গাজওয়াতুল হিন্দ Gazwahtul hind

আবারো ফ্রান্স নতুন করে পত্রিকায় নবী সঃ কে অপমান করেছে। https://youtu.be/ig_b6xyRDWE চ্যানেলটাকে Subscribe করুন।

আসসালামু-আলাইকুম ওয়াঃ চ্যানেলটাকে Subscribe করুন https://m.youtube.com/watch?v=yXyEuSw010g&t=3s

নবীর অপমানের প্রতিবাদে শেরপুরে শুরু হচ্ছে আন্দোলন। https://youtu.be/TXKEHABKP58

গাজওয়াতুল হিন্দের আহবান Saheikh tamim al adnani @shahidijibon @sunnahbd @Banglawaz

ফ্রান্সের চার্লি হেবদো পত্রিকায় আবার নবী(সাঃ) কে ব্যঙ্গ করে কার্টুন একেছে। অটোমান সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের সময়ও তারা নবী(সাঃ) কে ব্যঙ্গ করে মঞ্চ নাটক করার চেষ্টা করে । যদি মঞ্চ নাটক করা হয় তাহলে সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের জিহাদে আকবরের ডাক দিবেন বলে ঘোষনা করেন। তারপর ফ্রান্স বাধ্য হয় সেই মঞ্চ নাটক বন্ধ করতে। আপসোস আজ সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের মতো যদি একজন নেতা থাকতো!

সেই শান্তিরদূত(!) ভদ্রবেশি বারাক দুই মেয়াদে ৮ বছর ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু, ইরাক ও আফগানে মার্কিন সৈন্যঘাটি রয়ে গেলো, গোয়ান্তানামো বন্ধ হলোনা। তার পূর্বসূরি বুশ হামলা করেছিলো মাত্র দুটি দেশ ইরাক ও আফগানে। অথচ, বারাক হামলা করলো লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়ামন, লেবানন, ফিলিস্তিন, সোমালিয়া, মিশর, পাকিস্তান, তুরষ্ক, মিন্দানাওয়ে। ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে বোমা হামলা করে পাকিস্হানের উপজাতি ও ইয়ামনের দরিদ্র মুসলমানদের জীবন দূর্বিষহ করে তুললো। পিকেকের বোমা হামলা ও রাজনৈতিক অস্হিরতা ছড়িয়ে দিয়ে অভ্যুত্থান ঘটাতে চাইলো তুরষ্কে। সেখানে ব্যর্থ হলেও সফল হলো মিশরে। রহস্যময় ও কুখ্যাত শক্তি আইএস এর উত্থান ছিলো টিম ওবামার আরেকটি সিক্রেট মিশন। মার্কিন অস্ত্র সহায়তায় গড়ে উঠা আইএসের মাধ্যমে নীরিহ মুসলিমদের হত্যা করা হলো। বাংলাদেশেও তার আচড় এসে লাগলো হোলি আর্টিজান হামলার মাধ্যমে! এরপর আইএস কে দেখিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিলো ইসলামোফোবিয়া আর মিডিয়া প্রোপাগাণ্ডা। অতঃপর, আইএস দমনের নামে সিরিয়া আর ইরাকে করা হলো নির্বিচার বিমান হামলা, পাঠানো হলো সেনা। আজ সিরিয়া নামের দেশটি রীতিমতো ধ্বংসস্তুপ! কয়েক কোটি সিরিয়ান পরিনত হয়েছে শরনার্থীতে। যারা ছিলো সম্ভ্রান্ত, শিক্ষিত, অভিজাত তারা এখন ইউরোপের রাস্তাঘাটে ভিক্ষা করে বেড়ায়। ওবামার আট বছরে ইজরেল গাজায় বড় আকারের সামরিক হামলা করেছে ৩ বার- ২০০৯, ২০১১,২০১৪। প্রতিবারই তাদের অর্থ ও বিমানভর্তি অস্ত্র দিয়ে সাহায্য ও কূটনৈতিক সমর্থন করেছে আমেরিকা। এমনকি ফিলিপিনের মিন্দানাও দ্বীপে মুসলিমদের স্বাধীনতা আন্দোলন দমানোর জন্য আমেরিকা সৈন্য প্রেরন করে,, যেটি আমরা অনেকেই জানিনা. তাছাড়া, ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্হাকে তলে তলে সমর্থন দিয়ে ভারতের হাতে ইজারা দিয়ে গেলো! এভাবেই বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হট্টগোল তৈরী করলো নোবেল পিস(!) লরিয়েট বারাক ওবামা। ততোদিনে অবশ্য গরিবের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গেছে. তারা মনে মনে বললো- 'ব্যাটা সাধুবেশে চোর অতিশয়'! অনেকে আফসোস করে বললো- হায়, এরচে তো জর্জ বুশই ভালো ছিলো! কাজেই আমেরিকার গদিতে কে আসলো-গেলো তাতে আমাদের খুব বেশি ফায়দা নেই। এরা একটা যদি হয় #নরক আরেকটা #দোজখ। একজন ডিরেক্ট জবাই করবে আরেকজন হয়তো জবাইয়ের আগে একটু পানি পান করতে দিবে। এতটুকুই শুধু পার্থক্য. মোটকথা, নিজেরা শক্তিশালী না হলে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে তৃতীয়বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর এসব সাম্রাজ্যবাদী অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি নেই।

হেফাজতের এই পুনরুত্থানের বড় প্রয়োজন ছিল। যথাসময়ে যথোচিত সিদ্ধান্ত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসবে আগামী দিনের বাংলার মুসলমানদের আপসহীন নেতা। সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। ইনশাআল্লাহ অভ্যন্তরীণ কোন্দল না হলে হেফাজত হবে আগের চাইতেও অনেক শক্তিশালী, আপসহীন ও বিশুদ্ধতাবাদী। আল্লাহ তাআলা এই গণজোয়ারকে কবুল করে নিন। কুফরি পরাশক্তির কথিত মূলধারার মোকাবিলায় হেফাজতকে মুসলমানদের জন্য মজবুত প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে দিন। ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দলের ব্যানার ভুলে ঐক্যের প্রতীকের ছায়াতলে সবাইকে একত্র হওয়ার তাওফিক দান করুন।

সুদানের তৌহিদী মুসলিম জনতা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

আল্লাহর রাসূলকে যে গালি দিবে সে নিঃসন্দেহে মুরতাদ ও কাফের এ বিষয়ে উম্মাহ একমত। যে ব্যক্তি গালি দিবে তার উপর নিঃসন্দেহে শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। আর তার শাস্তি হলো হত্যা,যদিও সে তওবা করে। তার তওবা আল্লাহর কাছে সোপর্দ করা হবে।এবং ওই ব্যক্তির ওপর শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে যাতে অন্যরা সতর্ক হয়। -শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারেফি হাফিঃ