ইমরুল হাসান

এইবারের কোটা-মুভমেন্টের মিসিং পয়েন্টটা নিয়া একদিক থিকা দেখতে গেলে, এইবারের কোটা মুভমেনটে বাকশালি-মিডিয়ার সাকসেস হইতেছে - যারা মুকতিযুদধ করছেন তারা যে মুকতিযোদধা না, বরং যারা মুকতিযুদধের সময় সোনাগাছির দালাল ছিলেন, মুকতিযুদধ-পরবর্তি সময়ে সেই আওমি সরকারের বেচা সার্টিফিকেট যারা নিতে রাজি হইছেন তারা-ই শুধু বাংলাদেশে মুকিযোদধা হয়া আছেন - সেই বাস্তবতারে মুইছা দেয়া এইটা মনে রাখাটা জরুরি যে, যারা সোনাগাছির দালালদের কাছ থিকা সার্টিফিকেট নিতে মাথা নোয়াইতে রাজি হইতে পারছিলেন তারাই খালি বাংলাদেশের মুকতিযোদধা না; অথচ অই জায়গাটারেই ধুইয়া-মুইছা দেয়া হইছে, কোন আওয়াজই নাই অই জায়গাটা নিয়া; তো, এই জিনিসটাও খেয়াল করা দরকার যে, সার্টিফিকেট-ধারি ভুয়া-মুকতিযোদধারাই যেইভাবে বাংলাদেশে মুকতিযোদধা হয়া আছে সেইটা এখনকার মুকতিযুদধের ইনডিয়ান নেরেটিভেরই একটা ঘটনা এখন আমাদের উচিত এইটা না যে মুকতিযুদধের 'প্রকৃত' 'সঠিক' ইতিহাস 'আবিষ্কার' করা, যেই জায়গাটার দিকে এই 'তর্ক'টা আমাদেরকে ঠেইলা দিতে চায়; বরং এইটা মনে রাখাটাই এনাফ যে, সার্টিফিকেট-ব্যবসায়ীদেরই পরবর্তি-প্রজন্ম হইতেছে এইটা 'কোটা-ধারী' (মুজিব-কোট পরা) রেসিস্ট বলদগুলা, সোনাগাছি-দালালদের নেকসট জেনারেশন হইতেছে এরা, 'প্রকৃত' মুক্তিযুদ্ধ-ব্যবসায়ীর যোগ্য উত্তরসুরি...

বই কিনার জন্য যতটা না, তার চাইতে বেশি আমি যে বই-টই ছাপাই নিজের, সেইটা জানানোর জন্যই পোস্ট'ট শেয়ার দিতেছি আসলে :) এই ৯টা বইয়ের মধ্যে আমার নিজের রিকমেনডেশন ৪টা বই - ১. আ ক্রিটিকাল হিস্ট্রি অফ বাংলাদেশি সিনেমা। (আমি মনে করি বাংলাদেশি সিনেমা নিয়া কিছু আরগুমেনট আমি তৈরি করতে পারছি, যেই জিনিসগুলা এই ফিল্ডে যারা কাজ-কাম করেন তারা মোটামুটি সবাই এড়ায়া-ই গেছেন বা খেয়াল করতে পারেন নাই।) ২. ফেসিস্ট কেমনে চিনবেন? - উমবের্তো একো। (আমি মনে করি, ফেসিজম নিয়া বাংলাদেশে কথা-বার্তাগুলা এখনো 'সেই ১৯৫২ সনের...' লেভেলেই আটকায়া আছে, একো'র আইডিয়া বরং এখনকার কনটেকসটে অনেক বেশি রেলিভেন্ট।) ৩. ছায়াবানী। (আমার ফিকশন খুব একটা রিডার পায় নাই, কিনতু আমার কাছে মনে হইছে, জিনিসগুলা রিডেবল।) ৪. লাস্ট ক্যাকটাস। (আমার কবিতা নিয়া তো নতুন কইরা বলার কিছু নাই, এইখানে ৪-৫টা ছোট ছোট বই একসাথে ছাপানো হইছিল। ছাপার কোয়ালিটির দিক দিয়া বেস্ট পাবলিকেশন বলা যাইতে পারে।) ... কেউ কিনতে চাইলে বাছবিচার বুকসের পেইজের ইনবক্সে নক দিতে পারেন। https://www.facebook.com/share/p/rwtZaCAmah1b7kUz/?mibextid=oFDknk

৪৭ বিলিয়ন এক্সপোর্টেন মধ্যে ১৪ বিলিয়ন-ই ভুয়া এক্সপোর্ট; ডেটা'তে ২৯% error হইতে পারে না, এইটা জাইনা-শুইনা করা একটা ক্রাইম অবৈধ সরকারের ভোট-ডাকাতির ডেটার মতো মোটামমুটি সব ইকনোমিক-ডেটাও ভুল না, বরং দুই-নাম্বারি ডেটা; বাংলাদেশে যারা ইকনোমিক এনালাইসিস করেন, উনারা এই ভুয়া-ডেটারে কোশ্চেন করতে ডরান, যার ফলে এইগুলা কোন এনালাইসিস হয় না, যা হয় সেইটা হইতেছে অই ভুয়া ডেটাগুলার ভ্যালিডেশন বাংলাদেশের ইকনোমি নিয়া কথা কইতে গেলে সবচে আগে কথা কইতে হবে এই ডেটা-বাটপারি নিয়া; জিডিপি, ইনফ্লেশন, পপুলেশন, রিজার্ভ... সব ডেটা-ই ভুয়া; আর বছরের পর বছর ধইরা এই ভুয়া-ডেটারে প্রমোট করাটা হইতেছে মেইন-স্ট্রিম ইকনোমিক এনালাইসিসের ঘটনা

দিলু রোড ইনডিয়ার লোকসভার সেশনে রাহুল গান্ধীর একটা ভিডিও কিছুটা ভাইরাল হইছে, উনার এগ্রেসিভনেসের জন্যই আসলে; কিনতু যেই জায়গাটারে উনি হাইলাইট করতে চাইতেছিলেন বা স্ট্রাগল করতেছিলেন এনকাউন্টার করতে গিয়া সেইটা হইতেছে যে, বিজেপি মানেই হিন্দু না! বরং 'আসল' হিন্দুত্বের জায়গা থিকা একটা 'বিচ্যুতি'... তো, একইরকম ভাবে বাংলাদেশেও মুক্তিযুদ্ধ মানেই আওমি-লিগ - এই প্রপাগান্ডারে 'সত্যি' হিসাবে এসটাবলিশ করা হইছে; আওমি-প্রপাগান্ডা বইলা কোনকিছুতে সাবস্ক্রাইব না করলে আপনি আর 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের' লোক হিসাবে থাকতে পারতেছেন না... এখন এই না-পারাটা মুক্তিযুদ্ধের 'সঠিক ইতিহাস' তুইলা ধরার ভিতর করা পসিবল বইলা আমার কাছে মনে হয় না; যেইরকম রাহুল গান্ধী 'সত্যিকারের হিন্দু' আইডেন্টিটি ক্লেইম করার ভিতর দিয়া এই কাজ করতে পারবেন - সেইটাও খুব একটা পসিবল হবে না; উনার এগ্রেসিভনেসটা এইখানে পলিটিকাল ঘটনা, 'সঠিক হিন্দুত্ব' না... মানে, এইটা একটা প্রপাগান্ডা ওয়ার, যেইখানে ক্লেইম বা নেরেটিভ'টা দরকারি-না না, টুলগুলা তার চাইতে জরুরি জিনিস আইডিওলজিকাল সেন্সে যদি বলেন, লিবারালিজম দিয়া ফ্যাসিজমরে মোকাবেলা করা যাবে - এইটা আমার মনে হয় না, বরং লিবারালিজমের ভন্ডামি থিকা নিও-ফ্যাসিজম পাইতেছি আমরা ১৯৪৭'র সময়ে যেইরকম তর্ক হইতেছিল যে, একটা দেশ হবে নাকি দুইটা দেশ, সেইখানে যদি তর্কের বেইজটা হইতো ওয়ান-স্টেট হবে নাকি অনেকগুলা কনফেডারেশনাল-স্টেটস - তাইলে বেটার একটা ফর্মেশন পাইতে পারতাম আমরা এখনো একইরকমের একটা ভুল-তর্কের মধ্যে আমরা আছি বইলা আমি মনে করি; তবে দিস টাইম এইটা অনেক বেশি ইনটেনশনাল, মানে, এইখানে ইনভলব পাওয়ার-স্ট্রাকচারটা চায় এবং ইনিশিয়েট করতে থাকে যেন প্রপাগান্ডার বেইজটাতেই আমরা অপারেট করতে থাকি, এবং এর থিকা সরতে পারাটাই মেবি একটা সলিউশনের দিকে আগায়া যাওয়ার ঘটনা হইতে পারে

ল্যাদা-দেয়া বা বট-টেনডেন্সি মোটামুটি সবকিছুরই ভালো-খারাপ আছে, তো, ফেইসবুকের একটা ভালো-জিনিস ছিল অনলাইনে ফ্রিলি কথা-বলার জায়গা হিসাবে এমার্জ করাটা (এখন অই জায়গা নাই না, বেপারটা মোটামুটি ভচকায়া গেছে)... তো, এর বাই-প্রডাক্ট হিসাবেই মেবি আমরা 'ল্যাদা-দেয়ার' ঘটনা পাইছি; মানে, গরু-বাছুর যেইরকম যে কোন জায়গাতে ল্যাদায়, কোন বাছবিচার না কইরাই, এইরকম যে কোন জায়গাতেই কথা-বলার বা এনগেইজড হওয়ার একটা স্পেইসও ক্রিয়েট হইছে; যেইটা সবসময় পজিটিভ বা পলিম্যাথের ঘটনা না বরং এইরকম একটা টেনডেনসি গ্রো করছে যে কোন না কোনভাবে একটা 'ভুল' ধরতে পারাটাই হইতেছে 'জ্ঞান'র ঘটনা! আগে যেইটা ছিল 'বানাম-ভুল' সেইটা এখন 'কথার-ভুল' ধরতে পারার ঘটনা - যে, এই এই জায়গা থিকা কথাটা তো ভুল! - এইরকম ল্যাদা দেয়ার ঘটনা বেশ কমন-ই বেপারই এখন (উদাসি-ভাব নিয়াও অনেক সময় বইলা ফেলা যায়) এই জিনিসটা আমার মধ্যেও চইলা আসে মাঝে-মধ্যে; মানে, চুপ থাকাটা তো কঠিন কাজ, একটা প্রতিক্রিয়া দেখানোটাই হইতেছে যেইখানে ঘটনা সেইখানে চুপ-থাকা মানে তো নন-এগজিসটেন্ট হয়া থাকা; যার ফলে 'সব বিষয়' নিয়া কথা-বলার আরেকটা লিলিপুট ভার্সন হইতেছে যেইখানে-সেইখানে গিয়া 'ভুল-ধরা'টার ঘটনাটা... এখন লোকজন যে ভুল-কথা বলে না তা তো না, কিনতু ধরেন, হাতির কেন ডানা নাই, বা চিল কেন খালি ওড়ে, কেন হাঁটে না - এই টাইপ ক্রিয়েটিভ :) 'ভুলগুলা' যা করে কথা-বলার প্রিমাইজগুলারেই চেইঞ্জ কইরা ফেলে; যার উত্তর দেয়ার কিছু নাই, কিনতু কি নিয়া কথা হইতেছিল সেইটারে ডাইলুট কইরা ফেলতে পারে খুব ইজিলি... আর ইন্টারেস্টিং বেপার হইতেছে, এইটারে এখন কনশাসলি ইউজও করা যায়; সোশাল-মিডিয়াতে বট (bot) বেপারটা এইভাবেই অপারেট করে; এমন একটা পারসপেক্টিভ থিকা এমন একটা ঘটনারে উসকায়া দেয়া হয় যাতে কইরা মনে হইতে পারে, আরে, এইরকমই তো হওয়ার কথা, এইরকমই তো হইতেছে তাইলে! মানে, বাস্তবে ঘটনাটা ঘটতেছে কিনা - সেইটা এতোটা জরুরি না, জরুরি হইতেছে এইরকম তো ঘটতেই পারে, এইক্ষেত্রে না হইলেও ঘটে তো এমনিতে - অই জায়গাটাতে 'হিট' করতে পারাটা হইতেছে ঘটনা যেমন ধরেন, কয়দিন আগে দেখতেছিলাম একটা নিউজ ভাইরাল করার ট্রাই করা হইতেছে যে, একজন বাউল-অনুসারি'র ঘর মসজিদে ঘোষনা দিয়া ভাইঙ্গা দেয়া হইছে; তো, আমাদের সমাজে শরিয়তি-মারফতি কনফ্লিক্ট যে নাই তা তো না, কিনতু এইটা যতটা না 'সত্য' না ঘটনা তার চাইতে বড় বেপার হইতেছে এইখানে অই শরিয়তি-মারফতি 'ফ্রেমওয়ার্ক'টারে, পারসপেক্টিভটারে এপ্লাই করা, যাতে মানুশ-জন 'ল্যাদা' দেয়া শুরু করতে পারে, বট-গুলা ঝাপায়া পইড়া এইটারে ইস্যু হিসাবে এসটাবলিশড করতে পারে এবং আমার ধারনা, এইক্ষেত্রে রিভার্স জিনিসটাই বেশি হয়, 'সেকুলার'রা-ই 'মাওলানা' সাজে, সাইজা প্রভোক করতে থাকে... ২. এখন সার্টেন নাম্বারের এক্টিভ আইডি ছাড়া এইটা করা পসিবল না; আমার ধারনা দুই দিক থিকাই ঘটনা'টা ঘটতে থাকে, একদল বট যেমন তৈরি করা হয়, আবার এর মধ্যে সার্টেন পারসেন্টেজ 'ডামি-জনগন'-ও থাকেন, যারা tigred হওয়ার জন্য রেডি থাকেন, প্রতিক্রিয়া দেখাইতে থাকেন, এবং প্রতিক্রিয়া দেখানোর ভিতর দিয়া নিজেদেরকে বাঁচায়া রাখতে পারেন... মানে, ঘটনাটা এইভাবেই ঘটে - এইরকম জায়গা থিকা না দেইখা ঘটনাগুলার ভিতরে এই জাতীয় টেনডেন্সির পারসেন্টেজটা বাড়তেছে - এইটারে প্রজেক্ট করাটা বরং বেটার হইতে পারে মানে, কেউ কোন কিছু নিয়া ট্রিগারড হইতেছেন বইলাই ল্যাদা-দেয়া শুরু করতেছেন বা বট-টেনডেন্সিতে নাম লেখাইতেছেন - বেপারটা এইরকম না, বরং অই জায়গাগুলারে ট্রিগার করার জন্য অনেক কনটেনট থ্রো করা হইতেছে আসলে, যেইটা নিয়া কনশাস হওয়াটা বেটার; এবং আমার ধারনা ছোট হইলেও একটা ডামি-জনগন ছাড়া কোন ইস্যু ভাইরাল করা পসিবল না, হাজার হাজার বট লেলায়া দিয়াও; যেই কারনে ল্যাদা-দেয়ার ঘটনাটা ইম্পর্টেন্ট

হাসান রোবায়েতের চাইরটা কবিতার বই নিয়া আলাপ শুনতে পারেন এই লিংকে: https://youtu.be/wiDoOzqNpvU?si=j3GkNUt7kzdWEwC0

বেড়া যখন খেত'রে খায়... বেহ্রা দীনহী খেতকো বেহ্রা খেতহী খায়। তীন লোক সংশয় পড়ী মৈঁ কাহি কহোঁ সমুঝায়। বেড়া দিলাম খেতে বেড়া-ই খেতরে খায়। তিন লোক সংশয়ে পড়লো আমি কারে কি বুঝাই। /কবীর ফেইসবুকের পরে ফুডপান্ডা'র অবস্থাটা দেইখা এই কথা মনে হইতেছিল আবার; যে, মিডিয়াম কনটেনটরে কন্ট্রোল করে না খালি, মিডিয়াম-ই মেইন ঘটনা হয়া উঠে -- নিউজ-মিডিয়া ঘটনাগুলা আমাদেরকে জানায় না, বরং এই মিডিয়াগুলা আমাদেরকে যা জানায় সেইগুলাই "ঘটনা" হয়া উঠতে পারে, ঘটনা হিসাবে eligible হইতে পারে... ফেইসবুকে আমরা খালি আমাদের কথাগুলা বলি না, বরং আমাদের নিউজফিড যা দেখায় সেইটাই দুনিয়া হয়া উঠে, নিউজপেপারের পাতার মতো, টিভির স্ক্রিনের মতো; যা কিছু আমাদের নিউজফিডে আসে না বা আসবে না সেইগুলা নিয়া কথা বলতে পারি না আমরা বা বলবো না... একটা কনট্রোল মেকানিজমের ভিতর দিয়া মিডিয়ামগুলা কনটেনটগুলারে খালি রিলেভেন্ট করে না, কনটেনট তৈরি করতে থাকে আসলে, যে এইটা এইটা করলে ভিউ বেশি পাওয়া যাবে, ভাইরাল হওয়া যাবে, মানুশ-জন তখন অই কনটেন্টগুলাতে ফোকাস করতে থাকে... মিডিয়াম পাওয়ারফুল হয়া উঠলে এই ঘটনা ঘটে, স্টিভ জবস অ্যাপলের একটা সার্কুলারে বলতেছিলেন, এত এত মিউজিক-ডিভাইস যে বানানো হইতেছে অদেরকে ফিড করার জন্যই মিউজিক প্রডিউস করা লাগতেছে... তো, ফুডপান্ডা'তেও এই কাহিনি শুরু হইছিল, মানে, মার্কেটে যেহেতু আর কোন ফুড-ডেলিভারি অ্যাপ নাই (পাঠাও ছোট-খাট জিনিস), অরা এরা সুযোগটা নিতেছিল, দাম এমন একটা জায়গাতে নিয়া যাইতেছিল যাতে কইরা রাইডার, হোম-কিচেন বা কাস্টমারদেরও পোষাইতেছিল না... ঈদের পরে অন্য আরেকটা অ্যাপ আইসা মনেহয় কোন একটা 'ঝামেলা' বাধাইছে, ফুডপান্ডার সার্ভিস খুব লিমিটেড স্কেলে চলতেছে... মানে, "আল্লা বিচার করছে" না, যে কোন মনোপলি (বেড়া) মার্কেটরে (খেতরে) যেইভাবে ইচ্ছা সেইভাবে এক্সপ্লয়েট করে (খায়া ফেলে); ফেইসবুক, ফুডপান্ডা'র জায়গাগুলা অন্য কোন মনোপলি দিয়া রিপ্লেইসড হইলেও একইরকমের ঘটনাই ঘটতে থাকবে আসলে

হিট-সিনেমা বাদ দেন, কলকাতার দাদাদের ইনভলমেন্ট ছাড়া কোন সিনেমা বানানোর, ডিস্ট্রিবিউট করার অথরিটি কি কারো আছে, বাংলাদেশে? :) মানে, তুফান নিয়া যেই 'তুলকালাম' হইতেছে বাংলাদেশে, কলকাতার ইনভেস্টমেন্ট না থাকলে কি এইটা করা যাইতো? জাস্ট কোশ্চেন হিসাবেই জিগাইতেছি... আমার ধারনা, করা যাইতো-না না, করাটা টাফ হইতো; বাংলাদেশের এনটারটেইনমেন্ট ইন্ড্রাষ্ট্রি মোটামুটি ইনডিয়ার দখলেই (ভায়া কলকাতা)... তুফানের ভিতর দিয়া একটা 'মডেল' আবিষ্কার করা হইছে আসলে যেইখানে 'বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার' কিছু ছবি বানানো যাবে; সিনেমা ভালো কি খারাপ - সেইটা মোটামুটি সেকেন্ডারি আলাপ-ই এইখানে, তারপরেও দেখেন এর ভালো-গিরি'র ক্লেইমটা কি? 'তামিল সিনেমার মতো ভালো হইছে', 'কলকাতা এইরকম সিনেমা বানাইতে পারবে না' - তো, এইগুলা যদি ভালো জিনিস হয়, যেইভাবে ভালো মাপা হইতেছে, সেইটা নিয়া কনসার্নড হওয়া উচিত আমাদের কিছু মানুশ আছে, যারা মনে করেন 'পাবলিক খাইছে' বইলা তার কনফার্মেশন আবিষ্কার করা লাগবে; মানে, কোন জিনিস পাবলিক পছন্দ করছে বা করতেছে - এইটা খারাপ-জিনিস না, কিনতু পাবলিক পছন্দ করছে বইলাই তারে গ্লোরিফাই করতে হবে - এইটা অবশ্য বাজে-জিনিস; আর্টে এনটারটেইনমেনট থাকতে হবে, এইটা বেয়ার মিনিমাম একটা ঘটনা, কিনতু আমাদের দেশে কোন মুভি (আর্ট বা কমার্শিয়াল - যেই কেটাগরিরই হোক) এনটারটেইন করতে পারে না, বা এমনকি অই জায়গাটাতে যাইতেই পারে না, এই কারনে কোন সিনেমা যদি অই জায়গাটাতে অপারেট করে, সেইটা তো ভালো-জিনিস অবশ্যই; রায়হান রাফী, শাকিব খান এনটারটেইনিং মুভি বানানোরই ট্রাই করেন, কিনতু কলকাতার 'সার্পোট' ছাড়া উনারা কি সেইটা করতে পারবেন বাংলাদেশে? এই দরকারি প্রশ্নটাই কোথাও দেখি নাই আর কি...

এই সন্দেহ করাটা মেবি খুব বেশি অন্যায় হবে না যে, বিজনেসের কারনে না, বরং মিলিটারি পারপাসে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করার প্ল্যান হাতে নিছে ইনডিয়া... মানে, এই ডর'টা আছে কি নাই - এইটা এগজামিন কইরা দেখাটা বেটার ঢাকা এবং চিটাগাংয়ের ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেস-ওয়েগুলাও মোস্টলি ক্যান্টনমেন্টগুলার কানেকটিভি'র কাজটাই করে; এখন তথ্য-প্রমান দিয়া কিছু বলাটা তো মুশকিলই, কারন জুলিয়ান এসাঞ্জের মতো কাউরে লাগবে যিনি এইরকম কোন ইনফরমেশন আছি কি নাই, সেইটা 'ফাঁস' করতে পারবেন; কিনতু ডর তো আসলে অই জায়গাতেও, অনেক অনেক মিস-লিডিং ইনফরমেশন বাজারে ছাইড়া দিয়া-ই এই কাজ করার পসিবিলিটি বেশি আসলে; এখন যেমন টিভি'তে নিউজপেপারে ডিজিএফআই-নিউজ খাইতে খাইতে অভ্যস্থ হইতে পারতেছি আমরা, তখনও মেবি জিনিসগুলারে এতোটা আলাদা করতে পারবো না আমরা...

ধর্ম ও রাষ্ট্র-ক্ষমতা ইয়োভা নোয়াহ হারিরি'র একটা পডকাস্ট দেখতেছিলাম, উনি বলতেছিলেন খ্রিস্ট-ধর্ম কেমনে এতো পপুলার হয়া উঠলো, সেইটা একসপ্লেইন করাটা মুশকিল, মানে, উনি যেই জায়গা থিকা বলতেছিলেন, সেইটা ঠিকাছে একভাবে যে হিসটোরি সবসময় নিয়ম মাইনা চলে না, অনেক কেওটিক জিনিস... কিনতু একটা সারটেন সময়ের পরে টের পাওয়া যায় আসলে কিছু জিনিস, কিছু অনুমান তৈরি করা যায়... তো, আজকে ২০০০ বছর পরে আমরা তো টের পাই যে, ধর্ম জিনিসটা রাষ্ট্র-ক্ষমতার লগে রিলেটেড একটা ঘটনা; বৌদ্ধ ধর্ম একটা সময়ে ছড়াইতে পারছিল রাজাদের (অশোক একটা ঘটনা) 'পৃষ্টপোষকতায়', কারন হিন্দু-ধর্মের জাতের কারনে অনেক সেনাপতিদেরই রাজা হওয়াটা কিছুটা প্রবলেমেটিক হইতে থাকার কথা, কোন না কোন এনর্ডোসমেনট নিয়া 'ক্ষত্রিয়' হইতে হইতো, বৌদ্ধ-ধর্ম এই জাত-এর রিকোয়ারমেন্ট'টারে কিছুটা অ-দরকারি তো করতে পারছিল মনেহয়... মানে, এইরকমের অনেক ডিটেইল আলাপ এইখানে আছে, কিনতু এই রিলেশনটা যে আছে - এইটা নিয়া সন্দেহের জায়গা মনেহয় কমই তো, খ্রিস্ট-ধর্মের যেইটা 'জাদুকরি' ঘটনা সেইটা মেবি এইরকম যে, এইটা খালি রাজাদের 'বৈধতা'-ই দেয় নাই, কোনদিনই আধুনিক রাষ্ট্র-ক্ষমতার জন্য হুমকি হয়া উঠে নাই, বরং এর একটা এনেবেলার ছিল; মানে, যেইটারে 'সেকুলারিজম' বইলা এখনকার সময়ে আইডেনটিফাই করা হয়, সেইটা খ্রিস্ট-ধর্মের সাথে কনফ্লিক্টের ভিতর দিয়া এমার্জ করে নাই, বরং এর একটা ইনহেরিয়েনট জায়গা হিসাবে মেবি ছিল... মানে, তথ্য-উপাত্ত ছাড়া এইটা তো প্রমান করা মুশকিলই, এই কারনে আমি সম্ভাবনার কথা বলতেছি; যে, এজ আ ফর্ম অফ সেকুলারিজম খ্রিস্ট-ধর্ম লিবারাল রাষ্ট্র-ব্যবস্থারে যতটা সাপলিমেনট করতে পারে, ইসলাম, বৌদ্ধ বা হিন্দু ধর্ম সেইটা এতোটা করতে পারে না... আরেকদিক দিয়া বলতে গেলে খ্রিস্ট-ধর্ম ফ্লেক্সিবল হইতে পারছে (যদিও অনেক ঝুট-ঝামেলার ভিতর দিয়াই), যেইটা চেইঞ্জ হইতে থাকা ক্ষমতা-কাঠামোর জায়গাটাতে একটা সুবিধা দিতে পারার কথা মানে, নানানভাবেই খ্রিস্ট-ধর্ম লিবারাল রাষ্ট্র-ব্যবস্থা এবং কেপটালিজমের জায়গাটারে কালচারালি এলাইনড রাখে; ইসলাম, বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্ম এইটা পারে-না না, এই জায়গাটাতে কেমনে এলাইনড হবে - সেইটা নিয়া মোটামুটি এগ্রিয়েবল একটা থিওলজিকাল ও প্রাকটিকাল পজিশন মেবি ক্রিয়েট করতে পারে নাই এখনো, কিনতু এই চর্চাগুলা একভাবে জারি আছে বইলাই মনেহয় আমি বলতে চাইতেছি, ধর্ম জিনিসটা কেমনে রাষ্ট্র-ক্ষমতার জায়গাটারে ডিল করে, সেইটা তার টিইকা থাকার, ফ্লারিশ করার জন্য ক্রুশিয়াল একটা ঘটনা ছিল; এবং এখনো এর রিলিভেন্স এই জায়গাটাতে থাকার কথা কিছুটা