☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼
তুমি মানুষকে যা দিয়েছো প্রতিদানে অনুরূপ আশা করো না, কারণ সবার কাছে তোমার মতো হৃদয় নাও থাকতে পারে! ☺️❤️ আপনার লিখা পাঠান: @GolpoKothaBot 📮 JOIN ⨠ @LINK_TREES 🌿 Admin: @FLYNN_LOYAL 🤍
إظهار المزيد4 756
المشتركون
+2824 ساعات
+1187 أيام
+45430 أيام
- المشتركون
- التغطية البريدية
- ER - نسبة المشاركة
جاري تحميل البيانات...
معدل نمو المشترك
جاري تحميل البيانات...
00:46
Video unavailableShow in Telegram
বিচ্ছেদ..
সবুজ ঘাস কিনে দিয়েছিলাম বসন্তের সময়,ফের বসন্তের পাইনি খুঁজে সবুজ শ্যামল তোমায় !
-কাইকর
6.55 MB
[ অনেকে সময় ও সুযোগের অভাবে গীতায় কী লেখা আছে তা ভাল করে পড়ে বা বুঝে উঠতে পারেন না। আমি এখানে কতিপয় শ্লোকের সারসংক্ষেপ বর্ণনা করে একটুখানি ক্ষুদ্র প্রয়াস করছি সবাইকে কিছু কিছু জানানোর। ]
কর্মযোগ, তৃতীয় অধ্যায়, শ্লোকঃ ১-৪৩
এই অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্মযোগের জ্ঞান প্রদান করেন। অর্জুনকে অনাসক্ত হয়ে কর্ম করতে থাকার মাহাত্ম্য সম্পর্কে অবগত করেন। অর্জুন সমুদয় জ্ঞান শ্রবণপূর্বক শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করেন, এত জ্ঞান আহরণের পরেও মনুষ্য কেন পাপাচারে লিপ্ত হয়। শ্রীকৃষ্ণ তখন পাপের উৎপত্তি কীরূপে হয় তাও ব্যাখ্যা করেন।
শ্রীকৃষ্ণ উবাচঃ
১. যে ব্যক্তি পঞ্চ- কর্মেন্দ্রিয় সংযত করেও মনে মনে সেগুলোর স্মরণ করে, সেই মূঢ় নিজেকেই বিভ্রান্ত করে এবং জগতে মিথ্যাচারী বলে আখ্যায়িত হয়৷ পুনশ্চ, যিনি ইন্দ্রিয় আসক্তি পরিত্যাগ করে অনাসক্তভাবে কর্ম করেন, তিনি পূর্বোক্ত ব্যক্তি থেকে শ্রেষ্ঠ।
২. সৃষ্টির প্রারম্ভে প্রজাপতি ব্রহ্মা যজ্ঞাদিসহ সমস্ত প্রজাদিগকে সৃষ্টি পূর্বক আদেশ করেছিলেন, সকলে যাতে যজ্ঞাদি পালন পূর্বক দেবতাদের প্রসন্ন করেন। যজ্ঞের ফলে প্রীত হয়ে দেবতাগণ যা প্রদান করবেন তা তাঁদের নিবেদন না করে ভোগ করা চৌর্যবৃত্তির সমতুল্য।
৩. নিজ ইন্দ্রিয় তৃপ্তির জন্য যারা ভোজন করে তারা অন্নের পরিবর্তে পাপ ভোজন করে। কেবল যজ্ঞাবশিষ্ট অন্ন গ্রহণেই পাপ মুক্ত হওয়া যায়।
৪. যজ্ঞ বেদ থেকে, বেদ ব্রহ্ম থেকে। তাই যজ্ঞে সর্বদা ব্রহ্ম বিরাজমান। যজ্ঞের ফলেই বৃষ্টি হয়ে থাকে। ব্যর্থ জীবনধারী পাপীরাই কখনো যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করেনা।
৫. যে ব্যক্তি আত্মাতেই প্রীত এবং সন্তুষ্ট, তার ধর্মানুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা নেই এবং ধর্মানুষ্ঠান পালন না করারও কোনো কারণ নেই। যা কর্তব্যকর্ম, তা তারা অনাসক্ত থেকেই সম্পাদন করেন।
৬. এই ত্রিভুবনে আমার প্রাপ্তব্যও কিছু নেই, অপ্রাপ্তিরও কিছু নেই। আমার কোনো কর্তব্য নেই। তা সত্ত্বেও আমি কর্মে ব্যাপৃত আছি। কারণ আমি কর্ম না করলে, সমগ্র বিশ্ব আমার অনুসরণপূর্বক কর্ম ত্যাগ করবে। আধ্যাত্ম-চেতনা সম্পন্ন হয়ে তোমার সমস্ত কর্ম আমাকে সমর্পণ করে সম্পূর্ণ নিরাসক্ত হয়ে যুদ্ধ কর।
৭. কর্মবন্ধন থেকে তারাই মুক্তিলাভ করেন যারা আমার উপদেশ পালন করে শ্রদ্ধাধারণ ও মাৎসর্য রহিত হয়ে কর্ম অনুষ্ঠান করেন। যারা অন্যথা করেন তারা বঞ্চিত, বিমূঢ় এবং পরমার্থ লাভে ব্যর্থ।
৮. স্বধর্মের অনুষ্ঠান দোষযুক্ত হলেও তা উত্তমরূপে অনুষ্ঠিত পরধর্ম থেকে উত্তম। স্বধর্মে পালনে মৃত্যও উপকারী, পরধর্ম উত্তম হলেও পালন করা বিপজ্জনক।
৯. কাম মনুষ্যের প্রধান শত্রু। রজোগুণ থেকে উদ্ভুত কাম মনুষ্যকে পাপের দিকে প্রবৃত্ত করে। কাম থেকেই ক্রোধের জন্ম। কামের আশ্রয়স্থল ইন্দ্রিয়সমূহ, মন ও বুদ্ধি যা একে অপরের চেয়ে শ্রেয়। সেই নিমিত্তে, কামকে দমন করতে হলে ইন্দ্রিয়সমূহকে সংযত করা আবশ্যক।
১০. নিজেকে ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধির অতীত জ্ঞান করে, নিরাসক্ত বুদ্ধি দ্বারা মনকে স্থির করে চিরশত্রু কামের ওপর জয় লাভ করতে হবে।
Max Rab
❤ 2👍 1🤔 1
[ অনেকে সময় ও সুযোগের অভাবে কুরআনে কী লেখা আছে তা ভাল করে পড়ে বা বুঝে উঠতে পারেন না। আমি এখানে কতিপয় আয়াতের সারসংক্ষেপ বর্ণনা করে একটুখানি ক্ষুদ্র প্রয়াস করছি সবাইকে কিছু কিছু জানানোর। ]
সূরা হাদিদ, হাদিদ অর্থ লোহা, সূরা নম্বরঃ ৫৭, আয়াতঃ ১৮
" নিশ্চয়ই দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী এবং যারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেয়, তাদেরকে দেওয়া হবে বহুগুণ বেশি। এবং তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। "
এই আয়াতটিতে দান করার আদেশ করা হয়েছে। আর দান করা শুধু পুরুষের জন্য নির্দেশিত নয়, নারীর জন্যও দানের বিধি রয়েছে যা আমরা উক্ত আয়াত থেকে বুঝতে পারি। আর এখানে আল্লাহকে ঋণ দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, যখন মানুষ অন্য কাউকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দান করে তখন আল্লাহ সেই মানুষের প্রতি ঋণী হয়ে যান। তিনি তখন তাঁকে এর প্রতিদান দিতে দায়বদ্ধ হয়ে যান। তাকে তিনি বহুগুণে অনেক কিছু বাড়িয়ে দেন। এই বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে তা আমরা সঠিকভাবে জানি না। হয়তো আমাদের পুণ্যের পরিমাণ কয়েকশো গুণে বাড়িয়ে দেবেন বা আমাদের রোজগারে বরকত দেবেন। অথবা আমাদের বেশি বেশি দ্বীনি ইলম হাসিল করার তওফিক দেবেন। তিনি এও বলেছেন দানশীলদের জন্য মহাপুরস্কার রয়েছে। মহাপুরস্কার বলতে জান্নাতকেই বোঝানো হয়েছে। জান্নাত লাভের চেয়ে বড় পুরস্কার আর কিছুই হতে পারে না। কারণ জান্নাতে লোকজন অনন্তকাল অবধি সুখভোগ করবে। যেখানে সময়ের কোনো সীমারেখা থাকবে না। দেরি হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। অত্যাচার থাকবে না। আল্লাহ এই আয়াতে যা বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন তা এই জান্নাত লাভের সাথে অধিক সম্পর্কিত। হয়তো কারো মনে খোদাভক্তি বেশি করে সঞ্চার করে দিলেন। কে বলতে পারে আল্লাহ কী চান? আমরা কেউই জানি না। বিশ্বাস বলতেই বোঝায় আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করা, অসম্ভব কাজও আল্লাহ সম্ভব করে দেবেন তার বিশ্বাস রাখা। সর্বোপরি, এটাই বিশ্বাস। যার যেমন নিয়ত, তার তেমনই বরকত হয়। পৃথিবীর সকল বিত্তশালী মানুষ যদি দান করত, তাহলে পৃথিবীতে দরিদ্রতা বলতে কিছুই থাকত না। একজন লোক যদি একাই একশোজনের রোজগার করে ফেলতে পারে, তাহলে তার ওপর দান করা কর্তব্য হয়ে পড়ে। হয়তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে দান করা সম্ভব নয়। এমনটাও বলাও নেই কোথাও যে খুঁজে খুঁজে লোকজনকে দান করতে হবে। নিজের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের অনেকেই হয়তো দুঃখ কষ্টে আছে, অর্থের অভাবে দিনাতিপাত করছে, তাদের একটু সহায়তা করলে তারা যেমন খুশি হবে, খোদাও তেমনি খুশি হবেন।
Max Rab
❤ 2
আপনার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার ও ব্যস্ততা বেড়ে যাবে,সময় দিতে পারবে না ঠিক করে,গাল না ফুলিয়ে ব্যাপার টা মেনে নিতে শিখুন, আপনি যাকে বেস্টফ্রেন্ড ভাবতেন,সেও হয়তো অন্য কাউকে বেস্টফ্রেন্ড বানাবে,ভেঙ্গে না পড়ে মেনে নিতে শিখুন, খুব কাছের কেউ হয়তো খুব বাজেভাবে আপনাকে ঠকাবে,আপনি এটাও মানতে শিখুন, অনেক কিছুই আপনার মন মতো হবে নাহ,হতাশ হবেন নাহ,সব মন মতো হয় না এটাও মেনে নিন.!
আপনার মানতে হবেই আসলে, মানতে পারলেই জীবন সুন্দর..!! 🌷
❤ 8👍 4
Repost from 🕊𝗟𝗼𝘆𝗮𝗹 𝗙𝗲𝗲𝗹𝗶𝗻𝗴𝘀🤍🥀
Loyalty is what makes us trust.
Trust is what makes us stay.
Staying is what makes us love,
and . . .
Love is what gives us hope..😇
🌹@Loyal_Feel
❤🔥 4🥰 2😁 2💔 1
Photo unavailableShow in Telegram
তুমি কি আমার আকাশ হবে? মেঘ হ'য়ে যাকে সাজাবো,আমার মনের মত করে! তুমি কি আমার নদী হবে?যাব নিবিড় আলিঙ্গ'নে ধন্য হয়ে তরী বেশে ভেসে যাব কোনো অজা'না গন্তব্যে'র পথে! তুমি কি আমার জোছনা হবে? যার মায়াজালে বিভোর হয়ে নিজে'কে সঁপে দিব সকল বাস্তব'তা ভুলে! তুমি কি আমার কবর হবে? যেখানে শান্তি'র শীতল বাতাসে বয়ে যাবে আমার চিরনিদ্রা'র অফুরন্ত প্রহর!
❤ 4💋 1
টাকা কামাও, গরীবের মত চলো, বিনয়ী হও,কম কথা বলো!❤️
❤🔥 14👍 4
ছোট্ট একটা জীবন। তাও কত না পাওয়ার আ'ক্ষেপ। মাঝে মধ্যে মনে হয় জীবন বড়ই সুন্দর আবার মাঝে মধ্যে মনে হয় 'এমন জীবন কেনো দিলো সৃষ্টিকর্তা?
তারপরেও মানুষ আশায় বাঁ'চে আমিও মানুষ। জীবন অদ্ভুত সুন্দর!
👍 8❤ 4
[ অনেকে সময় ও সুযোগের অভাবে গীতায় কী লেখা আছে তা ভাল করে পড়ে বা বুঝে উঠতে পারেন না। আমি এখানে কতিপয় শ্লোকের সারসংক্ষেপ বর্ণনা করে একটুখানি ক্ষুদ্র প্রয়াস করছি সবাইকে কিছু কিছু জানানোর। ]
সাংখ্যযোগ, দ্বিতীয় অধ্যায়, শ্লোকঃ ১-৭২
এই অধ্যায়ে অর্জুন স্বীয় বিষাদের বর্ণনা প্রদান পূর্বক শ্রীকৃষ্ণের নিকট করণীয় সম্পর্কে উপদেশ প্রার্থনা করেন। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের প্রতি কৃপায় আবিষ্ট হয়ে সাংখ্যযোগের জ্ঞান প্রদানে উদ্যত হন। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে সাংখ্যযোগের যে জ্ঞানগুলো প্রদান করেন, তা-ই আমি এইখানে তালিকা করে আপনাদের সম্মুখে প্রস্তুত করছি।
শ্রীকৃষ্ণ উবাচঃ
১. অর্জুনের এইরূপ মনোভাব তাঁকে স্বর্গালোকে উন্নীত করবে না এবং তাঁর সমস্ত যশরাশি বিনষ্ট করবে যা ক্লীবত্বের বশবর্তী হওয়ার সমতুল্য। ফলে, সমস্ত মহারথীগণ অর্জুনকে ভীত এবং কাপুরুষ জ্ঞান করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন এবং তাঁর সামর্থ্যের সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবেন।
২. যারা যথার্থ পন্ডিত তাঁরা জীবিত বা মৃত কারো জন্যই শোকাহত হন না।
৩. দেহের মৃত্যু হয় কিন্তু আত্মার মৃত্যু হয় না। এমন কোনো ক্ষণ ছিল না যখন শ্রীকৃষ্ণ নিজে বা অর্জুন অথবা যুদ্ধে উপস্থিত যোদ্ধাদিগের কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
৪. সেই ব্যক্তিই মুক্তিলাভের অধিকারী যে সুখ-দুঃখ এবং শীত-গ্রীষ্মকে সমান জ্ঞান করেন।
৫. আত্মা অবিনাশী এবং শাশ্বত, অনাদি এবং অনন্ত। আত্মার কোনো বিনাশ নেই। কোনো ধ্বংস নেই। আত্মার কোনো মৃত্যু নেই। অস্ত্র, অগ্নি, জল এবং পবন দ্বারা আত্মার কোনো ক্ষতি হয়না।
৬. মনুষ্য যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, আত্মাও তেমনি জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করে।
৭. যার জন্ম হয়েছে, তার মৃত্যু নিশ্চিত। আর যে মৃত্যুবরণ করেছে, তারও জন্ম অবশ্যম্ভাবী। তাই এতে শোক করা উচিত নয়।
৮. ধর্ম রক্ষার্থে যুদ্ধ করাই এক ক্ষত্রিয়ের সর্বোত্তম ধর্ম। এহেন যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করলে স্বর্গলাভ হয় এবং জয়ী হলে পার্থিব সুখ লাভ হয়। যুদ্ধ প্রত্যাখ্যান করলে পাপভোগী হতে হয়। সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়, লাভ-ক্ষতিকে সমান জ্ঞান করে যুদ্ধ করলে পাপের ভাগী হতে হয়না৷
৯. বিবেকবর্জিত লোকজন বেদের পুষ্পিত বাক্যে আসক্ত হয়ে স্বর্গসুখ ভোগ, উচ্চকুলে জন্ম এবং ক্ষমতা লাভকেই জীবনের চরম উদ্দেশ্য মনে করেন। এদের ভগবানে একনিষ্ঠতা লাভ হয়না। বেদে বর্ণিত তিনটি গুণকে অতিক্রম করে নির্গুণ হওয়ার সর্বোচ্চ প্রেচেষ্টা করলে আধ্যাত্ম চেতনায় অধিষ্ঠিত হওয়া যায়।
১০. স্বধর্মের কর্মের ওপর মনুষ্যদিগের অধিকার রয়েছে কিন্তু কর্মফলের ওপর কারো অধিকার নেই। কর্মফলের আকাঙ্খা পরিত্যাগপূর্বক কেবল কর্ম অব্যাহত রাখার নামই যোগ। সকাম কর্মের আশাকারী ব্যক্তি কৃপণের সমতুল্য। যিনি নিষ্কাম কর্মের অনুশীলন করেন, তিনি পাপ ও পূণ্য উভয়ের দায় থেকে মুক্তিলাভ করেন।
১১. মনীষীগণ নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং সমস্ত দুঃখের অতীত অবস্থা লাভ করেন।
১২. নিষ্কাম কর্মের অভ্যাস অনুশীলনের ফলে জীব সমস্ত কামনা-বাসনা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সক্ষম হলেই তাঁর আত্মা পবিত্র হয়ে পরমাত্মার সাথে মিলিত হয়। এই ধরনের ব্যক্তিকে স্থিতপ্রজ্ঞ বলা হয়। এই ব্যক্তিরা দুঃখে উদ্বিগ্ন হন না, সুখে স্পৃহার বশবর্তী হন না, প্রিয় বস্তু লাভে আনন্দিত হন না, অপ্রিয় বস্তু লাভে দ্বেষ করেন না, ইন্দ্রিয় সুখভোগ থেকে বিরত থাকেন এবং রাগ, ভয় ও ক্রোধ থেকে মুক্ত থাকেন।
১৩. ইন্দ্রিয়সমূহের সুখ থেকে দেহধারী জীব সম্পূর্ণভাবে অনাসক্ত হত পারে না। সেজন্য উচ্চতর স্বাদ আস্বাদন করতে হয়। ইন্দ্রিয়ের বিষয় সমূহ জীবনের প্রতি আসক্তি তৈরি করে। আসক্তি থেকে কাম, কাম থেকে ক্রোধ, ক্রোধ থেকে মোহ, মোহ থেকে স্মৃতিবিভ্রম, স্মৃতিবিভ্রম থেকে বুদ্ধিনাশ এবং বুদ্ধিনাশের ফলে সর্বনাশ হয়।
১৪. যার বু্দ্ধি কৃষ্ণতে স্থির নয় সে ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে না। যে ব্যক্তি সমস্ত কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করে জড় বিষয়ের প্রতি নিস্পৃহ, নিরহঙ্কার ও মমত্ববোধ রহিত হয়ে বিচরণ করেন তিনিই প্রকৃত শান্তি লাভ করেন। এই রূপ ব্রাহ্মস্থিতি লাভকারী ব্যক্তি মোহগ্রস্ত হন না এবং মৃত্যুকালে জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করে পরব্রহ্মের সাথে মিলিত হন।
Max Rab
👍 1❤ 1🤣 1
[ অনেকে সময় ও সুযোগের অভাবে কুরআনে কী লেখা আছে তা ভাল করে পড়ে বা বুঝে উঠতে পারেন না। আমি এখানে কতিপয় আয়াতের সারসংক্ষেপ বর্ণনা করে একটুখানি ক্ষুদ্র প্রয়াস করছি সবাইকে কিছু কিছু জানানোর। ]
সূরা দাহর, দাহর অর্থ মানুষ, সূরা নম্বরঃ ৭৬, আয়াতঃ ১-৩১
এই সূরার প্রথমে বলা হয়েছে, মানুষের এক সময় কোনো অস্তিত্ব ছিল না। নর-নারীর মিলনের ফলে মানুষের সৃষ্টি হয়। আর খোদা তাদের পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে দিয়েছেন শ্রবণ শক্তি এবং পরে দৃষ্টিশক্তি। এবার মানুষের নিজের ইচ্ছা, হয় সে আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে, না হয় আল্লাহর আদেশ পালন না করে জীবন পরিচালনা করবে। আল্লাহর আদেশ পালন করলে যেসব পুরস্কার দান করা হবে তার কিছু কিছু এই সূরায় বর্ণনা করা হয়েছে। নিচে একটা তালিকা দেওয়া হল:-
১. বেহেশতে এক ধরনের বিশেষ ঝর্ণা প্রবাহিত হবে ; যার নাম হবে সালসাবীল। সেটি হবে শরাবের ঝর্ণা। সেখান থেকে লোকে যত ইচ্ছা তত শরাব পান করতে পারবেন। সেই সব শরাব হবে এক ধরনের বিশেষ আদা-মিশ্রিত শরাব এবং তাতে কর্পূরের গন্ধ বেষ্টিত থাকবে।
২. তাঁদের পরিধেয় হবে রেশমী বস্ত্র।
৩. তাঁদের আসন হবে সুসজ্জিত এবং তাঁরা সেখানে হেলান দিয়ে অবস্থান করবেন।
৪. সেখানকার আবহাওয়া না হবে অত্যধিক ঠান্ডা আর না হবে অত্যধিক গরম।
৫. বাগানের মত তাদের চারিদিকে বৃক্ষাদি বেষ্টন করে থাকবে এবং ছায়া প্রদান করবে। সেসব বৃক্ষাদি থেকে বলামাত্রই ফলগুলো তাঁদের নিকট পৌঁছে যাবে।
৬. তাঁদের জন্য থাকবে রৌপ্য-পাত্র ও স্বচ্ছ স্ফটিকের মত পান-পাত্র।
৭. পাত্রের আকার ও তাতে কেমন পরিমাণ পানীয় বা আহার্য বস্তু থাকবে তা লোকজন নিজেই নির্ধারণ করবেন।
৮. দাস হিসেবে তাদের আশেপাশে থাকবে বিক্ষিপ্ত মুক্তোর সৌন্দর্যের মত চিরকিশোররা অর্থাৎ এঁরা কখনো বৃদ্ধ হবেন না। জরা এদের স্পর্শ করবে না।
৯. সেখানে চারিদিকে ভোগ বিলাসের উপকরণ ও বিরাট সাম্রাজ্য দেখতে পাওয়া যাবে।
১০. তাঁদের বস্ত্রের রঙ হবে মিহি সবুজ এবং ধরন হবে মোটা রেশমী। তাঁদের হাতে রৌপ্য নির্মিত কঙ্কন থাকবে। তাঁরা পান করবেন পবিত্র পানীয়।
আর যারা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করবে তাদের জন্য অবধারিতভাবে দোযখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের বেঁধে রাখার জন্য শেকল ও বেড়ি থাকবে। আর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির জন্য থাকবে জ্বলন্ত অগ্নি।
বেহেশত লাভের জন্য এই সূরায় কিছু উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছে। চলুন আমরা দেখে নিই সেই উপায়গুলো কী -
১. মানত করলে তা পূর্ণ করতে হবে।
২. নিজের খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকলেও মিসকিন, ইয়াতিম এবং বন্দিকে খাদ্য দান করতে হবে। যাদের দান করা হবে বিনিময়ে তাদের নিকট কোনো উপকার বা কৃতজ্ঞতা লাভের আশা করা যাবে না। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতিদানের আশা করতে হবে।
৩. শেষ বিচারের ভয়াবহতার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
৪. পার্থিব জীবনের হাজার দুঃখেও সবর ধারণ করতে হবে।
৫. কোনো পাপিষ্ঠ বা খোদার আদেশ অমান্যকারীদের অনুসরণ করা যাবে না।
৬. সকাল-সন্ধ্যায় খোদার নাম স্মরণ করতে হবে।
৭. রাতের একাংশে সিজদারত অবস্থায় থাকতে হবে এবং দীর্ঘরাত ধরে তাসবিহ পাঠ করতে হবে।
৮. পার্থিব জীবনকে মহব্বত করা যাবে না।
এগুলো ছাড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেগুলো হলো:-
১. সব ইনসানকে পথ প্রদর্শন করা হয়েছে। এখন এটা ইনসানের ব্যক্তিগত ইচ্ছা যে সে এটা পালন করে চলবে নাকি চলবে না।
২. কুরআন একসাথে নাযিল না করে পর্যায়ক্রমে করা হয়েছে।
৩. ইনসানদের যেভাবে সুদৃঢ় গঠনে তৈরি করা হয়েছে, তেমনিভাবে এদের মত অন্য জাতিকে তৈরি করা আল্লাহর পক্ষে অসম্ভব নয়।
৪. আল্লাহর আদেশ কেউ চাইলে পালন করতে পারে আবার চাইলে পালন নাও করতে পারে। তবে যারা পালন করে তারা আল্লাহর মর্জিতেই পালন করে। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউ ভাল পথে আসতে পারে না।
৫. আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ভাল পথে পরিচালনা করেন, আর যাকে ইচ্ছা খারাপ পথে পরিচালনা করেন।
Max Rab
👍 2❤ 1
اختر خطة مختلفة
تسمح خطتك الحالية بتحليلات لما لا يزيد عن 5 قنوات. للحصول على المزيد، يُرجى اختيار خطة مختلفة.