ইমতিয়াজ বুরহান

খারাপই হোক না কেন শরীয়ত তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুমতি দেয় না।

এক ভাই কিছু প্রশ্ন করেছেন। ★ (১) ------- আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- "সৎকাজে আদেশ করো,অসৎকাজে নিষেধ করো।"রাসুল স: বলেছেন - একটি আয়াত হলেও প্রচার করো।আবার এটাও বলা হয়েছে- যারা অন্যকে ভালো কাজের আদেশ,মন্দ কাজের নিষেধ করতো, তারা নিজেরা না করার কারণে জাহান্নামে যাবে। এখন আমি যদি ফেসবুকে অনেক ইসলামিক কন্টেন্ট,ওয়াজ,তেলাওয়াত, লেখনী শেয়ার করি। কিন্তু, জীবনের কোনো এক পর্যায়ে যদি তা পালন করতে না পারি, পাপ ঘটে যায়, ভুল করে ফেলি, পুনরায় তাওবা করি - ★তাহলে কি আমি উক্ত জাহান্নামীদের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবো? ★এর কারণে আমি বেশিরভাগ সময় যেকোনো কিছু শেয়ার করা থেকে বিরত থাকি। আমার কাজটা কি সঠিক হয়েছে? ★ আমি কি ফেসবুক, ইউটিউবে ইসলামিক ভিডিও শেয়ার করে পালন না করলে গুনাহগার হবো? তবে আমি চেষ্টা করি মেনে চলার। আমি জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করি। نحمده و نصلي على رسوله الكريم الجواب وبالله التوفيق পবিত্র কুরআনুল কারীম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষার আলোকে আমাদের সামনে স্পষ্ট, প্রত্যেক মুমিনের জন্য উচিত মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুম যথাযথভাবে পালন করা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করা। যদি কখনো কারো থেকে কোনও গুনাহ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাকে সেই গুনাহ থেকে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে সেই গুনাহ না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করতে হবে। পাশাপাশি যদি কোন বান্দার হক সে নষ্ট করে থাকে তাহলে সেই বান্দার হক তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। সুতরাং (১) যদি কোনও মুমিন মুসলমান প্রয়োজন পরিমাণ দ্বীনি ইলম শিক্ষা করেন, ফেসবুকে ইসলামিক কন্টেন্ট,ওয়াজ, তেলাওয়াত, লেখনী শেয়ার করেন কিন্তু জীবনের কোনো এক পর্যায়ে যদি তা পালন করতে না পারেন, পাপে লিপ্ত হন, ভুল করে ফেলেন, পুনরায় তাওবা করেন তাহলে আশা করা যায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে ক্ষমা করে দিবেন। তিনি জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। কিন্তু তিনি যদি তওবা না করেন তাহলে গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার সময়টুকু তাকে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। পবিত্র হওয়ার পরে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন। (২) নিজে আমল করতে না পারলেও মুমিনের উচিত সবসময় সে মানুষকে ভালো কাজের দাওয়াত দিবে এবং সব ভালো জিনিস শেয়ার করবে যাতে সে অন্যের কল্যাণের কারণ হয়। (৩) ফেসবুক, ইউটিউবে ইসলামিক ভিডিও শেয়ার করে পালন না করলে অবশ্যই এটা দৃষ্টিকটু। সেই লোক কোনও কবিরা গুনাহে লিপ্ত হলে অবশ্যই সে গুনাহগার হবে। কিন্তু তার জন্য অতীত সে সবসময় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে। কখনো গুনাহ হয়ে গেলে সাথে সাথে তওবা এস্তেগফার করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবে। এখানে একটা বিষয় বলে রাখি, ডিজিটাল ছবি বা ভিডিও হারাম হওয়া নিয়ে বর্তমান সময়ের অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত। সুতরাং কোনো প্রাণীর ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ করা কখনোই জায়েজ হবে না। ★ (২) ------- এই প্রশ্নটা ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমার মামা একজন স্বস্বীকৃত নাস্তিক। ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক কাজ করেছেন, কটাক্ষ করেছেন। এমনকি নাস্তিক আসাদ নূর এর সাথে তার সম্পর্কও আছে, এটা তার ফেসবুক থেকে জনাতে পারি। নাস্তিক আসাদ নূর মামাকে জন্মদিনের উইশও করেছে। তার মেয়েরাও নাস্তিক এবং কট্টর ফেমিনিস্ট। তার এক মেয়ে তো LGBTQ সাপোর্টার। বেড়াতে গেলে তাদের সাথে দেখা হয়, তারা ইসলামের বিধান নিয়ে হাসিতামাশা করে, রাসুল স. কে গালি দেয়। আমাদের নিয়েও কটাক্ষ করে। এমন অবস্থায় কি তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখা উচিত হবে? তার কোনো উপহার,বা খাবার খাওয়া যাবে? তাকে দ্বীনের ব্যাপারে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, তবে সে কট্টর সেকুলার, নাস্তিক। এমতাবস্হায় তার সাথে কিভাবে সম্পর্ক রক্ষা করবো? শরীয়ত কখনো আত্মীয়র সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুমতি দেয় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোত্র-চাচা, এমনকি কাছাকাছি থাকা মানুষদেরও অনেকেই কাফের মুশরিক ছিল। কিন্তু আল্লাহর রাসূল কখনো তাদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। বরং সবসময় তিনি তাদেরকে দ্বীনের উপর উঠানোর চেষ্টা করেছেন। সুযোগ পেলেই তাদের দাওয়াত দিয়েছেন। ইসলামের সৌন্দর্য তাদের সামনে স্পষ্ট করেছেন। সুতরাং আপনার আত্মীয়, তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে যত অভিযোগই করুক না কেন, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এর কারণে আপনি তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারবেন না। শরীয়ত আপনাকে এর অনুমতি দেয় না। তাকে ইসলামের উপর উঠানোর জন্য আপনি তার কাছে উপহার পাঠাতে পারেন, এমনকি দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্যে আপনি তার সাথে খাবারও খেতে পারেন, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু যদি এমন হয় তাকে দাওয়াত দিতে গেলে আপনার নিজের ঈমানের আশঙ্কা হয় অথবা আপনার নিজের ব্যক্তিগত কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে তার থেকে দূরে থাকাই আপনার জন্য সঙ্গত। কিন্তু রক্তের সম্পর্কের একজন আত্মীয় যত

এক অবিস্মরণীয় ও অভূতপূর্ব অনুষ্ঠান! মাদরাসা বাইতুল উলূম বা ঢালকানগর মাদরাসায় যারা এক বছর হলেও পড়াশোনা করেছেন তাদের সকলের একত্রিত হওয়া উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে তলাবা ও ফুযালা সম্মেলন ১৪৪৬ হিজরি। ঢালকানগর মাদরাসা থেকে দাওরা শেষ করেছেন, তাখাসসুসের কোনো এক বিভাগ থেকে ফারেগ হয়েছেন অথবা কোনো সময় এই প্রতিষ্ঠানে দাখেলা নিয়েছেন এবং কিছুদূর পড়েছেন তারা সকলেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৪ ঈসায়ী ২০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী রোজ : শনিবার। সময় : সকাল ৯: ০০ টা থেকে আসর পর্যন্ত আমাদের মাদরাসা বাইতুল উলূমের সম্মানিত মুহতামিম, আমাদের রূহানী পিতা হযরত মাওলানা মুফতী জাফর আহমাদ দা.বা. তার সব রূহানী সন্তানকে একসাথে দেখা, কে কোন অবস্থায় আছে তা জানা এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করার দিলি তামান্না প্রকাশ করেছেন। আমরা সবাই হযরতের এই আন্তরিক তামান্নাটুকু বাস্তবায়নের ফিকির করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হুজুরের স্নেহ ও শাফকতের ছায়া আমাদের উপর আরও প্রলম্বিত করুন।

যেই চার গ্রুপের ৬৪৯৭ কোটি টাকা সুদ মাফ করে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে আছে নাসা গ্রুপ এবং এস আলম গ্রুপ। লক্ষ্য করলে দেখবেন যে নাসা গ্রুপ ঋণ নিয়েছিল জনতা ব্যাংকের থেকে এবং এস আলম গ্রুপ ঋণ নিয়েছিলো ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে। একটি বিষয় খেয়াল করে দেখেন, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম হেলাল "শিরিয়া ভিত্তিক" এক্সিম ব্যাংকের মূল মালিক ও চেয়ারম্যান। আর এস আলম সাহেব তো একাধিক ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এরা নিজেরা ইসলামী ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে না। নিজেরা কারবার করে প্রকাশ্য সুদী ব্যাংকের সাথে। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকিং এর নাম ভাঙিয়ে আপনাদের সাথে মহাজনী ব্যবসা করে। দ্বিতীয়ত, তারা মানুষের থেকে মেপে মেপে সুদ নিচ্ছে। যারা তাদের ব্যাংক গুলো থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা জানেন রক্ত বেচে হলেও সুদ পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন ঋণ নিল তখন তারা মাফ করিয়ে নিচ্ছে। কত গুলো অন্যায় এক সাথে। মানুষের সাথে প্রতারণা করা। সুদে ঋণ নেওয়া এবং অন্যের থেকে মাপ বুঝে নিলেও অন্যকে কম করে দেওয়া। সমবেদনা তাদের জন্য, যারা এনাদের ব্যবসাকে বড় করতে ঈমানী চেতনা থেকে লড়াই এবং নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করে গেছেন। মোহাইমিন পাটোয়ারী ভাই

জা য়োনি/ জম ধর্মকেন্দ্রিক কোনও আন্দোলন নয়। এটা নয় পুরো বিশ্বব্যাপী হযরত মুসা আলাইহি সালামের দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। জাyoনি-জম পুরোটাই টিকে আছে রাজনৈতিক শক্তি অর্জন, বিশ্বব্যাপী ই-হুদি বাদি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। জায়ো-নিজ/মের উত্থান ও ভবিষ্যৎ, বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি, শিল্প-সংস্কৃতি ও শিক্ষানীতিসহ প্রতিটি সেক্টরে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার রক্তাক্ত এক অধ্যায় ও লোমহর্ষক ইতিহাস উঠে এসেছে বইটির পাতায় পাতায়। রব্বুল আলামিন চাইলে খুব দ্রুতই ফিলহাল প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। ° বই: গ্লোবাল জায়োনিজম (বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্রের এপিঠ-ওপিঠ) মূল: আব্বাস মাহমুদ আল আক্কাদ অনুবাদ: ইমতিয়াজ বুরহান প্রচ্ছদ: সাঈফ আশরাফ প্রকাশনায়: ফিলহাল প্রকাশন

ভাত দে হারামজাদা নাইলে মানচিত্র খাব। গত এক বছর আগে: ১ কেজি আলু - ২০ টাকা ১ কেজি পিয়াজ - ৪০ টাকা ১ কেজি রসুন - ৬০ টাকা ১ ডজন ডিম - ৯০ এখন: ১ কেজি আলু - ৬০ টাকা ১ কেজি পিয়াজ - ৯৫ টাকা ১ কেজি রসুন - ২০০ টাকা ১ ডজন ডিম - ১৭০ টাকা আগের ২১০ টাকার জিনিস কিনতে আপনাকে এখন খরচ করতে হচ্ছে ৫২৫ টাকা। মূল্যস্ফীতি কত পারসেন্ট হলো? আর আপনার বেতন কত পারসেন্ট বাড়লো। ঘুমাও বাঙালি ঘুমাও তোমাদের ঘুম আর ভাঙবে না!

আপনি হালাল টাকা অর্জনের চেষ্টা করেন, কোন ধরণের উপরি ইনকাম করেন না। সারা মাস খাটনি করার পরে সেই টাকার উপরে আসে ইনকাম ট্যাক্স, যেই টাকা না দিলে দেশের আইনে আপনি একজন ক্রিমিনাল। ট্যাক্স আদায় হয়ে যাওয়া বাকি টাকাগুলো নিয়ে আপনি যখন বাজারে যান মাসের বা সপ্তাহের বাজার করতে, সেইখানে আপনার মুখের খাবারের উপরেও আবার যোগ হয় "ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স। সুপারশপগুলোতে থাকে ভ্যাটের পরেও ভ্যাট। আর সেই ট্যাক্স কালেক্টররা কিনবে লাখ লাখ টাকার ছাগল। এদিকে এস আলমের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স মাফ করে দেওয়া হবে। কোনো এক মরমী সাধক বলেছিলেন, I love this country system

কয়েকটা বিষয় আমি গভীরভাবে ভেবেছি। সফল হতে চাইলে আমাকে সেগুলোতে অভ্যস্ত হতে হবে (১) মনযোগ বাড়াতে হবে। (২) অনলাইন এক্টিভিটি কমাতে হবে। (৩) গুনাহ ছাড়তে হবে। (৪) আমলে মনযোগী হতে হবে। (৫) দুআ বাড়াতে হবে (৬) আর্থিক প্রস্তুতি নিতে হবে। (৭) বড় টার্গেটগুলো গোপন রাখতে হবে (৮) অনর্থক সম্পর্ক কমাতে হবে (৯) বড়দের আলোচনা বেশি শুনতে হবে (১০) রুটিনমাফিক চলতে হবে। (১১) স্বাস্থ্যসচেতন হতে হবে। (১২) দূরদর্শী আলেম হতে হবে।