cookie

Ми використовуємо файли cookie для покращення вашого досвіду перегляду. Натиснувши «Прийняти все», ви погоджуєтеся на використання файлів cookie.

avatar

Islamic Telechannel

ইসলামিক টেলিগ্রাম চ্যানেল ব্যাকআপ চ্যানেলঃ https://t.me/joinchat/WyjC8eNr-ChiOWI1

Більше
Країна не вказанаМова не вказанаКатегорія не вказана
Рекламні дописи
138
Підписники
Немає даних24 години
Немає даних7 днів
Немає даних30 днів

Триває завантаження даних...

Приріст підписників

Триває завантаження даних...

আল্লাহর দ্বীন কোন খন্ডকালীন বিষয় নয় । এটি কোন সাপ্তাহিক ছুটির দিনের দ্বীন নয় । এটি এমন একটি বিষয় না , যা আপনি অবসর সময়ে পালন করবেন । এটি একটি পূর্ণকালীন অঙ্গীকার । - শাইখ আ নো য়া র আ ল আ ও লা কী রাহিমাহুল্লাহ @MuhsinahBN
Показати все...
কিয়ামতের আগে মাহদির খেলাফত গ্রহণ হজরত উম্মে সালামা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুসলমানদের একজন খলিফার ইন্তেকালের পর মতানৈক্য হবে। তখন মদিনাবাসীদের একজন ব্যক্তি (মতানৈক্য এড়িয়ে যাওয়ার জন্য) মক্কায় চলে আসবেন। অতঃপর মক্কাবাসী অনেক লোক তাঁর কাছে আসবে এবং তাঁকে তাঁর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঘর থেকে বের করে এনে মাকামে ইবরাহিম ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে তাঁর হাতে বাইয়াত হবে। (তিনিই হলেন ইমাম মাহদি) তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য শামবাসীদের থেকে একটি (বাতিল) দলকে পাঠানো হবে। তবে তারা মক্কা-মদিনার মধ্যবর্তী বাইদা নামক স্থানে পৌঁছলে ভূমিধসে আক্রান্ত হবে। যখন মানুষ তা দেখবে, তখন তাঁর কাছে শামের আবদালরা ও ইরাকবাসী উত্কৃষ্ট মানুষের দল আসবে। অতঃপর তারা মাকামে ইবরাহিম ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে তাঁর হাতে বাইয়াত হবে। অতঃপর কুরাইশ বংশের জনৈক ব্যক্তির উদ্ভব হবে, কালব গোত্র হবে তার মাতুল গোত্র। সে তাদের মোকাবেলায় একটি বাহিনী পাঠাবে। যুদ্ধে মাহদির অনুসারীরা কালব বাহিনীর ওপর বিজয়ী হবে। এ সময় যারা কালবের গণিমত নিতে উপস্থিত হবে না, তাদের জন্য আফসোস! মাহদি গনিমতের সম্পদ বণ্টন করবেন ও নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাত অনুযায়ী মানুষের মধ্যে কার্য পরিচালনা করবেন, আর ইসলাম সারা পৃথিবীতে প্রসারিত হবে। অতঃপর তিনি সাত বছর অবস্থান করার পর মারা যাবেন। আর মুসলিমরা তাঁর জানাজার সালাত পড়বে। ইমাম আবু দাউদ (রহ.) বলেন, কেউ কেউ হিশাম থেকে বর্ণনা করে বলেন, ৯ বছর অবস্থান। দামেস্কের মিনারায় ঈসা (আ.)-এর অবতরণ ও দাজ্জালকে হত্যা হজরত নাউওয়াস ইবনে সামআন (রা.) সূত্রে বর্ণিত, একটি হাদিসে দাজ্জাল সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দাজ্জাল ইরাক ও শামের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে বের হবে এবং ডানে-বাঁয়ে গোটা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করতে থাকবে। তাই হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা ঈমানের ওপর অটল থাকবে।’ দীর্ঘ হাদিস বর্ণনার একপর্যায়ে নবী করিম (সা.) বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন ধরে দাজ্জালের অনিষ্টতার পর আল্লাহ ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ.)-কে পাঠাবেন। তিনি দামেস্কের পূর্ববর্তী এলাকার শুভ্র মিনারের কাছে আসমান থেকে দুজন ফেরেশতার কাঁধে চড়ে অবতরণ করবেন। তখন তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস যে কাফেরের গায়ে লাগবে, সে মারা যাবে, আর তাঁর দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্তে গিয়ে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস পড়বে। তিনি দাজ্জালকে তালাশ করবেন, অতঃপর শামের বাবে লুদ নামক স্থানে তাকে হত্যা করবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৯৩৭)
Показати все...
শামের কল্যাণের সঙ্গে উম্মতের কল্যাণ সম্পৃক্ত হজরত মুয়াবিয়া ইবনে কুররা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন শামভূমি ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, তখন তোমাদের মধ্যেও কোনো কল্যাণ থাকবে না। আর আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে, তাদের যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তারা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২১৯২) মহাযুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সেনাছাউনি হবে শাম দেশে হজরত আবুদ্দারদা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “মহাযুদ্ধের সময় মুসলিমদের ছাউনি হবে ‘গোতা’ শহরে, যা দামেস্ক শহরের পাশে অবস্থিত। এটি শামের উত্কৃষ্ট শহরগুলোর একটি।” (আবু দাউদ, হাদিস : ৪২৯৮) অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “অচিরেই তোমরা শাম বিজয় করতে পারবে, যখন তোমাদের সেখানে বসবাসের এখতিয়ার দেওয়া হবে, তোমরা দামেস্ক নগরীকে বাসস্থান বানাবে, কেননা তা যুদ্ধবর্তীকালীন মুসলিমদের আশ্রয়স্থল হবে, আর তাদের ছাউনি হবে সে দেশের একটি ভূমি, যাকে ‘গোতা’ বলা হয়।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৪৭০) হজরত আবু হুরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “খোরাসান ভূমি থেকে কালো পতাকাবাহী দল বের হবে, তাদের কোনো কিছুই রুখতে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তা ‘ইলিয়া’ তথা জেরুজালেমে স্থাপন না করে।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২২৬৯)
Показати все...
সিরিয়া, ফিলিস্তিন সম্পর্কে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যৎবাণীঃ ‘মুলকে শাম’ বা শাম ভূখণ্ড নবী-রাসুলদের ভূখণ্ড। কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় তার বরকত ও পবিত্রতার বর্ণনা রয়েছে। ইতিহাসের অগণিত ঘটনাপ্রবাহ তার সঙ্গে জড়িত। মক্কা-মদিনার পরই যার মর্যাদা স্বীকৃত। আগের মুলকে শাম বর্তমানে কয়েকটি রাষ্ট্রে বিস্তৃত রয়েছে। বর্তমানের সিরিয়া, জর্দান, লেবানন ও পূর্ণ ফিলিস্তিন ভূখণ্ড প্রাচীন মুলকে শামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই শামের সঙ্গে ভবিষ্যতের ও কিয়ামতপূর্ব অনেক ঘটনাও জড়িত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) শামের ব্যাপারে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। আল্লাহর ওলিদের বিশেষ দল শাম দেশে রয়েছেন হজরত শুরাইহ ইবনে উবাইদ (রহ.) বলেন, হজরত আলী (রা.) ইরাকে অবস্থানরত অবস্থায় তাঁকে শামবাসীদের ব্যাপারে বলা হলো, আপনি তাদের ওপর অভিশাপ করুন! তখন তিনি বলেন, না, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে শাম ভূখণ্ডে আবদালরা (আল্লাহর ওলিদের বিশেষ দল) থাকেন, তাঁরা ৪০ জন থাকেন, যখনই তাঁদের থেকে একজন মারা যান, আল্লাহ তাঁর স্থানে অন্য একজনকে রাখেন, তাঁদের বরকতে বৃষ্টি হয় ও শত্রুর ওপর জয়লাভ হয়। ভবিষ্যতে তাঁদের অছিলায় শামবাসীদের থেকে আজাব উঠিয়ে নেওয়া হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৯৬) শাম ভূখণ্ড মুসলিমদের দ্বিতীয় হিজরতভূমি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হিজরতের পর আরেকটি হিজরত শিগগিরই সংঘটিত হবে। তখন ভূপৃষ্ঠের সর্বোত্কৃষ্ট মানুষ হবে তারাই, যারা ইবরাহিম (আ.)-এর হিজরতভূমিতে (শাম দেশে) অবস্থান করবে। আর গোটা পৃথিবীতে সর্বনিকৃষ্ট মানুষরাই বাকি থাকবে। তাদের ভূমিগুলো তাদের নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের অপছন্দ করবেন। তাদের ফিতনার আগুন বানর ও শূকরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখবে (তাদের দুশ্চরিত্রের কারণে তারা যেখানেই যাবে, সেখানেই ফিতনা লেগে থাকবে)।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৮২) হজরত ইবনে হাওয়ালা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইসলামী বাহিনী শিগগিরই কয়েকটি দলে দলবদ্ধ হবে। একটি দল শামে, একটি ইয়েমেনে ও অন্য একটি ইরাকে। ইবনে হাওয়ালা (রা.) জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি সে যুগ পাই, তখন আমি কোন দলটিতে যোগদান করব, তা বলে দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি শামের বাহিনীতে থাকবে, কেননা তা আল্লাহর পছন্দনীয় ভূমির একটি, সেখানে তিনি তাঁর সর্বোত্কৃষ্ট বান্দাদের একত্রিত করবেন। আর যদি তুমি তাতে যোগদান না করো, তাহলে তুমি ইয়েমেনের বাহিনীকে গ্রহণ করো, আর তোমরা শামের কূপ থেকে পানি গ্রহণ করো। কেননা আল্লাহ আমার জন্য—অর্থাৎ আমার উম্মতের জন্য শাম ভূখণ্ড ও তার বাসিন্দাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৮৩)
Показати все...
খেয়েছেন এরকম আমি দেখিনি।' . উম্মুল মুমিনীনরা আল্লাহর রাসূলের এই কঠোর আর অনাড়ম্বর জীবনের সাথে অভ্যস্থ ছিলেন না ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। কিন্তু সে সময় আল্লাহ্‌ আযযা ওয়া যাল উম্মাহকে খায়বার, মক্কা বিজয়ের মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিজয় দান করেন। কুরআনের কিছু আয়াতও নাযিল হয় যা সীমার মধ্যে থেকে দুনিয়ার নিয়ামত ভোগ করার অনুমতি প্রদান করে। আল্লাহ্‌ বলেন, . "আপনি বলুনঃ আল্লাহর সাজ-সজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? আপনি বলুনঃ এসব নেয়ামত আসলে পার্থিব জীবনে মুমিনদের জন্যে এবং কিয়ামতের দিন খাঁটিভাবে তাদেরই জন্যে। এমনিভাবে আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি তাদের জন্যে যারা বুঝে।" [সূরা আরাফঃ আয়াত ৩২] . আল্লাহ্‌ আরো বলেন, "তুমি একেবারে ব্যয়-কুষ্ঠ হয়োনা এবং একেবারে মুক্ত হস্তও হয়ো না। তাহলে তুমি তিরস্কৃতি, নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে।" [সূরা আল ইসরাঃ আয়াত ২৯] . আয়াতগুলো নাযিল হওয়ার পর উম্মুল মুমিনীনরা মনে করলেন আল্লাহর নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকে আল্লাহ্‌ দুনিয়ায় মুমিনদের জন্য যা হালাল করেছেন সেই নিয়ামত ভোগ করায় দোষের কিছু নেই। কিন্তু এই আয়াতগুলো ছিলো মূলত সাধারণ মানুষদের জন্য। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন এই আয়াতের বাইরে এবং উনার জন্য আল্লাহর আদেশ ছিলো দুনিয়ার উপকরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আল্লাহ্‌ বলেন, . "আপনি চক্ষু তুলে ঐ বস্তুর প্রতি দেখবেন না, যা আমি তাদের মধ্যে কয়েক প্রকার লোককে ভোগ করার জন্যে দিয়েছি, তাদের জন্যে চিন্তিত হবেন না আর ঈমানদারদের জন্যে স্বীয় বাহু নত করুন।" [সূরা আল হিজরঃ আয়াত ৮৮] . অন্য আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন, "আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।" [সূরা ত্ব-হাঃ আয়াত ১৩১] . উম্মুল মুমিনীনরা ভুল বুঝলেও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানতেন তিনি আর দশজনের মত নন। অনন্তকালের আখিরাতের জীবনের উল্টো পিঠে অতি তুচ্ছ এই নশ্বর পৃথিবীর মায়ায় পড়া আল্লাহর রাসূলের জন্য কোনভাবেই শোভনীয় নয়। আর তাই তিনি তার স্ত্রীদের অপশন দিয়েছিলেন দুনিয়ার ভোগ বিলাস আর আল্লাহর সন্তুষ্টি দুইটার একটা বেছে নেওয়ার। যদিও উম্মুল মুমিনীনরা প্রথমে ভরণ পোষণের আরো টাকা পয়সা দাবি করেছিলো কিন্তু যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে দুনিয়া আর আখিরাতের অপশন দিয়ে দিলেন তখন সকলেই এক বাক্যে বলেছিলো, 'আমরা আল্লাহ্‌, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আখিরাতের আবাসকে বেছে নিলাম'। . একে একে সকল স্ত্রীদেরই রাসূল (সঃ) অপশন বেছে নিতে বলেন। সকলেই তাদের ঈমান আর সততার এই পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন। . খুলাফায়ে রাশেদীনও এই ঘটনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছিলেন সমগ্র মুসলিম জাহানের ভার যার কাঁধে তার জন্য দুনিয়ার চাকচিক্যে মোহাবিষ্ট হওয়া শোভনীয় নয়। তাদের ভোগ বিলাসের জায়গা তো আখেরাতে। নিজের অধিনস্ত মানুষের দেখভালের জন্য তাদের রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। দুনিয়াকে পিষে ফেলতে হবে পায়ের তলায়। বাস্তবেও আমরা দেখি, উম্মাহর সোনালী যুগের খলীফারা আল্লাহর রাসূলের রেখে যাওয়া সেই সুন্নাহর অনুসরণ করেছিলেন নিখুঁতভাবে। দুনিয়ার ভোগ বিলাস আর উপকরণকে পায়ে ঠেলে এই উম্মাহকে আগলে রেখেছিলেন নিজদের সর্বস্ব দিয়ে। রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। - Rain Drops
Показати все...
আর দশজন সহজ স্বাভাবিক দম্পতির মত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাম্পত্য জীবনেও ছিলো আনন্দ-বেদনা, বাদানুবাদ, মান-অভিমানের উন্থান পতন। একবার তো স্ত্রীদের সাথে অভিমান করে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘ এক মাস বাড়ীর বাইরে ছিলেন। এই সময়ে তিনি কোন স্ত্রীর কাছেই যাননি। ঘটনাটা নবম হিজরির। . একদিন আবু বকর (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন অনেকেই রাসূলের ঘরের দরোজায় অপেক্ষমাণ। তাদের কাউকেই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আবু বকর (রাঃ) ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন, তাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এরপর উমার (রাঃ) এলেন, অনুমতি চাইলে তাকেও অনুমতি দেওয়া হলো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিচে বসে আছেন আর চারপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে উনার স্ত্রীরা। সবাইকে খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত আর হতাশ দেখাচ্ছিল। থমথমে পরিস্থিতিতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাসানোর জন্য উমার (রাঃ) বললেন, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার স্ত্রী যদি আমার কাছে ভরণ পোষণের জন্য টাকা চাইতো না, আমি তার উপর চড়াও হয়ে ঘাড়ে আঘাত করে বসতাম!' রাসূল (সঃ) একথা শুনে মুচকি হেসে দিলেন আর বললেন, 'আমার চারপাশে যাদের দেখতে পাচ্ছো তারাও আমার কাছে ভরণ পোষণের জন্য আরো টাকা পয়সা দাবি করছে।' একথা শুনেই আবু বকর (রাঃ) নিজ কন্যা আইশার (রাঃ) দিকে আর উমার (রাঃ) হাফসার (রাঃ) দিকে এগিয়ে গেলেন আর তাদের ঘাড়ে আঘাত করলেন আর বললেন, তোমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এমন জিনিস দাবী করছে যা তাঁর কাছে নেই। তখন তাঁরা বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা তো এমন কিছু দাবি করছি না যা আল্লাহর রাসূলের কাছে নেই।" . এই ঘটনার পর রাসূল (সঃ) স্ত্রীদের থেকে এক মাস আলাদা ছিলেন। আর সেই সময়ে আল্লাহ্‌ তায়ালা কুরআনের এই আয়াত নাযিল করেন। . “হে নাবী! আপনি আপনার সহধর্মিনীদের বলে দিন, তোমরা যদি পার্থিব জীবনের ভোগ ও এর বিলাসিতা কামনা কর, তাহলে এসো আমি তোমাদের ভোগ-বিলাসের ব্যবস্হা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় করে দিই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকালকে কামনা কর তাহলে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণা আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন।” (সূরাহ্ আহযাবঃ ৩৩ : ২৮-২৯) . মূলত আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর জীবনযাপন পদ্ধতি আর দশজনের মত অত সহজ ছিলো না। আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা, দুনিয়ায় যার সামনে ভুরি ভুরি ধন সম্পদ হাতছানি দিয়ে গেছে তিনি এমন এক জীবন দুনিয়াতে কাটিয়ে গেছেন যেন দুনিয়া তার কাছে সবচেয়ে অপ্রিয়, সস্তা আর অর্থহীন বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়। . মদীনায় আসার পর মসজিদে নববীর পাশে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উম্মুল মুমিনীনদের জন্য ঘর তৈরি করা হয়। সেই ঘর রাজা বাদশাদের প্রাসাদ ছিলো না, ছিলো কাদামাটি আর পাথরের ছোট কয়েকটা কুঁড়েঘর। খেজুরের ডাল দিয়ে তৈরী হয়েছিলো সেই ঘরের চাল। ছাদ এত নিচু ছিলো যে ছোটখাট যে কেউই নিমিষে হাত দিয়ে ছুঁতে পারতো। ইমাম হাসান আল বসরী বলেন, 'আমি আল্লাহর রাসূলের ঘর দেখেছি। নিমিষেই আমি এর ছাদ হাত দিয়ে ধরতে পেরেছি।' . আল্লাহর রাসূলের সেই ঘরে আলো জ্বালানোর মত একটা কুপিও ছিলো না। আম্মাজান আইশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সঃ) এর সামনে ঘুমাতাম। ঘরে আলো না থাকায় রাতে যখন তিনি তাহাজ্জুদে দাঁড়াতেন সিজদার সময় রাসূলের কপাল আমার মাথায় এসে লাগতো। সিজদায় যাওয়ার সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আঙ্গুল দিয়ে আমার পায়ে খোঁচা দিতেন। ফলে আমি পা ভাঁজ করে নিতাম, যখন তিনি সিজদা থেকে উঠতেন আমি আবারো পা বিছিয়ে দিতাম। . ঘরে আরামের কার্পেট বিছানো ছিলো না। মেঝে ছিলো বালি আর খেজুরের ছোবলা। আল্লাহর রাসূল তার উপরই ঘুমোতেন। তার গায়ে দাগ পড়ে যেত। রকমারি আসবাবও ছিলো না কোথাও। গায়ে দেওয়ার মত একটা চামডার গদি ছাড়া আর কিছু চোখে পড়তো না সারা ঘরজুড়ে। এই দৃশ্য দেখে একদিন উমার (রাঃ) কেঁদে ফেললেন। আক্ষেপ করেই আল্লাহর রাসূলকে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি এই উম্মতকে প্রাচুর্য দান করেন। পারস্য আর রোমদের দেখুন, তারা তো আল্লাহর ইবাদত করে না অথচ তারাই আজ ভোগ বিলাসে আছে।' আল্লাহ্‌ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ইয়া উমার! এটাই কী উত্তম নয় যে তারা দুনিয়ার ভোগ বিলাস পেলো আর আমরা আখেরাতের অনন্ত জীবন পেলাম! . দারিদ্র্যতা ছিলো আল্লাহর রাসূলের নিত্যসঙ্গী। আম্মাজান আইশা (রাঃ) বলেন, এমনও হয়েছে পরপর তিন চন্দ্রমাস অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু আল্লাহর রাসূলের ঘরে চুলায় আগুন জ্বলেনি। একথা শুনে উরওয়া ইবনে আয জুবাইর অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে সে সময় আপনারা কি খেতেন? মা আইশা (রাঃ) জবাব দিলেন, সেসময় আমরা শুধু পানি আর খেজুর খেয়ে থাকতাম! আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, 'মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনদিন ভুনা গোশত দিয়ে পেট ভরে এক টুকরা রুটি
Показати все...
সালাহউদ্দিন আয়ুবী (রাহি)-এমনি এমনি তৈরি হয়না, তৈরি করতে হয় ছোট বেলা থেকে রবিনহুড, সিনবাদ, স্পাইডার ম্যান, রোবকাপ এসব কাহিনি শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। তাই তো ছোট বেলায় মনে হত যদি রবিনহুড, সিনবাদের মতো হতে পারতাম! সেজন্য চেষ্টাও করতাম।। কিছুটা বড় হয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা, চে গুয়েভার ইত্যাদি ব্যক্তিদের বই পড়ে তাদের মতো স্বপ্ন দেখতাম। ভাবতাম, তাদের মতো যদি কিছু করতে পারতাম। কিন্তু আফসোস, মেশকাত পড়ার আগ পর্যন্ত সালাহুদ্দিন আয়ুবী (রাহি), মুহাম্মদ ফাতিহ (রাহি)-দের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। উম্মতের জন্য তারা কি কি ত্যাগ করেছে? তার কিছুই জানতাম না। কোনোদিন তাদের মতো হবার স্বপ্নও মনে আসেনি। কেননা, আমাদের ঘর থেকে সালাহউদ্দিন আয়ুবী(রাহি), মুহাম্মদ ফাতিহ (রাহি) বানানোর স্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আসুন, আমাদের ঘরে আমাদের শিশুদের সামনে সালাহউদ্দিন আয়ুবী (রাহি), মুহাম্মদ ফাতিহ (রাহি), মুহাম্মদ বিন কাসিম (রাহি) সহ আমাদের তামাম দীনের জন্য কুরবানি করা মহান ব্যক্তিদের জীবনি চর্চা করি। তাদেরকে এমন হওয়া স্বপ্ন দেখতে শিখায়। - মুহতারাম আবদুর রহমান
Показати все...
মসজিদ -এ- আকসা বলতে আসলে কী বুঝায়? মসজিদে আকসা নিয়ে অনেক ভাই-বোন বিভ্রান্তির মধ্যে থাকেন। কুব্বাতুস সাখরা বা ডোম অব রক, মসজিদ আল ক্বিবলা, মসজিদ আল বুরাক, মুসাল্লা মারওয়ানি এবং মিনারসমূহের সমন্বয়ে যে পুরো কমপ্লেক্সটি রয়েছে তাকে মসজিদে আকসা বলে। উপরোক্ত প্রত্যেকটি অংশই মসজিদে আকসার অন্তর্ভুক্ত।
Показати все...
🌿 ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বসা ছিলেন। ইত্যবসরে তাঁর কাছে আগমন করলেন এক নারী। এসে বললেন: -হে আবু আবদুল্লাহ! আমি প্রদীপের আলোতে বসে, কাপড় তৈরির জন্য সুতা বুনন করি। রাতেরবেলা প্রায়ই আমার পাশ দিয়ে, সুলতানের মশালবাহক সৈন্যসামন্তরা অতিক্রম করে। আমার জন্য কী তাদের মশালের আলোতে সুতা বুনন করা জায়েজ হবে? আগন্তুক এই নারীর কথায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল কেঁদে ফেললেন। এরপর জিজ্ঞেস করলেন: -কে তুমি? -আমি বিশরে হাফির বোন। -তুমি ওই মশালের আলোতে সুতা বুনন কোরো না; তাহলে তোমাদের ঘর থেকে সত্যনিষ্ঠ তাকওয়া বেরিয়ে যাবে! ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. নারীটির অতি সূক্ষ্ম প্রশ্ন এবং নারীর হারামের সংশয়ের ভয় দেখে কেঁদে ফেললেন! 🌿 তাকওয়ার তিনটি স্থর রয়েছে। এক. হারাম থেকে বেঁচে থাকা। দুই. সংশয়পূর্ণ বস্তু থেকে বাঁচা। তিন. বৈধ বস্তু থেকেও বাঁচা, সংশয়ে পতিত হবার ভয়ে। আমাদেরকে সংশয়পূর্ণ বস্তু থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এটাও তাকওয়া। -------- সূত্র: صفة الصفوة ২/১৪৭, ইমাম আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযি
Показати все...
কাইস বিন সাদ বিন উবাদাহ রা.-এর বাড়ির আঙিনায় এসে উপস্থিত হলো মদিনার এক নারী। হাঁক ছুঁড়ে বলল, -হে কাইস! আমার ঘরে ইঁদুর নাই বললেই চলে। -আমি এসব আকারে-ইঙ্গিতমূলক কথা পছন্দ করি না। এই, তোমরা মহিলার পুরো ঘর গোশত, ঘি ও গম দিয়ে ভরে দাও। ____ যে ঘরে খাবার থাকে না, সে ঘরেই মূলত ইঁদুর থাকে না। মহিলার এই ইঙ্গিতবহ কথাটির অর্থ বুঝতে পেরেছিলেন হজরত কাইস বিন সাদ রা.। এজন্য তিনি তার নওকরদেরকে মহিলার ঘর ভরে খাদ্য দেওয়ার আদেশ করেছিলেন। ____ কাইস বিন সাদ রা. ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সাহাবি সাদ বিন উবাদাহ রা.-এর সুযোগ্য সন্তান। তিনিও সাহাবি ছিলেন। বাপ-বেটা উভয়েই ছিলেন দানশীল। বরং গোটা আরবে তাদের পরিবারের দানশীলতার কথা প্রসিদ্ধ ছিল। এজন্য প্রায়সময়ই তাদের বাড়ির আঙিনায় ভিখারিদের আনাগোনা লেগে থাকত। _ অবস্থাপন্ন ও ধনি আনসারি সাহাবিগণ দরিদ্র মুহাজিরদের মধ্য থেকে দুই বা তিনজন করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন। পেট পুরে খাইয়ে দিতেন। কিন্তু খাজরাজ গোত্রের সরদার সাদ বিন উবাদাহ রা. আটজন আটজন করে মুহাজির সাহাবিদেরকে নিয়ে যেতেন তার বাড়ি। আল্লাহ যেভাবে তাদেরকে ধন দিয়েছিলেন; তদ্রুপ দিলও দিয়েছিলেন। সূত্র : হাদায়িকুল আজহার : কাজি আবু বকর মুহাম্মাদ ইবনে আসিম আল-গারনাতি। (সংগৃহীত)
Показати все...
Оберіть інший тариф

На вашому тарифі доступна аналітика тільки для 5 каналів. Щоб отримати більше — оберіть інший тариф.