হিন্দুস্থানী ঘোড়সওয়ার
হে ঘোড়সওয়ার!তুমি আসবে বলে আরাকানি বোন পথের দিকে তাকিয়ে আছে... হে ঘোড়সওয়ার!তুমি আসবে বলে কাশ্মীরি মা পথের দিকে তাকিয়ে আছে.. হে ঘোড়সওয়ার!তুমি আসবে বলে কারাবন্দী ভাই পথের দিকে তাকিয়ে আছে...
БольшеСтрана не указанаЯзык не указанКатегория не указана
937
Подписчики
Нет данных24 часа
Нет данных7 дней
Нет данных30 дней
- Подписчики
- Просмотры постов
- ER - коэффициент вовлеченности
Загрузка данных...
Прирост подписчиков
Загрузка данных...
ইসলামের দৃষ্টিতে ৯/১১ || আল্লামা হামুদ বিন উক্কলা আশ-শুয়াইবি রহঃ
পিডিএফ টি দেখতে এই চেনেলের কিংকে প্রবেশ করুন https://t.me/IslamicbookshopA/756
ইসলামিক বুক শপ Islamic book shop
ইসলামের দৃষ্টিতে ৯/১১ || আল্লামা হামুদ বিন উক্কলা আশ-শুয়াইবি রহঃ
আমি যদি একটি জঙ্গী বিমানের পাইলট হতাম
হে বাংলাদেশের সৈনিক!
তোমাদের একটি দেশাত্মবোধক গান আছে না যার একটি লাইন এমন যে, "স্বাধীনতার যুদ্ধে আছি দোয়া করিস মাগো"!?
আচ্ছা, এখানে "মাগো" বলতে তোমরা কোন্ মাকে বুঝাও?
আমি একজন অফিসারকে এই প্রশ্ন করেছিলাম, সে বলেছিল "আমরা এখানে মাগো বলতে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডকে বুঝাই"।
তোমাদের বাংলাদেশ নামক মা যে কতদিন যাবৎ তিস্তার পানি ঠিকমত পান করতে না পেরে তৃষ্ণার্ত; সে খেয়াল কি তোমাদের আছে?
তোমাদের মা তিস্তার পানি পান না করতে করতে পানির স্তর যে কোথায় নেমে গিয়েছে; সে খেয়াল কি তোমাদের আছে?
আমাদের এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় তোমাদের মায়ের প্রায় ২০০ ফুট গভীর থেকে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তোলা হয়। কিন্তু বিদ্যুতের প্রচুর লোডশেডিং এর ফলে তাও ঠিকমত হচ্ছে না। ঐ দিন দেখলাম একলোক সেলোমেশিন দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তুলে ধান চাষ করছেন। আশ্চর্য না বিষয়টা ? পানি তোলতে তিন তিনটি মেশিন!
১. সেলো মেশিন
২. জেনারেটর
৩. সাবমারসিবল পাম্প
" কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে "। এর নাম কি কৃষক বাঁচানো? আর এর নামই কি দেশ মাতাকে বাঁচানো? তিস্তার পানিও নেই আবার কৃষকও নেই...
হে বাংলাদেশের সৈনিক!
তোমাদের মা তৃষ্ণার্ত। তোমাদের মায়ের তিস্তার পানির প্রয়োজন। তৃষ্ণার্ত অবস্থায় তোমাদের মা কিভাবে তোমাদের জন্য দোয়া করবে?
আচ্ছা সৈনিক ভাইয়েরা, এর নামই কি দেশপ্রেম?
.
.
.
লজ্জা লাগে না এমন দাবি করতে?
আমি যদি একটি জঙ্গী বিমানের পাইলট হতাম তবে যে দিনই উত্তমভাবে ট্রেনিং সম্পন্ন করতাম ঐ দিনই তিস্তার বাঁধে জঙ্গী বিমান নিয়ে আঘাত করতাম। আর তিস্তার পানি দিয়ে গলা ভিজাতাম তোমাদের মায়ের যাতে এক নির্লজ্জ ও বেহায়া জাতির জন্য দোয়া করতে পারে।
তোমরা কি বাংলাদেশ নামক ভূ-খণ্ডের সৈনিক নাকি কখনও হাসিনার আবার কখনও খালেদার ? তোমরা কার সৈনিক ? প্রশ্ন কি করছ নিজেকে?
-মুহতারাম আফ্রিদি ভাই
Repost from N/a
সকাল ১০:০৭ – ফ্লাইট ৯৩ এর টার্গেট ছিল – ক্যাপিটল বিল্ডিং (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ সদস্য ও সেনেটেরদের জন্য তৈরি বিল্ডিং)। কিন্তু ফ্লাইট ৯৩ এর যাত্রীরা ইতোমধ্যে তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে জেনে যায় যে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলা হয়েছে। ফ্লাইটের ৪০ এর বেশি যাত্রী মুজাহিদিনের কাছ থেকে বিমানের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয়ার মরিয়া চেষ্টা চালায়। বিমানের নিয়ন্ত্রণ হাত ছাড়া হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকায় দলনেতা যিয়াদ যাররাহ রাহিমাহুল্লাহ, পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশ অনুযায়ী মূল টার্গেটে পৌঁছানোর আগেই বিমানটি অন্য কোনো স্থাপনায় ক্র্যাশ করার চেষ্টা করেন। অবশেষে পেনসিলভেনিয়ার সামারসেট কাউন্টিতে একটি মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
সকাল ১০:২৮ – এবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর উত্তর টাওয়ার পুরোপুরি ধসে পড়ে। হামলার প্রায় ১ ঘন্টা ৪২ মিনিট পর এ ঘটনা ঘটে।
৯/১১ এর পরবর্তী অধ্যায়
সেপ্টেম্বর ১২, ২০০১ – তানজিম কায়েদাতুল জিহাদকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষণা। বুশের ভাষায়- ‘আল কায়েদা দিয়ে শুরু হলো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ।’
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০ – প্রায় দুই দশক ধরে চলে আসা যুদ্ধে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয় যুক্তরাষ্ট্রের। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা তালিবানদের সাথে চুক্তি করে এবং ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়ে পিছু হটে আফগানিস্তান থেকে।
৯/১১ এর বরকতময় হামলার ১৯ বছর পর আজ কায়েদাতুল জিহাদের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত ৩টি মহাদেশে। ৪টির বেশি শাখা কাজ করছে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা এবং আগ্রাসী কাফেরদেরকে প্রতিহত করার লক্ষ্য নিয়ে। আল্লাহর ইচ্ছায়, জিহাদী আন্দোলন আজ সম্প্রসারিত হচ্ছে। অন্যদিকে ইরাক ও আফগানিস্তানে মুজাহিদিনের কাছে উপুর্যপরি পরাজিত হবার পর আমেরিকা বিশ্বজুড়ে সামরিক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনছে, তার অর্থনীতি আরেক মন্দার দোড়গোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে, আর অভ্যন্তরীণভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আমেরিকা আজ গত একশো বছরের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
৯/১১ এর বরকতময় হামলার ফলাফল আজ স্পষ্ট।
নিশ্চয় সকল প্রশংসা কেবলই আল্লাহর।
Repost from N/a
গাযওয়াতুল ম্যানহাটন
৯/১১ হামলার টাইমলাইন
সকাল ৭:৫৯ – ৯২ জন যাত্রী নিয়ে বোস্টন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে যাত্রা শুরু করলো আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১। এটি ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান। বিমানে থাকা মুজাহিদিনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গাযওয়াতুল ম্যানহাটনের আমীর মুহাম্মাদ আত্তা রাহিমাহুল্লাহ। এই দলে ছিলেন ৫ জন মুজাহিদ।
সকাল ৮:১৪ – মুজাহিদ ভাইদের দ্বিতীয় দল ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭৫ এ। এটিও ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান। বিমানটি বোস্টন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে আসছিল। দলনেতা হিসেবে ছিলেন মারওয়ান আশশিহি রাহিমাহুল্লাহ। ৬৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৫ জন ছিলেন মুজাহিদ।
সকাল ৮:১৯ – কয়েকজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ফ্লাইট ১১ হাইজ্যাক হবার বিষয়টি কন্ট্রোলরুমে জানায়। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি এফবিআই-কে অবহিত করে।
সকাল ৮:২০ – তৃতীয় ফ্লাইটটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৭। ওয়াশিংটনের বাইরে ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে যাত্রা শুরু করে ৬৪ জন যাত্রী নিয়ে। বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৫৭। এই ফ্লাইটের মুজাহিদ ভাইদের নেতৃত্বে ছিলেন হানি হানজুর রাহিমাহুল্লাহ।
সকাল ৮:২৪ – কন্ট্রোলরুম এই সময় ফ্লাইট ১১ এর পাইলটের আসনে থাকা মুহাম্মাদ আত্তার একটি মেসেজ শুনতে পায়।
সকাল ৮:৪০ – ফ্লাইট ১১ হাইজ্যাক হবার বিষয়টি মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ফ্লাইট ১১-কে খোঁজার জন্য দুটি ফাইটার জেটকে প্রস্তুত হবার নির্দেশ দেয়া হয়।
সকাল ৮:৪১ – গাযওয়াতুল ম্যানহাটনের অধীনে শেষ ফ্লাইটটি ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৩। বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৫৭। ফ্লাইটটি ৪৪ জন যাত্রী নিয়ে নিউজার্সির নেওয়ার্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সান ফ্রান্সিসকোর দিকে আসার কথা ছিল। এই ফ্লাইটে মুজাহিদগণের দলনেতা ছিলেন মুজাহিদ যিয়াদ জাররাহ রাহিমাহুল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন আরো ৩ জন মুজাহিদ।
সকাল ৮:৪৬ – ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর টাওয়ারের ৯৩-৯৯ তলায় ফ্লাইট ১১ আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় বিমানটির গতি ছিল ঘন্টায় ৭৯০ কি.মি.। গাযওয়ার আমীর মুহাম্মাদ আত্তা রাহিমাহুল্লাহ-সহ তাঁর দলের সকল সদস্য শহিদ হয়ে যান।
দাম্ভিক আমেরিকার অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি টাওয়ার পুড়ছে।
সকাল ৮:৪৭ – নিউইয়র্কের পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর লোকজন উত্তর টাওয়ার খালি করার উদ্যোগ নেয়।
সকাল ৮:৫০ – হোয়াইট হাউসের চিফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ-কে হামলা সম্পর্কে অবগত করে। বুশ তখন ফ্লোরিডাতে একটি স্কুল পরিদর্শন করছিল।
সকাল ৯:০২ – প্রাথমিকভাবে উত্তর টাওয়ার খালি করার উদ্যোগের পর উত্তর এবং দক্ষিণ উভয় টাওয়ার খালি করার নির্দেশ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ১৪,০০০ মানুষ ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া জারি ছিল।
বিমান আঘাত হানছে
সকাল ৯:০৩ – এবার দ্বিতীয় আঘাত। দলনেতা মারওয়ান আশশিহি-এর নেতৃত্বে ফ্লাইট ১৭৫ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ টাওয়ারের ৭৫-৮৫ তলায় আঘাত হানে। আঘাতের সময় বিমানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৫০ কি.মি.। দ্বিতীয় মুজাহিদিন দলটি শাহাদাতবরণ করেন।
সকাল ৯:০৮ – এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্কগামী সকল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে।
সকাল ৯:২১ – বন্দর কর্তৃপক্ষ নিউ ইয়র্ক শহর অঞ্চলে সমস্ত সেতু এবং টানেল বন্ধ করে দেয়।
সকাল ৯:২৪ – ফ্লাইট ৭৭ এর যাত্রীরা তাদের পরিবারের কাছে মোবাইলে মেসেজ পাঠাতে সক্ষম হয়। এর প্রেক্ষিতে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিমান প্রতিরক্ষা সেক্টরকে ফ্লাইট ৭৭ হাইজ্যাক হওয়ার ব্যাপারটি জানায়।
সকাল ৯:৩১ – ফ্লোরিডা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের বক্তব্য, “দেশে আপাত সন্ত্রাসী হামলা”।
সকাল ৯:৩৭ – তৃতীয় আঘাতটির লক্ষ্যস্থল ছিল আমেরিকার সামরিক শক্তির কেন্দ্র – পেন্টাগন, ওয়াশিংটন ডিসি। ফ্লাইট ৭৭ টি ঘণ্টায় ৮৫৩ কি.মি. বেগে আঘাত হানে পেন্টাগনের পূর্বদিকে। হানি হানজুর ও সাথি ভাইয়েরা এই আঘাত হানার মাধ্যমে ১২৫ জন মিলিটারি ও সিভিলিয়ানকে হত্যা করতে সক্ষম হন। তৃতীয় মুজাহিদিন দলটিও শাহাদাতবরণ করেন।
সকাল ৯:৪২ – ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমেরিকার সমস্ত ফ্লাইটকে বন্ধ করে। পরের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৩,৩০০ বাণিজ্যিক বিমান এবং ১,২০০ বেসরকারী বিমান কানাডা এবং আমেরিকার বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য অর্ডার করা হয়।
সকাল ৯:৪৫ – অন্যান্য হামলার ক্রমবর্ধমান গুজবগুলোর মধ্যে হোয়াইট হাউস এবং অন্যান্য ভবন খালি করা হয়(অনেক হাই-প্রোফাইল ভবন, ল্যান্ডমার্কস এবং পাবলিক স্পেসসহ খালি করে দেয়া হয়)।
Фото недоступноПоказать в Telegram
আমেরিকা 9/11 ভারত কে গাজওয়াতুল হিন্দে বুঝিয়ে দিবেন, জিহা-দের জ্বলছে আগুন জ্বলবে,হক বাতিলের চলছে লড়াই চলবে...
আমার আলোচনার সমাপ্তি হাকীমুল উম্মত শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরীর কথা দ্বারা করবো। এ কথা তিনি বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন:
“হে আমার বাংলাদেশী মুসলিম ভাইয়েরা,
ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচালিত ক্রুসেডারদের সেই আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য আমি আপনাদেরকে আহবান করছি, যা এই উপমহাদেশীয় ও পশ্চিমা শীর্ষস্থানীয় অপরাধীগুলোর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই আক্রমণ ইসলাম, ইসলামের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ইসলামী আকীদার বিরুদ্ধে। তারা চায় আপনাদেরকে একটা স্বৈরাচারী ও কুফরী শাসনের দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখতে। তারা আপনাদের উপর যে জীবন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে: মানবজাতিকে দাসে পরিণত করা, তাদের সম্পদ লুঠে নেয়া এবং তাদেরকে নৃশংস ও নারকীয় পদ্ধতিতে বিভক্ত করে রাখা।
আমি আপনাদেরকে ইসলামী আইন-কানুন, বিধি-বিধান ও আদর্শ আঁকড়ে ধরার জন্য আহবান করছি। আপনারা ইসলামী শরীয়তের অনুসরণ করে জীবন অতিবাহিত করুন, এবং আপনাদের সন্তানদেরকে মজবুতভাবে ইসলামের অনুসরণের উপর বড় করুন।
আমি আপনাদেরকে আহবান করছি, আপনারা হক্কানী ওলামাদেরকে চারপাশে জড়ো হোন, তাদেরকে সাহায্য ও সমর্থন করুন, তাদেরকে নিরাপত্তা দিন।
আমি আপনাদেরকে আহবান করছি, ইসলামের হেফাজত করার জন্য ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে এক গণজাগরণ সৃষ্টি করুন।
আমি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামদেরকে আহবান করছি,
দ্বীন ইসলাম আপনাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পূর্ণ করুন।
আমি আপনাদেরকে আহবান করছি, আপনারা ইসলামী শরীয়তের পরিপূর্ণ কর্তৃত্বের মূলনীতিকে আঁকড়ে ধরুন, এবং মানবরচিত সংবিধান ও আইনের উপরে শরীয়তের শ্রেষ্ঠত্বকে আঁকড়ে ধরুন, যেন তা সাধারণ জনগণের ইচ্ছার উপর কর্তৃত্বশীল থাকে। এবং শরীয়ত যেন তাদের খেয়াল-খুশি কিংবা অন্য কোনও কর্তৃত্বের অধীন না হয়।
আমি আপনাদেরকে আহবান করছি, আপনারা সাধারণ জনগণকে এক বিশাল ও সর্বব্যাপী ঈমানী জাগরণের নেতৃত্ব দিন, এমন এক জাগরণের নেতৃত্ব দিন যার জোয়ারে কোনও ভাটা পড়ে না এবং যার গতিশীলতা কখনো হ্রাস পায় না, যতক্ষণ না ইসলামের জমিনে শুধুমাত্র ইসলামী শরীয়তের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, যা অন্য কোনও কর্তৃত্বের অধীন না থেকে বরং নিজেই কর্তৃত্বশীল হয়, যা অন্যের নির্দেশের অধীন না হয়ে বরং নিজেই নির্দেশদাতা হয়, যা অন্যদেরকে নেতৃত্ব দেয়, অন্যের নেতৃত্বের অধীন থাকে না”।
বাংলাদেশের অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধীদের আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করার মতো বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও শক্তি নেই। বরং, তারা আমেরিকা এবং ইউরোপের মতো বহিরাগত ত্রাণকর্তাদের উপর তাদের আশা পোষণ করতে পছন্দ করে। কিন্তু এই বহিরাগত ত্রাণকর্তারা তাদের আশা পূরণ করবে বলে মনে হয় না।
আমেরিকার মতো দেশ ও রাষ্ট্রের পক্ষে তাদের সমস্ত ধারণা এবং বিশ্বাস সত্ত্বেও, নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য হাসিনার মতো স্বৈরশাসকদের সহ্য করা, বরং এদেরকে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করা স্বাভাবিক বিষয়। আর যেখানে আমেরিকার নিজস্ব এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় আসে, শুধুমাত্র সেখানেই আমেরিকা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার মতো মতবাদগুলোর বুলি আওড়াতে ইচ্ছুক হয়ে পড়ে।
ঘটনাক্রমে এই লোকেরা (ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দল) আমেরিকার সহায়তায় ক্ষমতার আসনে পৌঁছতে সফল হলেও, তারা তাদের ধর্মনিরপেক্ষকরণ এবং বৈশ্বিক ক্রুসেডার, জায়নবাদী, হিন্দুত্ববাদী দাদাদের দাসত্বের আগ্রাসী নীতি অব্যাহত রাখবে। হাসিনার মতো তারাও হাজী শরীয়তউল্লাহর জমিনে ইসলামের উত্থান ও প্রসার রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
মোটকথা: হাসিনা হোক বা তার বংশীয় কোন উত্তরাধিকারী অথবা ধর্মনিরপেক্ষ কোন বিরোধী দল - এরা সবাই কুফরের তাবুতে বসে আছে। যদিও তারা তাদের ভিতর গত বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি করে কিন্তু মৌলিকভাব এরা সবাই আল্লাহর পরিবর্তে গাইরুল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। এরা সবাই পশ্চিমা সেক্যুলার ব্যবস্থার সমর্থক এবং “নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার“ এর গোলামী করতে ঐক্যবদ্ধ। সারকথা হল; আমরা ভবিষ্যতের দুটি অবস্থা দেখতে পাই। (এ ছাড়া অন্য কোন অবস্থা হওয়াও সম্ভব, কিন্তু সেটাও এই দুইয়ের যে কোন একটার সাথে সম্পৃক্ত হবে, অথবা এগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য ধারণকারী হবে):
ক. আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আমেরিকার নেতৃত্বে আমরা একটি নতুন সরকার দেখতে পাব। সেখানে ভারতের গোলাম হাসিনার স্থলাভিষিক্ত হবে আমেরিকার অনুগত আরেকজন দাস। সেক্ষেত্রেও ইসলাম ও মুসলিমদের উপর ধর্মনিরপেক্ষ আগ্রাসন অব্যাহত থাকবে।
খ. অথবা বাংলাদেশ আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে পাবে, যা অবশ্যই খুব অশান্ত এবং সহিংসভাবে ঘটবে। বাংলাদেশের ইতিহাস সাক্ষী - এ ধরনের পরিবর্তন প্রায়ই অরাজক অবস্থা তৈরি করে। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনার পিতা শেখ মুজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ তাকে হত্যা করে। স্বৈরশাসক এরশাদ অত্যন্ত দীর্ঘ এবং ক্ষেত্রবিশেষে সহিংস আন্দোলনের পর ক্ষমতাচ্যুত হন। হাসিনা নিজেও একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে - যেখানে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছিল - এবং সবচেয়ে নৃশংস আগ্রাসনের পরে ক্ষমতার আসনে পৌঁছেছে।
হাসিনার শাসনামল - জুলুম ও অত্যাচারের আমল। ভারতের পরিকল্পনায় বিডিআর বিদ্রোহ, হাসিনার নিজের ঘটানো হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও নৃশংসতার মতো ঘটনাগুলোর কারণে অনেকের মনে হাসিনার প্রতি তীব্র ঘৃণা ও শত্রুতা রয়েছে। হাসিনা তার শাসনামলের ইতিহাস লিখেছে রক্ত দিয়ে। এর সমাপ্তি শান্তিপূর্ণভাবে হবার সম্ভাবনা কম।
এসবের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে আর্থিক সংকটের আভাস দেখা যাচ্ছে। সীমান্তের ওপারে, আসামে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, সেই সাথে ভারত ও মায়ানমারের মুসলিমদের জন্য ক্রমবর্ধমান সমস্যা বৃদ্ধি - এর সবই বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে।
মনে হচ্ছে বাংলাদেশ সত্যিই একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। এখন প্রশ্ন হল উত্তরণের সময় কবে আসবে?
দুঃখজনক ব্যাপার হল - বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনগুলো এসব পরিস্থিতিতে কোনও ভূমিকা রাখতে সক্ষম নয়। দুর্ভাগ্যবশত, ইসলামী আন্দোলনগুলো এবং অধিকাংশ উলামাগণ ধর্মনিরপেক্ষ জোটে নিম্নস্তরের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ পেয়েই সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত হয়ে যান। অথবা তারা সামান্য ও নগণ্য লাভের জন্য এই ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর সাথে আলোচনা এবং তাদের সম্মতি অর্জনের কৌশল অনুসরণ করতে পেরেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু এই কৌশল যে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু আনবে না, এটি তারা বুঝছেন না।
দুটি পরস্পর বিরোধী ও সাংঘর্ষিক ‘বিশ্বাস এবং জীবন ব্যবস্থার’ মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব না। এমন পরিস্থিতিতে একটি অন্যটির উপর বিজয়ী না হয় বা আধিপত্য করে। এর কোন ব্যতিক্রম হওয়া সম্ভব না। ইসলাম আর সেকুলার ব্যবস্থার মাঝে কোন সম্প্রীতি বা সামঞ্জস্যতা নেই। বরং রয়েছে অন্তহীন এবং অবিরাম সংঘাত। কাজেই এ দুয়ের মধ্যে সংঘাত অনিবার্য।
বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ শাসক যতদিন থাকবে, জনগণের মধ্যে বিচ্যুতি ও বিকৃতি তত বাড়বে। এই ধর্মনিরপেক্ষ ও দুর্নীতিবাজ শাসকরা যত বেশি দিন শাসনের সুযোগ পাবে, তারা এবং তাদের বিশ্ব প্রভুরা ততোই জনগণের ফিতরাকে নষ্ট করবে। এর ফলে রাষ্ট্র ও সমাজে ইসলামের অস্তিত্ব হ্রাস পাবে ও দুর্বল হতে থাকবে। এমনকি আলেমদের আকীদা-বিশ্বাসেও ভিতরে ভিতরে বিকৃতি ঘটবে। এটি এমন একটি ধ্রুব সত্য যা কখনো ব্যতিক্রম হবার নয়। পাশ্চাত্যের
খ্রিস্টধর্মের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই ঘটেছে। সেক্যুলারাইজেশন (ধর্মনিরপেক্ষতা) তাদের বিশ্বাস, ধর্ম, পরিবার, প্রকৃতি, পরিচয়, সব কিছু খেয়ে ফেলেছে। আজ এমন অবস্থা হয়েছে যে তারা তাদের নিজেদের শরীর নিয়েই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছে আছে; তারা নারী, নাকি পুরুষ এটাও তারা আজ আর নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না।
ইসলামী আন্দোলনগুলো, উলামায়ে কেরাম এবং দ্বীনদার যুবকদের জন্য জরুরী হল; তারা যেন বর্তমান অবস্থার বিশ্লেষণ করে। অতঃপর বাংলাদেশের বিশেষ অবস্থা এবং তাদের নিজেদের সীমাবদ্ধ সক্ষমতার হিসেব করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেক্যুলার (ধর্মনিরপেক্ষ) রাজনীতিবিদদের সামনে নতজানু হয়ে বসার অর্থ তো এটাই যে, নিজের দেশ ও জাতিকে কুফরের অন্ধকার ও গোমরাহিতে লিপ্ত হওয়ার ও তাতে হারিয়ে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়া। (নাউযুবিল্লাহ)
যদি বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলতে থাকে, তবে বাংলাদেশে ইসলাম একেবারে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং মুসলিমদের ইসলামী পরিচয় একে একে মুছে যাবে। এই জন্য জরুরী হল - আপনি নিজেকে এই শিকল থেকে মুক্ত করুন। যাতে করে ফলস্বরূপ বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে ভারত এবং পশ্চিমাদের গোলামী থেকেও মুক্ত করা যায়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়ের গুরুত্বপূর্ণ তাকাযা হল - এমন কোন পদক্ষেপ বা কৌশল আবিষ্কার করা, যার দ্বারা এই জমিন ও এর মুসলিম বাসিন্দাদের উপর থেকে সেক্যুলার ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপ ও আধিপত্য খতম করা সম্ভব হবে। একটি কার্যকর কর্মকৌশল অবলম্বন করতে হবে। এটি ফলপ্রসূ হতে হয়তো কয়েক বছর লাগবে, অথবা এই প্রচেষ্টায় কয়েক যুগও লেগে যেতে পারে। কিন্তু তবুও এটা আবশ্যক যে, পা বাড়াতেই হবে (কাজ শুরু করে দিতে হবে)। সফর যদিও হাজার মাইলের হয়, তার আরম্ভ প্রথম কদম থেকেই শুরু হয়। আর যদি আমরা এমনটি না করি তবে যে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম’ কুফরের অন্ধকার ও গোমরাহিতে জন্ম নেবে, তারা আমাদেরকেই দোষারোপ করবে। ইতিহাসও আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।
রাজনৈতিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দলটির সমস্ত মনোযোগ এখন ২০২৩ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের দিকে। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র হাসিনার কুখ্যাত খুনি ‘র্যাব’কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছিল। র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। একারণে বিরোধী দলীয় সেক্যুলারদের অনেকেই হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বা আমেরিকার নেতৃত্বে ক্ষমতার হাত বদলানোর অপেক্ষায় আছে।
সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাসিনাকে আরও গোলামী করতে বাধ্য করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞাগুলি দিয়েছে। আমেরিকা এশিয়ার উপর তার পররাষ্ট্রনীতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চায়, বিশেষ করে চীনকে ধরাশায়ী করার জন্য। আর এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। হাসিনা ক্রমশ ভারতের কাছাকাছি আসছে, ভারতের উপর তার নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রকে অসন্তুষ্ট না করে চীনের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে।
ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে খেয়াল করলেও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা ফিকির করা জরুরী হয়ে যায়। এই বিষয়ও অনুমান করা যায় যে, ভবিষ্যতে আরও কি হবে।
হাসিনার বয়স এখন ৭৪ বছর। সে অত্যন্ত অহংকারী ও ক্ষমতালোভী। রাজনীতি থেকে তার অবসরের তারিখ সম্পর্কে বারবার সে মিথ্যা বলেছে। তবুও আজ হোক কাল হোক, একদিন না একদিন তাকে ক্ষমতার গদি ছাড়তে হবে। হয়তো তার নিজের সম্মতিতে অথবা মৃত্যুর অপরিবর্তনীয় নীতিতে - যা থেকে কারো রেহাই নেই, অথবা অন্য কোনও উপায়ে। কিন্তু হাসিনার ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরে তার কোন উত্তরসূরি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দুর্নীতির জন্য কুখ্যাত। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভেতরেই তাকে ‘অনির্ভরযোগ্য’ মনে করা হয়। অনেকেই বলে থাকে, জয় জটিল মানসিক রোগে ভুগছে। এসব সত্য হোক বা না হোক, সজিব ওয়াজেদ জয়ের নিজের দলের পক্ষ থেকে সমর্থনও নেই - এটাই বাস্তবতা। তার বোন সায়মা ওয়াজেদ আরও কম গ্রহণযোগ্য।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ বিরোধের বিষয়টিও রয়েছে। বলা হয়, হাসিনার ছোট বোন রেহানার বাংলাদেশের ক্ষমতায় হাসিনার উত্তরসূরী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। রেহানার ছেলে রিজওয়ান সিদ্দিক ববি’কে তার খালাতো ভাই সজিব ওয়াজেদ জয়ের চেয়ে অনেক বেশি চতুর ও ধূর্ত মনে করা হয়। আন্তর্জাতিক অস্ত্রব্যবসার সাথে তার উল্লেখযোগ্য লেনদেন রয়েছে এবং সে ভারতীয় গোয়েন্দাদের খুব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ লেবার পার্টির সদস্য এবং হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন (Hampstead and Kilburn) এলাকার এমপি।
হাসিনার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা - তারিক আহমেদ সিদ্দিকী। সে দেশের অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং হাসিনার জুলুমের ক্ষমতাযন্ত্রের মূল স্থপতি। এই ব্যক্তি রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকীর ছোট ভাই। তাই হাসিনার মৃত্যু হলে বাংলাদেশের সিংহাসন জয় বা তার বোন সায়মার হাতে চলে যাবে বলে মনে হয় না। বরং, এ দু’জনের চেয়ে রেহানার ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা আপাতত শক্তিশালী মনে হয়।
আরেকজন ক্ষমতার ক্ষুধার্ত আশাবাদী - ফজলে নূর তাপস। সে হাসিনারই আরেক আত্মীয় এবং বর্তমানে ঢাকার মেয়র। বলা হয় তার ক্ষমতার চুড়ায় পৌঁছানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
এত কিছুর পরও উপড়ে উল্লিখিত নামের কোনোটিই হাসিনার উপযুক্ত বদলি নয়। অনেক মানুষ, এমনকি আওয়ামী লীগের ভেতরেই অনেকেই মনে করেন- হাসিনার মৃত্যুর পরে, তা স্বাভাবিক বা অন্য যে কারণেই হোক না কেন, দেশে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে এবং অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে।
Repost from ইসলামিক পিডিএফ কিতাব Islamic PDF book
Фото недоступноПоказать в Telegram
Выберите другой тариф
Ваш текущий тарифный план позволяет посмотреть аналитику только 5 каналов. Чтобы получить больше, выберите другой план.