cookie

Utilizamos cookies para mejorar tu experiencia de navegación. Al hacer clic en "Aceptar todo", aceptas el uso de cookies.

avatar

মুহাম্মাদ আবিদ

(আবিদ, আমার Pen name)

Mostrar más
Bangladesh8 221Bengalí5 840La categoría no está especificada
Publicaciones publicitarias
491
Suscriptores
Sin datos24 horas
+87 días
-230 días

Carga de datos en curso...

Tasa de crecimiento de suscriptores

Carga de datos en curso...

Repost from Mohammad Abid
Photo unavailableShow in Telegram
নিরব নিবৃত্ত কোলাহলহীন এক গ্রাম্য জীবন আমি চেয়েছিলাম, চেয়েছিলাম রোজ ফজরের পর বাগানের ফুলদের সাথে জমবে আমার আড্ডা, ধীর গতির নদের পাড়ে বসে উদোম গতরে বাতাস লাগিয়ে ঘুম দিতে চেয়েছিলাম আমি, চাইনি এই দূরত্ব আর শব্দে ভরপুর নগরে একাকীত্ব আর বেদনা।
Mostrar todo...
10💔 5👍 3
ফরিদপুর
Mostrar todo...
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: سِبَابُ الْـمُسْلِمِ فُسُوْقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ. ‘‘কোন মুসলিমকে গালি দেয়া আল্লাহ্’র অবাধ্যতা এবং তাকে হত্যা করা কুফরি’’। (বুখারী ৪৮; মুসলিম ৬৪)
Mostrar todo...
👍 3
Photo unavailableShow in Telegram
সবাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত? - হ্যাঁ। যথেষ্ট, সবাইকে সাথে নিয়েই চলবো।
Mostrar todo...
23👍 4🔥 2
সিরিয়ার গণহত্যা (হাফিজ আল-আসাদ ও বাশার আল-আসাদ এর আমল) জিসর আশ-শুগুর গণহত্যা (১৯৮০) https://t.me/News_and_Analysis/601
Mostrar todo...
কমেন্ট করার অপশন চালু করলাম
Mostrar todo...
3👍 1
পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান হয়, বাংলাদেশে হয়, ভারতে হয় না কেন? https://t.me/abidmohammad2/120
Mostrar todo...
মুহাম্মাদ আবিদ

ভারতে সামরিক অভ্যুত্থান! পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান হয়, বাংলাদেশে হয়, ভারতে হয় না কেন? প্রশ্নটা বহুত পুরনো। বাংলাদেশে সামরিক অভুত্থ্যান হয়েছে, বার্মাতে তো হয়েই আছে। পাকিস্তানে এই পর্যন্ত ৪ বার মার্শাল ল জারি হয়েছে। নানা আঙ্গিকে এখনো হয়েই চলছে। পাশাপাশি দেশ হওয়ার পরও ইন্ডিয়াতে এখন পর্যন্ত একবারও সামরিক অভ্যুত্থান তো দূরের কথা, দৃশ্যমান প্রচেষ্টা পর্যন্ত হয়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কাতেও ১৯৬৬ সালে একবার সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা হয়েছিল, সেটাকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছিল। অভ্যুত্থানের প্রধান কুশীলব জেনারেল রিচার্ড ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতার করে সাজা দেয়া হয়েছে। কেন? এক ইন্ডিয়ান ল্যাপটেন্যান্ট জেনারেল এস টি ভার্মা লিখেছেন, ১৯৬০ সালে যখন আমার বন্ধু আর্মি চীপ জেনারেল থিমায়ার সাথে মনখুলে গপশপ করার ইচ্ছা হত, তখন আমরা নাগিন ঝিল (লেক)-এ চলে যেতাম। সেখানে একটা বোট নিয়ে ঝিলের মাঝামাঝি গিয়ে মনের কথা খুলে বলতাম। এছাড়া ঘরে-বাইরে আর কোথাও মনের কথা বলাটা নিরাপদ বোধ করতাম না। এই ঘটনা আইসবার্গের মাথা। ভারতে সামরিক বাহিনী কেমন নজরদারিতে থাকে, তার ছোট্ট এক নমুনা। ভারতে কেন সামরিক অভ্যুত্থান হয় না, এর কারণ খুঁজতে একটু পেছনে যেতে হবে। ব্রিটিশ…

3
৯: লেয়াকত আলি খানা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর, ১৯৫৩ সালে জেনারেল আইয়ুব খান ও ইস্কান্দার মির্জা যখন পাকিস্তানের শীর্ষ ক্ষমতায়, তখন জে. আইয়ুব খান আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জেনারেল আইয়ুব খানকে তাদের সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রশস্ত্র দেখাতে শুরু করল। আইয়ুব খানের এসব দেখার প্রতি আগ্রহ ছিল না। তিনি বারবার একটা কথাই বোঝাতে চাচ্ছিলেন, আমেরিকা যদি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করে, তাহলে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা আমেরিকার কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে লড়তে পারবে। জেনালের আইয়ুব বোঝাতে চাচ্ছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নকে মধ্যএশিয়া পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তান হয়ে ‘গরম পানি’ পর্যন্ত বাধা দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে আমেরিকার দরকার। পাকফৌজও এই কাজে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত। সোভিয়েতকে গরমপানি পর্যন্ত পৌঁছা ঠেকানোর এই পরিকল্পনা পাকবাহিনীর নিজস্ব উদ্ভাবন নয়। এই চিন্তা আরো একশ বছর বা তারও আগে থেকেই ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে ছিল। তারা রুশ সা¤্রাজ্যকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য অনেক কিছু করেছিল। জেনালের আইয়ুব খান যখন দেখলেন মার্কিন কর্তৃপক্ষ তার কথায় কান দিচ্ছে না। তাকে শুধু সেনা ছাউনি, ক্যান্টনমেন্ট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। জেনারেল খান শেষে অতিষ্ঠ হয়ে মার্কিন সহকারি স্বরাষ্ট্র সচিব হেনরি বেরওয়াডকে বললেন: খোদার কসম, আমি এখানে সেনাব্যারাক দেখার জন্য আসিনি। আমাদের সেনা আপনাদের সেনা হতে পারে, যদি আপনার চান। অর্থাৎ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই, পাকনেতারা দেশের অর্থনীতি মজবুতির দিকে মনোযোগ না দিয়ে, মজবুত সেনাবাহিনী গঠনের দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়েছিলেন। পাকনেতাদের আগ্রহ ছিল, কীভাবে নিজেদের সেনাশক্তি ব্যবহার করে, বিশে^র পরাশক্তিগুলোর কাছ থেকে আরো বেশি সুবিধা অর্জন করা যায়। ব্যবসাবাণিজ্য, শিক্ষা, শিল্পোন্নয়নের প্রতি তুলনামূলক কম মনোযোগ দেয়া হয়েছিল। এজন্য দেখা যায়, বর্তমানেও বিশে^র দেশ ও সরকারগুলোর কাছে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সম্পর্কের চেয়ে, পাক জেনারেলদের সাথে সম্পর্কের গুরুত্ব বেশি। পুরো দুনিয়া পাকিস্তানকে ‘গ্যারিসন স্টেট’ বা সামরিক দেশ হিসেবে দেখে; ২২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে নয়। এসব কারণে পাক অর্থনীতি অনবরত ধুঁকতে থাকে আর মার্শাল ল বারবার ফুঁসতে থাকে। ১০: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই কেন অনবরত আইএমএফ ও অন্যান্য বিশ^সংস্থার কাছে ঋণগ্রস্ত থাকে? প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত পাকিস্তান কেন ২২ বার আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য ধর্না দিয়েছে? এছাড়া আমেরিকা, চীন, জাপান, আরবদেশগুলোর কাছ থেকে নেয়া ঋণ তো আছেই। আর কোনো দেশ এতবেশি বার এইএমএফের কাছে গিয়েছে কি না সন্দেহ আছে। অন্য কোনো দেশ গেলেও পাকিস্তান প্রথম দুইতিন দেশের মধ্যেই থাকবে। উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর এই হতে পারে, ক: প্রথম দিন থেকেই এতবড় বাহিনী পোষার মতো পর্যাপ্ত টাকা পাকিস্তানের হাতে ছিল না। কায়েদে আজমকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমেরিকার দ্বারস্থ হতে হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক দূরবস্থার দিকে তাকিয়ে, পাকবাহিনী নিজেই নিজের খরচ সংগ্রহ করার কাজে নেমে পড়েছিল। এ কারণে তাদের মধ্যে একধরণের স্বায়ত্বশাসনের ভাব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। আর শুরু থেকেই ‘পাকবাহিনী’ খোদ পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রপ্তানীযোগ্য ‘পণ্যে’ রূপান্তরিত হয়েছিল। খ: পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সমস্যার আরেকটি বড় কারণ, দেশভাগের সময় পাকিস্তানের ভাগে একটা উল্লেখযোগ্য শিল্পনগরী পড়েনি। কলকাতা, বোম্বাই, মাদরাস সবই ভারতের হাতে চলে গিয়েছিল। পাকিস্তানকে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হয়েছিল। দেশভাগের পর মূলত পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল। অন্যদিকে ইন্ডিয়া আগের আসল রাষ্ট্রই থেকে গিয়েছিল। তাদের নতুন করে কিছু করতে হয়নি। গ: ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তান দুই টুকরা হয়ে গেল, একধাক্কায় দেশের জনসংখ্যা অর্ধেকের চেয়েও কমে গেল, তখনও সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় আগের মতোই থেকে গিয়েছিল। বাঙালি সেনা খুবই কম ছিল। ভৌগলিকভাবে পাকিস্তান ছোট হয়ে গিয়েছিল। এটাও পাক অর্থনীতির ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করেছিল। ঘ: পাকনেতারা শুরু থেকেই মারাত্মক এক ভুল বারবার করে আসছিল, সেটা হল প্রতিবেশির সাথে চলমান সামরিক ও সীমান্ত বিবাদের সাথে বাণিজ্যকেও জুড়ে দেয়া। প্রতিবেশির সাথে যুদ্ধ-সংঘাত হয়েছে? ব্যস লেনদেন বন্ধ। আমদানি-রফতানি বন্ধ। অথচ বিশে^র অন্য দেশ ও জাতির দিকে তাকালে এর ব্যতিক্রম চিত্রই দেখা মেলে। তাইওয়ানের সাথে চীনের চিরবৈরিতা। তারপরও তাইওয়ানের সাথে চীন প্রতিবছর ১৮৯ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে। দুইদেশে পর্যটক আসাযাওয়াতেও কোনো বাধা নেই। ভারতের সাথেও চীনের যুদ্ধ হয়েছে। এটাসেটা নিয়ে খিটিমিটি লেগেই আছে। ১০-টিরও বেশি স্থানে সীমান্তবিরোধ লেগে আছে। অরুনাচল, সিকিম, তিব্বত, আকসাই চীনে নিয়ে রেষারেষি চলছেই। এসব সত্ত্বেও ইন্ডিয়ার সাথে প্রতি বছর ১৪০ বিলিয়নের বেশি আমদানি-রপ্তানী লেনদেন হয়। আমেরিকা স্বাধীন হয়েছিল ব্রিটেন থেকে। অত্যন্ত রক্তক্ষয়ী লড়াই করে আমেরিকা স্বাধীন হয়েছিল। তারপরও আমেরিকা একদিনের জন্যও বাণিজ্য বন্ধ
Mostrar todo...
ভারতে সামরিক অভ্যুত্থান! পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান হয়, বাংলাদেশে হয়, ভারতে হয় না কেন? প্রশ্নটা বহুত পুরনো। বাংলাদেশে সামরিক অভুত্থ্যান হয়েছে, বার্মাতে তো হয়েই আছে। পাকিস্তানে এই পর্যন্ত ৪ বার মার্শাল ল জারি হয়েছে। নানা আঙ্গিকে এখনো হয়েই চলছে। পাশাপাশি দেশ হওয়ার পরও ইন্ডিয়াতে এখন পর্যন্ত একবারও সামরিক অভ্যুত্থান তো দূরের কথা, দৃশ্যমান প্রচেষ্টা পর্যন্ত হয়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কাতেও ১৯৬৬ সালে একবার সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা হয়েছিল, সেটাকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছিল। অভ্যুত্থানের প্রধান কুশীলব জেনারেল রিচার্ড ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতার করে সাজা দেয়া হয়েছে। কেন? এক ইন্ডিয়ান ল্যাপটেন্যান্ট জেনারেল এস টি ভার্মা লিখেছেন, ১৯৬০ সালে যখন আমার বন্ধু আর্মি চীপ জেনারেল থিমায়ার সাথে মনখুলে গপশপ করার ইচ্ছা হত, তখন আমরা নাগিন ঝিল (লেক)-এ চলে যেতাম। সেখানে একটা বোট নিয়ে ঝিলের মাঝামাঝি গিয়ে মনের কথা খুলে বলতাম। এছাড়া ঘরে-বাইরে আর কোথাও মনের কথা বলাটা নিরাপদ বোধ করতাম না। এই ঘটনা আইসবার্গের মাথা। ভারতে সামরিক বাহিনী কেমন নজরদারিতে থাকে, তার ছোট্ট এক নমুনা। ভারতে কেন সামরিক অভ্যুত্থান হয় না, এর কারণ খুঁজতে একটু পেছনে যেতে হবে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি রাজকীয় সেনাবাহিনী (Imperial Army) দরকার ছিল। পিপলস আর্মি বা জনগণের সুরক্ষার জন্য নয়, সাম্রাজ্য ও সম্রাটকে রক্ষা করার জন্য বাহিনী দরকার ছিল। ব্রিটিশরা এমন সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চেয়েছিল, যার শতভাগ আনুগত্য থাকবে রাজার প্রতি, উপনিবেশ স্থাপনকারী মনিবের প্রতি, ব্রিটিশ এম্পায়ারের প্রতি। এজন্য তারা নতুন সেনা ও অফিসার রিক্রুট করার সময় ইংরেজরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে একটি নীতিমালা মেনে চলত। তারা ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকেই নতুন সদস্য সংগ্রহ করত। ইংরেজরা হিন্দুস্তানের এলাকাগুলোকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে নিয়েছিল, ১: মার্শাল রেস। যোদ্ধাজাতি। এই দলে ছিল শিখ, মুসলিম পাঞ্জাবি, হিন্দু জাট, ডোগরা, গোর্খা, ঘরওয়াল, পাঠান, আফ্রিদি। ব্রিটিশরা এই জাতিগোষ্ঠির লোকজনকেই সেনাবিভাগে ভর্তি করাত। এজন্য আমরা দেখব ব্রিটিশ আর্মির বিপুল সংখ্যক সদস্য পাঞ্জাবের পোটোহার বা উত্তরাঞ্চল থেকে রিক্রুট করা হয়েছে। নেপালের গোর্খাদের থেকে রিক্রুট করা হয়েছে। এরই বাইরে হিন্দুস্তানের অন্য এলাকা থেকে নামমাত্র সেনা রিক্রুট করা হয়েছে। ইংরেজ এই কাজ জেনেবুঝে, পরিকল্পিতভাবে করত। ২: ননমার্শাল রেস। অযোদ্ধাজাতি। এদের থেকে সেনা রিক্রুট করা হত না। নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ভর্তি হওয়ার কারণে, নিজ রেজিমেন্টের সবাই শুধু নিজ এলাকার খবরাখবর পেতো। দেশের বাকি অঞ্চল সম্পর্কে বেখবর থাকত। অন্য এলাকার প্রতি তাদের এতটা মায়া বা দুর্বলতাও থাকত না। এখানেও ইংরেজদের বহুল ব্যবহৃত ডিভাইড এন্ড রুল পলিসির কথা প্রযোজ্য। সেনারা ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার মানুষ দেখতে দেখতে, তারা একটা পরিবারের মতো হয়ে যেত। নিজেদেরকে বিশেষ কিছু ভাবতে শুরু করত। নিজেদেরকে অন্যদের তুলনায় সেরা মনে হত। কখনো গুলি চালানোর হুকুম হলে, তারা গুলি চালাতে দ্বিধায় ভুগত না। তারা তো পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করত না। দেশের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতাই ছিল না। তাদের সমস্ত আনুগত্য, আন্তরিকতা ছিল স¤্রাটের জন্য। ব্রিটিশরাজের জন্য। তাদের অভিধানে নিজের জন্মাঞ্চল ছাড়া পাকভারতবাংলার সমস্ত অঞ্চলই বিদেশ। ভিনদেশ। হিন্দুস্তানের মতো আফ্রিকার টোগো, ঘানা ও নাইজেরিয়াতেও বেশিরভাগ সেনাসদস্য সেসব দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে ভর্তি করাত। ইরাকে শীয়া জনসংখ্যা বিপুল হলেও, সেনাবাহিনীতে বেশিরভাগ সুন্নী মুসলিম গোত্র থেকে রিক্রুট করা হত। ফরাসিরা সিরিয়াতেও এমন করেছিল। সিরিয়ান সেনা অফিসার বেশিরভাগই সংখ্যালঘু আলাবি শিয়া সম্প্রদায় থেকে রিক্রুট করা হত। ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে পরিবর্তন এসেছিল ১৯৪৬ সালে নির্বাচনের পর। জওহরলাল নেহেরু সরকার প্রধান হয়েছিলেন। তাকে ভাইসরয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট বানানো হয়েছিল। এই পদ ক্ষমতার দিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদের সমান ছিল। এই হিসেবে নেহেরুকে অখ- হিন্দুস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলা যেতে পারে। দায়িত্ব গ্রহণের পর ১২ সেপ্টেম্বরে আর্মির কমান্ডার ইন চীপ ও প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠিতে ইন্ডিয়ান আর্মিকে আমূল বদলে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। চিঠির জবাবে পন্ডিত নেহেরুকে বলা হল, আপনার প্রস্তাব মানা হলে ব্রিটিশ আর্মির খোলনলচেই বদলে যাবে। নেহেরু তো সেটাই চাচ্ছিলেন। তিনি বারবার প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের তাকিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার কথা ছিল, হিন্দুস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর এই সংস্কার করতেই হবে। ব্রিটিশরাজকে নিজের প্রস্তাব মানাতে না পারলেও, ইন্ডিয়া স্বাধীন হওয়ার পর, আর্মির সংস্কার করেই ছেড়েছেন। পন্ডিত মশায়ের সংস্কারগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই প্রশ্নের উত্তর মিলে যাবে, কেন ভারতে আর্মি ক্যু হয় না আর পাক-বাংলা-বার্মায় অনবরত ক্যু লেগেই থাকে।
Mostrar todo...
👍 1
Elige un Plan Diferente

Tu plan actual sólo permite el análisis de 5 canales. Para obtener más, elige otro plan.