে, সকল ধরনের ফোন মুজাহিদদের জন্য শত্রু এবং গুপ্তচর। স্মার্টফোন এবং বাকি ফোনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তারা আড়ি পাততে পারবে, আপনার সঠিক অবস্থান বের করতে পারবে এবং আপনাকে হত্যা করার জন্য মিসাইল হামলা করতে পারবে।” শাইখ রীমি বলেন, “বর্তমানে আমাদের মূল সমস্যা হলো মুসলিমদের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া। এটাই আমাদের অবনতির অন্যতম কারণ। আমরা খোলা বইয়ের মত হয়ে গিয়েছি। আমরা আমাদের চিন্তা উন্মুক্ত করে দিয়েছি, যা দ্বারা শত্রুরা ফায়দা নিচ্ছে।” এবার আমরা কিছু পরিসংখ্যান দিবো, যা গত নয় বছর ধরে গুপ্তচরদের স্বীকারোক্তি থেকে জড়ো করা হয়ে হয়েছে। আর যা আমাদের থেকে এখনো গোপন আছে, তা হয়তো আরো বেশি বিস্ময়কর। এখানে আমরা দেখতে পাবো আমাদের ভাইদের কোন ধরনের কথার কারণে শত শত মুজাহিদ ভাই নিহত হয়েছেন। ১। “এই ব্যক্তি হচ্ছে অমুক” – এই ধরনের মন্তব্যের জন্যে কমপক্ষে ৩০ জন মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছেন, এমনকি আবু সুফিয়ান আশ শিহরি (রহিমাহুল্লাহ) আহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই দায়িত্বশীল ভাই। ২। “এ কথা কাউকে বলবেন না, এটি আর কেউ জানে না” – এই ধরনের বিবৃতির কারণে ৩০ এর অধিক মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই অন্য মুজাহিদ ভাইদের ব্যাপারে কর্তব্যরত ছিলেন। ৩। “এই গাড়িটি নির্দিষ্ট একজন ভাইয়ের অথবা একটি গ্রুপের” – এই ধরনের বিবৃতির কারণে ৪০ এর অধিক মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছেন। ৪। “এই বাড়িতে অমুক থাকে অথবা এই বাড়িটি অমুক কমিটির” – এই ধরনের বিবৃতির কারণে ৫০ এর অধিক মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছেন। ৫। “আমি যাচ্ছি। সেই ব্যক্তি আগামীকাল বা তারপরের দিন যাবে। আমার নির্দিষ্ট এই দিনে মিটিং আছে” – এই ধরনের বিবৃতির কারণে ১২০ এর অধিক মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছেন। ৬। “আমি আপনাকে সুসংবাদ দিচ্ছি, ভাইদের… গনিমত অর্জন বা কিডনাপিং-এর অপারেশন আছে” – এই ধরনের বিবৃতির কারণে ১৩০ এর অধিক মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছেন। এরকম একটি খবরের কারণে একজায়গায় ৬০ জন মুজাহিদ নিহত হন এবং অন্য আরেক জায়গায় ৪২ জন নিহত হন। আর সবচেয়ে চোটের বিষয় এটা না যে, কতজন মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় নিহত হলেন; মূলত চোটের বিষয় তো এটি যে, এসব বাক্যগুলো মুজাহিদ ভাইদের মুখ থেকে উচ্চারিত হয়। মুজাহিদ ভাইয়েরা মনে করেন যে, তাঁরা তো তাঁদের বিশ্বস্ত ভাইদের কাছেই এসব কথা বলছেন, অথচ এটা বুঝতে পারছেন না যে, তাঁদের প্রথম ভুল হলো তাঁদের কাছে যা আমানত ছিলো তার খেয়ানত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, কথাগুলো এক ভাই থেকে আরেক বিশ্বস্ত ভাই, তাঁর থেকে আরেক বিশ্বস্ত ভাই, এভাবে ছড়াতে থাকে, যতক্ষণ না তাঁরা শত্রুদের হাতে ধরা পরে যান। একজন মুজাহিদ ভাইয়ের জন্যে এটা আবশ্যক যে, তিনি মুসলিমদের গোপন তথ্য তাঁর কাছে গোপন রাখবেন তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ভাই, বা আমাদের সবচেয়ে সচেতন ভাই, এমনকি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ভাইয়ের কাছ থেকেও। এর পাশাপাশি একজন মুজাহিদের উপর এটাও আবশ্যক যে, তিনি তাঁর সাথী ভাইদের প্রতিরোধ করবেন, নিষেধ করবেন এবং উপদেশ দিবেন, যারা তথ্য গোপন রাখতে পারেন না। এর কারণ, আজ পর্যন্ত যত তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাঁর প্রভাব শুধুমাত্র একজনের উপর পরেনি, বরং তাঁর ক্ষতি জামা’আতকে ভোগ করতে হয়েছে। তাই এই ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকার কোন অনুমতি নেই। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন, یقول رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم “والذی نفسی بیدہ لتاٰمرن بالمعروف ولتنھون عن المنکر اٰو لیوشکن اللہ اٰن یبعث علیکم عقابا منہ ثم تدعونہ فلا یستجیب لکم”‎ “ঐ সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো এবং অসৎ কাজের নিষেধ করো, নচেৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব তোমাদের উপর পতিত হবে। তখন তোমরা আল্লাহকে ডাকবে, কিন্তু তাতে তিনি সাড়া দিবেন না।” বেশি কথা বলা এবং গল্প গুজব করা অনেকের কাছে স্বাভাবিক আচরণ হয়ে গেছে। এটি আমাদের একটি অন্যতম দোষ, যার মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে কোন নমনীয়তা অবলম্বন করা যাবে না। আর যারা সামরিক গোপনীয়তা বজায় রাখার গুরুত্ব বোঝেন, তাঁদের উচিৎ যারা তথ্য গোপন রাখতে পারেন না, তাঁদের উপদেশ দেয়া, যেন তাঁরা লোক দেখানো ভাব এবং অহংকার থেকে বিরত থাকেন। যারা গোপনীয়তা রক্ষার গুরুত্ব বোঝেন এবং মূল্যায়ন করেন, তাঁদের জন্য এটি আবশ্যক যে, যারা সামরিক তথ্য গোপন রাখতে পারেন না তাঁদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর যারা এসব তথ্য ফাঁস হওয়ার সময় উপস্থিত থাকেন কিন্তু তা প্রতিরোধ করেন না, তাঁরাও এসব তথ্য ফাঁসের জন্য দায়বদ্ধ।
Hammasini ko'rsatish...
গুপ্তচর আবু হাসান আত-তাইযি বললো, “ভাইয়েরা (মুজাহিদ) খোলা বইয়ের মতো।” গুপ্তচর আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল বুরাইদি এই ব্যাপারে বলে, “তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে আরেকটি বিষয়, যখন মুজাহিদ ভাইয়েরা একসাথে বসে, তখন আপনার কোন বিষয়েই প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই। তারা নিজে থেকেই বলবে। যেমন, তুমি কি জানো, শাইখ বাতারফি এখন মিডিয়ার দায়িত্বে আছেন, অথবা কোন শাইখের নাম ধরে তিনি এখন কোথায় আছেন সেটা জানিয়ে দিবে। একজন বৈঠকের এক কোনা থেকে জোরে জোরে এই কথা বলবে আপনি শুধু কান লাগিয়ে সব তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবেন। আর এটাই ভাইদের ভুল যে, তাঁরা তাঁদের কথা বলার সময় অসতর্ক থাকে। তাঁরা বলতে থাকে, অমুক ভাই তদন্তের দায়িত্বে আছেন, তমুক ভাই ঐ কাজের দায়িত্বে আছেন, ইত্যাদি। এভাবেই আমরা টুকরো টুকরো তথ্য জোগাড় করে থাকি, একটি টুকরো এখান থেকে আরেকটি ওখান থেকে, একজন থেকে একটু আরেকজন থেকে আরেকটু।” সম্মানিত পাঠক! গুপ্তচর তাইজিকে জিজ্ঞাসা করা হলো, “একজন মুজাহিদ ভাইকে পটিয়ে তুমি কীভাবে তথ্য আদায় করে নিবে?” সে বললো, “কথা বলানোর মাধ্যমে।” শাইখ খুবাইব আস সুদানি (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَخُونُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ وَتَخُونُوا أَمَانَاتِكُمْ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ [٨:٢٧]‎ হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ এবং তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না, তোমাদের কাছে আমানতের খেয়ানত করো না! (সূরা আনফালঃ ২৭)। এই আয়াতের শানে নুযূলের ব্যাপারে ইমাম সুদ্দি (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “একবার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের সাথে আলোচনা করছিলেন। এই আলোচনা কুরাইশদের পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলো। তখনই এই আয়াত নাজিল হয়।” শাইখ আবু হুরাইরা কাসিম আর-রীমি বলেন, “তোমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা মুনাফিকি বলে বিবেচনা করা হয়। এটা একটি সাধারণ বিষয়।” আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَلَا يُشْعِرَنَّ بِكُمْ أَحَدًا [١٨:١٩]‎ “এবং কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়” (সূরা-কাহফঃ ১৯) আল-ইশ’আর অর্থাৎ আল-ইখবার (অবগত করানো, জানানো) গুপ্তচর আবু হাসান আত-তাইযি আরো বলে, “এমন হতে পারে যে, আমি [মুজাহিদরা] জানিই না আমি [মুজাহিদরা] একজন গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছি।” শাইখ খুবাইব আস সুদানি (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, “আরবরা তাদের অসম্মানের চোখে দেখে, যারা তথ্য গোপন রাখে না। তাই তারা বলে, ‘সে একজন ভদ্রলোক, কিন্তু সে তথ্য গোপন রাখতে পারে না। আর সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তির কাছে তথ্য গোপন থাকে।’ তথ্য গোপন রাখা অর্থ হচ্ছে এমন এক দরজার মত, যা তালা দিয়ে বন্ধ করা এবং তার চাবি হারিয়ে গেছে। তথ্য গোপন রাখা একজন মানুষের সম্মানকে পূর্ণ করে। মুজাহিদ বাহিনীর একেকটি তথ্য গোপন রাখা একজন আমানতদারের কাজ।” শাইখ আবু হুরাইরা কাসিম আর–রীমি বলেন, “অনেক ভাই আমাকে একটি বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। বিষয়টি হলো, কিছু ভাই কোন গোপন তথ্য গোপন রাখতে পারে না, এমনকি তাঁর স্ত্রী থেকেও না। একজন ফোন হাতে নেয় এবং বলতে থাকে যে অমুক আর অমুক এই জায়গায় আছে। আমাদের মধ্যকার সবচেয়ে উত্তম ভাইয়েরা তাঁদের এই দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের জন্যে হত্যার শিকার হয়, শুধুমাত্র এই ধরনের বেপরোয়া আচরণের কারণে। দায়িত্ববোধ কোথায় গেলো? আমানতের ব্যাপারে সতর্কতার কী হলো? এই গোপন তথ্যটি একটি আমানত। সত্যিকার অর্থে দুনিয়া এবং জান্নাত, পাহাড়কে আমানত ভার দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু তারা এই ভার বহন করতে নিজদের অক্ষমতা প্রকাশ করে, কিন্তু মানুষ নিয়েছিলো। إِنَّا عَرَضْنَا الْأَمَانَةَ عَلَى السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ أَن يَحْمِلْنَهَا وَأَشْفَقْنَ مِنْهَا وَحَمَلَهَا الْإِنسَانُ ۖ إِنَّهُ كَانَ ظَلُومًا جَهُولًا [٣٣:٧٢]‎ আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত পেশ করেছিলাম, অতঃপর তারা একে বহন করতে অস্বীকার করলো এবং এতে ভীত হলো, কিন্তু মানুষ তা বহন করলো। নিশ্চয় সে জালেম-অজ্ঞ”। (সূরা আল-আহযাবঃ ৭২) শাইখ ইবরাহীম আবু সালেহ বলেন, “প্রত্যেক মুজাহিদ ভাইয়ের জন্যে আবশ্যক যে, সে তাঁর আরেক ভাইয়ের তথ্য গোপন রাখবে, যেন নিজের অজান্তেই আল্লাহ তা’আলার শত্রুদের সহায়তা করা না হয়ে যায়, যেন মুজাহিদদের কোন অপারেশনের ব্যাপারে শত্রুরা আগে থেকেই অবগত না হয়ে যায়, যেন তোমার জন্যে তোমার ভাইরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না হয়, যেন শত্রুরা এমন বিজয় লাভ না করে যা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। আমাদের ভাইদেরকে শুধু তাঁদের ভাইদের তথ্য গোপন রাখতে হবে এবং এই আমানতদারিতা বজায় রাখতে হবে।” শাইখ খুবাইব আস সুদানি (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, “প্রত্যেক মুসলিম যারা তাঁদের জবানের মাধ্যমে সীমালঙ্ঘন করে, সে যেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং একথা স্মরণ রাখে যে, ফেরেশতারা প্রতিটি শব্দের হিসাব রাখছে।
Hammasini ko'rsatish...
সম্মানিত পাঠক! মূল বিষয় হলো, বাস্তবতা আমাদের চোখের সামনে, যা আমরা জানতে পারবো আটককৃত গুপ্তচরদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে। গুপ্তচর ফারিস আল কাসিমি বলেছে- “কোন মজলিস থেকে আপনি খুব সহজেই একজন ভাইয়ের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারবেন। ছোট একটি তথ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দরজাসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়। এই সামান্য তথ্য থেকে একটি স্থানের অবস্থা, একজন ভাই, কিংবা নেতৃস্থানীয় বিশেষ কোন ভাইয়ের খোঁজও বের করে ফেলা সম্ভব।” এক ইসরাইলী গোয়েন্দা নেতা এক সাক্ষাৎকারে বলে, “আমরা বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে থাকি, শুধুমাত্র একজন গুপ্তচর থেকেই তথ্য নেই না। এটা অনেকটা তাসবিহ এর ৩৩ দানার মত, যার একেকটি দানা একেক জায়গা থেকে আসতে পারে। সবশেষে ৩৩ টি দানা একসাথে মিলে একটি তাসবিহ তৈরি হয়ে যায়।” শাইখ ইবরাহীম আল কোসী (খুবাইব আস-সুদানি) (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, “হয়তো একটি মাত্র শব্দই মুসলিম উম্মাহর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং এর দ্বারা ইসলামের শত্রুরা সুযোগ নিয়ে মুসলিমদের হত্যা এবং বন্দী করতে পারে। হয়তো মনের অজান্তে কোন শব্দ বের হয়ে গেলো, যা আল্লাহর ক্রোধ এবং জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তাই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” এটা জরুরী নয় যে, একজন গুপ্তচর শুধু আরেকজন গুপ্তচরের মাধ্যেম তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্য সংগ্রহের জন্য এমন একজন মুজাহিদই যথেষ্ট, যে অন্য মুজাহিদদের তথ্য গোপন রাখতে পারে না। শাইখ ইবরাহীম আবু সালেহ (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, “শত্রুরা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল চেষ্টাই করে থাকে। এটা জরুরি নয় যে, তারা শুধু তাদের গুপ্তচরের কাছ থেকেই তথ্য নিবে।” সম্মানিত পাঠক! তথ্য সংগ্রহের জন্যে শত্রুরা অনেকগুলো কৌশল এবং পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। এর উদাহরণ আরেকজন গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি জেনে নেওয়া যাক। গুপ্তচর সালেহ মুসলিহ সালেহ হাদ্দা(শিহাব আল যামারি) বলে- “আমি একজনের কথা জানি, তবে তাঁর পরিচয় স্মরণ করতে পারছি না। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ, আমি খুশি হয়ে যাই, যখন দেখি ভাইয়েরা নিরাপত্তার বিষয়ে মোটর সাইকেলের সদ্ব্যবহার করে। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘তুমি কাকে দেখেছো?’ সে উত্তর দিলো, ‘খালিদ।’ (অর্থাৎ গুপ্তচর এই মুজাহিদ ভাইয়ের অজান্তেই আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ভাইয়ের নাম জেনে নিলো।” গুপ্তচর আজিজ আহমেদ সাইফ আলিমী বলেছে- “এরা (মুজাহিদরা) এমন লোক যে, তাঁরা কখনই আপনাকে তাঁদের ফোন নাম্বার দিবে না। উসাইদ আল আদানি, আবু হুসাইন আল মাইসারের ড্রাইভার, কেউই তাঁর নাম্বার আমাকে দেয়নি। আর দিলেও সাধারণত তাঁরা অব্যবহৃত নাম্বার দেয়। শেষ পর্যন্ত আমি নিজে তাঁর সাথে দেখা করলাম এবং তাঁর কাছ থেকে নাম্বার নিলাম।” সম্মানিত পাঠক! গুপ্তচরদের স্বীকারোক্তিগুলো থেকে আমরা একটি বিষয় পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে, গুপ্তচরদের ধোঁকা দেয়ার কৌশলগুলো সাধারণত সতর্কতার সাথে গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ, তাদেরকে এই ব্যাপারে প্রশিক্ষণসহ অনেক ধরনের কৌশল শিখিয়ে দেয়া হয়। কী কী প্রশ্নের মাধ্যমে গুপ্তচররা তথ্য বের করে নেয়? গুপ্তচর আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল বুরাইদি বলে, “ধরুন, যখন আমি প্রথম তানজিমে যোগ দেই, তখন তারা আমাকে অতিরিক্ত প্রশ্ন করতে নিষেধ করেছিলো। প্রথমত, নিজেকে সন্দেহমুক্ত রাখার জন্য। দ্বিতীয়ত, তাঁরা দ্রুত আপন করে নিতো এবং লক্ষ্য রাখতো কে বেশি বাচাল! কে প্রায়ই প্রশ্ন করে, আর কে এরকম নয়। এভাবে তাঁরা সন্দেহভাজন এবং বিশ্বস্তভাজন আলাদা করতো। তৃতীয়ত, যখন আপনি তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে এবং তাঁদের সাথে কাজ করা শুরু করবেন, তখন সহজেই তাঁদের যেকোন প্রশ্ন করা যায়। তখন কারো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা বা কারো অবস্থানের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা আপনাকে এর উত্তর দিবে। মূলত, এই তিনটিই হচ্ছে প্রধান পয়েন্ট। আরেকটি বিষয় যে, গুপ্তচররা তরুণদের টার্গেট করে। যেমন, আপনি আবু ফায়ায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, সে কেমন করছে, তাঁর কাজ কী এবং এই সংক্রান্ত প্রশ্ন, বিশেষত তাঁকে মুকাল্লা থেকে প্রত্যাহার করার পরে।” সে আরও বলে, “আমি কিছু ভাইদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করি না, বরং আরেকজনের মাধ্যমে খবর নেই। যখন আমি নিশ্চিত থাকি যে কারো কাছে কোন নির্দিষ্ট ভাইয়ের নাম্বার আছে, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি যে, তাঁর কাছে ঐ নির্দিষ্ট ভাইয়ের নাম্বার আছে কি না। ঐ ভাইকে আমার জরুরী প্রয়োজন বলে সাথে সাথেই নাম্বারটি আমি তাঁর কাছ থেকে সংগ্রহ করি। আমি পরে ওই ভাইকে ফোন দেই এবং কথা বলি। এর কারণ হলো, প্রথমত, নাম্বারটি যাচাই করা। দ্বিতীয়ত, যে আমাকে নাম্বার দিয়েছে, তাঁকে সন্দেহমুক্ত রাখা। যদি তাঁদের দুজনের সাক্ষাৎ হয়, গল্পটি যেন অসম্পূর্ণ না থাকে।”
Hammasini ko'rsatish...
গুপ্তচর আজিজ আহমেদ সাইফ আলিমী তার স্বীকারোক্তিতে বলে, “যখন আমি কারো নাম্বার সংগ্রহ করতে চাই, আমি কখনই এমন মানুষকে নির্বাচন করি না, যার ফোন সবসময় বন্ধ থাকে। যেমন, বাসসেমের ফোন সবসময় বন্ধ থাকে। অতএব, তাঁর নাম্বার উদ্ধারের জন্যে আমি কখনই মাথা ঘামাবো না। আমি নজর রাখি তাঁদের উপর, যাদের মোবাইল সাধারণত চালু থাকে। আমি তাঁদের সাথে পরিচিত হই, এমনকি তাঁদের মাধ্যমে অন্যদের নাম্বার নিয়ে আসি।” সে আরো বলে, “যার সাথে আমার সাধারণত সাক্ষাৎ হয় না, তাঁর কাছে আমি কখনই তথ্য জানতে চাই না। আমি এমন ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করি না, যে আমাকে সন্দেহ করতে পারে। যেমন, আমি যদি বাসসেমের কাছে আব্দুল্লাহ আল-সান’আনির নাম্বার চাই, সে ভাববে, কী ব্যাপার? সে কেন তাঁর নাম্বার চাচ্ছে? এটা অবশ্যই সন্দেহ তৈরি করবে। তাই, আমি এমন ব্যক্তির কাছে যাই না। আমি এমন ব্যক্তির কাছে যাই, যার সাথে আমার ভালো ও খোলামেলা সম্পর্ক রয়েছে। যদি আমি জানি যে, তাঁর কাছে নাম্বারটি নেই, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি সে নাম্বারটি জোগাড় করে দিতে পারবে কি না এবং সে রাজি হয়। তখন আমি তাঁর নাম্বার নিজের কাছে রাখি এবং পরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞেস করি যে, সে আবু আব্দুল্লাহ আল-সান’আনির নাম্বারটি জোগাড় করতে পেরেছি কি না।” সম্মানিত পাঠক! এই বিষয়ে গুপ্তচর আল বুরাইদি আরেকটি বিষয় তুলে ধরে, যা আমরা তার জবানবন্দিতে তুলে ধরছিঃ তথ্য বের করার ক্ষেত্রে শত্রুবাহিনী কী ধরনের ক্যাটাগরি তৈরি করে? গুপ্তচর আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল বুরাইদি এই ব্যাপারে বলে, “সংক্ষেপে, তথ্য সংগ্রহের জন্যে মানুষকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করি। প্রথমত, যার কাছ থেকে কোন কষ্ট ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ করা যায়। সে তাঁর নিজের ইচ্ছাতেই সব বলে দেয়। এদেরকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ ১। এমন মানুষ, যারা তাঁদের কাছে তথ্য আছে বলে গর্ববোধ করে এবং সবজান্তার মত আচরণ করে। ২। এমন মানুষ, যারা কাউকে কষ্ট দিতে চায় না। দ্বিতীয়ত, এমন মানুষ, যাদেরকে আপনি জিজ্ঞাসা না করলে কোন তথ্য দিবে না। তৃতীয়ত, এমন মানুষ, যারা কোন প্রকার তথ্য দেয় না। কোন কিছু জিজ্ঞেস করলেই তাঁরা আপনাকে সন্দেহ করে বসবে। কুফরি গোয়েন্দাসংস্থাগুলো আমাদেরকে ঐসব ভাইয়ের সাথে সাথে থাকার উপদেশ দেয়, যেন কেউ আমাদের সন্দেহ করলে সে তা প্রতিরোধ করে। আপনি যার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তাঁর সামনে আপনি সৎ এবং নিষ্ঠাবান থাকুন। দেখবেন আপনার এই আচরণ দেখে আপনাকে সে সবসময় সমর্থন দিচ্ছে এবং আপনাকে রক্ষা করছে।” ‘সাধারণত কীভাবে তথ্য বেশি ফাঁস হয়?’ এই প্রশ্নের উত্তরে গুপ্তচর আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল বুরাইদি বলে, “বেশিরভাগ সময় আপনি ভাইদেরকে বলতে শুনবেন যে, সে আরেক ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবে।” এই ব্যাপারে শাইখ কাসিম আর–রীমি (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, “এমন কোন গুপ্তচরকে আমরা পাইনি, যে প্রাথমিকভাবে একজন বা দুইজন মুজাহিদ ভাইয়ের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে না। আমাদের মুজাহিদ ভাইরা নিজের অজান্তেই তাদেরকে তথ্য দিতে থাকে। গুপ্তচর তাঁদের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং এভাবে প্রায়শই তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। গুপ্তচর তাঁর সামনে খুব ভালোভাবে ইবাদত করে, তাঁদের সামনে কুরআন পড়ে, যতক্ষণ না একজন বলে যে, আমি তাকে (গুপ্তচর) আমার পাশে রাখতে চাই, যেন তাকে দেখে আমার আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। কিন্তু তাকে কেন মুসলিমদের গোপন তথ্যগুলো দিতে হবে? কেন? আপনি বলতে পারেন যে, আপনি তাকে বিশ্বাস করেন। তাও যদি হয়, আপনি কেন তাকে আপনার গোপন তথ্য দিবেন? কেন!!?? তথ্য আপনার জন্য কোন নির্দিষ্ট বিষয় নাও হতে পারে। কিন্তু এটা আপনার কাছে একটা আমানত। আর আপনি কেন এই আমানত ভঙ্গ করবেন? আপনি বলতে পারেন যে, আপনি যাকে বিশ্বাস করেন তাকেই তথ্য দিয়েছেন। সারকথা হচ্ছে, এসব গোপন তথ্য আমরা আমাদের বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকেও গোপন রাখবো, আর কাফিরদের থেকে তো আমরা সম্পূর্ণভাবে দুরত্ব বজায় রাখবো।” সাধারণ মজলিস থেকে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়? গুপ্তচর সালেহ আল হাদ্দা বলে, “সে (অন্য একজন গুপ্তচর) আমাকে আফগানিস্তানের ভাইদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো। আমি তাকে বললাম, এটা একটি একক সংগঠন এবং তাঁদের নেতাদের সাথে অবশই যোগাযোগ আছে। সে জিজ্ঞাসা করলো, তাঁদের কাউকে আপনি চিনেন? আমি বললাম, এসব বিষয় জানা খুবই কঠিন। সংশ্লিষ্ট ছাড়া কারো পক্ষে এসব বিষয় জানা প্রায় অসম্ভব। পড়ে আমি তাকে আরও জানালাম যে, কিছু প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র বড় নেতারাই জানেন। তখন সে বললো, যদি তুমি তাদের মধ্যে উপস্থিত থাকো, তবে কি জিজ্ঞেস করতে পারবে? তারপর সে আরও বললো, ঠিক আছে, তুমি যখন তাঁদের সাথে একসাথে বসো, ওই বৈঠক থেকে একটি অথবা দুইটি শব্দ নিশ্চয়ই শুনেছো। সেগুলোই আমাদের বলো।”
Hammasini ko'rsatish...