cookie

Мы используем файлы cookie для улучшения сервиса. Нажав кнопку «Принять все», вы соглашаетесь с использованием cookies.

avatar

Lost Modesty

আমরা লস্টমডেস্টি টিম, কাজ করছি অশ্লীলতা আর নোংরামির বিরুদ্ধে। আমাদের প্রত্যাশা সেদিনের যেদিন আমাদের ভাই আর বোনগুলো হবে কলঙ্কমুক্ত, নিষ্পাপ।

Больше
Рекламные посты
14 704
Подписчики
+1024 часа
+617 дней
+44430 дней

Загрузка данных...

Прирост подписчиков

Загрузка данных...

কিন্তু, বয়কট কি আসলেই কাজ করে? . ১. ‘আমি একা বয়কট করলে কী হবে!’—এই কথাটা শয়তানের ধোঁকা। একজন একজন করে বয়কট করলেই সবাই মিলে বয়কট করা হয়। তখন বয়কট কার্যকর প্রভাব ফেলে। . ২. ইসরাইলি পণ্য বয়কটে যদি কাজ না-ই হতো, তাহলে বয়কট আন্দোলনকে অবৈধ ঘোষণার জন্য ইসরাইল আমেরিকার সাথে লবিং করত না। . ৩. বিশ্বব্যাপী বয়কটের কারণে গত নভেম্বরে স্টারবাকস-এর লোকসান হয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলার। . ৪. বয়কটের ভয়ে বিখ্যাত ব্র্যান্ড PUMA ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০২৪ সালে ইসরাইলি ফুটবল টিমকে তারা স্পন্সর করবে না। . ৫. বয়কটের ক্ষেত্রে পণ্য বাছাই করে নিলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী করা যায়। যে পণ্যগুলোর বিকল্প নেই, কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আবশ্যক সেগুলোকে আপাতত লিস্টের বাহিরে রাখতে পারো। বিপরীতে যেগুলোর বিকল্প আছে, সেগুলো বয়কট করো। এতে দীর্ঘদিন বয়কট চালিয়ে নিতে সহজ হবে। . ৬. বয়কট মানে হলো, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। বয়কটের আর কোনো প্রভাব দেখা না গেলেও মাজলুমের পক্ষে এবং জালিমের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে তুমি সওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ। . ৭. আর কেউ বয়কট না করলেও তুমি একাই বয়কট করবে। দুনিয়াতে এর কোনো প্রভাব না থাকলেও কিয়ামতের দিন তুমি আল্লাহর কাছে বলতে পারবে যে, তোমার সামর্থ্যের ন্যূনতমটুকু তুমি চেষ্টা করেছিলে। . . [ষোলোর ৬ষ্ঠ সংখ্যা থেকে নেওয়া]
Показать все...
51👍 6
Фото недоступноПоказать в Telegram
12
৭। ব্রেকআপের কথা বলাতে সে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী- এই অপরাধবোধ আমাকে আজীবন তাড়া করে বেড়াবে। তাছাড়া আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে মামলা করলেও আমি তো পুলিশি ঝামেলায় ফেঁসে যাব। এখন কী করবো? এটাও বেশ কমন একটা সমস্যা। তুমি আমার সাথে রুম ডেইট করতে না গেলে আমি হাত কেটে ফেলবো। ছবি না দিলে ঘুমের ট্যাবলেট খাবো, ছাদ থেকে লাফ দেবো - এমন হুমকিও অহরহ শোনা যায়। এগুলো হলো তোমার পার্টনারের নিপীড়ক (abusive) মানসিকতার প্রমাণ। খালি চোখে দেখলে মনে হবে, তোমার ভালোবাসার জন্য সে এমন করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার নিজের কামনাবাসনা পূরণ হচ্ছে না, তোমাকে দেখতে পাচ্ছে না, কথা বলতে পারছে না- এ জন্যেই সে এমন ধংসাত্মক কাজ করতে চাচ্ছে। তার কাছে তোমার প্রতি তাঁর ভালোবাসাটা গুরুত্বপূর্ণ না। সে যদি আসলেই তোমাকে ভালোবাসতো তাহলে তোমাকে এভাবে মানসিক কষ্টের মধ্যে ফেলতো না। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতো না। . এই আত্মহত্যার হুমকি বা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজগুলোকে তার সাথে ব্রেকআপ করে ফেলার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। হুমকিগুলোর কারণে তুমি যদি সম্পর্ক চালিয়ে যাও, তাহলে সে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যাবে তুমি তার দাসে পরিণত হয়েছো। বাকী জীবনটা তার দাস হয়ে চরম মানসিক নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়ে কাটাতে হবে তোমার। যারা এভাবে হুমকি দেয় তারা সাধারণত আত্মহত্যা করে না। এসব হুমকি ধামকি পাত্তা দিও না। ব্রেকআপ করে ফেলো। সে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিলেও, পাগলামি করলেও, তার বাবা-মা শত রিকোয়েস্ট করলেও তুমি তার সাথে কোনো যোগাযোগ করবে না। তাহলে আর এই ফাঁদ থেকে বের হতে পারবে না। আর টানা কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ থাকলে ওর শোকের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাবে। তোমাকে ভুলে যাওয়া সহজ হবে। যদি তার উপকার করতে চাও তাহলে তার পরিবারকে একজন মনোবিদ খুঁজে দাও। [১] মনোবিদের কাছে কয়েকটা সেশন কাটালে সে ঠিক হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। . তবে অনেকে আসলেই আত্মহত্যা করতে চায়। তোমার প্রেমিক বা প্রেমিকা এমন হলে সেক্ষেত্রেও ব্রেকআপ ছাড়া অন্য কিছু ভাববে না। বরং এমন হলে আরো গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্রেকআপ করতে হবে। কারণ- ক) তার জন্য দরকার একজন মনোবিদের। তুমি তাকে সাহায্য করতে পারবে না। সে মানসিকভাবে অসুস্থ। আত্মহত্যা থেকে বাঁচানোর জন্য তুমি তার সাথে সম্পর্ক চালিয়ে গেলেও সে মানসিকভাবে সুস্থ হবে না। বরং এই আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে তোমাকে সারাজীবন নির্যাতন নিপীড়ন করে যাবে। . খ) জীবনে নানা ঝড়ঝঞ্ঝা আসেই । দুঃখ, কষ্ট, হতাশা, ব্যর্থতা গিলে ফেলতে চায় অজগর সাপের মতো। এটাই জীবন। মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিতে চাওয়া তার এই ভীরু দুর্বল কাপুরুষ মন জীবনের এই অন্ধকার দিনগুলোতে লড়াই করে টিকে থাকতে পারবে না। সে মাথা নিচু করে পরাজয় বরণ করে বারবার পালাতে চাইবে জীবন থেকে। তুমি কেন এমন একজন মানুষকে জীবন সঙ্গী বা সঙ্গীনী হিসেবে নেবে? সে তখন আত্মহত্যা করলে বা হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিলে তোমার বাচ্চাকাচ্চার, তোমার সংসারের কী হবে? তোমার নিজের কী  হবে? ভেবেছো এসব? . . প্রবন্ধ:বিদায় বলে দাও [সপ্তম পর্ব] বই: আকাশের ওপারে আকাশ লেখক: লস্ট মডেস্টি টিম সম্পাদক: আসিফ আদনান #আকাশের_ওপারে_আকাশ #LostModesty . . রেফারেন্স কমেন্টে.... রেফারেন্স: [১] তোমাকে যে খুঁজে দিতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
Показать все...
15👍 6
তোমার এলাকায় ষোলো প্রতিনিধি আছে কিনা দেখতে ঘুরে আসো এই লিংকে - https://tinyurl.com/protinidhi-male
Показать все...

আলহামদুলিল্লাহ! ৬ষ্ঠ সংখ্যার দ্বিতীয় সংস্করণ সন্দীপন প্রকাশন এর বাংলাবাজার কাউন্টারে চলে এসেছে। যারা আগেরবার সংগ্রহ করতে পারোনি, তারা ঝটপট সংগ্রহ করে নাও। এবার স্টক আউট হলে আর ছাপানো হবে না।
Показать все...
8
Фото недоступноПоказать в Telegram
7👍 1
৬। সে যদি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দেয়? মামলা খাবার ভয়ের চাইতে তুমি আল্লাহর অবাধ্য হচ্ছো, সাথে যিনা করেছো এবং এখন আবার রিলেশন চালিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছো–এই ব্যাপারটা নিয়ে তোমার বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত। তুমি মামলা খাবার ভয়ে তার সাথে প্রেম চালিয়ে গেলে এবং তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলে, সেই বিয়ে তোমার জন্য জাহান্নাম হিসেবে হাজির হবে এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। সুন্দর দাম্পত্য জীবন চালিয়ে নেবার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা শ্রদ্ধা, সম্মানের সম্পর্ক থাকা জরুরি। কিন্ত এক্ষেত্রে তো তা থাকছে না। কাজেই সারাজীবনের জন্য না পস্তিয়ে এখন পরিস্থিতির মুখোমুখি হও। আইনগত দিক দিয়ে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ মামলা তেমন একটা জোরদার মামলা না।[১] সবাই জানে আসলে কী হয়েছে। কাজেই মামলা করার ভয় দেখালেই হাটূ কাঁপা-কাঁপি শুরু হবার দরকার নেই। আল্লাহর কাছে ক্রমাগত দু’আ করতে থাকো। তুমি একটা পাপের জীবন থেকে ফিরে আসতে চাচ্ছো। তোমার নিয়্যত যদি সঠিক থাকে, তাহলে আল্লাহ তোমার ফিরে আসার পথ সহজ করে দেবেন। ইনশাআল্লাহ। . প্রবন্ধ:বিদায় বলে দাও [ষষ্ঠ পর্ব] বই: আকাশের ওপারে আকাশ লেখক: লস্ট মডেস্টি টিম সম্পাদক: আসিফ আদনান #আকাশের_ওপারে_আকাশ #LostModesty . . রেফারেন্স কমেন্টে.... রেফারেন্স: [১]বিয়ের প্রলোভনে 'ধর্ষণের' অভিযোগ :আইনি ভিত্তি কতটুকু? যায়যায়দিন, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২- tinyurl.com/2pjvnvmz
Показать все...
বিয়ের প্রলোভনে 'ধর্ষণের' অভিযোগ :আইনি ভিত্তি কতটুকু?

অনেক নারী তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানা কিংবা কোর্টে গিয়ে এই মর্মে মামলা করেন, তার প্রেমিক পুরুষ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে

👍 16 8
. প্রবন্ধ:বিদায় বলে দাও [পঞ্চম পর্ব] বই: আকাশের ওপারে আকাশ লেখক: লস্ট মডেস্টি টিম সম্পাদক: আসিফ আদনান #আকাশের_ওপারে_আকাশ #LostModesty . . রেফারেন্স কমেন্টে.... রেফারেন্স: [১]আবু দাউদ: ৪৬৯০। ইবনু হাজার হাদিসটিকে সহীহ সনদে বর্ণিত বলেছেন। (ফাতহুল বারী ১২/৬১ হা: ৬৭৭২ এর ব্যাখ্যায়।) [২]সূরা আল-ফুরকান, ২৫: ৭০ [৩]সূরা আন-নূর, ২৪:৩ [৪]তাফসীরে সাদী, সূরা আন-নূর, আয়াত ৩ [৫]বিয়ের প্রলোভনে 'ধর্ষণের' অভিযোগ :আইনি ভিত্তি কতটুকু? যায়যায়দিন, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২- tinyurl.com/2pjvnvmz
Показать все...
বিয়ের প্রলোভনে 'ধর্ষণের' অভিযোগ :আইনি ভিত্তি কতটুকু?

অনেক নারী তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানা কিংবা কোর্টে গিয়ে এই মর্মে মামলা করেন, তার প্রেমিক পুরুষ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে

৫। আমি তার সাথে যিনা করে ফেলেছি, তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এমন অবস্থায় ব্রেকআপ করলে তা তার সাথে ভয়ঙ্কর প্রতারণা হবে না? তাছাড়া, তাকে বিয়ে করলে তো আমার যিনার গুনাহ মাফ পেয়ে যেতো… বাংলাদেশে সাধারণত এমন একটা বিশ্বাস প্রচলিত আছে - যার সাথে যিনা করা হয়েছে তার সাথে বিয়ে দিলেই আল্লাহ যিনার গুনাহ মাফ করে দিবেন। কিন্তু শরীয়াহর বাস্তবতা এটা নয়। অবিবাহিত কেউ যিনা করলে, তার জন্য শরীয়াহর নির্ধারিত শাস্তি হলো ১০০ বার বেত্রাঘাত ও ১ বছরের জন্য নির্বাসন। বিবাহিত কেউ যিনা করলে তার শাস্তি হল রজম– পাথর ছুড়ে হত্যা করা। যার সাথে যিনা করেছে তাকে বিয়ে করা না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যিনা করার সময় মানুষ ঈমান হারিয়ে ফেলে। সে সময় তার মাথার উপর ঈমান ঝুলতে থাকে। যিনার শেষে আবার ফেরত আসে। [১] এজন্য যিনার গুনাহ মাফ করার জন্য আন্তরিকভাবে তাওবাহ করতেই হবে। তাওবাহ করার শর্ত ৩টি – ক) সেই গুনাহ এবং গুনাহের উপকরণগুলো ছেড়ে দেওয়া, খ) আন্তরিকভাবে লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করা, মাফ চাওয়া এবং গ) ভবিষ্যতে এমন গুনাহ আর কখনোই করবো না- কঠোরভাবে এই সংকল্প করা। এই তিনটি শর্ত পূর্ণ করতে পারলে তোমার তাওবাহ কবুল হবে। না হলে হবে না। তাওবাহ যেন কবুল হয় সে জন্য বেশি বেশি গোপনে দান ও ইবাদাত করা উচিত। এগুলো আল্লাহ তা‘আলার ক্রোধ মিটিয়ে দেয়। আন্তরিকভাবে তাওবাহ করলে আল্লাহ্ তোমাকে মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। [২] যার সাথে যিনা করেছো, গুনাহ মাফের জন্য তাকে তুমি বিয়ে করতে বাধ্য–এটা ভুল ধারণা। . এখন এসো প্রতারণার ব্যাপারটা দেখা যাক। যিনার গুনাহ অতি জঘন্য হওয়ার কারণে আল্লাহ তা’আলা যিনাকারী নারী-পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ছাড়া বিয়ে করবে না। আর মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে।’ [৩] . শাইখ সাদী (রহ.) তার তাফসীরে এই আয়াতের ব্যাপারে বলেছেন, ‘যিনা অত্যন্ত ঘৃণ্য প্রকৃতির কাজ। মানুষের সম্মানকে যিনা এমনভাবে কলঙ্কিত করে, যা অন্য কোনো গুনাহ করে না। আয়াতে এই দিকটির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের বলছেন, ব্যভিচারী পুরুষকে শুধু ঐ নারীই স্বেচ্ছায় বিয়ে করতে পারে, যে নিজে ব্যভিচারিণী অথবা যে মুশরিক...একইভাবে, একজন ব্যভিচারী নারীকে মুশরিক অথবা ব্যভিচারী পুরুষ ছাড়া আর কেউ বিয়ে করতে পারে না। ‘...আর মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে’—অর্থাৎ, যিনাকারীকে বিয়ে করা আল্লাহ মুমিনদের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। আল্লাহর এ বিধানের কথা জানা সত্ত্বেও, বারবার যিনা করে এবং যিনা থেকে তাওবাহ করেনি, এমন কোনো নারী বা পুরুষকে যে জেনেশুনে বিয়ে করতে চায়— হয় সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ যে বিধানসমূহ দিয়েছেন তা মানে না, যার অর্থ সে মুশরিক, অথবা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ যে বিধানসমূহ দিয়েছেন তা সে মানে; তবুও জেনেশুনে একজন যিনাকারীকে সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমন ক্ষেত্রে এই বিয়ে যিনা, এবং যে বিয়ে করেছে সে যিনাকারী ও ফাসিক বলে গণ্য হবে। সে যদি সত্যিকারভাবে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতো, তাহলে এই কাজ করতো না। এ থেকে বোঝা যায়, তাওবাহ করেনি এমন যিনাকারীকে (নারী বা পুরুষ) বিয়ে করা হারাম।[৪] এটা ব্যভিচারী পুরুষের ব্যাপারে যেমন খাটে, ব্যভিচারিণী নারীর ব্যাপারেও খাটে। তাই নিজে তাওবাহ করার সাথে সাথে, অপরজনও যদি তাওবাহ না করে, তবে বিয়ে বৈধ হবে না। তুমি আন্তরিকভাবে তাওবাহ করেছো, কিন্তু সে করেনি এমন অবস্থায় তুমি তাকে বিয়ে না করলে প্রতারণা হবে না। তবে সেও যদি আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়ে তাওবাহ করে তাহলে চাইলে বিয়ে হতে পারে। . ৬। সে যদি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দেয়? মামলা খাবার ভয়ের চাইতে তুমি আল্লাহর অবাধ্য হচ্ছো, সাথে যিনা করেছো এবং এখন আবার রিলেশন চালিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছো–এই ব্যাপারটা নিয়ে তোমার বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত। তুমি মামলা খাবার ভয়ে তার সাথে প্রেম চালিয়ে গেলে এবং তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলে, সেই বিয়ে তোমার জন্য জাহান্নাম হিসেবে হাজির হবে এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। সুন্দর দাম্পত্য জীবন চালিয়ে নেবার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা শ্রদ্ধা, সম্মানের সম্পর্ক থাকা জরুরি। কিন্ত এক্ষেত্রে তো তা থাকছে না। কাজেই সারাজীবনের জন্য না পস্তিয়ে এখন পরিস্থিতির মুখোমুখি হও। আইনগত দিক দিয়ে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ মামলা তেমন একটা জোরদার মামলা না। [৫] সবাই জানে আসলে কী হয়েছে। কাজেই মামলা করার ভয় দেখালেই হাটূ কাঁপা-কাঁপি শুরু হবার দরকার নেই। আল্লাহর কাছে ক্রমাগত দু’আ করতে থাকো। তুমি একটা পাপের জীবন থেকে ফিরে আসতে চাচ্ছো। তোমার নিয়্যত যদি সঠিক থাকে, তাহলে আল্লাহ তোমার ফিরে আসার পথ সহজ করে দেবেন। ইনশাআল্লাহ।
Показать все...
বিয়ের প্রলোভনে 'ধর্ষণের' অভিযোগ :আইনি ভিত্তি কতটুকু?

অনেক নারী তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানা কিংবা কোর্টে গিয়ে এই মর্মে মামলা করেন, তার প্রেমিক পুরুষ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে

👍 2