The Muslim POV

এরা পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র জালিম, বা প্রথম জালিম, বা সবচেয়ে বেশি জালিম, কোনটাই না। এদের চেয়েও বড় বড় জালিমরা এসেছে এবং চলে গেছে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট পলিটিকাল ক্লাস এভাবে দেশের ব্যাক টু ব্যাক কয়েকটা জেনারেশানের কাছে এমন তীব্র মরণঘাতী ঘৃণার পাত্র হয়ে চলেছে, এটাকে একটা ইউনিকনেস বলা যায়। এই যে জুলুমের শিকার বাচ্চাগুলা আল্লাহ তা'আলার কাছে ফিরে যাচ্ছে, আল্লাহ তা'আলা আমাদের ভাইবোনদেরকে ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন, তাদের প্রতি আমাদের ট্রিবিউট কী হতে পারে? চলমান মুভমেন্ট এবং এমন যেকোন মুভমেন্টের পর আমরা কী কী করব যেন আমাদের ভাইবোনরা সম্মানিত ও লাভবান হন? আমরা তাদের জন্য আন্তরিক ভাবে দু'আ করব। এই মাজলুমদের জন্যও যদি দু'আয় অন্তর লাগানো না যায় তাহলে মুসলমানের অন্তরের আর কাজ কী? আমরা দু'আ করব যেন আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন। আমরা ঐ পলিটিকাল ক্লাসটিকে অ্যাবসোলিউটলি বয়কট করব। ওরা উর্দি ছাড়া হোক আর উর্দিওয়ালা, আত্মীয় হোক আর অনাত্মীয়, না পারতে তাদের সাথে সোশালাইজ করব না। মাসজিদে তাদের পাশে দাঁড়াবো না, তাদের সাথে লেনদেন করব না, নতুন সম্পর্ক গড়ব না। সুশীল হিসেবে পরিচিত যারা এই চলমান জুলুমের নীরব বা সরব সমর্থক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, তাদেরকে আমরা যে যে অবস্থান থেকে যেভাবে পারি রিজেক্ট করব, বয়কট করব, অনলাইন বা অফলাইনে প্রশ্নবাণ ও তিরষ্কারে জর্জরিত করে তাদের বৃথা জীবনের অবশিষ্ট দিন ক'টাকে বিষিয়ে তুলব। মেইনস্ট্রীম মিডিয়াকে বিশ্বাস করার চরম বদভ্যাসটি ত্যাগ করব এবং তাদের অসততাকে পদে পদে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভ্যাস গড়ে তুলব। সর্বোপরি, যে বোধদয়টি হওয়ার জন্য আমাদের এত এত মার খেয়ে এই পর্যন্ত আসার কোন প্রয়োজন ছিল না, সেই সর্বোচ্চ বোধদয় অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা একত্ব অর্থাৎ তাও'হীদে বিশ্বাস এবং তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু সাল্লামের দেখানো পথের শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাস অটুট রেখে সেই অনুযায়ী জীবনের প্রতিটি ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক কাজ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করব, এবং এক্ষেত্রে সমমনারা আরও ঐক্যবদ্ধ হব এবং একসাথে থাকব। এই দেশ, এই দেশের ভবিষ্যত, সব আমাদের, ইন শা আল্লাহ।

আওয়ামী লীগ ও পুলিশের উপর আল্লাহ 'আজ্জা ওয়া জালের লা'নত বর্ষিত হোক।

যদি এমন হত যে আমি এই আন্দোলনের একজন দায়িত্মশীল এবং কেউ "আমরা রাজাকার" স্লোগানটা দেয়ার আগে আমার মতামত চেয়েছে, তাহলে আমি এটার এগেইনস্টে বলতাম। আমি তাদেরকে বুঝাতাম যে, শাহবাগীরা যতই মুক্তিযুদ্ধের নাম বেচে আকাম-উকাম করুক, তোমরা আগ বাড়িয়ে নিজেদের গায়ে রাজাকার ট্যাগ লাগিয়ো না, পাবলিক ভালো ভাবে নিবে না। আমরা যারা চলমান আন্দোলনকারীদের জেনারেশানটা পার করে এসেছি, আমরা যতই বলি আমরা শাহবাগীদের ঘৃণা করি বা আরেকবার মিষ্টির দোকান খালি করে ফেলার জন্য দিন গুনি, আসলে আমরা যে গ্রাউন্ড রিয়ালিটি থেকে কতটা দূরে আমার ঐ মতামত তার জ্বলন্ত প্রমাণ। গ্রাউন্ড রিয়ালিটি থেকে দূরে বলেই আমরা ভাবি মানুষ বুঝি মুক্তিযুদ্ধের নামে হোলসেলে বিকানো ইমোশানকে এখনও পুছে, ছেলেমেয়েরা বুঝি এখনও ওসব কথায় ভুলে। গ্রাউন্ড রিয়ালিটি থেকে দূরে বলেই আমরা ভাবি আমরাই বোধ হয় সব বুঝি আর আমাদের বাচ্চারা সব বোকা। আমাদের বাচ্চারা — হ্যাঁ, সেই ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক থেকে শুরু করে চলমান আন্দোলনকারীদেরকে আমি বরাবরই "আমাদের বাচ্চারা" ডেকে আসছি, এই বাচ্চা সন্তানতূল্য বোঝানোর জন্য না বরং প্রিয় ছোট ভাইবোন বোঝানোর জন্য — আমাদের এই বাচ্চাদের কালেক্টিভ ইন্টেলেক্ট যে ক্ষমতাসীন শাহবাগী প্রপাগান্ডা মেশিনের প্রসেসিং পাওয়ারের ঊর্ধ্বে, আল'হামদুলিল্লাহ, আমরা এজন্য আল্লাহ তা'আলার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করি, আমাদের ছোটভাইবোনদের নিয়ে গর্ববোধ করি এবং আমাদের জন্মভূমিকে নিয়ে মনে আশা লালন করি। দীনের দা'ওয়াত জারি রাখার জন্য এই আশাটা খুব দরকার। আল্লাহ তা'আলার কাছে আমাদের বাচ্চাদের সহ আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা ও পরিপূর্ণ হিদায়াতের জন্য দু'আ করি। আর জালিমদের? তাদেরকে আর কী অভিশাপ দিব? তারা তো অলরেডি অভিশপ্ত। আল্লাহ তা'আলা তাদের ধ্বংসকে দ্রুত, প্রবল এবং দৃষ্টান্তমূলক করুন।

— ভাই সত্যি কি ওদের জানাজা পড়া যাবেনা? — আরে জানাজা হওয়ার প্রাথমিক শর্ত তো আগে ঘটুক!

৫ মে ২০১৩ ৪ অগাস্ট ২০১৮ ১৫ জুলাই ২০২৪ দূরে কোথাও, কাটতে না চাওয়া অস্থির আরেকটি রাত।

দেশে যারা এখন 'আমলে আছেন বা করবেন, পালক-সমর্থক সহ জালিমদের জন্য লা'নত আর মাজলুম স্টুডেন্টদের জন্য নিরাপত্তা ও হিদায়াতের দু'আ করুন।

আসলে দেশের মানুষের এখনও মরার ভয় পুরোপুরি যায়নি। ১,০০০ জন আন্দোলন করলে উর্দিওয়ালা/ছাড়াদের হাতে যে ৫০-১০০ জন মরবে, মানুষের মনে সেই ৫০-১০০ জনের মধ্যে পড়ে যাওয়ার ভয় আছে। সব ঘরেই চায় বাকিরা আন্দোলন করুক না যা খুশি তাই করুক, আমার ঘরের মানুষটা না যাক। নিজের ও আপনজনের জানের প্রতি এই মায়াটা এখনও মানুষের আছে। কিন্তু এভাবে চললে আর বেশিদিন থাকবে না। যেই মুহুর্তে সমাজের ১০টা লোকেরও মনে হবে যে এভাবে বাঁচার চেয়ে বরং কিছু একটা করে মরা ভালো, ঠিক সেই মুহুর্তে এই দেশ-সমাজ তার ক্রাঞ্চ পয়েন্টে পৌঁছবে। তারপর কী হবে সেটা আপনার ইমাজিনেশানের উপর ছেড়ে দিলাম। ঘটনাটা ওদিকে যাচ্ছে। আল্লাহ তা'আলা তাঁর পক্ষের মানুষদেরকে বিজয় ও নিরাপত্তা দিন, এবং বিপক্ষের মানুষদেরকে দুনিয়াতে অশান্তির আগুনের ও আখিরাতে জাহান্নামের আগুনের খোরাক করুন।

সবচেয়ে খারাপ লাগছে ঐ দলটার জন্য। এক সময়ে বলত দাওয়াতের নিয়তে পাবলিকের সাথে মেশার জন্য দাড়ি কাটে। শেষে দেখা গেল পাবলিকই দাড়ি লম্বা করা শুরু করেছে আর সেই দাওয়াতীদের মুখে মিলিমিটার দাড়ি। ফাইনালি, এতগুলা বছর সুশীলগিরির নামে একের পর এক ফাতরামি করে সারা গায়ে মুক্তিযুদ্ধ মাখালো যেন পাবলিক আর রাজাকার না ডাকে। সেই পাবলিক এখন নিজেই নিজেকে রাজাকার ডাকছে। আপনারা ভাবছেন আজকের দিনের আসল দুখী শাহবাগীরা। সরি টু সে, আজ তাদের চেয়েও দুখী কেউ কেউ আছে।

দেশে যত অনাচার পিছে তার আবেদ ড্রাইভার, তার বড় স্যার, আর মূল সেই আবেদ, স্যার উপাধি যার

দিল্লী স্টার আমাদের সাথে মেজরিটি মারায়? বাংলাদেশের লিবটার্ডরা এক বাবার সন্তান হলে গণভোট করুক যে দেশে হয় ইসলাম থাকবে নয়তো ওরা থাকবে। হবে নাকি গণভোট?