cookie

نحن نستخدم ملفات تعريف الارتباط لتحسين تجربة التصفح الخاصة بك. بالنقر على "قبول الكل"، أنت توافق على استخدام ملفات تعريف الارتباط.

avatar

আল-ফাতেহ্ || AL-FATEH || ال- فتح

إظهار المزيد
لم يتم تحديد البلدلم يتم تحديد اللغةالفئة غير محددة
مشاركات الإعلانات
374
المشتركون
لا توجد بيانات24 ساعات
لا توجد بيانات7 أيام
لا توجد بيانات30 أيام

جاري تحميل البيانات...

معدل نمو المشترك

جاري تحميل البيانات...

হিজাব পরে কলেজে আসায় গেরুয়া সন্ত্রাসীদের নিপীড়নের শিকার মুসলিম ছাত্রীর প্রতিবাদ গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের কলেজগুলোতে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। গত কয়েক দিনে তা চরমে পৌঁছেছে। হাই কোর্টে উঠেছে মামলা। এরই মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে হিজাব পরা এক মুসলিম ছাত্রীকে ঘিরে ধরে তাকে উত্যক্ত করা ও গেরুয়া সমর্থকদের জয়শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার ভিডিও। ঘটনাটির বিবরণে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (০৮/০২/২২) কর্ণাটকের একটি কলেজে মুসলিম ছাত্রীকে হেনেস্থার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে একদিকে গেরুয়া উত্তরীয় পরা উগ্র হিন্দুত্ববাদী ছাত্রদের দল, আরেক দিকে একা হিজাব পরা একজন সাহসী মুসলিম কলেজ ছাত্রী। গেরুয়া উত্তরীয় পরা উন্মত্ত দলটি ঐ মুসলিম ছাত্রীকে একরকম ঘিরে ফেলে তীব্র চিৎকার করছে – জয় শ্রী-রা-ম, জয় শ্রী-রা-ম! কান ফাটানো সেই চিৎকারে কলেজ চত্বরের আর কোনও শব্দই শোনা যাচ্ছিল না তখন। হিজাব পরা ঐ মুসলিম ছাত্রী তবুও দমে যাননি। একাই দ্রুত গতিতে কলেজের দিকে এগিয়ে চলেছে। সাথ তাদের জয়শ্রীরাম ধ্বনির বিপরীতে একাই চিৎকার করে “আল্লাহু আ-ক-বা-র” বলে তাকবীর দিচ্ছিলেন। পরে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, “আমি কলেজে আসছিলাম। একদল হিন্দু ছাত্র আমাকে কলেজে ঢুকতে দিচ্ছিল না। ওরা বলে, বোরখা পরা থাকলে কলেজে ঢুকতে দেবে না।” ভারতের কর্ণাটকে মুসলিম বোনেরা একে একে সব কলেজেই প্রবেশের অধিকার হারাচ্ছে। অন্যদিকে, গেরুয়া সন্ত্রাসীরা প্রকাশে ক্যাম্পাসে মহড়া চালাচ্ছে। আজই কর্ণাটকের কলেজের আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, একদল হিন্দু ছাত্র কলেজ চত্তরে একটি গেরুয়া পতাকা টানায়। ওই ছাত্ররা জাতীয় পতাকা নামিয়ে গেরুয়া পতাকা টানিয়েছে। বেশকিছু দিন ধরেই হিজাব পরিধান করে আসায় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মুসলিম ছাত্রীদের কলেজে ঢুকতে দিচ্ছে না। ব্যক্তি স্বাধীনতার দাবিদ্বার উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা নিজেদের পুরোহিতদের উলঙ্গ থাকাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা দাবী করে। কিন্তু মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরায় মারমুখী হয়ে উঠছে। এব্যাপারে নারীবাদীরা মুখে কুলুপ লাগিয়ে আছে। কিন্তু যদি কোন কথিত স্বাধীনচেতা কোন নারী ছোট অশালীন পোশাক পড়তো আর অন্যরা বাধা দিত, তাহলে আবার ঠিকই স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে পাশে দাড়াতো অশ্লীলতার প্রচারকারি ঐ কথিত নারীবাদীরা। আর মুসলিম নারীরা নিজেদের পর্দা রক্ষায় হিজাব পড়লেই তাদের যত সমস্যা। তবেঁ এসব সমস্যা সমাধানের পথ মুসলিমদের নিজেদেরকেই বের করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ। কেননা তাদের সমস্যা অন্যেরা এসে ঠিক করে দিবে না। তথ্যসূত্র: A Muslim Women in Karnataka is TERRORISED by her College mates for wearing a Hijab in her college – https://tinyurl.com/96h7uh6h
إظهار الكل...
Mohammed Zubair

Full video : A Muslim Women in Karnataka is TERRORISED by her College mates for wearing a Hijab in her college. #KarnatakaHijabRow CC : @PMOIndia @narendramodi @rashtrapatibhvn @HMOIndia @VPSecretariat twitter.com/zoo_bear/statu…

إظهار الكل...
#AFN_Bulletin || সাপ্তাহিক বিশ্ব সংবাদ || ফেব্রুয়ারি ১ম সপ্তাহ, ২০২২ঈসায়ী

টেলিগ্রাম চ্যানেল লিংক: t.me/afnradio1 নিউজ চ্যানেল লিংক:

https://www.youtube.com/afnradio1

ব্যাকআপ চ্যানেল লিংক:

https://www.youtube.com/channel/UCU1YFAyh9HPkLLiUwzI-Saw

ব্যাকআপ চ্যানেল লিংক:

https://www.youtube.com/channel/UCtyVQ-uJpMhojgxfO1VfLMg

পূর্ব তুর্কিস্তান | ভুলে যাওয়া ১৯৯৭ সালের গুলঝা গণহত্যা গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল পূর্ব তুর্কিস্তানের গুলঝা গণহত্যার ২৫ তম বছর। ১৯৯৭ সালের এই দিনে অন্তত ২০০ উইঘুর মুসলিমকে নির্বিচারে হত্যা করে দখলদার চীনা কমিউনিস্ট সরকার। এর আগে খবর বের হয় যে দখলদার চীনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অন্তত ৩০ জন উইঘুর মুসলিমকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে নিষ্ঠুর চীনা দখলদাররা। দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে চালানো হচ্ছিল চতুর্মুখী নির্যাতন। মুসলিমদের ধর্ম পালনের অধিকার দেয়া হচ্ছিল না। মুসলিমদের ভূমি দখলকারী কমিউনিস্ট চীনা সরকারের এসব নির্যাতন, বৈষম্য এবিং ধর্ম পালনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানতে একটি মিছিল বের করে মুসলিমরা। মুসলিমদের উক্ত সামান্য মিছিলের প্রতিবাদকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে চীনা সরকার উইঘুরদের উপর চালায় বর্বরোচিত গণহত্যা। মিছিলে অংশ গ্রহণকারীদের দমনের নামকরে গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার মানুষকে। গুলি, ফাসি, বাড়িঘরে অভিযান এবং আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মুসলিমকে। সেদিনের সেই গণহত্যার সময় থেকে এখন পর্যন্ত কেউ চীনের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করেনি। ফলে দিনকে দিন চীনা নাস্তিক্যবাদী সন্ত্রাসী সরকার আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পূর্ব তুর্কিস্তানে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মুসলিম বন্দী কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। তাদের উপর চলছে অমানুষিক নির্যাতন। গণধর্ষণ, শ্রমদাসত্ব, মেডিকেল এক্সপেরিমেন্ট, জোরপূর্বক গর্ভপাত, অর্গান হারভেস্টিং-এ জোরপূর্বক ব্যবহার – এগুলো সেখানকার বন্দী মুসলিমদের জন্য নিত্যদিনের অনুসঙ্গ। ভবিষ্যতের কোনো কল্পকাহিনী না, বরং উম্মাহর অতীত নির্লিপ্ততার ফল। পূর্ব তুর্কিস্তানের কোটি কোটি মুসলিমের জীবনের কথা। নীরবতার প্রাচীরের আড়ালে উইঘুর-কাযাখ মুসলিমদের ওপর চালানো চীনের গণহত্যার চিত্র এটি। এই চিত্র ১৯৪৯ সালে যেমন ছিল, ১৯৯৭ সালেও তেমনি ছিল; আর এখন ২০২২ সালে এসেও ঠিক তেমনই। অকেজো বিশ্বব্যবস্থা আর কৃত্রিম জাতিরাষ্ট্রের সীমানায় আটকে পরা উম্মাহর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে পূর্ব তুর্কিস্তানে নির্বিঘ্নে গণহত্যা চালাচ্ছে চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার নাৎসিদের চাইতেও অনেক হিসেবী এই গণহত্যা। আরো অনেক পরিপাটি চীনের এই আগ্রাসন। তথ্যসূত্র: ১. Gulja massacre – https://tinyurl.com/yc5uh93h
إظهار الكل...
Gulja Massacre

News report concerning the massacre at Gulja City

ইথিওপিয়ান সামরিক ঘাঁটিতে আশ-শাবাবের তীব্র হামলা, হতাহত ১৫ এরও বেশি সোমালিয়ার উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্রুসেডার ইথিওপিয়ান বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভারী হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ইথিওপিয়ার সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে দিনসর শহরে ইথিওপিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একে একে ২৪ টি মর্টার হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। এতে ক্রুসেডার বাহিনীর মাঝে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং সামরিক যানবাহনের ক্ষতি হয়েছে। শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মুজাহিদদের নিক্ষিপ্ত মর্টারের আঘাতে ক্রুসেডার ইথিওপীয় সামরিক ঘাঁটিতে বড়ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে ২টি গাড়ি, ১টি সামরিক ট্রাক এবং বেশ কয়েকটি তাঁবু ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে ৩ ক্রুসেডার সৈন্য নিহত হয় এবং আরও ৪ ক্রুসেডার গুরতর আহত হয়। এদিকে আজ রাজধানী মোগাদিশুতেও একটি টার্গেট কিলিং অপারেশন পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ। যাতে গাদ্দার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ২ কর্মকর্তা নিহত হয়। অপরদিকে যুবা রাজ্যের বারুলী শহরেও এদিন দুর্দান্ত একটি সামরিক অভিযান চালান হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। যাতে ৬ গাদ্দার সেনা নিহত ও আহত হয়েছে।
إظهار الكل...
গুরুগ্রাম: উগ্র হিন্দুদের বাধার সম্মুখীন মুসলিমদের নামাজ গুরুগ্রাম। ভারতের ব্যয়বহুল একটি শহর। দীর্ঘ স্বপ্ন এবং চটুল প্রতিশ্রুতি এই শহরের বৈশিষ্ট্য। দিল্লির উপকণ্ঠে শহরটির অবস্থান। বড়ো বড়ো দালানকোঠা, টেক জায়ান্টদের অফিস এবং অগণিত মদের বার ও ক্লাব শহরটিকে জাঁকজমকভাবে তুলে ধরছে। এসব অন্ধকারাচ্ছন্ন আলো শহরটিকে যেন এমন বানিয়েছে, যেখানে ব্যক্তির ধর্মের কোনো গুরুত্ব নেই। গত তিন বছর ধরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা খোলা ময়দানে জুমুআর সালাত আদায়ের বিরোধিতা করছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হিন্দুদের এই উগ্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক শুক্রবারে গুরুগ্রাম গুরুগ্রাম নাগরিক একতা মঞ্চ-এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমেদ। তিনি বলছেন, “আমি আলতাফ আহমেদ। আমার জন্ম দিল্লিতে। সেখানে আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। আমার জীবনের ত্রিশ বছর কেটেছে দিল্লিতে। বিয়ে করার পর আমি গুরুগ্রামে স্থায়ী হই। এখানে আমি একটি আইটি কোম্পানিতে চাকরি করতাম। গত ১৫ বছর ধরে আমি গুরুগ্রামে বাস করছি। সম্প্রতি আমি চাকরিটি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি। আমি আগে সেক্টর ৪৭-এ নামাজ আদায় করতাম। এখন সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই আজ আমি সেক্টর ৪৪-এ জুমুআর নামাজ আদায়ের চিন্তা করছি। তবে আমার কাছে ফোন আসছে যে, সেখানেও নাকি সমস্যা করা হচ্ছে “ জনাব আলতাফের স্ত্রী হেন্না আহমেদ। তিনি বলছেন, “আলতাফ জুমুআর নামাজ আদায় করতে গেলে আমার ভয় হয়, জুমুআর নামাজ আদায়ের সময় খারাপ কিছু হয়ে যায় কি না..! তাই আমি সর্বদা তাকে জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হয়ে নিই যে, সে জুমুআর নামাজ আদায় করে কোথায় যাবে। যেন আমি জানতে পারি সে কোথায় আছে।” গুরুগ্রামে দেড় লাখ মুসলিম বাস করেন। এত বিশাল সংখ্যক মুসলিমের জন্য সেখানে কার্যকরী মসজিদ আছে মাত্র ১৩টি। যার কারণে মুসলিমরা খোলা ময়দানে নামাজ আদায় করতে বাধ্য হন। এই খোলা স্থানগুলোর বেশিরভাগই এখন হিন্দুদের আক্রমণের শিকার। প্রতি জুমুআতেই এগুলোতে তারা আক্রমণ করছে। “পুরো একটি জাতিকে নির্যাতন করা হয়েছে, বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে” বলছিলেন আলতাফ আহমেদ। মুসলিমদের উপর উগ্র হিন্দুদের এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই দেশ কি আমাদের নয়? আমাদের কি কোনো স্বাধীনতা নেই? আমরা মুসলিমরা সপ্তাহে মাত্র একবার জুমুআর নামাজ আদায় করি। গুরুগ্রাম প্রশাসন মসজিদের জন্য আমাদের জমি বরাদ্দ দেয় না। তারা কি আমাদেরকে নামাজ আদায়ের জন্য জমি দিয়ে এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারে না? পরিকল্পনা করে এটিকে নয়া শহর বানানো হচ্ছে। এখানে অনেক ভূমি এখনও খালি আছে। মন্দির, গুরুদ্বার বানানোর জন্য জমি বরাদ্দ দিচ্ছে। তবে মসজিদ বানানোর জন্য আমাদেরকে জমি বরাদ্দ দিচ্ছে না।” তিনি বলেন, “এটা খুবই জঘন্য। নামাজ আমাদের ইসলামের মৌলিক ভিত্তি। আর নামাজকেই এরা আক্রমণ করছে। গরীব মানুষদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এটা কেবল নামাজের উপরই আক্রমণ নয়, এটা মুসলিমদের উপর নির্যাতন। মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।” আলতাফের স্ত্রী হেন্না আহমেদ বলেন, “আমার ছোটো মেয়ে তখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। একদিন স্কুল থেকে ফিরেই সে কান্না শুরু করে দেয়। সে বলছিল, আমার বান্ধবীরা আমাকে ‘পাকিস্তানী‘ বলে ডেকেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, কেন? ‘কারণ আমি একজন মুসলিম’—আমার মেয়ে জবাব দেয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি ঐ শিশুদের দোষারূপ করছি না। তারা এগুলো শিখেছে নিজেদের পরিবার থেকে। তাদের পারিবারিক পরিবেশই এমন। আজকাল আপনি টিভি স্ক্রিনে তাকালে দেখবেন, মিডিয়া সর্বদা মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। আর এভাবে ইসলামবিদ্বেষ প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে।” তবে বিষয়গুলো আশির দশকে এতটা খারাপ ছিল না বলে মনে করেন আলতাফ আহমেদ। বিগত কয়েক বছরে উগ্র হিন্দুরা খুব বেশি হিংস্র হয়ে ওঠেছে। ২০১৮ সালে গুরুগ্রামে ১০০ এর বেশি নামাজ আদায়ের জন্য খোলা ময়দান ছিল, এখন ২০২১ সালে এসে তা ২০ এর চেয়েও কমে গেছে। গুরুগ্রামে মাত্র ৩ বছরে ৮০ শতাংশের বেশি নামাজের জন্য বরাদ্দ থাকা খোলা ময়দান কমেছে। এভাবে সমগ্র ভারতেই আজ মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে হিন্দুরা। মুসলিমদের নামাজ আদায়ের অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে। অথচ এসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে আজ কেউ কিছু বলছে না। জাতিসংঘ কিংবা কথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলো তো না-ই, বাংলাদেশে কল্পিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সরব ব্যক্তিরাও আজ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর নির্যাতনে চুপ। তাদের এই নিশ্চুপ ভূমিকা মুসলিমদের সামনে শত্রু-মিত্রের সংজ্ঞা আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে। মুসলিমদের উপর এই নির্যাতনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই অঞ্চলের বরং সমগ্র বিশ্বের মুসলিমরা একই দেহের অংশ। সেই মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের ভিত্তিতে আজও মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে, ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এই উপমহাদেশকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এই অঞ্চলের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে মুসলিমদের মাঝে সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ইসলামের আলোকে সমাধানের পথ বের করতে হবে। লেখক: সাইফুল ইসলাম
إظهار الكل...
পাকিস্তান থেকে গুয়ানতানামো কারাগারে মুহাম্মদ আল-কাহতানী, এবার সৌদি কারাগারে স্থানান্তর ২০০২ সাল থেকে কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগারে বন্দীত্বের জীবন কাটাচ্ছেন মোহাম্মদ আল-কাহতানি। এবার আমেরিকার গোলাম আলে-সৌদের কারাগারে তাকে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। মুহাম্মদ আল-কাহতানি, যাকে ২০০১ সালের ডিসেম্বরে গাদ্দার পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বন্দী করেছিল। পরে নগন্য এই দুনিয়ায় সামান্য অর্থের বিনিময়ে মুহাম্মদ আল-কাহতানীকে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করে পাকিস্তান। তাকে বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার সদস্য এবং ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানকে রক্ষার জন্য দখলদার মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার অভিযোগ এনে বন্দী করা হয়। পরে গাদ্দার পাকিস্তানের সহায়তায় তাকে কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। যেখানে তাঁর উপর চালানো হয় অমানবিক সব নিষ্ঠুর নির্যাতন। গতকাল ৫/২/২২ তারিখে ক্রুসেডার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের দেওয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বন্দীদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কাহতানিকে সৌদি আরবে স্থানান্তর করা হবে। চলতি বছরের মার্চ মাসে কাহতানিকে সৌদি আরবে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। উদ্বেগ রয়েছে যে, আমেরিকার হুকুমের গোলাম সৌদি আরব প্রশাসন কাহতানির উপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি করবে এবং তা অব্যাহত রাখবে। কেননা আলে-সৌদ সরকার মুসলিম প্রতিরোধ বাহিনীর বন্দীদের সাথে খারাপ আচরণের জন্য পরিচিত। গুয়াতানামোতে মুহাম্মদ আল-কাহতানির উপর চালানো হয় অমানবিক সব নির্যাতন। দেওয়া হয় নি তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। এই কারণে তাঁর মানসিক ও স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বর্তমানে তাঁর সুচিকিৎসার প্রয়োজন। অথচ এই পশ্চিমা ও এদের দালালরাই মানবতা আর নৈতিকতার বুলি সবচেয়ে বেশি আওড়ায়। আর মুসলিমদের বেলায় এরা এদের নিজেদের সংজ্ঞায়িত মানবতার ও ধার ধারে না।
إظهار الكل...
সোমালিয়া | আশ-শাবাবের হামলায় ২টি ঘঁটি ছেড়ে ইথিউপিয়ায় পালিয়েছে গাদ্দার বাহিনী সম্প্রতি দক্ষিণ সোমালিয়ার উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়েছে গাদ্দার বাহিনী ও ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে। কয়েক ঘন্টার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ২টি সামরিক ঘাঁটি ও বিস্তীর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব। আঞ্চলিক সংবাদ সূত্রে বলা হয়েছে, গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সোমালিয়ার বে রাজ্যে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন এবং সোমালি গাদ্দার সরকারের ‘দক্ষিণ পশ্চিম’ প্রশাসনের মিলিশিয়াদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়েছে। প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব রাজ্যটির দিনসর জেলা এবং এর আশেপাশের ২টি মিলিশিয়া ঘাঁটিতে বড়সড় আক্রমণ শুরু করেছেন। সূত্রটি নিশ্চিত করেছে যে, সোমালি মিলিশিয়ারা হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের প্রচণ্ড আঘাতের সামনে টিকতে পারেনি। ফলে কয়েক ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের পর গাদ্দার সেনারা তাদের ২টি ঘাঁটি থেকে পালিয়েছে। এবং জেলাটির ম্যাকমাল বিমানবন্দর হয়ে ইথিওপিয়ান সামরিক ঘাঁটিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। দিনসরের প্রত্যক্ষদর্শীরা মিডিয়াকে বলেছেন যে, প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদেরকে শহরের আশেপাশের এলাকায় বিস্তৃত হতে দেখেছেন। তারা ধারণা করছেন যে, এভাবে অভিযান চলতে থাকলে যেকোনো মূহুর্তে আশ-শাবাবের হাতে শহর ও বিমানবন্দরের পতন ঘটতে পারে। এদিকে আল-আন্দালুস ইসলামি রেডিও স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে যে, গতকালের প্রথম কয়েক ঘন্টার সংঘর্ষেই আশ-শাবাবের হামলায় কমপক্ষে ১০ সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েক ডজন গাদ্দার সেনা নিহত ও আহত হয়েছে। যাদের লাশ নিয়ে কোনরূপ পালাতে সক্ষম হয়েছে গাদ্দার সৈন্যরা। এদেকি শাহাদাহ এজেন্সি রিপোর্ট করেছে যে, হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন ঘাঁটি ২টি বিজয়ের পর সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসেবে বাজেয়াপ্ত করেছেন। যেগুলো ইসলামি রাজ্যের প্রসারে ব্যবহার করা হবে।
إظهار الكل...
কোন এজেন্ডা নিয়ে এগুচ্ছে ছাত্রলীগ? ‘শাঁখের সুর আজানে যাচ্ছে মিশে, ধর্মান্ধ তোমার লালসা মিটবে কীসে?’—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে একটি দেয়ালে লেখা এই ছন্দটি। পাশে বড়ো করে লেখা আছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শাঁখের সুর হলো হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনার অংশ; আর আজান মুসলিমদের ইবাদতের অংশ। বাংলাদেশের মুসলিমদের আজানের ধ্বনি ছাত্রলীগের পছন্দ নয়, তাদের শুনতে হবে শাঁখের সুর। ছাত্রলীগের দৃষ্টিতে আজানের ধ্বনি ধর্মান্ধতা, আর শাঁখের সুর ছাত্রলীগের ধর্মের অংশ। কারণ ছাত্রলীগ উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীদের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন। ছাত্রলীগের অতীত ও বর্তমান এই কথাটিরই সাক্ষ্য দিচ্ছে দ্ব্যর্থহীনভাবে। গত ৩০শে জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনে নাচ-গানের আয়োজনে নর্তকীদের শাড়িতে ছিল ভারতীয় পতাকার রং। ভারতের পতাকায় যেমন একপাশে সবুজ, মাঝে সাদা এবং আরেকপাশে গেরুয়া রং, ঐ নর্তকীদের শাড়িতেও ঠিক তেমনি। ছাত্রলীগ হিন্দুদের গেরুয়া রং পছন্দ করলেও, তাদের সহ্য হয় না ‘মুসলিম’ শব্দটি। মুসলিম শব্দেও তারা সাম্প্রদায়িকতা খুঁজে পায়, আর হিন্দুদের রীতিনীতিতে পায় অসাম্প্রদায়িকতার আহ্বান! এমন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতিই উন্মোচন করে দিয়েছে উগ্রবাদী ছাত্রলীগের হিন্দুত্ববাদী মুখোশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের হল কমিটির ঘোষণাপত্রে কয়েকটি হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ছাত্রলীগ। ফজলুল হক মুসলিম হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে লিখেছে ফজলুল হক হল। একইভাবে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম থেকেও মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়েছে তারা। এই বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলে, এ নামগুলো থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়েছে নাকি নাম সংক্ষিপ্ত করার জন্য। অথচ, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’, ‘শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল’, ‘স্যার এ. এফ. রহমান হল’, ‘বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল’ ইত্যাদি হলগুলোর নাম আরও বড় হলেও বিজ্ঞপ্তিতে সংক্ষিপ্ত করা হয়নি। এভাবেই ছাত্রলীগ মূলত ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএসের ভূমিকায় এদেশে অবতীর্ণ হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সর্ব জায়গায় নামধারী কথিত মুসলিমদের পাশাপাশি ইসকনপন্থী হিন্দু সন্ত্রাসীদের আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। বর্তমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য নামক এক হিন্দু সন্ত্রাসী, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সন্ত্রাসী হিন্দু নেতা সনজিত চন্দ্র দাস। কথিত মুসলিম নামধারীদের নিয়ে এই হিন্দু সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগের মাধ্যমে এদেশে হিন্দুত্ববাদীদের রামরাজত্ব কায়েম করার মিশনে নেমেছে। তারা চায়, এদেশে আজানের সুমধুর পবিত্র ধ্বনি বন্ধ করে দিয়ে শাঁখের অপবিত্র আওয়াজ করতে। এজন্য যখনই মুসলিমরা কোনো ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন, তখন মুসলিমদের নিরস্ত্র অবস্থার সুযোগ নিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে হিন্দুত্ববাদী ছাত্রলীগ। নিরস্ত্র মুসলিমদের উপর হিংস্র ছাত্রলীগের আক্রমণে রাজপথ রঞ্জিত হওয়ার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় হলো, ছাত্রলীগের ইসলামবিদ্বেষ এত সুস্পষ্ট হওয়ার পরও কেউ কেউ ছাত্রলীগ নিয়ে গর্বিত হয় আবার মুসলিম হিসেবেও নিজেকে পরিচয় দেয়। এসব দ্বিমুখী লোকদের উচিত, মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে চাইলে ছাত্রলীগের ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। সর্বোপরি ছাত্রলীগ যে আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী মিশন নিয়ে সামনে এগুচ্ছে, তা রুখতে হলে মুসলিমদেরকে সঠিক তাওহিদী চেতনার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং নববী পদ্ধতিতে ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করতে হবে বলে মনে করেন আলেমগণ। লেখক: সাইফুল ইসলাম তথ্যসূত্র: ১। হল সম্মেলনের ভিডিও – https://tinyurl.com/2p8a5h4s [সতর্কতা: নাচ-গান-বাজনা ও বেপর্দা নারী আছে।] ২। ঢাবির দুই হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ ছাত্রলীগের, ক্ষোভ; https://tinyurl.com/3ftfn4jv
إظهار الكل...
Bangladesh Students' League - হল সম্মেলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল শাখা ছাত্রলীগের সমন্বিত ‘হল সম্মেলন ২০২২’

اختر خطة مختلفة

تسمح خطتك الحالية بتحليلات لما لا يزيد عن 5 قنوات. للحصول على المزيد، يُرجى اختيار خطة مختلفة.