পর্নোগ্রাফি আর হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
আপনাকি পর্নোগ্রাফি আর হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে আছেন আপনি কি বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন কোন ভয় নেই আমরা আছি আপনাদের সাথে
نمایش بیشترکشور مشخص نشده استزبان مشخص نشده استدسته بندی مشخص نشده است
469
مشترکین
اطلاعاتی وجود ندارد24 ساعت
اطلاعاتی وجود ندارد7 روز
اطلاعاتی وجود ندارد30 روز
- مشترکین
- پوشش پست
- ER - نسبت تعامل
در حال بارگیری داده...
معدل نمو المشتركين
در حال بارگیری داده...
বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডার সময় কখনও নির্লজ্জ হবেন না। এটি প্রথমত আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট করবে আবার আখিরাত ধ্বংস করবে। লজ্জাহীনতা ঈমানহীনতার আগের ধাপ।
.
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘লজ্জা এবং ঈমান একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জমে থাকে। যখন একটিকে তুলে নেওয়া হয়, তখন অন্যটিকেও তুলে নেওয়া হয়।’’ [ইমাম হাকিম, আল-মুসতাদরাক: ৫৮; শায়খ আলবানি, সহিহুল জামি’: ১৬০৩; হাদিসটি সহিহ]
.
অনলাইন আমাদেরকে লজ্জাহীন করে দিচ্ছে। মানুষকে পঁচানোর জন্য এমনসব অশ্লীল কথা বা ইঙ্গিত করছি, যা কোনো রুচিশীল মানুষ সমর্থন করতে পারবে না। ধর্মীয় দিক থেকে তো এটা আরো জঘন্য। অনলাইনের বাইরেও আমরা দিনে দিনে নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছি। গুনাহকে আর গুনাহ মনে হচ্ছে না, অশ্লীলতাকে আর অশ্লীলতা মনে হচ্ছে না। সবকিছু সয়ে যাচ্ছে।
.
লজ্জাহীনতা খুবই মন্দ অভ্যাস। সালমান আল ফারিসি (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ্ কোনো বান্দার ধ্বংস চাইলে তার থেকে লজ্জা ছিনিয়ে নেন।’ [ইমাম ইবনু রজব, জামি‘উল ‘উলুম ওয়াল হিকাম: ১/৪৯৯]
.
নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘পূর্ববর্তী নবিগণের বাণী হতে পরবর্তী লোকেরা (অবিকৃত অবস্থায়) যা ধারণ করেছে তার একটি হলো, ‘তুমি যখন নির্লজ্জ হয়ে যাবে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারবে।’ ’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৩৪৮৪]
.
তাই, সাবধান! লজ্জা হারাবেন না। লজ্জার প্রধান হকদার হলেন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা, যেমনটি হাদিসে এসেছে। সুতরাং, একজন মুমিন গুনাহ করার সময় আল্লাহকে লজ্জা পেয়ে গুনাহ থেকে ফিরে আসে। কারণ যে নিয়ামতকে ব্যবহার করে মানুষ আল্লাহর অবাধ্যতা করে, সেগুলোও তো আল্লাহরই দান!
.
- ফারহীন আল মুনাদি
হস্তমৈথুন ছাড়তে পারলেই আপনি পুরুষ। মনে রাখবেন নারীর শক্তি সৌন্দর্যে আর পুরুষের শক্তি বীর্যে।
হস্তমৈথুন ছাড়ার কার্যকরী টিপস :
১. পর্নভিডিও সম্পূর্ণ ছাড়তে হবে মনে রাখবেন এটি আপনাকে ফাঁদে ফেলার শয়তানের প্রথম স্টেপ। মনে হবে আরে দেখি কি হবে বীর্য বের করবনা কিন্তু আপনার ক্ষতি ঠিকই হবে মস্তিষ্ক সংকেত দিবে আপনাকে হস্তমৈথুন করতে। সো নো ট্রাপ।
২. দৃষ্টি সংযত রাখুন। মেয়ে দেখলেই কুদৃষ্টি দিবেন না এটি যেনা। সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে ইতিবাচক ভাবতে হবে।
৩. দুষ্টু বন্ধুদের থেকে দূরে থাকুন , নিরাপদ দূরত্বে।
৪. যদি সম্ভব হয় বিয়ে করুন না হলে নিজে সংযত করুণ, মাঝে মাঝে রোজা রাখুন। অতিরিক্ত ফ্যাট খাবার পরিহার করুন। প্রচুর পানি পান করুন।
৫. সালাত আদায় করুন। সকালে উঠুন পারলে ৫ মিনিট দৌড়ান। ব্যয়াম করুন। শ্রেষ্ঠ মেডিটেশন হলো সিজদাতে লম্বা সময় দেয়া।
৬. যখন বীর্য বের করতে মন চাবে তখন লম্বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিন, দেখবেন লিঙ্গ নুয়ে যাবে।
৭. যেকোনো সেক্স সংক্রান্ত আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।
৮. আর মনে রাখবেন ইসলামে এটি মহাপাপ, এর শাস্তি ভয়াবহ, দুনিয়ায় এর ফল খুবই যন্ত্রনাদায়ক। আল্লাহ আমাদের নিশ্চয়ই সফল হতে সাহায্য করবেন। সর্বদা আল্লাহর সাহায্য কামনা করবেন। দরুদ, আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন।
৯. মনে রাখবেন আপনি কুকুর না যা ইচ্ছে করবেন। নিজের স্ত্রীর হোক নষ্ট করবেন না। যার বীর্য শক্তি ঠিক তার পরিবার সুখের। যারা বীর্য ফেলে এরা সারাক্ষণ চিন্তিত আর রোগে ভোগে, চোখের জ্যোতি কমে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ ক্ষয় হয়। মেধাশক্তি কমে যাবে। আপনার দ্বারা কিছুই সম্ভব হবেনা।
১০. আমি ১০০% চ্যালেঞ্জ করে বলছি মাত্র ২১ দিন হস্তমৈথুন বন্ধ রাখুন দেখবেন শরীরের পরিবর্তন শুরু। আপনার মস্তিষ্ক ২০০% গুন বেশি কার্যকরী উয়ে উঠবে। আপানার সবকিছুতেই আত্মবিশ্বাসী আর আল্লাহর রহমতে ভরে যাচ্ছে।
নিয়মিত নামাজ, ব্যায়াম, মেডিটেশন, রাতে ঘুম, সকালে উঠবেন। মনে রাখবেন হস্তমৈথুন হলো মরণফাঁদের নাম যা ধ্বংসের চূড়ান্ত!
আপনার প্রতি দোয়া রইলো যেন আল্লাহ আপনাকে সমস্ত গুনাহ থেকে বাঁচার তাওফিক দান করেন,, আমিন||
(সংগৃহীত)
"প্রভাব বিস্তারকারী কামনা-বাসনা-উত্তেজনা আসে শয়তান ও আগুন থেকে, আর ওজু তাকে নিভিয়ে ফেলে"
.
~ শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়াহ [রাহ.]
.
.
[ মাজমুঊল ফাতাওয়া: ২৫/২৩৯]
১.
সেমিস্টার ব্রেকে ভার্সিটির ট্যুর গ্রুপগুলোতে ছেলে-মেয়ে একসাথে ট্রিপে যাওয়া, বিচে/সুইমিংপুলে কাধে কাধ মিলিয়ে নাচা-নাচি, হোটেলরুমে খুনসুটি, ভ্লগ/ভিডিও বানানো, ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড দেয়া, এগুলো যেন খুব কমন সিনারিওতে পরিণত হয়েছে আজকাল।
অথচ রাসুল (সঃ) বলেছেন, তোমার জন্য হালাল নয় এরকম কোন নারীর হাত স্পর্শ করার চেয়ে তোমার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পে/রে/ক ঢু/কানোও অধিক উত্তম। ~ (বুখারী)
জাস্ট ইমাজিন, আপনার সামনেই আপনার কোনো ভাই কিংবা বন্ধুর মাথায় কেউ লোহার হা/তুড়ি দিয়ে পি/টি/য়ে একেরপর এক পেরেক ঢু/কাচ্ছে আর আপনার বন্ধু তা সহ্য করতে না পেরে তীব্র যন্ত্রনায় চিৎকার করছে!
কেমন লাগবে আপনার সে দৃশ্য? সহ্য করতে পারবেন?
২.
ছোটবেলা থেকেই 'বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল' টাইপ কর্পোরেট স্লোগান শিখে ও ব্যবহার করে আমরা বড় হই। কিন্তু একটুও কী ভেবে দেখি, লাইফকে ইম্পসিবল করে দেয়া সেই বন্ধুরা আসলে কারা?
তারা কি আমাদেরকে জান্নাতে গিয়েও খুঁজবে? নাকি জাহান্নামের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপিত অবস্থায় "হায়! দূর্ভাগ্য আমার, হায়! আমি যদি অমুককে বন্ধুরুপে গ্রহণ না করতাম।" (সূরা ফুরকান, ২৮) এরুপ আফসোসের কারণ হবে?
আপনি বিশ্বাস করুন কিংবা না করুন, মানুন কিংবা না মানুন, এটিই চূড়ান্ত সত্য যে, আজকে যাদের সাথে আপনি কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড(!) করছেন, চিল(!) করছেন, ট্যুরে যাচ্ছেন তারাই একসময় আপনার ঘোরতর শত্রুতে পরিণত হবে।
"বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে আল্লাহ-ভীরুরা নয়।" (সুরা আয-যুখরুফ, ৬৭)
তাই বন্ধু নির্বাচনে আমাদের অধিক সতর্ক থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের বিষয়ে সাহায্য করে, এমন মানুষদেরই আমাদের বন্ধু হিসেবে নেওয়া উচিত। একইভাবে আমাদেরকে যারা বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে, আমাদের উচিত তাদের ভালো কাজে সাহায্য করা এবং মন্দ কাজে বাধা দেওয়া।
"সৎকর্ম ও আল্লাহ-ভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো৷ পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা"। (সুরা আল মায়িদাহ, ০২)
একটা বিষয় মনে রাখবেন, যে বন্ধুটি আপনাকে অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকার অনুরোধ করে আপনার কোন মন্দ কাজে বাধা দিচ্ছে, দ্বীনি পরামর্শ দিচ্ছে, তাকে হয়ত আপনার এখন অসহ্য লাগতেছে। তাকে হয়ত আপনার বেকুব-ব্যাকডেটেড মনে হচ্ছে, হয়ত বিরক্ত হয়ে সচেতনে এড়িয়ে চলতেও হচ্ছে ইদানীং।
তবে নিশ্চিত থাকুন, সে-ই আপনার 'প্রকৃত বন্ধু'! যাকে ছাড়া সত্যিকার অর্থেই আপনার লাইফ ইম্পসিবল হওয়া উচিত!
মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং রক্ষা করুন। এমন যেন না হয়, কেয়ামতের দিন আমি/আপনি জাহান্নামের আ/গুনে থাকব, আর সেই প্রকৃত বন্ধু জান্নাত থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে বেঁচে যাবার জন্য শুকরিয়া জানাবে।
"তোমরা কী দেখতে চাও, সে এখন কোথায় আছে? এ বলে যেমনি সে নিচের দিকে ঝুঁকবে, তখনই দেখবে তাকে জাহান্নামের অতল গভীরে! এবং তাকে সম্বোধন করে বলতে থাকবে, আল্লাহর কসম! তুই তো আমাকে ধ্বংসই করে দিতে চাচ্ছিলি। আমার রবের মেহেরবানি না হলে আজ আমিও যারা পা/ক/ড়াও হয়ে এসেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত হতাম! (সুরা আস-সফফাত, ৫৫-৫৭)
.
আহ! যদি আমরা বুঝতাম...
© ইরফান সাজ্জাদ
ভাই আমার, নীল অন্ধকারে আর কতোকাল মাথাকুটে মরবে? কেন তুমি শুরু করছোনা আলোর পথে তোমার সেই অভিযাত্রা? কবে তুমি বের হবে মুক্ত বাতাসের খোঁজে?
একবার বের হয়েই দেখনা…
মিতালি হবে ঘাসফড়িং আর শিশিরের সঙ্গে।পাবে নীলাকাশ, ঘাসফুল। পাবে মাটি,মানুষ, মৌলিক ভালোবাসা। পাবে ধ্রুপদী আনন্দ। আনন্দম আনন্দম আনন্দম……
বর্ষাকাল আসলে একটা বিরক্তিকর ব্যাপার ঘটে। পোকামাকড়ের উৎপাত খুব বেড়ে যায়। ঘরের ভেতর-বাহির, খেত-খামার, গ্রাম, শহর—সবখানেই। সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে উৎপাত শুরু হয়। চারপাশ অন্ধকার হয়ে এলে সবাই যখন বাতি জ্বালায়, তখনই তারা আত্মপ্রকাশ করে। এজন্য অনেক সময় পোকামাকড়ের জন্য আলো দিয়েই ফাঁদ তৈরি করা হয়।
.
পোকামাকড়ের স্বভাব হলো, তারা আলোর প্রতি মোহাবিষ্ট থাকে। ফলে কোনটা আলো আর কোনটা আলেয়া, সেটা পার্থক্য করতে পারে না। অনেক সময় নিরেট আলো ভেবে সন্ধি করে বসে আগুনের সাথেও। ফলাফল—মৃত্যু!
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিক এরকমই একটি উপমা দিয়ে সাহাবিদেরকে একটি বিষয় বুঝিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“আমার অবস্থা সে লোকের অবস্থার মতো, যে আগুন জ্বালিয়েছিল, তখন তাতে তার চতুষ্পার্শ্ব আলোকিত হলো, তখন পতঙ্গ ও সেসব জন্তু যা আগুনে পড়ে থাকে, তাতে পড়তে লাগল আর সে লোক সেগুলোকে বাধা দিতে লাগল। তবে তারা তাকে হারিয়ে দিয়ে তাতে ঢুকে পড়তে লাগল।”
.
তিনি বলেন, “এটাই হলো তোমাদের অবস্থা আর আমার অবস্থা। আমি আগুন থেকে রক্ষার জন্য তোমাদের কোমরবন্ধগুলো ধরে টানি ও বলি যে, ‘আগুন হতে দূরে থাকো, আগুন থেকে দূরে থাকো’; কিন্তু তোমরা আমাকে পরাস্ত করে তার মধ্যে ঢুকে পড়ছ।”[১]
.
এই হাদীসটা প্রথম যখন পড়েছিলাম, তখন হৃদয়ের খুব গভীর থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মুগ্ধতা অনুভব করেছিলাম। কী অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন তিনি। হৃদয়ছোঁয়া উপমার কথা নাহয় একপাশে রেখে দিলাম; উম্মতের প্রতি কত গভীর দরদ তিনি লালন করতেন, তা এই হাদীসের কথাগুলো থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মানুষ পোকামাকড়ের মতো আগুনে ঝাঁপ দিয়ে অবুঝ আত্মহুতি দিতে চায়, আর তিনি তাদের কোমর টেনে ধরে আগুন থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেন! সুবহানাল্লাহ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
.
কোরিয়ান বয় ব্যান্ড বিটিএসের নাম শুনেনি, এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া ভার। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও বিটিএস এখন হটটপিক। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের জন্য বিটিএস এখন এক ভয়াবহ ফিতনার নাম। আমরা প্রথমে গায়ে মাখিনি। গানবাজনা করে খায় এমন ফিতনাবাজ শিল্পী তো আমাদের নিজেদের দেশেও অনেক আছে। বিটিএস কি এর চেয়ে বেশি কিছু না কি! কিন্তু যখন একটু কৌতুহলী হয়ে বিটিএসের ভক্তদের সম্পর্কে হালকাপাতলা ঘাঁটাঘাঁটি করলাম, তখন আমাদের চোখ ছানাবড়া।
.
বিটিএসের ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। কিন্তু এরা অন্যান্য ব্যান্ডের ভক্তদের মতো নয়। এরা নিজেদেরকে পরিচয় দেয় আর্মি হিসেবে। তারা বিটিএস আর্মি। কোনো দেশের আর্মি যেমন সে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজেদের বিলিয়ে দেয়, এরাও তেমনি তাদের হিরোদের(!) মান-ইজ্জত বাঁচাতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। বিটিএস নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করলে তারা আঘাত পায়। প্রতিপক্ষকে কাউন্টার দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
.
প্রিয় শিল্পীর জন্য এরকম একটুআধটু পাগলামো করা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুব বেশি অস্বাভাবিক না। ব্যাপারটা এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকলে এটা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তারও কিছু ছিল না আমাদের। কিন্তু ঘটনা এরচেয়েও অনেক বেশি ভয়াবহ এবং চিন্তাজাগানিয়া।
.
আমাদের অবুঝ ভাইবোনগুলো বিটিএসের ফিতনায় এতটাই বেহুশ হয়ে গেছে যে, কেউ বিটিএসের সমালোচনা করলে তারা আক্রমণাত্মকভাবে তেড়ে আসে। এমনকি কোনো আলিম কিংবা দাঈ যদি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিটিএস-এর ভুলগুলো ধরিয়ে দেন, তখন এই বিটিএস আর্মি নামক ভক্তরা ইসলামকে নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নেয়। কেউ কেউ তো বলেও বসে যে, বিটিএস-ই নাকি তাদের রব! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!
.
আমাদের স্কুলপড়ুয়া ছোট্ট বোনগুলো বিটিএস-এর পৌরুষহীন ছেলেগুলোর প্রেমে এতটাই মজে গেছে যে, তাদেরকে নিয়ে পর্বের পর পর্ব ফিকশনাল লাভ স্টোরি লিখে ফেলছে। এই নপুংসক ছেলেগুলো হয়ে গেছে তাদের স্বপ্নের পুরুষ! আমাদের ছোট্ট বোনগুলোর মানসিক রুচিবোধের এমন ভয়াবহ বিপর্যয় দেখে আহত হৃদয় আরও আহত হলো। পোকামাকড়ের মতো তাদেরকে বিটিএস নামক ফিতনার আগুনে হুমড়ি খেয়ে পড়া দেখে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হলো।
.
আমার বোন!
তোমার রুচিবোধ তো এমন ছিল না। তুমি কী করে এমন নপুংসক ছেলেদেরকে নিজের স্বপ্নপুরুষ বানিয়ে নিলে, যারা নিজেরাই মেয়েদের বেশ ধারণ করে থাকে? তুমি কি জানো না যে, আমাদের নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐসব পুরুষদেরকে লা’নত দিয়েছেন, যারা নারীদের বেশ ধারণ করে?[২]
.
তোমার স্বপ্নপুরুষ হবার কথা তো ছিল তাঁরা, যারা ছিলেন আল্লাহর রাস্তায় সীসাঢালা প্রাচীরের মতো। যাঁদের বীরত্বের কথা স্বীকার করে তাঁদের শত্রুরাও। যাঁদের বীরত্বে পৃথিবী দেখেছিল খিলাফতের সোনালি শাসন! তোমার স্বপ্নপুরুষ তো হবার কথা ছিল তাঁরা!
.
বোন আমার!
তুমি কেমন করে এমন কাফিরদের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছ, যারা পৃথিবীর বুকে সমকামিতার মতো ঘৃণ্য কাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে? অথচ সমকামিতার অপরাধের জন্য আমাদের রব পুরো একটি জাতিকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দিয়েছিলেন।
.
তুমি হয়তো বলবে, ওরা তো সমকামী না। বোন আমার, শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে আমরাও এটা বলছি না যে, ওরা সমকামী। তবে ওদের সমকামী আচরণগুলো কি তুমি দেখোনি?[৩] তারা যে সমকামিতার পক্ষে কথা বলে, তা কি তুমি জানো না?[৪] তারা যে সমকামীদের প্রাইড মান্থ উদ্যাপনে স্টেইজ শো করে, তা কি তুমি দেখোনি?[৫]
.
আমার বোন!
তুমি কি জানো, কেন তুমি তাদের আচরণে প্রভাবিত হচ্ছ? কারণ, তুমি তো তাদের গানের জাদুতে বেহুশ হয়ে গেছ! এখন আবার বোলো না যে, তুমি তাদের গানের ভাষাই বুঝো না। গানের ভাষা বুঝা জরুরি কিছু না। গানের মাঝে থাকা মিউজিক তোমার অন্তরকে বশ করে ফেলেছে। কেননা, মিউজিক হচ্ছে অন্তরের মদ। এই মদ তোমার অন্তরে নিফাক জন্ম দিয়েছে। ফলে তুমি তোমার ধর্মের বিরোধিতা করে হলেও বিটিএস-এর সমর্থন করে যাচ্ছ!
.
আর ভাইয়ারা,
তোমরা কেন এমন কাফির গায়কদের মতো হতে চাচ্ছ, যাদের পৌরুষ বলতে কিছু নেই? যাদের মধ্যে পুরুষালী আচরণের চেয়ে মেয়েলি আচরণই বেশি? তোমাদের সামনে কি সত্যিকারের পুরুষদের উদাহরণ নেই? তোমরা কি সেইসব বীরপুরুষদের দেখো না, যারা যুগে যুগে পৃথিবীতে ইতিহাস রচনা করে গেছেন? তোমরা কি সেইসব বীরপুরুষদের দেখো না, যারা যুগে যুগে আল্লাহর শত্রুদের দম্ভ চূর্ণ করে দিয়েছেন, বুলন্দ করেছেন আল্লাহর কালিমাকে? তাঁরাই তো তোমাদের আইডল হবার কথা ছিল।
.
আদরের ভাইয়া ও আপুরা!
তোমরা কাদেরকে অনুসরণ করছ, কাদেরকে ভালোবাসছ একটু চিন্তা করে দেখো। বিটিএস সদস্যরা তো আল্লাহদ্রোহী কাফির। তারা তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে জাহান্নামের দিকে আহ্বান করছে। এরা যদি আল্লাহর ওপর ঈমান আনা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তো নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে। জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হবে। তোমরা এমন কিছু লোকের অনুসরণে মত্ত হয়ে গেছ, যারা কি না জাহান্নামের পথের পথিক!
.
মুসলিম হিসেবে তোমরা কি আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে হাশর করতে চাও না? না কি এসব জাহান্নামের পথিকদের সাথে হাশর করতে চাও? কেননা, দুনিয়াতে তুমি যাকে ভালোবাসবে, যার অনুসরণ করবে, কিয়ামাতের দিন তোমার হাশর তার সাথেই হবে।[৬] ভেবে দেখো, তোমরা কি বিটিএস-এর সাথে হাশর করতে চাও না কি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হাশর করতে চাও!
.
ভাইয়া ও আপুরা!
ভাই হিসেবে তোমাদের এমন পথচ্যুতিতে আমরা ব্যথিত হই। আগুনের সাথে তোমাদেরকে সন্ধি করতে দেখে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়! চোখের সামনে তোমাদেরকে জাহান্নামের দিকে দৌড়াতে দেখে আমাদের অন্তর ভয়ে কেঁদে ওঠে!
.
বিশ্বাস করো, আমরা স্বপ্ন দেখি—সবাই মিলে জান্নাতের সবুজ বাগানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আড্ডা দেব! তোমরাও কি এমন সৌভাগ্যবান হতে চাও না? তাহলে আজই ফিরে আসো তোমাদের রবের পথে। থুথু মারো বিটিএস কালচারের মুখে। প্লিজ, আগুনের সাথে সন্ধি কোরো না! পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে! দুনিয়াতেও, আখিরাতেও!
@FIGHT AGAINST
Photo unavailableShow in Telegram
পোকামাকড়ের আগুনের সাথে সন্ধি!
বিটিএস ফিতনায় আমাদের আদরের ভাইবোনেরা হারিয়ে যাবে?
লিংক - https://www.facebook.com/100076332578939/posts/pfbid02kMM9K78iz7ToB4fXtSWz73BUg3h3vBKuaw5FZchM7bF3A66mZt54kNtD6nLtuSiEl/
یک طرح متفاوت انتخاب کنید
طرح فعلی شما تنها برای 5 کانال تجزیه و تحلیل را مجاز می کند. برای بیشتر، لطفا یک طرح دیگر انتخاب کنید.