cookie

ما از کوکی‌ها برای بهبود تجربه مرور شما استفاده می‌کنیم. با کلیک کردن بر روی «پذیرش همه»، شما با استفاده از کوکی‌ها موافقت می‌کنید.

avatar

খাওলা বিনতে আজওয়ার

বোনদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন,পশ্চিমাদের নোংরা সংস্কৃতি নয়,ইসলামেই নারীকে দিয়েছে সম্মান,মর্যাদা ও গৌরব।

نمایش بیشتر
کشور مشخص نشده استزبان مشخص نشده استدسته بندی مشخص نشده است
پست‌های تبلیغاتی
1 011
مشترکین
اطلاعاتی وجود ندارد24 ساعت
اطلاعاتی وجود ندارد7 روز
اطلاعاتی وجود ندارد30 روز

در حال بارگیری داده...

معدل نمو المشتركين

در حال بارگیری داده...

আল্লাহ তা’আলা বলেন: يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِي مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍ بِبَنِيهِ ﴿١١﴾ وَصَاحِبَتِهِ وَأَخِيهِ ﴿١٢﴾ وَفَصِيلَتِهِ الَّتِي تُؤْوِيهِ ﴿١٣﴾ وَمَن فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنجِيهِ ﴿١٤﴾ অর্থ: সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পণ স্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে, তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে, তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত। এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে। [সুরা মা’য়ারিজ ৭০:১১-১৪] স্বামী চিন্তা করবে আমার স্ত্রী ও তার সবকিছু দিয়ে নিজে বেঁচে যাই আগে। সে চাইবে তার বাড়ী-গাড়ি, অলঙ্কারাদি, ধন-সম্পদ, ব্যাংক-ব্যালেন্স সবকিছু দিয়ে হলেও বেঁচে যাই। কিন্তু কোন কাজ হবে না। বলা হবে: نَزَّاعَةً لِلشَّوَىٰ كَلَّا ۖ إِنَّهَا لَظَىٰ অর্থ: কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি, যা চামড়া তুলে দিবে। [সুরা মা’য়ারিজ ৭০:১৫-১৬]
نمایش همه...
Tanzil - Quran Navigator | القرآن الكريم

Browse, Search, and Listen to the Holy Quran. With accurate Quran text and Quran translations in various languages.

হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মোহাব্বতকারী বোন! এই দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ো না। এটা বড় চালবাজ, ধোঁকাবাজ, নিজের জালে এমনিতেই ফাঁসিয়ে দেয়। লম্বা-চওড়া ওয়াদা করে কিন্তু কারো সাথে ওয়াদা পূরণ করেনি। সে কারো হয়নি। যে একবার দুনিয়ার পিছনে পড়েছে দুনিয়া তাকে ঐ কুকুরের মত বানিয়ে দিয়েছে, যে একটি হাড্ডি বা একটি রুটির টুকরার জন্য লেজ নাড়িয়ে মালিকের পিছনে চলতে থাকে। নিজের পূর্বের লোকদের দেখ, দুনিয়া কি তাদের সাথে স্থায়ী হয়েছে? যখন তাদের সৌন্দর্য শেষ হয়ে গেছে, চামড়া ঢিলা হয়ে গেছে দুনিয়া কি তাদের কোন মূল্যায়ন করেছে? কোথায় গেলো সেই রং তামাশা? কোথায় গেলো সেই আড্ডা? কোথায় সেই হাসি-তামাশা? কোথায় সে খেলার সাথী? সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই দূরে চলে গেছে। এই দুনিয়া কি কোন কাজে আসবে? যখন মালাকুল মউত মাথার কাছে এসে দাঁড়াবে - দুনিয়া ও দুনিয়াদার সবাই তোমাদের মরার অপেক্ষায় থাকবে। কখন মৃত্যু হবে আর অন্ধকারে নিক্ষেপ করে ঘরে গিয়ে আরাম করবে। তোমার ধন-দৌলত অর্জনের জন্য লড়াই করবে। তোমার ঘর-বাড়ী কবজা করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে। ব্যাংক ব্যালেন্সকে হাতানোর জন্য পুলিশের সাহায্য নিবে। কোথায় গেল সেই মোহাব্বত? কোথায় গেল সেই প্রেম? কোথায় গেল সেই ভালোবাসা? এটাই কি সততা? এটাই কি ভালোবাসা? আজ অনেকেই জীবন বের হওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহর হুকুমের খেলাফ করতে থাকে। নবীর সুন্নতের বিপরীত জীবন-যাপন করে। নামাজ পড়ে না, পর্দা করে না, জিহাদ করে না, এমনকি জিহাদের তামান্নাও তাদের অন্তরে রাখেনা। আজ কে আছে যে, মালাকুল মউতের হাত থেকে বাঁচাবে?  সেই স্বামী কি বাঁচাতে পারবে, যে তোমার জন্য মরার কসম খেয়েছিল? নিজের সেই সন্তান, যার জন্য নিজের সমস্ত খুশি-আনন্দ কুরবান করে দিয়েছ? সেই সখিরা, যাদের জন্য নামাজও কাজা করে দিতে? নাকি খান্দানের সেই রীতি-নীতি যা রক্ষা করার জন্য নিজের পর্দাও ছেড়ে দিয়েছিলে? কে আজ তোমাকে বাঁচাবে? كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ প্রত্যেকেরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। [সুরা আনকাবুত ২৯:৫৭] মালাকুল মউত এসে এজন্য অপেক্ষা করবে না যে, প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে কি না, আশা ভরসা পূরণ হয়েছে কি না। আজরাইল আসবে ভীতিকর চেহারা নিয়ে। আল্লাহর পানাহ! তার হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। ধনী হোক বা গরীব। চাটাইয়ের উপর ঘুমাক অথবা মখমলের বিছানায় ঘুমাক। কখনও কি ভীতিকর স্বপ্ন দেখেছো? কেউ কি স্বপ্নে তোমার গলা চেপে ধরেছে? এমন ভীতিকর চেহারা যে, দেখলেই মনে ভয় ধরে যায়, শরীরে কাঁপুনি এসে যায়। বাস্তবে মালাকুল মউত আসলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে। চিন্তা করো, সে সময় কোনো জিনিস তোমার কাজে আসবে না। আলিশান বাড়ি, দামি গাড়ি, দামি পোশাক, কোন বন্ধু-বান্ধব কেউ কোন কাজে আসবে না। তারা শুধু পাশে বসে থাকবে। তারপর কবরের অন্ধকার রাত, যদি আমল ভালো না হয়। যদি এই জমিনের উপর নাফরমানি করা হয় তাহলে জমিন রাগ্বান্নিত অবস্থায় থাকবে। দুনিয়ায় নাফরমানি কারীর কবর, গুনাহগারের কবর হবে - অন্ধকার কবর। দুনিয়াতে কখনও অন্ধকার কামরায় একা একা সময় অতিবাহিত করেছো? এরপর কবরের সাপ বিচ্ছু তো আছেই। তুমি তো তেলাপোকাকেও ভয় পাও। কবরে সাপ, বিচ্ছু, টিকটিকি শরীরে চলাফেরা করতে থাকবে যদি শরীরে অজুর পানি না লেগে থাকে। যে কান দিয়ে সারাক্ষণ গান বাজনা শুনেছো যদি তওবা না করে মৃত্যুবরণ করো তাহলে বিচ্ছু সেই কানে তার বিষ ঢেলে দেবে। স্বর্ণ রৌপ্যের যাকাত আদায় না করা হলে সাপ কামড়াবে। চোখ খোলা থাকবে। সেদিন এই সম্পদ কোন কাজে আসবে না। টিভির লেকচারার, দ্বীনের বিকৃতিকারী, বহুরূপী মানুষগুলো - যারা দ্বীনকে মানুষের সামনে মিষ্টি মিষ্টি করে উপস্থাপন করেছে তারাও পার পাবে না। খাহেশাতের মধ্যে লিপ্ত ‘মডার্ন ইসলাম’ - কোন কিছুই কাজে আসবে না। এক আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক করা ছাড়া বাকি সব বেকার সেদিন। তারপর হাশরের দিন আসবে। সেদিন কে কাজে আসবে? সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করতে থাকবে। কোরআনে কারীমের জায়গায় জায়গায় বলা হয়েছে – يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ (কেয়ামতের ভয়াবহতা খুবই কঠিন) যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ আল্লাহর আযাব সুকঠিন। [সুরা হাজ্জ্ব ২২:২] সে দিন দুগ্ধ দানকারিনী মা তার দুধের শিশুকে ভুলে যাবে, ভয়াবহতার কারণে গর্ভবতী মায়ের গর্ভ বেরিয়ে পড়বে, ভয়-ভীতির কারণে একে অপরকে ভুলে যাবে, কেউ কাউকে চিনবে না, প্রত্যেকেই এই কামনা করবে, হায়! যদি কোনভাবে আমার জান বের হয়ে যেত। তার স্থানে তার সন্তান ফেঁসে যাওয়াকে কামনা করবে।
نمایش همه...
Al-Ankabut - 29:57

হে এই সৌন্দর্যে গর্বকারী, এই রূপ, এই দুনিয়া অস্থায়ী, এক দিন সব শেষ হয়ে যাবে। এই অস্থায়ী সৌন্দর্যকে স্থায়ী মনে করা যাবে না। অবস্থা দেখে মনে হয় চিরকাল এই অবস্থা থাকবে। কখনই বার্ধক্য গ্রাস করবে না। কিন্তু সময়কে কেউ কি বেঁধে রাখতে পেরেছে? সুতরাং মনে রেখ এই যৌবনের পর বার্ধক্য আসবে। এই দুনিয়ার মোহাব্বত কারো মধ্যে যদি বসে যায় তাহলে বয়স তিরিশের বেশি হওয়াকেই ভয় লাগে। আফসোস লাগে, এখন তো এই যৌবন সৌন্দর্য শেষ হওয়ার পথে। তারপর একদিন এই রূপ সৌন্দর্য শেষ হয়ে যায়, চেহারায় ভাজ পড়ে। যেই আয়নার সামনে দাঁড়ালে আগে খুব ভালো লাগত, এখন সেই আয়নার সামনে দাঁড়াতে মন চায় না। চামড়া ঢিলা, পেশি দুর্বল হয়ে যায়। নিজের কাছেই আর ভালো লাগে না। মানুষ হলো আত্মতৃপ্তিবোধকারী। মিথ্যা আশ্রয়, সত্যকে লুকানোর জন্য মনকে প্রবোধ দেয়। কিন্তু বাস্তবতা থেকে কে পলায়ন করতে পারে? ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ প্রত্যেক উন্নতির অবনতি আছে। অস্তিত্বের পর অনস্তিত্ব আছে। যৌবনের পর বার্ধক্য আছে। শাহ ইসমাইল শহীদ রহ. একবার খবর পেলেন যে, দিল্লীর সমস্ত গায়িকা, নর্তকী এক ঘরে উপস্থিত হয়েছে। ঘরটি ছিল তাদের মালিকানের। কোন একটি অনুষ্ঠান ছিল। তিনি সেই ঘরের সামনে গিয়ে দরজায় করাঘাত করলেন। এক গায়িকা বের হয়ে এসে ভিক্ষুক মনে করে কিছু পয়সা দিতে চাইল। তিনি বললেন, “আগে আমি খদ্দের হই, তারপর কিছু নেব”। সে গিয়ে মালিকানকে বললে মালিকান বলল, “কোন ভিক্ষুক হবে হয়ত। যাও ডেকে নিয়ে আসো। মজা করা যাবে কিছুক্ষণ”। শাহ সাহেব ঘরে প্রবেশ করে সূরা ত্বীন তেলাওয়াত করে তাফসীর করা শুরু করলেন। যখন তিনি ثم رد دناه اسفل سا فلين এই আয়াত পর্যন্ত পৌঁছলেন তখন সবাই চিৎকার করে কাঁদতে আরম্ভ করে দিল। তারপর ঘরের মালিকান তওবা করে চিরদিনের জন্য নিজের জীবনকে জিহাদের জন্য ওয়াকফ করে দিল। আল্লাহ তা’আলা বলেন: يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? [সুরা ইনফিতার ৮২:৬] হে আমার বোন! কথা তো এত কঠিন না। নর্তকীরা কথা বুঝে গেছে তো তোমাদেরকে কোন জিনিস ধোঁকায় ফেলে রেখেছে? এই যৌবন তো শেষ হয়ে যাবে। এর বাস্তবতা যদি বর্ণনা করা হয় তাহলে তো মানুষেরই ঘৃণা চলে আসবে। হযরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন আমাদের সামনে দুনিয়ার বাস্তবতা তুলে ধরতেন, তখন এমন ভাবে উপস্থাপন করতেন যে, আমাদের নিজেদের উপর ঘৃণা সৃষ্টি হত”। আজ যুবকদের কি অবস্থা!! তারা আল্লাহর হুকুমের পরোয়া করে না। আল্লাহ যে জিনিস হারাম করেছেন তার কোন পরোয়া নেই। মনে রেখ! একদিন এই যৌবন শেষ হবে, উন্নতির পর অবনতি আসবে। একদিন দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করতে হবে। সমস্ত মাল সামানা ভাগ বণ্টন হয়ে যাবে। সন্তান ও আত্মীয় স্বজনরা কবরে ফেলে আসবে। এই সব কিছু খেলাধুলার মত। দুনিয়ার কোন ‘আনন্দ অনুষ্ঠান’ হলে অপেক্ষার পর অপেক্ষা করতে থাকে। তারপর সে সময় এসে শেষ হয়ে যায়। তারপর আর কী থাকে? বই : ইয়া উখতি -মাওলানা আ সে ম ও ম র রহিমাহুল্লাহ
نمایش همه...

আল্লাহ তা’আলা কুরআন মাজিদে জায়গায় জায়গায় একথা বুঝিয়েছেন যে, আল্লাহ তা’আলা মহিলাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তারা যেন দুনিয়াতে থেকে আখিরাতের প্রস্তুতি নেয়। দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, মন মতো জীবন-যাপন করবে এবং হাঁসি, মজাক ও নফসের পূজায় জীবন পার করে দিবে। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা এই দুনিয়ার বাস্তবতা নিজ কিতাবে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তা’আলা এই আয়াতে বলেন, দুনিয়ার এই নাজ নেয়ামত, জনসমাবেশ, রঙিন জীবন, বিলাসিতা, আনন্দ-ফুর্তি সবই খেল তামাশা। যত অর্থ সম্পদ আছে একে অপরের উপর গর্ব করার জন্য অন্যকে নিচু করার জন্য এ সব কিছুই ভুসির মত। গ্রামে-গঞ্জে ফসল কাটার সময় ভুসি উড়তে দেখা যায়। গম ভাঙানোর সময় কোন মানুষ তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল চেপে যায়। কিন্তু এই ভুসি যখন গমের সাথে ক্ষেতে থাকে তখন কৃষকের কাছে খুব ভালো লাগে। তেমনিভাবে দুনিয়ারও একই অবস্থা। বর্তমানে তো একে ক্ষেতে দুলতে থাকা ফসলের মত সুন্দর মনে হয়। কিন্তু এর পরিণতি এই ফসলের ভুসির মতো। সূরা তীনের মধ্যে আল্লাহ এই হাকিকত বর্ণনা করে দিয়েছেন। যে সূরা নিয়ে মহিলারা অনেক গর্ব করে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ ﴿١﴾ وَطُورِ سِينِينَ ﴿٢﴾ وَهَـٰذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ ﴿٣﴾ لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ ﴿٤﴾ ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, (1) এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, (2) এবং এই নিরাপদ নগরীর। (3) আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। (4) অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। (5) (সূরা আত-তিন ৯৫; ১-৫) তীন ও যাইতুনের কসম! এই নিরাপদ শহরের কসম! لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ  আমি মানুষকে সব থেকে সুন্দর আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছি। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যৌবনে মানুষের সৌন্দর্য অনেক থাকে। মানুষ এটা নিয়ে গর্ব করে। অবশ্যই আল্লাহ তীন, যাইতুন এবং মক্কার কসম খেয়ে বলেন, لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ  নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর আকৃতি দান করেছি। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যৌবনে সৌন্দর্যের ঝলকানি থাকে। সৌন্দর্যে ঢেউ খেলে। যৌবনের অহংকারে লিপ্ত থাকে। আয়নার সামনে এলে নিজের সৌন্দর্য দেখে অজান্তেই ঠোটে মুচকি হাসি ফোটে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন - আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর আকৃতি দিয়ে তৈরি করেছি। তার গাল, চামড়া, সৌন্দর্য, গঠন-আকৃতি খুব সুন্দর করে বানিয়েছি। কবি এই সৌন্দর্যের প্রশংসায় আসমান জমিনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কেউ তো পূর্ণিমার চাঁদের সাথে তাকে তুলনা করেছে। কেউ তাকে মুক্তার মত বলেছে। কেউ গোলাপের লাল বলেছে। কোন কবি বলেছেন, وَلَقَد ذَكَرتُكِ والرِّماحُ نَواهِلٌ - مِنّي وبِيضُ الهِندِ تَقطُرُ مِن دَمي فَوَدَدتُ تَقبيلَ السُيوفِ لأَنَّها - لَمَعَت كَبارِقِ ثَغرِكِ المُتَبَسِّمِ এক ব্যক্তি আবেগের বশে তার স্ত্রীকে বলেছিল, “তুমি যদি পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে সুন্দর না হও, তাহলে তুমি তিন তালাক”। ব্যাপারটি খলিফা মানছুরের কাছে গেল। সব ফকিহগণ ফতোয়া দিয়েছেন তালাক হয়ে গেছে। এক ফকিহ বললেন - তালাক হয়নি। দলিল হিসেবে উল্লেখ করলেন এই আয়াত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ (1) وَطُورِ سِينِينَ (2) وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ (3) لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ (4) শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, এবং এই নিরাপদ নগরীর। আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে  সবচেয়ে সুন্দরতর অবয়বে। [সুরা তীন ৯৫:১-৪] সুতরাং মানুষের এই সৌন্দর্যের মোকাবেলায় চাঁদের এই সুন্দর্য কি ই বা প্রভাব ফেলতে পারে। এর পর আল্লাহ তা’আলা বলেন: ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ প্রত্যেক উন্নতির অবনতি আছে। তারপর এই যৌবনের পরে, এই গর্বের পরে এর শেষ হওয়াও আছে। বই : ইয়া উখতি -মাওলানা আ সে ম ও ম র রহিমাহুল্লাহ
نمایش همه...
Tanzil - Quran Navigator | القرآن الكريم

Browse, Search, and Listen to the Holy Quran. With accurate Quran text and Quran translations in various languages.

দোষ গোপন রাখার ফযীলত عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৫৪৪] عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ سَتَرَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ، سَتَرَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ كَشَفَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ، كَشَفَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ، حَتَّى يَفْضَحَهُ بِهَا فِي بَيْتِهِ» ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন (অপরাধের) বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গুপ্ত (অপরাধের) বিষয় গোপন রাখবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন বিষয় ফাঁস করে দিবে, আল্লাহ তার গোপন বিষয় ফাঁস করে দিবেন, এমনকি এই কারণে তাকে তার ঘরে পর্যন্ত অপদস্থ করবেন। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৫৪৬]
نمایش همه...
গোনাহগারকে উক্ত গোনাহের কথা জনসম্মুখে বলা অনুচিত! عِكْرِمَةَ يَقُولُ: لَا أَدْرِي أَيُّهُمَا جَعَلَ لِصَاحِبِهِ طَعَامًا، ابْنُ عَبَّاسٍ أَوِ ابْنُ عَمِّهِ، فَبَيْنَا الْجَارِيَةُ تَعْمَلُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، إِذْ قَالَ أَحَدُهُمْ لَهَا: يَا زَانِيَةُ، فَقَالَ: مَهْ، إِنْ لَمْ تَحُدَّكَ فِي الدُّنْيَا تَحُدُّكَ فِي الْآخِرَةِ، قَالَ: أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ كَذَاكَ؟ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْفَاحِشَ الْمُتَفَحِّشَ. ابْنُ عَبَّاسٍ الَّذِي قَالَ: إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْفَاحِشَ الْمُتَفَحِّشَ ইকরিমা (রহঃ) বলেন, আমার মনে নেই, হয় ইবনে আব্বাস (রাঃ) অথবা তার চাচাতো ভাই একে অপরকে আহারের দাওয়াত দিলেন। এক বাঁদী তাদের সামনে (আহার পরিবেশনের) কাজ করছিল। তাদের একজন তাকে বলেন, হে যেনাকারিনী। তখন অপরজন বলেন, থামো। সে যদি দুনিয়াতে তোমাকে (এই অপবাদের) শাস্তি না দিতে পারে, তবে আখেরাতে অবশ্যই তার শাস্তি দিবে। তিনি বলেন, আপনি কি মনে করেন, ব্যাপারটি যদি তাই হয়? অপরজন বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ অশ্লীল কথক ও অশ্লীলতার বাহককে পছন্দ করেন না। ইনি ছিলেন ইবনে আব্বাস (রাঃ) যিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ অশ্লীল কথক ও অশ্লীলতার বাহককে পছন্দ করেন না। [আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং-৩৩১]
نمایش همه...
নারীবাদীদের ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণ। https://t.me/NaseehaForSisters
نمایش همه...
সময় ও সকালের গুরুত্ব নিয়ে একটি আলোচনা। আমরা ধন সম্পদ, বিলাস বহুল প্রাসাদ, স্বর্ন, টাকা পয়সা এসবকেই সব মনে করি। আমরা মনে করি এসবই হলো মহা মূল্যবান। অথচ মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এসব কোন কিছুরই শপথ করেন নি। তিনি স্বর্ন বা হিরা এমনকি গোটা দুনিয়ার কছমও করেন নি। বরং তিনি সময়ের কছম করেছেন। তার মানে এসব কিছুই সময়ের তুলনায় মূল্যহীন। মহান আল্লাহ শুধু সময়ের কছমই করেন নি বরং পবিত্র কুরআনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিনের বিভিন্ন সময়ের কছম করেছেন। যেমন সুরা ফজরএ বলেছেন" ফজরের কছম"। অথচ আমরা সেই ফজরের সময় ঘুমিয়ে থাকি। শুধু তাই না সকাল বেলার সময়টা এতটাই গুরুত্বপূর্ন যে, কুরআনে বিভিন্ন ভাবে এই সকালের সময়টার কছম করেছেন।আর আল্লাহ যখন কোন কিছুর কছম করেন তখন সেটা অনেক দামী হয়। মহান আল্লাহ বলেনঃ وَ الصُّبۡحِ اِذَا تَنَفَّسَ আর শপথ ঊষার, যখন তার আবির্ভাব হয়। মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ وَ النَّہَارِ اِذَا تَجَلّٰی ۙ﴿۲﴾ শপথ দিবসের, যখন তা সমুজ্জ্বল হয়।(সুরা লাইল ২) মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ وَ الضُّحٰی ۙ﴿۱﴾ শপথ পূর্বাহ্নের (দিনের প্রথম ভাগের)।(সুরা দুহা১) দেখুন আমরা যেই সকালের সময়টা ঘুম, নাস্তা ও অবহেলায় কাটিয়ে দিই, সেই সময়টার কছম মহান রব কতভাবে কতবার করেছেন। কত মহা মূল্যবান সেই সময়টা। অথচ স্বর্ন, রোপ্য, হিরা,ইত্যাদি কোন কিছুরই শপথ করেন নি। তার মানে যেই সকাল আপনি ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন সেই সকাল গোটা দুনিয়ার চেয়েও মূল্যবান। এক একটি সকাল গোটা দুনিয়া পরিমান হিরো মুক্তার চেয়ে ও দামী। যা আমরা রাসূল সাঃ এর হাদিস থেকেও জানতে পারি। প্রিয়নবী (সা.) ভোরবেলার কাজে বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। হজরত সাখার আল-গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬) হজরত ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা রাসুল (সা.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, মা মণি! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদেক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে রিজিক বণ্টন করে থাকেন। ’ (আত-তারগিব, হাদিস নং : ২৬১৬) প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো। কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়। ’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস নং : ৬২২০) এরপরে মহান আল্লাহ দিনের আরো বিভিন্ন সময়ের কছম করেছেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ وَ الَّیۡلِ اِذَا عَسۡعَسَ ﴿ۙ۱۷﴾ শপথ রাত্রির, যখন তার অবসান হয়।( সুরা তাকবীর ১৭) তিনি আরো বলেনঃ وَ الَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰی ۙ﴿۱﴾ শপথ রাত্রির, যখন তা আচ্ছন্ন করে।(সুরা লাইল১) মহান আল্লাহ বলেনঃ وَ الَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ﴿۲﴾ শপথ রাত্রির; যখন তা সমাচ্ছন্ন করে ফেলে।(সুরা দুহা ২) মহান আল্লাহ বলেনঃ وَ الَّیۡلِ وَ مَا وَسَقَ ﴿ۙ۱۷ এবং রজনীর আর তাতে যা কিছুর সমাবেশ ঘটে তার শপথ।(সুরা ইনশিকাক১৭) মহান আল্লাহ এখানে রাত্রির কছম করেছেন। রাত হলো মহা মূল্যবান। কিন্তু মূল্যবান হওয়ার কারনে আপনি রাতে পরিশ্রম করবেন সেটাও ঠিক নয়। কেননা আল্লাহ রাতকে সৃষ্টি করেছেন ঘুমের জন্য। তাই রাতের বেলার ঘুমটাও মহা মূল্যবান। রাতের বেলা যে ঘুমাতে পারে না তার মত অশান্তিতে আর কে আছে? আপনি যদি রাতে ঘুম না যান তাহলে আপনার শারীরিক যেমন ক্ষতি হবে এবং মানষিক ক্ষতিও হবে। আপনার দিনের কাজের ক্ষতি হবে। বিশেষ করে সকাল বেলার মুল্যবান সময়টা কাজে লাগাতে পারবেন না। স্বয়ং আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) সরিষা পরিমান সময়ও অপচয় করতেন না। তিনি কত ব্যস্ত ছিলেন, তিনি ছিলেন মহান নবী। কত বিশাল দায়িত্ব ছিলো উনার উপর অথচ তিনি ইশার পর আর জাগ্রত থাকতেন না। ইশা পড়েই ঘুমাতে যেতেন। অথচ আজ আমরা কি করছি? রাত যত গভীর হয় অনেকের কাজের একটিভিটি আরো বাড়তে থাকে৷ আর যুবক তরুনরাতো মোবাইলে সারা রাত কাটিয়ে দেয়। উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানা যায় সময় কত মুল্যবান। আপনার ধন সম্পদের চেয়েও মূল্যবান। আপনি আজ যে ধনসম্পদের পিছনে ঘুরছেন, আপনি যখন জান্নাতে যাবেন তখন এর চেয়ে কোটিগুন দামী নেয়ামত আল্লাহ আপনাকে দিবেন। কিন্তু দুনিয়ার হারানো সময়গুলো আপনি আর পাবেন না। যে ব্যক্তি বৃদ্ধ হয়ে যায়, সে হয়ত নিজ ছেলেদের মাধ্যমে বাড়ি গাড়ির মালিক হতে পারে, কিন্তু হারানো যৌবন সে আর ফিরে পায় না। সে যৌবনের যে সকাল গুলো ঘুমিয়ে কাটিয়েছে সে সকাল আর ফিরে পায় না। সময় অত্যান্ত দামী, বিশেষ করে সকাল বেলার সময়টা। আল্লাহ আমাদের সময়গুলো কে দ্বীনের কাজ লাগানোর তাওফিক দিন। আমিন। -বসুন্ধরা
نمایش همه...
জিহাদে নারীদের অবদান শায়েখ মুজাহিদ ইউসুফ বিন সালেহ আল উয়াইরী রহিমাহুল্লাহ্
نمایش همه...
জিহাদে নারীর অবদান.pdf7.10 KB
یک طرح متفاوت انتخاب کنید

طرح فعلی شما تنها برای 5 کانال تجزیه و تحلیل را مجاز می کند. برای بیشتر، لطفا یک طرح دیگر انتخاب کنید.