ফিলিস্তিনের আপডেট খবর

আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান আবু উবায়দা প্রতিবেশী মুসলিম দেশ সমূহকে সিমান্তবর্তী অঞ্চলে এসে বিক্ষোভ করতে বলেছিলেন। তাঁর এই আহবানে সাড়া দিয়ে তুরস্কের হাতায় প্রদেশে সমবেত হয় তুর্কী যুবকরা! উল্লেখ্য, তুরস্কের হাতায় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের সবচেয়ে কাছের শহর।

এক নজরে বর্তমান ঘটনাবলী • হামাস বলছে, তারা দুই বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে, কিন্তু ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েল বলছে, তারা 'বিদ্বেষমূলক প্রচারণার' জবাব দেবে না। • ইসরায়েল বলছে, তারা গাজায় বিমান হামলা জোরদার করবে, কারণ সামরিক বাহিনী স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। • মিশর থেকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা বহরকে, তবে পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করেছেন যে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার জন্য কোনও চুক্তি না হওয়ায়, এই ত্রাণ যেন সমুদ্রের এক ফোঁটা পানিসমান। • জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় জ্বালানি পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। • ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজায় বসবাসরত বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তাদের সরিয়ে না নিলে 'সন্ত্রাসবাদের' সহযোগী হিসেবে দেখা হবে। এলোপাতাড়ি সবাইকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া এ ঘোষণাই আরবি অনুবাদে অস্পষ্টতার অজুহাতে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।  • ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রয়েছে এবং ইসরায়েল বলছে, তাদের ছয় যোদ্ধা সেখানে নিহত হয়েছে।  • বিশ্ব নেতারা কায়রোতে সংঘাত প্রশমনের লক্ষ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সম্মেলন চলাকালীনও ইজরাইল আক্রমণ বন্ধ রাখেনি। হামাস এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। 

সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১,৭৫৬ জনের বেশি শিশু এবং ৯৬৭ জনের বেশি নারী সহ কমপক্ষে ৪,৩৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩,৫৬১ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। ▪️ ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার ৭০ শতাংশ শিশু, নারী ও বৃদ্ধ। ▪️৫১ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত, ৮৭ জন বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয়েছেন। ▪️গোলাবর্ষণ ও জ্বালানি সংকটের কারণে ৭টি হাসপাতাল ও ২৫টি চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ▪️গাজা উপত্যকায় হাসপাতালের শয্যা দখলের হার ১৫০% এর বেশি বেড়েছে। ▪️১৪০০ মানুষের বেশি নিখোঁজ, তাদের সন্ধান এখনো জানা যায়নি।