Dr. M R Sifat

🚨 ব্রেকিং! স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলা। #QuotaRefromMovement

কত বড় জানোয়ার

🚨 ব্রেকিং! মিরপুর ১০ এ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা! - দুপুর ২টা ১০ #QuotaRefromMovement

বেশ কয়েকজন যুবক। এই যুবকেরা কারা তা নিষ্পাপ আলাভোলা প্রথম আলো জানে না। কী কিউট।

"A prince can never make himself secure against a hostile people, because there are too many of them; but he can make himself secure against the nobles, as they are few in number" - Niccolò Machiavelli মাকিয়াভেলির দর্শন অনুযায়ী, শাসক যদি সকলকে সন্তুষ্ট করতে না পারেন, তবে তিনি কিছু বিশেষ অনুগত ব্যক্তিদের সন্তুষ্ট রাখেন, যারা তার হয়ে বাকিদের নিয়ন্ত্রণ করবে এই অনুগত অভিজাতরাও একদিন দল বদল করতে পারে। বুদ্ধি হচ্ছে সবসময় নিজেদের স্বার্থে একদল 'অভিজাত' কৃত্তিম ভাবে ম্যানুফ্যাকচার করতে হবে ও এদের পেলে-পুষে আদর যত্ন সুবিধা দিয়ে নিজের পক্ষে রাখতে হবে। এই উপায়টার নাম Patronage Politics গরীব দেশ, রিসোর্স কম। চাইলেও সবাইকে গোশপোলাও খাওয়াতে পারবেন না। সুতরাং কয়েকজনকে ভালোমতন লুটতে দিবেন, অপরাধ ইগনোর করবেন। শর্ত জুড়ে দিবেন যে বাকিদের লাগাম যেন ধরে রাখে। ব্লাডলাইনের লোকদের মন্ত্রী-ফন্ত্রী বানান, বড় পদ দিন- বেঈমানির আশঙ্কা কমবে। আর কোটাফোটা তৈরি করে ব্যুরোক্রেসিতে নিজেদের 'বিশ্বস্ত' লোক ও চেতনা-ভাইপোদের ঢোকাতে পারলে তো কথাই নাই। সুচতুর ভাবে ভার্সিটিকে পোনা-ভাইপোদের আঁতুড়ঘর বানাবেন। নতুন নতুন ভাইপো রিক্রুট করে ওদের ওদের দিয়ে মাকিয়াভেলির বর্ণিত সেই 'hostile people' দের কামড় দেয়ার সক্ষমতা ও বিশ্বস্ততা পরীক্ষা করবেন। এদের চাক্কি দিবেন, দ্রুত প্রমোশন দিয়ে উপরে নিবেন। সিস্টেমের ভেতর থেকেই আরো নতুন পটেনশিয়াল অভিজাত ছানাপোনা উঠে আসবে, লীগ্যাসি অব্যহত থাকবে। সবাই ভালো থাকবে, ম্রা খাবে জনগণ। 'কোটা সিস্টেম' হলো সেই প্যাট্রনেজ পলিটিক্সের একটা অংশ... © Omar Bin Mahtab

‎ ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, যখনই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে যাবার ইরাদা করতেন, তখনই স্ত্রীগণের মাঝে লটারী করতেন। এক সফরের সময় ‘আয়িশা (রাঃ) এবং হাফসাহ (রাঃ) - এর নাম লটারীতে ওঠে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর রীতি ছিল যখন রাত হত তখন ‘আয়িশা (রাঃ) - এর সঙ্গে এক সওয়ারীতে আরোহণ করতেন এবং তাঁর সাথে কথা বলতে বলতে পথ চলতেন। এক রাতে হাফসাহ (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) - কে বললেন, আজ রাতে তুমি কি আমার উটে আরোহণ করবে এবং আমি তোমার উটে, যাতে করে আমি তোমাকে এবং তুমি আমাকে এক নতুন অবস্থায় দেখতে পাবে? ‘আয়িশা (রাঃ) উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমি রাযী আছি। সে হিসাবে ‘আয়িশা (রাঃ) হাফসাহ (রাঃ) - এর উটে এবং হাফসাহ (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) - এর উটে সওয়ার হলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নির্ধারিত উটের কাছে এলেন, যার ওপর হাফসাহ (রাঃ) বসা ছিলেন। তিনি তাকে সালাম দিলেন এবং তাঁর পার্শ্বে বসে সফর করলেন। পথিমধ্যে এক স্থানে সবাই অবতরণ করলেন। ‘আয়িশা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হলেন। যখন তাঁরা সকলেই অবতরণ করলেন তখন ‘আয়িশা (রাঃ) নিজ পা দু’টি ‘ইযখির’ নামক ঘাসের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ্! তুমি আমার জন্য কোন সাপ বা বিচ্ছু পাঠিয়ে দাও, যাতে আমাকে দংশন করে। কেননা, আমি এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে কিছু বলতে পারব না। [মুসলিম ৪৪/১৩, হাঃ ২৪৪৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৩১) সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫২১১ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com

বরকতময় মাস জিলহজ্জ শেষে শুরু হতে যাচ্ছে হিজরী সনের প্রথম মাস 'মুহাররামুল হারাম' তথা সম্মাণিত মুহাররাম মাস। হিজরী সনের চারটি বিশেষ সম্মাণিত মাস হল, মুহাররাম, রজব, জিলক্বদ ও যিলহজ্জ। এ মাসগুলোকে ইসলামী শরীয়তে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। আর সে জন্যই এ মাস গুলোতে  আল্লাহ তা'আলা যুদ্ধবিগ্রহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই মাস গুলোকে কুরআনুল কারীমে 'আশহুরে হুরুম' বা 'সম্মাণিত মাস সমূহ' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গণনায় মাস বারটি, তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। এটি সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এ নিষিদ্ধ মাসগুলোর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না।" [সূরা তাওবা, আয়াত, ৩৬।] মুহাররাম মাসকে সহীহ হাদীসে ‘আল্লাহর মাস’ বলা হয়েছে এবং এ মাসের নফল সিয়াম সর্বোত্তম নফল সিয়াম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সহীহ মুসলিমে সংকলিত হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রামাদানের পরে সর্বোত্তম সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মুহাররাম মাস। [সহীহ মুসলিম-১১৬৩] মুহাররাম মাসের ১০ তারিখ আশুরার দিনে সিয়াম পালনের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আশুরার সিয়াম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এ দিনের সিয়াম গত এক বছরের পাপ মার্জনা করে। [সহীহ মুসলিম-১১৬২] এই দিনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সিয়াম পালন করতেন, তাঁর উম্মাতকে সিয়াম পালনে উৎসাহ দিয়েছেন এবং ১০ তারিখের সাথে সাথে ৯ বা ১১ তারিখেও সিয়াম পালন করতে উৎসাহ দিয়েছেন। [ইবনু রাজাব, লাতাইফ ১/৬৮-৭৬; আব্দুল হাই লাখনবী, আল-আসার, পৃ. ৯১-৯৪।] এছাড়াও সহীহ হাদিস দ্বারা জানা যায় যে,  আশুরার দিনে মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সঙ্গী বনী ইসরাঈলকে ফিরাউনের হাত থেকে উদ্ধার করেন এবং ফিরাউন ও তার সঙ্গীদেরকে ডুবিয়ে দেন। [বুখারী, আস-সহীহ ২/৭০৪, ৩/১২৪৪; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৭৯৬] আশুরার সিয়ামের উৎসাহ দেয়া হলেও, হাদীসে আশুরার দিনে বা রাত্রে বিশেষ কোনো সালাতকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। হ্যা, এই দিনে বেশী বেশী আল্লাহর ইবাদত অবশ্যই কাম্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে মুহাররাম এর মত সম্মাণিত মাসের হক আদায়ের তাওফিক দান করুন, আমীন। সুম্মা আমীন। © IOM- Islamic Online Madrasah

ধার্মিক এক যুবক, দ্বীনদার এক মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মেয়ের বাবা প্রস্তাব মেনে নেন নি, কারণ ছেলেটা ছিল গরীব! কিছুদিন পরে আরেকজন যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেয়। যদিও সে ধনী ছিল, কিন্তু তার পাপের কথা লোকদের অজানা ছিল না। অথচ মেয়ের বাবা প্রস্তাবটি সাথে সাথে মেনে নেন! মেয়ে বিয়েতে অমত পোষণ করলে বাবা তাকে বার বার বোঝাতে লাগলেন। বললেন, “দেখ, আল্লাহই তাকে হেদায়েত দিবেন।” একথা শুনে মেয়েটি বলল, “যিনি হেদায়েত দানের মালিক, তিনি কি রিযিক দানের মালিক নন?” — শায়খ আল মুনাজ্জিদ (হাফি.) [থেকে Daily Fawaid থেকে সংগৃহীত এবং অনূদিত] Collected from - muslim's diary