ওমর আল মুখতার
"তোমরা কি ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ আল্লাহ এখন পর্যন্তও পরখ করেননি তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে আর কারা ধৈর্যশীল।" (সূরা. আল ইমরান)
Show moreThe country is not specifiedThe language is not specifiedThe category is not specified
209Subscribers
No data24 hours
No data7 days
No data30 days
- Subscribers
- Post coverage
- ER - engagement ratio
Data loading in progress...
Subscriber growth rate
Data loading in progress...
দারুল ইলম (ওয়েবসাইট)
এখানে মুজাহিদিন শায়খদের রিসালাহ, বই, বয়ান, ফতোয়া ইত্যাদি বিষয়াদি রাখা হয়েছে। শায়খ মাকদিসি, শায়খ আবু কাতাদা, শায়খ আব্দুল হাকিম হাসান, শায়খ ফিজাজিদের সকল সংক্ষিপ্ত রিসালাহ ও অন্যান্য মুজাহিদিন শায়খদের প্রাসঙ্গিক রচনা/ফতোয়ার সংকলন জমা করা হবে ইন...। আল্লাহ তাওফিকদাতা।
darulilm.org
আল ফজর (তানজিমের ভাইরা যাতে এখানের সকল প্রকাশনা নিয়মিত পড়েন এব্যাপারে অনুরোধ করছি)
মানহাজ সংক্রান্ত মৌলিক আলোচনা
alfajrbangla.wordpress.com
সংশয় নিরসন
আকিদা ও জিহাদ সংক্রান্ত সংশয় নিরসন
https://www.youtube.com/channel/UCXmGXjCzlqWEmzalnYk4pPg
আকিদা ও মানহাজ সংক্রান্ত আম আলোচনা
https://www.youtube.com/channel/UCd0gkIThImCiRcirYav7xYA
বুরকান মিডিয়ার নতুন সাইট
https://burqanmedia.blogspot.com
নাশিদ
allnasheed.com
মুজাহীদিনমিডিয়া
https://mujahideenmedia.wordpress.com/
আল-মাগাযীমিডিয়া
https://almagazimedia.wordpress.co/
মিল্লাতেইব্রহিম
https://millateibrahimbd.wordpress.com/
স্বাধীনমিডিয়া
http://shadeenmedia.wordpress.com/2016/10/16/
আল-ফাতাহ্
https://alfatahblog.wordpress.com/category/
আল-ফুরসানমিডিয়া
https://fursanmedia.wordpress.com/
ইসাবাহমিডিয়া
https://esabahmediabd.wordpress.com/category/
আরবি নাশিদ প্রেমিদের জন্য দুটি টেলিগ্রাম চেনেল, যাতে প্রায়৩০০-৫০০ নাশিদ পাবেন
@enashed_1
ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান
https://alemarah-english.com/
ইসলামিক ছোট ছোট ভিডিওপাওয়া যায় এমন কিছু সাইটেরলিস্ট!!!
https://www.dawahilallah.com/showthread.php?7549
২০.টি ইউটিউবঃ চ্যানেল লিস্ট...! দ্বীনী ভাইদের কাছে প্রচার করুন, দাওয়াহ কাজে অংশ নিন।
https://82.221.139.217/showthread.php?8133
২০.টি টেলিগ্রাম চ্যানেল লিস্ট...! দ্বীনী ভাইদের কাছে প্রচার করুন, দাওয়াহ কাজে অংশ নিন।
https://82.221.139.217/showthread.php?8134
অতি গুরুত্বপূর্ণ ৪০.টি ওয়েবসাইট লিস্ট..! দ্বীনী ভাইদের কাছে প্রচার করুন, দাওয়াহ কাজে অংশ নিন।
https://82.221.139.217/showthread.php?8132
বি:দ্র: 👆এই লিংক টা সেইভ করে রাখুন
https://gurabamedia.word
press.com/
২৪/সালাউদ্দিনের ঘোড়া
https://salauddinerghora
.wordpress.com/
২৫/তোহফা মিডিয়া
https://tohfamedia.wordpress.com/
২৬/মিল্লাতে ইব্রহিম
https://millateibrahimbd
.wordpress.com/
২৭/গাজাওয়া তুল হিন্দ
http://gazwah.net/
২৮/আল-ফুরসান মিডিয়া
https://fursanmedia.wordpress.com/
২৯/স্বাধীন মিডিয়া
https://shadeenmedia.wor
dpress.com/2016/10/16/
৩০/আল-ফাতাহ্
https://alfatahblog.wordpress.com/
/category
গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883
১) আল-কায়দার বাংলা ফোরাম "দাওয়াহ ইলল্লাহ"
লিংক- https://82.221.139.217/ অথবা https://dawahilallah.com/
২) গাজওয়াতুল হিন্দ (বাংলা)
লিংক- https://gazwah.net/ অথবা https://82.221.136.58/
৩) মুজাহিদদের সংবাদের ওয়েবসাইট "আল-ফিরদাউস" (বাংলা)
লিংক- https://alfirdaws.org/
৪) ইসলামি হিন্দ (বাংলা)
লিংক- https://islamihind.com/bn/
৫) ইসলামি হিন্দ (হিন্দি)
লিংক- https://islamihind.com/hi/
৬) ইসলামি হিন্দ (উর্দু)
লিংক- https://islamihind.com/ur/
৭) তালেবান মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (পাশতু)
লিংক- https://alemarahpashto.com/
৮) তালেবান মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (উর্দু)
লিংক- https://alemarahurdu.org/
৯) তালেবান মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
লিংক- https://alemarahenglish.net/
১০) তালেবান মুজাহিদদের ভিডিও-এর ওয়েবসাইট (পাশতু,আরবি,উর্দু,ইংরেজি)
লিংক- https://ieavideo.com/
১১) সিরিয়ায় হিজরতকৃত উইঘুর মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (উইঘুর,আরবি)
লিংক- https://muhsinlar.net/
১২) আল-কায়দার ওয়েবসাইট
লিংক- https://sahabmedia.co/
১৩) আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের ওয়েবসাইট (উর্দু,বাংলা)
লিংক- https://matboaatejihad.net/
১৪) 'তেহেরিকে তালেবান পাকিস্তান' মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (উর্দু)
লিংক- https://umarmedia.co/
১৫) বিভিন্ন মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (বিভিন্ন ভাষা)
লিংক- https://www.alizzaa.net/
১৬) আল আনসার মুজাহিদদের ওয়েবসাইট (আরবি)
লিংক- https://alaansaar.com/
১৭) মালাহিম ইনফু (আরবি)
লিংক- https://malahim.info/
‼️ শোক_সংবাদ ‼️
🔺ইস'লামিক ইমা'রত আফ*গান এর মুখপাত্র এবং তথ্য ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী জা*বি"হু*ল্লাহ মু*জা*হি"দের মা মারা গেছেন🔺
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন 💔
আল্লাহ ওনাকে জান্নাতের উচ্চমাকাম দান করুন আমিন।
কিছু ভালোবাসার অনুভূতি আছে এমন যা হাজার চেষ্টা করেও ভাষায় রূপান্তরিত করে প্রকাশ করা যায় না!
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর শহর আল-মাদিনা আল-মনোওয়ারা'র প্রতি ভালোবাসার অনুভূতিটাও ঠিক সেরকম, প্রকাশ করা যায় না।
মদীনা...
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা খাস করে খুবই অল্প সময় অতিবাহিত করার তাওফিক দান করেছিলেন সেখানে। কিন্তু সেই অল্প সময়ের ভালোবাসাটা এত গভীর এবং নিখাঁদ হয়ে যাবে তা তো বুঝতেই পারিনি।
আর হবেই বা না কেনো! মদিনার প্রতি প্রেম তো আল্লাহর রাসূল সাইয়্যিদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন,
اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ...
❝হে আল্লাহ্! মদীনাকে আমাদের নিকট মাক্কার মত বা তার চেয়েও বেশি প্রিয় করে দাও!❞
(সহিহ বুখারী, ১৮৮৯)
ইয়া রাসূলাল্লাহ্...
মদীনা যে আমার নিকট গোটা জমিনের সমস্তকিছুর চেয়েও বেশি প্রিয়, কারণ সেখানে রওজা মুবারকে যে আপনি শুয়ে আছেন!
"হাম তো আপকি ওয়াফাদার হুঁ"!
❝আল্লাহুম্মারযুক্বনি শাহাদাতান ফি-সাবিলিক, ওজা'য়াল মাওতি ফি-বালাদি রাসূলিক (সাঃ)❞
ইয়া আল্লাহ্...
মৃত্যু অবধি এই মহব্বতের দরিয়ায় ডুব দিয়ে থেকে ঈমানি হালতে আল্লাহ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শহরেই আখিরাতের সফর শুরু করার তাউফিক দান করুন, আমীন ইয়া রাব্বাল 'আলামীন।
সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম 💚
.
.
– নু'য়াইম বিন মুকাররিম
অর্থাৎ তারা উক্ত কাজ থেকে ফিরে এলে তাদেরকে বেত্রাঘাত করা হবে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করার পর তারা বলল, “মদ তো হারাম…”।
তাদের এই স্বীকারোক্তির পর তাদের বেত্রাঘাত করা হল এবং বিষয়টি চুকে গেল। তাদের ভুল জানিয়ে দেওয়া হল ও তাদের কাছেও স্পষ্ট করে দেওয়া হল।
(صَبِيغُ بْنُ عَسَلٍ) সাবীগ ইবনে আসালের বিষয়টি এমন ছিল। এই ব্যক্তি কিছু বক্তব্য প্রচার করেছিল, যা সরাসরি হকের বিরোধী। তিনি বলেন, “যদি ঈসা আলাইহিস সালাম পুনরায় ফিরে আসে তাহলে তো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবার আগমন করা অধিক যুক্তিসংগত”।
(صَبِيغُ بْنُ عَسَلٍ) সাবীগ ইবনে আসালের সাহাবী হওয়ার ব্যাপারে ইখতিলাফ রয়েছে। তিনি জুঝামা গোত্রের লোক। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে তাকে পাঠানো হল। তিনি তাকে চাবুকাঘাত করলেন। অতঃপর সে যে কথা বলেছিল, তা পরিত্যাগ করলো। পরে তাকে ইরাকে পাঠানো হল। সে ছিল মিসরের অধিবাসী, আর তাকে পাঠানো হল ইরাকে!
যখন খারেজিরা আত্মপ্রকাশ করলো, তখন এমন অনেক কথা বলতে লাগলো – যা সাবিগ ইবনে আসাল বলতো। তখন কিছু লোক এসে তাকে বলল, “মানুষ তো খারিজি হয়ে গেছে। তারা তুমি পূর্বে যা বলতে, সেটাই বলছে”। তখন তিনি বললেন, “না, আল্লাহর কসম! আমি কখনোই এই নেককার লোকের বিরুদ্ধে বের হবো না”। তিনি উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে উদ্দেশ্য নিয়েছেন।
এমনিভাবে কোন কোন বিষয় ইসলাম শক্তিশালী থাকা অবস্থায় যেমন থাকে, ইসলামের দুর্বলতার সময়ে সেটা ভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন আমাদের বর্তমান অবস্থা।
সুতরাং মুসলিমদের মাঝে সমাজবদ্ধতা, প্রীতি ও সৌহার্দ-ই মাকসাদ। অর্থাৎ আমরা মানুষের জন্য ওজর গ্রহণ করবো। তাদেরকে ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিথিলতা দিব। নিছক প্রবৃত্তির স্বার্থে নয়, বরং সংঘবদ্ধ করার লক্ষ্যে। তারা নেককার, সত্যবাদী ও মুখলিস লোক। হয়তো তারা তাবিল করেছেন, কেননা তারা মনে করতেন এতে ইসলামের স্বার্থ রয়েছে। সুতরাং আমরাও তাদের ক্ষেত্রে শিথিলতার পথ গ্রহণ করব যাতে করে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য না থাকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শত্রুদের বিরুদ্ধে আমরা সকলে মিলে জয়ী হব ইনশা আল্লাহ।
এটি হচ্ছে প্রথম উসুল বা মূলনীতি।
.
.
চলবে ইনশাআল্লাহ্...
.
.
[এই পুস্তিকাটি ‘জামাআত ক!য়িদ!তুল জি হ! দ ফি জাজিরাতুল আরব’ (AQAP) এর আমীর শাইখ খা লি দ বা তা রা ফি হাফিযাহুল্লাহ’র অনবদ্য সিরিজ দরস أصول التعامل مع أهل البدع والمخالفين এর ভুমিকার সরল বাংলা অনুবাদ। এটির অন্যান্য দরসগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশিত হবে ইনশা আল্লাহ।]
.
©
ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ কিছু সৎ ও মর্যাদাবান ব্যক্তির জন্য ওজর পেশ করেছেন, যারা সূফীদের সামা ও নাচে লিপ্ত হয়েছেন। এগুলো এমন কিছু বিষয়, যার ব্যাপারে সুফিরা দলীল দেন যে, ইবনে তাইমিয়াহ এই এই বলেছেন। না, আসলে বিষয়টি এমন নয়। তিনি বিদআতে লিপ্ত কতিপয় সৎ ও মর্যাদাবান ব্যক্তির বিদআতের ক্ষেত্রকে শিথিলভাবে দেখেছেন।
ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন –
“যে সকল সত্যবাদী, মুখলিস ও সৎ ব্যক্তি – বিভিন্ন ব্যাখ্যা করে এই অনর্থক কাজে লিপ্ত হয়েছেন, তাদের ভালো কাজসমূহ ইজতিহাদি অবস্থানের কারণে এই ধরনের গুনাহ ও ভুলকে ঢেকে দিবে। আর তাদের ভুল ও বিচ্যুতির ব্যাপারে এই উম্মাহর সকল নেককারদের পথ ও অবস্থান এমনটাই”।
এ ব্যাপারে তিনি রহিমাহুল্লাহ আল্লাহ তায়ালার এই বাণীগুলোকে দলীল হিসেবে পেশ করেছেন-
﴿وَالَّذِي جَاءَ بِالصِّدْقِ وَصَدَّقَ بِهِ أُولَئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ (33) لَهُم مَّا يَشَاءُونَ عِندَ رَبِّهِمْ ۚ ذَٰلِكَ جَزَاءُ الْمُحْسِنِينَ (34) لِيُكَفِّرَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَسْوَأَ الَّذِي عَمِلُوا وَيَجْزِيَهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ الَّذِي كَانُوا يَعْمَلُونَ (35)﴾
অর্থঃ “যারা সত্য নিয়ে আগমন করছে এবং সত্যকে সত্য মেনে নিয়েছে; তারাই তো খোদাভীরু। (33) তাদের জন্যে পালনকর্তার কাছে তাই রয়েছে, যা তারা চাইবে। এটা সৎকর্মীদের পুরস্কার। (34) যাতে আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের উত্তম কর্মের পুরস্কার তাদেরকে দান করেন”। (সূরা যুমার ৩৯:৩৩-৩৫)
—
তিনি রহিমাহুল্লাহ সূফীদের সামা ও অনর্থক সাহচর্যের আলোচনার পর – দেখুন বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ – বলেন –
“এই শ্রেণীর মাঝে যদিও আল্লাহর বন্ধুত্ব, তাকওয়া, মুহাব্বাত ও আল্লাহর নৈকট্য রয়েছে। (তবুও) এগুলোর কারণে তারা ওই লোকদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হবেন না, যারা দুনিয়ার বিবেচনায় বা মর্যাদায় এদের সমান নয়। সুতরাং তারা এ সকল ক্ষেত্রে ফিতনার বিরুদ্ধে লড়াইকারী আকাবির সালাফ, নেশার উদ্রেককারী পানীয়কে হালাল সাব্যস্তকারী সালাফ, রিবায়ে ফজল ও মুতআ’কে হালাল সাব্যস্তকারী, এবং হাশিশকে হালাল সাব্যস্তকারী সালাফদের চেয়ে অধিক শ্রেষ্ঠ নন। যাদের ব্যাপারে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহিমাহুল্লাহ বলেছেন- ইসলামে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের সুন্দর পদক্ষেপ ও পুন্যময় ভূমিকা রয়েছে, তথাপি তাদের থেকে স্খলন ও ভ্রান্তি প্রকাশ পেয়েছে। তাদের এই স্খলন ও ভ্রান্তির ক্ষেত্রে তাদের অনুসরণ করা হবে না”।
—
অর্থাৎ শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন—
“এই শ্রেণীর ব্যক্তিগণ – যারা সামা ও অনর্থক সাহচর্যে পতিত হয়েছেন – তারা যুদ্ধরতদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নন। সাহাবা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুদের মাঝেও এমন উদাহরণ রয়েছে। তারা (যারা সামা ও অনর্থক সাহচর্যে পতিত হয়েছেন) কতিপয় নেশা জাতীয় পানীয় হালাল মনে করে তাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ নন। যেমন সাহাবী কুদামা ইবনে মাজউন রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এমন একটি কাজ করলেন এই আয়াতকে তাবিল করে –
لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوا وَّآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ثُمَّ اتَّقَوا وَّآمَنُوا ثُمَّ اتَّقَوا وَّأَحْسَنُوا ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
“অর্থঃ যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, সে জন্য তাদের কোন গুনাহ নেই যখন ভবিষ্যতের জন্যে সংযত হয়েছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। এরপর সংযত থাকে এবং বিশ্বাস স্থাপন করে। এরপর সংযত থাকে এবং সৎকর্ম করে। আল্লাহ সৎকর্মীদেরকে ভালবাসেন”। (সূরা মায়েদা ৫:৯৩)
অতঃপর তিনি বলেন- আমরা এদের অন্তর্ভুক্ত। এরপর তিনি মদ পান করলেন”।
কিন্তু আপনারা খেয়াল করুন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম তার সাথে কি আচরণ করেছিলেন? উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু সাহাবাদের থেকে আহলে শুরা’কে একত্র করলেন ও এই ব্যাপারে তাদের সাথে মাশওয়ারা করলেন। কুদামাহ ইবনে মাজউন ও অন্যান্য সাহাবাদের ব্যাপারে, যারা এই আয়াতের তাবিল করে মদ পান করলেন।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু আহলে শুরা জমা করলেন। জিজ্ঞাসা করলেন আপনাদের রায় কি? তারা বললেন- (খেয়াল করুন কিভাবে বলছেন) আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবো, তাদের উপর তাৎক্ষনিক হুকুম প্রয়োগ করা না হোক! হারামকে হালাল মনে করা হারাম!”
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ বলেন-
“যে ব্যক্তি সর্বসম্মত হারামকে হালাল করলো, অথবা সর্বসম্মত হালালকে হারাম করলো অথবা সর্বসম্মত কোন শরঈ বিধানকে পরিবর্তন করলো, সে ফকিহদের ঐক্যমত্যে – কাফের ও মুরতাদ। এই কথাটি মুজমাল বা সংক্ষিপ্ত। কিন্তু যখন আমরা নির্দিষ্টভাবে তাকফির করতে যাবো, তখন বিষয়টি বিভিন্ন রকম হবে”।
—
অতঃপর তারা বললেন, “আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবো। যদি তারা এটিকে হালাল বলেন তবে আমরা তাদেরকে হত্যা করবো। আর যদি হারাম বলেন, আমরা তাদেরকে বেত্রাঘাত করবো”।
দ্বিতীয় পর্বঃ-
|| বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি ||
– শায়খ খা লি দ বা তা র ফি হাফিযাহুল্লাহ্
.
.
প্রথমত; বিদআতিদের সাথে আচরণবিধির প্রথম মূলনীতি হল- সৎ লোকেরা কোন বিদআতে পতিত হলে তার ওজর গ্রহণ করা। অর্থাৎ হয়তো তিনি ইজতিহাদি ভুল করেছেন অথবা অজ্ঞতার কারণে বিদআতে লিপ্ত হয়েছেন। আর কথার ক্ষেত্রে যতখানি সম্ভব উত্তম ব্যাখ্যা গ্রহণ করা।
অর্থাৎ কথার যদি অনেকগুলো অর্থ হবার সম্ভাবনা থাকে, তখন এই ধরণের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে – যাদের শ্রেষ্ঠত্ব ও সততা রয়েছে এবং এই ব্যাপারে তারা পরিচিত – যদি তারা উলামা না হন – তবুও আমরা তাদের কথাগুলোর উত্তম সম্ভাবনা গ্রহণ করবো।
এর একটি উত্তম উদাহরণ হলেন শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ। তিনি ইমাম জুনাইদ রহিমাহুল্লাহ’র একটি কথা উল্লেখ করেছিলেন, যেটির মাঝে ভুল ছিল এবং সেটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। অতঃপর তিনি কথাটির উত্তম সম্ভাবনাটি গ্রহণ করলেন।
এমনিভাবে ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম আল জাওজিয়্যাহ’র ‘মাদারিজুস সালিকিন’ কিতাবটি রয়েছে। এটি মূলত ইমাম আবু যাকারিয়া আলহারভি-র কথার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। ইমাম আবু যাকারিয়া আলহারভি-র কথার মাঝে অস্পষ্টতা ও দুর্বোধ্যতা ছিল। এই কিতাবে বিভিন্ন মাকামাহ বা বক্তৃতা ছিল।
অতঃপর ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম আল জাওজিয়্যাহ এই কিতাবের বক্তব্যগুলোর উত্তম সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছেন। আর এটাই সকল সালাফদের আচরণ ও স্বভাব। যদি আমরা উলামাদের কথার মন্দ সম্ভাবনা গ্রহণ করি, তাহলে কেউই বাকি থাকবে না। অর্থাৎ (প্রত্যেকেরই) এমন কিছু কথা আছে, যা বুঝা যায়না অথবা তা একাধিক অর্থ হবার সম্ভাবনা রাখে। এক আলিম একভাবে বলেন তো আরেকজন অন্যভাবে বলেন। যেমনটি কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাহ’তেও রয়েছে। মুহকাম ও মুতাশাবিহ।
এমনিভাবে উলামাদের কথার ক্ষেত্রেও এমনটি হয়ে থাকে। সেখানে কিছু রয়েছে মুজমাল তথা সংক্ষিপ্ত, আবার কিছু রয়েছে মুফাসসাল তথা বিস্তারিত। এমনকি শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ’র ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ ‘সুফি’দের কথাই ধরা যাক। তারা শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ’র কিছু মুজমাল কথাকে নিল এবং এর দ্বারা তারা তাদের মানহাজ সঠিক হওয়ার এবং তাদের কিছু বিদআতের শরীয়তসম্মত হওয়ার দলীল পেশ করলো, যেগুলোতে তারা লিপ্ত।
এখন আপনি শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ’র কাজগুলো নিয়ে দেখুন, তিনি কী এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেছেন? আপনি তারা (‘সুফি’রা) যা উল্লেখ করেছে তার পুরোপুরি ভিন্ন পাবেন।
তাই সকল উলামাদের জন্য এই নীতি। তাদের কিছু কথা আছে মুতলাক বা সাধারণ, আবার কিছু কথা আছে মুকাইয়াদ তথা শর্তযুক্ত। কিতাবুল্লাহ, সুন্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উলামাদের কথা – সবক্ষেত্রেই এই নীতি প্রযোজ্য। চাই তারা সাহাবা হন অথবা তাবেইন অথবা তাদের পরবর্তীগণ।
এ কারণেই বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণবিধির ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমত আমাদেরকে এই ব্যক্তির অবস্থা দেখতে হবে। সে কি কুখ্যাত বা কুমতলবকারী অথবা খারাবির জন্য পরিচিত? এবং আহলুস সুন্নাহ’র মানহাজের সাথে শত্রুতা পোষণকারী? সে কি রাফেজি অথবা রাফেজিদের মত? এমন হলে আমরা তাদের কথার ক্ষেত্রে জাহেরি বা প্রকাশ্য অর্থটি গ্রহণ করবো।
আর যদি ব্যক্তি সৎ ও মর্যাদাবান লোক হয়, সে তার ইসলামের খেদমতের কারণে পরিচিত হয় এবং কিতাবুল্লাহ, সুন্নাহ ও সালফে সালেহিনদের সম্মানের কারণে পরিচিত হয় তবে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে আমরা সংশয়পূর্ণ কথার উত্তম সম্ভাবনাটি/অর্থটি গ্রহণ করবো।
অর্থাৎ আমরা প্রথমে ব্যক্তির অবস্থা জানবো এবং যদি তার থেকে কয়েক ধরণের অর্থ হয় এমন কোন কথা প্রকাশ পায়, তবে তার অবস্থা অনুযায়ী অর্থ গ্রহণ করবো। এটি হচ্ছে প্রথম মূলনীতি।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন-
“সালাফ ও খালাফদের অনেক মুজতাহিদগণ এমন কথা বলেছেন বা কাজ করেছেন, যা মূলত বিদআত। তারা জানতেন না যে – এটি বিদআত। এটা অনেক ক্ষেত্রে একারণে হয়েছে যে, তারা হয়তো ‘জয়িফ হাদিস’কে ‘সহিহ হাদিস’ ভেবেছিলেন। অথবা কোন আয়াতের কারণে – সে আয়াত থেকে তারা এমন কিছু বুঝেছেন, যা আসলে উক্ত আয়াত বর্ণনা করে না। অথবা তার (কোন মাসআলায়) রায় বা সিদ্ধান্ত প্রদানের কারণে, উক্ত মাসআলায় নুসুস তার কাছে পৌঁছেনি। আর যখন ব্যক্তি তার রবকে ভয় করে, তখন সে যথাসম্ভব আল্লাহ তায়ালার এই কথার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে-
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
“অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না”। (সূরা বাকারা ২:২৮৬)
এবং সহিহ বর্ণনায় এসেছে- আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আমি এটি করেছি” অর্থাৎ কেউ যদি ভুলে যায় কিংবা ভুল করে অতঃপর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ কবে বলে যে, হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ভুলের কারণে অপরাধী হিসেবে পাকড়াও করবেন না। তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করবেন না। এ ব্যাপারে অন্য জায়গায় আলোচনা রয়েছে।” এটি একটি ফাতওয়া থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
নবী সা:-কে গালমন্দ করার পরিণতি
নবীজী সা:-এর সম্মান মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের ঈমানের মৌলিক অংশ। সাহাবায়ে কেরাম থেকে আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত মুজতাহিদ আলেমগণ সবাই একমত যে, নবীজী সা:-এর শানে কটূক্তিকারীকে আখেরাতে কঠিন আজাবের সম্মুখীন হতে হবে এবং দুনিয়াতেও তার মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ করতে হবে। নবীজী সা: নিজের ও ইসলামের অসংখ্য শত্রুদের মাফ করে দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু পাপিষ্ঠের ব্যাপারে যারা নবীজী সা:-এর শানে কবিতার মাধ্যমে কটূক্তি করত, তাদের ব্যাপারে বলেছেন, যদি তারা কাবার পর্দা ধরেও জড়িয়ে থাকে, তার পরও তাদের জাহান্নামে পাঠানো হবে।
→ব্যক্তিগত বিষয়ে নবীজী সা: কখনো প্রতিশোধ নিতেন না; বরং ক্ষমা করে দিতেন। কাফেররা নবীকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দিয়েছে। জাদুকর, কবি, গণক ও পাগল বলে অভিহিত করেছে। যুদ্ধের ময়দানে নবী সা:-এর দাঁত মোবারক ভেঙে দিয়েছে। উহুদের ময়দানে চেহারা মোবারক রক্তে রঞ্জিত করেছে। মক্কায় তাঁর পিঠের ওপর উটের নাড়িভুঁড়ি নিক্ষেপ করেছে, যখন তিনি সেজদায় অবনত ছিলেন। এগুলোর জন্য তিনি কোনো প্রতিশোধ নেননি। কিন্তু নবীজীর কটূক্তিকারীকে এ জন্য শাস্তি দেয়া হতো, কারণ সে অন্যদের অন্তর থেকে তাঁর ইজ্জত-সম্মান ধূলিস্যাৎ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। মুসলমানের অন্তরে কুফরি ও নেফাকি ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টায় থাকে। তাছাড়া রাসূল সা: যেহেতু সর্বকালের মুসলমান সমাজের কেন্দ্রবিন্দু। এ জন্য নবী সা:-এর ওপর এভাবে কটূক্তি চলতে থাকলে, নবীর বিরুদ্ধে লিখনীর প্রতিরোধ না করা হলে ইসলামী সমাজের আকিদা-বিশ্বাসে মারাত্মক পচন ধরবে। বুঝা গেল, নবীজী সা: নিজের জন্য নয়; বরং মুসলমানদের ঈমানের হেফাজত এবং আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান বৈধ রেখেছেন।
→নবী করিম সা:-এর জীবদ্দশায় যেমনি তাঁকে কোনোভাবে কষ্ট দেয়া জায়েজ নেই, তেমনিভাবে নবীজী সা:-এর ইন্তেকালের পরও তাঁকে কষ্ট দেয়া হারাম।
→মহান আল্লাহ বলেন, ‘নবীকে কষ্ট দেয়া তোমাদের জন্য জায়েজ নয় এবং এটাও জায়েজ নয় যে, তাঁর ইন্তেকালের পর তোমরা তাঁর স্ত্রীদের বিয়ে করবে। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা গুরুতর ব্যাপার’
(সূরা আহজাব : ২২)।
যারা নবীজী সা:-কে কষ্ট দেয় তারা দুনিয়াতেও শাস্তি ভোগ করে আর আখেরাতে আছে তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। পবিত্র কুরআনের অনেক স্থানে এ কথাগুলো বিবৃত হয়েছে।
→মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়। আল্লাহ তো তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি’
(সূরা আহজাব : ৫৭)।
‘তারা কি জানে না, কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করলে সিদ্ধান্ত স্থির রয়েছে যে তার জন্য জাহান্নামের আগুন, যাতে সে সর্বদা থাকবে, এটা তো চরম লাঞ্ছনা!
(সূরা তাওবা : ৬৩)
'তুমি যদি তাদের জিজ্ঞেস করো, তবে তারা অবশ্যই বলবে, আমরা তো হাসি-তামাশা ও ফুর্তি করছিলাম। বলো, তোমরা কি আল্লাহ, আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ফুর্তি করছিলে?
(সূরা তাওবা : ৬৫)
‘আর যে ব্যক্তি তার সামনে হেদায়েত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে, আমি তাকে সে পথেই ছেড়ে দেবো, যা সে অবলম্বন করেছে। আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, যা অতি মন্দ ঠিকানা।’
(সূরা নিসা : ১১৫)।
→এ জন্য যারা নবীকে কষ্ট দেয় তাদের জন্য দুনিয়াতে আল্লাহর অভিশাপ আর আখেরাতে অপমানকর শাস্তি। কত বড় হতভাগা সেই ব্যক্তি, যার ওপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন। তাই তো যারা অতীতে ও বর্তমানে নবীজী সা:-কে কষ্ট দিয়েছে, তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করেছে, তারা দুনিয়াতে অপমানজনকভাবে ধুঁকে ধুঁকে ধ্বংস হয়েছে। আর আখেরাতে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।
→হাদিসেও নবীজী সা:-কে অবমাননার কঠিন শাস্তি বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে নামের এক ইহুদিকে রাসূল সা: এ জন্যই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সে রাসূল সা:-এর বিরুদ্ধে সবসময় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করত। আল্লামা ইবনে কাসির রহ: আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে ইমাম বুখারি রহ:-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূল সা: আবু রাফেকে হত্যা করার জন্য বেশ ক’জন আনসারি সাহাবিকে নির্বাচিত করলেন এবং হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আতিককে তাঁদের দলপতি নিয়োগ করলেন। আবু রাফে রাসূল সা:-কে কষ্ট দিত এবং এ কাজে অন্যদের সহযোগিতা করত।
→মুজাহিদ রহ: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওমর রা:-এর দরবারে এমন এক ব্যক্তিকে আনা হলো, যে রাসূল সা:-কে গালি দিয়েছে। ওমর রা: তাকে হত্যা করেন। অতঃপর বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা বা কোনো নবীকে গালি দেবে তোমরা তাকে হত্যা করো।’
(আসসারিমুল মাসলুল : ৪/৪১৯)
→আমর রহ: বলেন, আমি জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা: থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূল সা: বললেন, কে আস কাব ইবনে আশরাফের জন্য (অর্থাৎ তাকে হত্যা করতে পারবে? কেননা, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-কে কষ্ট দেয়। তখন সাহাবি মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা দাঁড়ালেন; তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি তাকে হত্যা করব, আপনি কি তা পছন্দ করেন? নবী সা: বললেন, হ্যাঁ, তিনি বললেন, তাহলে আমাকে তার সাথে কিছু কৌশলগত কথা বলার অনুমতি
হয়তো জি হ! দ নয়তো লাঞ্চনা, যা ইচ্ছা বেছে নাও...
.
.
জি হ! দের কাজে একনিষ্ঠ ভাবে নিয়োজিত হওয়া, দায়িত্ব সম্পাদন করা, কষ্ট সহ্য করা ও ধৈর্যের সাথে আদায় করে যাওয়া আবশ্যক।
কিন্তু মন এগুলো মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং জমিনের ভোগসামগ্রীর প্রতি আকর্ষিত হয়ে পড়ে ও তার সৌন্দর্যের মোহে আবিষ্ট হয়ে গভীরে প্রোথিত হয়ে যায়। কারণ যুদ্ধের অগ্রভাগে রয়েছে মৃত্যু ও ভয়ানক বিপদ।
আর দুনিয়ার পশ্চাতে রয়েছে ধনসম্পদ ও পরিবার। হয়ত সেদিকে ঠেলে দেয়া হবে অথবা এদিকে টেনে আনা হবে। যদিও জি হ! দের পথে যা ব্যয় ও সহ্য করবেন তার প্রতিদান অনেক ভাল। কিন্তু নফস সর্বদা তাড়াহুড়া প্রবণ দ্রুততাকেও চায়। সব জিনিস নগদ ভোগ করতেই ভালবাসে এবং কষ্ট করে ফসল ভোগ করতে চায় না।
অতএব "হয়তো জি হ! দ নয়তো লাঞ্চনা, যা ইচ্ছা বেছে নাও"।
.
.
–শায়েখ আবু ইয়াহইয়া রাহিমহুল্লাহ
Show all...
ওই ভ্রষ্ট মডেলরা আপনার আদর্শ নয় | Shaikh Tamim Al Adnani