cookie

نحن نستخدم ملفات تعريف الارتباط لتحسين تجربة التصفح الخاصة بك. بالنقر على "قبول الكل"، أنت توافق على استخدام ملفات تعريف الارتباط.

avatar

দরসুল কুরআন

إظهار المزيد
مشاركات الإعلانات
403
المشتركون
لا توجد بيانات24 ساعات
+47 أيام
+1930 أيام

جاري تحميل البيانات...

معدل نمو المشترك

جاري تحميل البيانات...

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ اشۡتَرَوُا الضَّلٰلَۃَ بِالۡهُدٰی ۪ فَمَا رَبِحَتۡ تِّجَارَتُهُمۡ وَ مَا کَانُوۡا مُهۡتَدِیۡنَ এরাই তারা, যারা হিদায়াতের বিনিময়ে পথভ্রষ্টতা ক্রয় করেছে। কিন্তু তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি এবং তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ১৬) তারা হেদায়েতের সন্ধান পেয়েছে। হেদায়েত গ্রহণ করেছে এরপর কুফরিকেই আঁকড়ে ধরেছে। এর মানে হলো কুফরি বাদ দিয়ে হেদায়েত নয় বরং হেদায়েত বাদ দিয়ে কুফরি গ্রহণ। এই কাজকে আল্লাহ ব্যবসার সাথে তুলনা করেছেন। ব্যবসা মানেই হলো একটার বিনিময়ে আরেকটা, উদ্দেশ্য থাকে লাভ বা প্রফিট। একজন টাকা দিল আরেকজন পণ্য দিল। যিনি পণ্য নিলেন তার উদ্দেশ্য পণ্য ভোগ করা এবং যিনি টাকা নিলেন তার উদ্দেশ্য প্রফিট। যদি তিনি কম দামে বিক্রি করেন তাহলে লস হবে। আবার যদি উনি খারাপ পণ্য ক্রয় করেন তো তার লস। এখানে মুনাফেকরা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহি কিনেছে। বিনিময়ে জাহান্নাম পাবে। আবার দুনিয়ায়ও বিশ্বাসঘাতক, প্রতারক, ঘৃণিত হিসেবে চিহ্নিত হলো। একইভাবে সুরা তওবায় আল্লাহ বলছেন, মুমিনদের জান মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। সুরা সফ- এ , ঈমান এবং জিহাদ কে ব্যবসার সাথে তুলনা করেছেন যার ফলাফল জান্নাত। আয়াতের শেষে বলা হচ্ছে তারা হেদায়েত প্রাপ্ত ছিলনা। অর্থাৎ তারা হেদায়েতের উপর আছে মনে করলেও বা কেউ তাদের হেদায়েত প্রাপ্ত মনে করলেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে তারা কখনোই হেদায়েত প্রাপ্ত ছিল না।
إظهار الكل...
اَللّٰهُ یَسۡتَهۡزِئُ بِهِمۡ وَ یَمُدُّهُمۡ فِیۡ طُغۡیَانِهِمۡ یَعۡمَهُوۡنَ আল্লাহ তাদের প্রতি উপহাস করেন এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরার অবকাশ দেন। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ১৫) মুনাফেকরা নিজেদের বুদ্ধিমান এবং মুমিনদের বোকা ভাবলেও শেষ পর্যন্ত মুনাফেকরাই বোকা প্রমাণিত হবে৷ তারা মনে করে ঈমানের মিথ্যা দাবি করে মুমিনদের প্রতারিত করতে পারছে, ইসলামকে ধ্বংস করছে। কিন্তু মুলত তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করছে৷ তাদের কুকীর্তি গোপন থাকছে না৷ যার ফলে তারা বিশ্বাসঘাতক, প্রতারক হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছে মুমিন সমাজে। অন্যদিকে মুমিনদের সমাজের অংশ দাবি করায় কাফেরদের সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত৷ পরিশেষে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই তাদের জন্য নেই। মুমিনদের সাথে প্রতারণা করা, উপহাস করা মুলত আল্লাহ'র সাথেই করা৷ মুনাফেকরা আল্লাহকে স্বীকার করত তারা কখনও বলে নাই তাদের প্রতারণা আল্লাহ'র সাথে। কিন্তু আল্লাহ বলছেন, তাদের প্রতারণা আল্লাহ'র সাথে। কারণ এখানে কাফেরদের সাথে মুমিনদের দ্বন্দ্বের মুল কারণ তাওহীদ। আল্লাহ মুনাফেকদের বাধাহীন ভাবে নিজেদের কাজ করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন যেন তাদের পাপের ভান্ডার পূর্ণ হয়৷ এরপর আল্লাহ'র আযাব থেকে বাঁচার আর কোন পথ বা উসিলা তাদের থাকবে না যুগে যুগে মুসলিম সমাজে কাফেরদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীরা যতই চেষ্টা করেছে কিছুই সফল হয় নাই৷ ইসলাম আরও মজবুত হয়েছে তাদের এসব অপকর্মের কারণে। ইনশাআল্লাহ ইসলাম বিজয়ী হহবে অচীরেই৷
إظهار الكل...
وَ اِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَ اِذَا خَلَوۡا اِلٰی شَیٰطِیۡنِهِمۡ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا مَعَکُمۡ ۙ اِنَّمَا نَحۡنُ مُسۡتَهۡزِءُوۡنَ আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এবং যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেবল উপহাসকারী’। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ১৪) মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল গুলোর নেতা,শাসক, বিলিয়নিয়ার, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতি কর্মী, জনপ্রিয় আলেমদের দিকে তাকালেই এই আয়াতের তাফসীর স্পষ্ট। এরা মুসলমানদের কাছে নিজেদের ইসলামের পক্ষের, মুসলমানদের পক্ষের, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আশেক হিসেবে উপস্থাপন করে৷ কিন্তু এরাই হচ্ছে কাফের - মুশরিকদের মুল এজেন্ট। কাফেররা মুসলমানদের অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে এদের কারণে। এরা মুসলমানদের সম্পদ কাফেরদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এরাই মুসলমান জনগোষ্ঠীকে কাফেরদের ক্রীতদাস বানিয়ে রেখেছে। মদীনার মুনাফেকরা মুসলমানদের কাছে আসলে নিজেদের খাঁটি মুসলিম প্রমাণে উঠে পড়ে লাগত। কথায়, বেশ- ভুষায় এদের চাইতে খাঁটি মুসলিম আর ছিল না। এমনকি সাহাবিদের চাইতেও বেশি পরহেজগার মনে হতো এদের। কিন্তু মুসলমানদের বিপদে ফেলাই ছিল মুল কাজ। ইসলামের বিজয় রুদ্ধ করা, কাফেরদের বিজয়ী করাই ছিল এদের কাজ এবং উদ্দেশ্য। এরা কাফেরদের সাথে মিলিত হলে মুসলমানদের নিয়ে হাসাহাসি করত। তারা মনে করত মুসলমানদের বোকা বানাতে পারছে। ঈমানের মিথ্যা দাবি করে মুসলমানদের সাথে দক্ষ প্রতারণা তাদের আনন্দিত করত। কাফেরদের কাছে নিজেদের অপকর্মের বাহাদুরি করত।
إظهار الكل...
وَ اِذَا قِیۡلَ لَهُمۡ اٰمِنُوۡا کَمَاۤ اٰمَنَ النَّاسُ قَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ کَمَاۤ اٰمَنَ السُّفَهَآءُ ؕ اَلَاۤ اِنَّهُمۡ هُمُ السُّفَهَآءُ وَ لٰکِنۡ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’, তারা বলে, ‘আমরা কি ঈমান আনব যেমন নির্বোধরা ঈমান এনেছে’? জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ১৩) তাদেরকে বলতে মুনাফেকদের এবং লোক বলতে সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হয়েছে। মুনাফেকদের দৃষ্টিতে সাহাবীরা ছিলেন নির্বোধ। দ্বীনের জন্য কষ্ট ভোগ করে, জীবন দিয়ে দেয়, পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ে। মক্কার সম্ভ্রান্ত এবং স্মার্ট ব্যক্তি ( মুস'আব ইবনে উমায়র রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) দ্বীন ইসলাম গ্রহণের কারণে ফকির জীবন যাপন করছে। আব্দুল্লাহ যুলবিজাদাঈন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইসলাম গ্রহণের কারণে বাসস্থান - সম্পত্তি এমনকি পরনের কাপড় পর্যন্ত ছেড়ে আসতে হয়। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মক্কার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অথচ সব ছেড়ে মদীনায় কপর্দকহীন অবস্থায় জীবন যাপন করছেন শুধু মুসলিম হওয়ার কারণে। অন্যদিকে মুনাফিকরা ইসলাম গ্রহণ করেও কত আরামে আছে, শান্তিতে আছে। কাফের - মুশরিকদের সাথেও কত প্রগাড় সম্পর্ক। কারণ মুনাফেকরা জানে কিভাবে কি করতে হয়। মুসলিম হলে কেমন মুসলিম হতে হবে তা তারা জানে। তারা বুদ্ধিমান , বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে জানে। এ কারণে তাদের আর সাহাবিদের অবস্থার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এটাই ছিল তাদের দাবি। আল্লাহ বলছেন মুনাফিকরাই নির্বোধ৷ কারণ চুড়ান্ত বিচারে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাহাবিদের কষ্ট - ক্ষতি সাময়িক কিন্তু মুনাফিকদের কষ্ট - ক্ষতি হবে চিরস্থায়ী। ইতিহাসেও তারাই হবে কলংকিত অন্যদিকে সাহাবীরা হবেন সম্মানিত। এর কারণ মুনাফেকিদের নির্বুদ্ধিতাপুর্ণ কাজ - চিন্তা। আমাদের সময়ে এ ধরনের মুসলিমের (!) অভাব নাই। মুজাহিদরা এদের চোখে পাগল, মূর্খ, আহাম্মক। একদিকে আলেম, দাঈ হয়েও তারা কাফের সরকারের কাছ থেকে সম্মান পায়, সুযোগ সুবিধা পায়। অন্যদিকে মুজাহিদরা সেই সরকারের দ্বারা নির্যাতনের চুড়ান্তে পৌঁছায়। মুজাহিদরা ঘর বাড়িতে থাকতে পারে না, স্ত্রী - সন্তান হারিয়ে ফেলে, ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়। অথচ শায়খ, মুফতি, মুহাদ্দিসরা সম্পদের পাহাড় তৈরী করে, এখন এই দেশে তো তখন ওই দেশে বিভিন্ন দাওয়াতে ছুটে বেড়ায়। এসব শায়খের কাছে মুজাহিদরা মুর্খ,নির্বোধ।
إظهار الكل...
وَ اِذَا قِیۡلَ لَهُمۡ لَا تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّمَا نَحۡنُ مُصۡلِحُوۡنَ اَلَاۤ اِنَّهُمۡ هُمُ الۡمُفۡسِدُوۡنَ وَ لٰکِنۡ لَّا یَشۡعُرُوۡنَ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফাসাদ করো না’, তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী’। জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা ফাসাদকারী; কিন্তু তারা বুঝে না।  ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ১১-১২) মদীনায় তৈরী হওয়া মুনাফেকরা একদিকে মুসলিম সমাজের সদস্য ছিল অপরদিকে মদীনার ইহুদিদের সাথে এবং কেউ কেউ মক্কায় মুশরিকদের সাথেও বন্ধুত্ব রাখত। এ ধরনের কার্যক্রম মুলত  ফাসাস সৃষ্টিকারী। কারণ মোনাফেকরা মুসলমানদের যাবতীয় খবর কাফেরদের জানিয়ে দিত৷ ইসলামের সাথে কুফরের দ্বন্দ্বে কুফরের শক্তি জোগাত। ইবনে কাসির বলেন,  মুসলিম যদি অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব করে যদিও তাতে মুসলমানদের কোন ক্ষতি না হয় তাও তা ফাসাদ হিসেবেই গণ্য হবে।  অর্থাৎ এটা পুরো পুরি হারাম। কিন্তু তাদের ধারণা ছিল তারা শান্তি স্থাপনের কাজ করছে।   মনে করত,  তারা ইসলাম এবং কুফর বা মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছে। নিজেদের জ্ঞানী, বুদ্ধিমান এবং কল্যাণকামী দাবি করত। আল্লাহ বলছেন এরা কল্যাণকামী নয়, শান্তি স্থাপনকারীও নয়৷ বরং এরাই হচ্ছে ফাসাদ সৃষ্টিকারী। আমাদের সময়ে এ ধরনের লোকের অভাব নাই। তথাকথিত দ্বীনদারদের মধ্যেও ভুরি ভুরি আছে। অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব, কাফেরদের কালচার গ্রহণ, কাফেরদের তালে তালে চলার মধ্যে এরা দ্বীনের কল্যাণ খুঁজে পায়। ভাবে এমন হলে মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে৷ এ ধরনের আকৃষ্টতায় দ্বীনের নয় বরং কুফরের শক্তি বৃদ্ধি হয়৷ এ ধরনের মুসলমানদের দ্বারা ইসলামের ক্ষতিই হয়।
إظهار الكل...
فِیۡ قُلُوۡبِهِمۡ مَّرَضٌ ۙ فَزَادَهُمُ اللّٰهُ مَرَضًا ۚ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌۢ ۬ۙ بِمَا کَانُوۡا یَکۡذِبُوۡنَ তাদের অন্তরসমূহে রয়েছে ব্যাধি। সুতরাং আল্লাহ তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। কারণ তারা মিথ্যা বলত। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ১০) রোগ কি ধরনের রোগ তা নিয়ে মুফাসসিরদের বিভিন্ন মতামত এসেছে। কেউ বলেছেন এই রোগ হলো " সন্দেহ "। ইসলাম, রিসালাত, কুরআন নিয়ে যে সন্দেহ তাদের মধ্যে আছে, আল্লাহ সে সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেন। অনেকে বলেছেন, এই রোগ হলো " মুনাফেকি "। তারা নিজেদের ইসলাম গ্রহণকারী প্রকাশ করলেও প্রকারান্তরে শিরকের পক্ষের শক্তি। তারা মনে করে তারা খুব বুদ্ধিমানের কাজ করছে, অনেক ভালো কাজ করছে। আল্লাহ তাদের এই মনোভাব, এই উপলব্ধি বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ তাদের রোগ বাড়িয়ে দেয়ার কারণ, তারা হেদায়েত অস্বীকার করে গোমরাহিকে আঁকড়ে ধরেছে৷ তারা এমন পন্থা অবলম্বন করেছে যা মুমিনদের সাথে এবং আল্লাহ'র সাথে বাটপারি করেছে। সর্বশেষে বলা হচ্ছে, তারা মিথ্যা বলত৷ মিথ্যা বলত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে, মিথ্যা বলত মুমিনদের সাথে। তারা যে ঈমানের দাবি করত সেটা ছিল মিথ্যা। ইসলামের পক্ষে, শিরক - কুফরির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করত যা ছিল পুরো পুরি মিথ্যা।
إظهار الكل...
یُخٰدِعُوۡنَ اللّٰهَ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ وَ مَا یَخۡدَعُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡفُسَهُمۡ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ আল্লাহ এবং মুমিনদেরকে তারা প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা নিজেদেরকেই নিজেরা প্রতারিত করছে, অথচ তারা তা বুঝে না। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ৯) মদীনায় যখন ইসলাম কায়েম হয় কাফেরদের কিছু লোক ভিতরে কুফরি রেখে উপরে মুমিন হওয়ার দাবি করত। যেহেতু মুসলিমরা ক্ষমতায়, ইসলাম ক্ষমতায় এবং কাফেররা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক সেহেতু নিজেদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক রাখতে এই কৌশল নিয়েছিল তারা৷ যেকোনো বিজয়ী জাতির মধ্যেই কিছু সুবিধাবাদী এবং বিশ্বাস ঘাতক ঢুকে যায়, এটাই নিয়ম। তো এসব লোকেরা নিজেদের বুদ্ধিমান মনে করত। ভাবত তারা মুসলমানদের ধোঁকা দিতে পেরেছে এবং একসময় মুসলমানদের ধ্বংস করে আবার কুফর - শিরকের বিজয় এনে দিবে। কিন্তু আল্লাহ বলছেন এরা তাদের নিজেদেরই ধোঁকা দিচ্ছে। কে ধ্বংস হবে আর কে বিজয়ী হবে তা সম্পুর্নই আল্লাহ নির্ধারণ করেন। মানুষের বুদ্ধি বা কৌশলে বা চেষ্টায় যদি দুনিয়ার কোন কিছু পরিবর্তন হয় তাহলে চালাক মানুষগুলোই দুনিয়ায় সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাধর হতো৷ কিন্তু দেখা যায়, এরাই বেশি বিপদে থাকে। এসব মুনাফিকরা নিজেদের কিভাবে ধোঁকা দিচ্ছে? তার উত্তর হলো এরা দুনিয়ায় কখনও বিজয়ী হবে না, সাময়িক সফলতা আসতে পারে কিন্তু চুড়ান্ত বিজয় আসবে না। আর নিজেদের মুনাফেকি একসময় ধরা তো পড়বেই। এরপর থেকে মুসলমানদের সমাজে ঘৃণিত দালাল আর বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হবে। এছাড়া আখেরাতে তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। দুনিয়াও গেল, আখেরাতও গেল৷
إظهار الكل...
وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّقُوۡلُ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَ بِالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ مَا هُمۡ بِمُؤۡمِنِیۡنَ আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি’, অথচ তারা মুমিন নয়। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ৮)   মদীনায় ধরনের কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটল যারা ঈমান আনার দাবি করলেও কাফেরদের সাথে ই সম্পর্ক রাখত,কাফেরদের পক্ষে ছিল। মুলত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুসলমানদের দমিয়ে দিতে, পরাজিত করতে তাদের চেষ্টা চলত৷আল্লাহ তাদের ঈমান কবুল করেন নাই। তাদের কাফের হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এদের সম্পর্কে একবারও বলা হয়নি তারা ইসলাম গ্রহণ করেও মূর্তি পুজা করত বা আল্লাহ'র উদ্দেশ্য কুরবানী না দিয়ে দেবির জন্য বলি দিত। এরা এসব করত না। এরা স্বলাত, সাওম, যাকাত ঠিক রাখত কিন্তু ইসলামের বদলে কুফরের বিজয় চাইত, কাফেরদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত থাকত। বর্তমানে মুসলিম দাবিদাররা এসবই করে৷ বরং এরা স্বলাত আদায় করে না, যাকাত ঠিকমতো আদায় করে না এমনকি শিরকি - কুফরি কাজ প্রকাশ্যে করে। বর্তমান সময়ের এসব মুসলিম দাবিদার উক্ত আয়াতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের চাইতেও নিকৃষ্ট।
إظهار الكل...
خَتَمَ اللّٰهُ عَلٰی قُلُوۡبِهِمۡ وَ عَلٰی سَمۡعِهِمۡ ؕ وَ عَلٰۤی اَبۡصَارِهِمۡ غِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَهُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ আল্লাহ তাদের অন্তরে এবং তাদের কানে মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের চোখসমূহে রয়েছে পর্দা। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ৭) এ জাতীয় আয়াত কুরআনে অনেক বার এসেছে। একজ৷ মানুষের জন্য এর চাইতে বড় শাস্তি আর কি আছে। মানুষ উপলব্ধি করতে পারে, সত্য মিথ্যার পার্থক্য দেখার ক্ষমতা রাখে, কিছু শুনলে সেটা শব্দ নয় বরং সত্য বা মিথ্যা আলাদা করতে পারে। কিন্তু যখন এই ক্ষমতা গুলো হারিয়ে ফেলে তখন সেই মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য থাকে না । সত্য অস্বীকার, দাম্ভিকতা, গোয়ার্তমি , পাপের সাগরে ডুবে থাকার কারণে আল্লাহ কিছু লোকের অন্তর এবং কানে সীলমোহর করে দিয়েছেন। এবং চোখের উপর পর্দা ফেলে দিয়েছেন। এর ফলে তারা কোনভাবেই হেদায়েতের গুরুত্ব, হেদায়েত অস্বীকারেএ ভয়াবহতা বুঝতে পারে না। এবং হকের পথ, মুক্তির পথ পরিস্কার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা দেখে না।এটা অত্যন্ত ভয়াবহ গজব৷ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাপের কারণে অন্তরে কালো দাগ পড়ে। বান্দা যখন তওবা করে পাপ থেকে পুণ্যের পথে আসে তখন কালো দাগ দুর করে দেয়া হয়। কিন্তু সে যখন তওবা না করে পাপেরমধ্যে থেকে যায় তখন পুরো অন্তর একসময় কালো - অন্ধকার হয়ে যায়৷ আমাদের চারপাশে, সমাজে, অঞ্চলে ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে এমন৷ একটা অন্যায় বা হারাম কাজ করলে কত খারাপ লাগে, কষ্ট লাগে। কিন্তু সেই অন্যায় গুনাহ ক্রমাগত করতে থাকলে এক সময় সেই খারাপ লাগার অনুভূতি আর থাকে না৷ মাঝে মাঝে একটু অনুতাপ হয়। আর কিছু দিন পরে সেই কাজের স্বপক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড়িয়ে যায়। তখন বলতে থাকে খারাপ মনে হলেও আসলে কাজটা এই এই কারণে ভালো এবং ন্যায়সংগত৷ এটাই অন্তর নষ্ট হওয়ার প্রমাণ৷ যারা কাফের বা ঈমান এনেও মুশরিক বা মুনাফেক বা মুরতাদ তাদের অন্তর, কান এবং চোখের কার্যকরীতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ যার ফলে খুব সহজ হেদায়েত অস্বীকার করে তারা কুফর - শিরককেই সঠিক মনে করে আঁকড়ে ধরে৷ হাতের আঙ্গুল গুলো একটা একটা করে বন্ধ করতে করতে পুরো হাত মুষ্টি বদ্ধ হয়ে যায়, হাতের তালু বন্ধ হয়ে যায়৷ হাতের তালু আর দেখা যায় না। এই ভাবেই হেদায়েত অস্বীকার এবং কুফর / শিরক / গুনাহ আঁকড়ে ধরার ফলাফল হিসেবে অন্তরের উপলব্ধি ক্ষমতা এবং তার ধারাবাহিকতায় শ্রবণ এবং দৃষ্টি শক্তি' সুফল আর থাকে না।
إظهار الكل...
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا سَوَآءٌ عَلَیۡهِمۡ ءَاَنۡذَرۡتَهُمۡ اَمۡ لَمۡ تُنۡذِرۡهُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর, উভয়ই তাদের জন্য বরাবর, তারা ঈমান আনবে না। ( সুরা বাকারাহ' আয়াত ৬) কাফের কখনোই হেদায়েত পাবে না এমন নয়৷ এখানে যে কাফেরদের কথা বলা হচ্ছে তারা হচ্ছে ঐ সব কাফের যারা স্বার্থের কারণে বা অহংকার বশত বা  গোঁড়ামির কারণে হেদায়েত প্রত্যাখ্যান করে।  এরা কুরআন নাযিল শুরুর সময় ছিল, এখনও আছে৷ এরা শুধু অন্য ধর্ম বা নাস্তিক - ধর্মহীনদের মধ্যে নয়। বরং মুসলিম নামধারীদের মধ্যেও অগণিত আছে।  এদেরকে হকের দাওয়া  যতই দেয়া হোক,  হকের প্রমাণ এবং প্রাসঙ্গিকতা যতই উপস্থাপন করা হোক এরা কুফরকেই আঁকড়ে ধরে থাকে।  আবু জেহেল, আবু লাহাব, উতবা, শায়বা যেভাবে জেনে বুঝে ইসলামের বিরোধিতা করেছিল,  মদীনার তৎকালীন ইহুদি আলেমরাও করেছিল জেনে বুঝে।  একইভাবে বর্তমান সময়ের ক্ষমতাধর এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের অনেকেই হক জেনে বুঝেই প্রত্যাখ্যান করে, হকের বিরোধিতা করে, হকের পক্ষের লোকদের নির্যাতন নিপীড়ন করে।
إظهار الكل...
اختر خطة مختلفة

تسمح خطتك الحالية بتحليلات لما لا يزيد عن 5 قنوات. للحصول على المزيد، يُرجى اختيار خطة مختلفة.