আন নিদা
নাম দেখে, প্রচ্ছদ দেখে পছন্দ হলে এই চ্যানেলে বই রাখা হয়; যেন পড়তে পারি ৷ সব বই পড়ে সংযুক্ত করা হয় না ৷ কিছু কিছু বই দেখে সংশয় হলে, সামান্য বুঝতে চেষ্টা করি— লেখক হকপন্থি কী না? ফিকহ এবং উসুলুল ফিকহ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেই বই এখানে শেয়ার করা হয়
إظهار المزيد1 530
المشتركون
+324 ساعات
+127 أيام
+13730 أيام
- المشتركون
- التغطية البريدية
- ER - نسبة المشاركة
جاري تحميل البيانات...
معدل نمو المشترك
جاري تحميل البيانات...
Repost from N/a
Photo unavailableShow in Telegram
تخريج إحياء علوم الدين المسمى المغني عن حمل الأسفار - العراقي
সিএনএন জানাচ্ছে, বাংলাদেশের মতো জায়গাতেও এসব (এলজিবিটি মুভমেন্টের কার্যক্রম) প্রতিষ্ঠার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ করছে অ্যামেরিকা।
———অবক্ষয়কাল ৷ আসিফ আদনান ৷
সকালবেলা থেকে বইটই এ্যাপসে ক্রয় করে পড়ছি ৷
👍 3
কুরআন মাজীদ লেখার পদ্ধতি, যেটাকে রসমুল খত্তিল উসমানি বা রসমে মাসহাফে উসমানি বলা হয়। কুরআন লেখার ক্ষেত্রে উসমানি রসমে খত অনুসরণ করা জরুরি। ইযয ইবনু আব্দিস সালাম এবং ইবনু খালদুন রহিমাহুমাল্লার এই বিষয়ে ইখতেলাফ থাকলেও অধীকাংশের মতানুযায়ী রসমে মাসহাফে উসমানির অনুসরণ ওয়াজিব। রসমে উসমানির কিছু নীতিমালা ও কানুন আছে। সেগুলোর আলোকে কুরআন লেখা আবশ্যক মর্মেই জুমহুরের বক্তব্য। মুফতি শফী রহিমাহুল্লাহু সহ অনেকে বলেছেন, এটা ইজমাঈ বা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।
রসমে উসমানির নীতিমালা কী? এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে গৃহিত হয়েছে আবু আমর উসমান আদ-দানী রহিমাহুল্লাহুর লিখিত নীতিমালা। যেগুলো তিনি “আল-মুকনি’ ফী মারিফাতি রুসুমি মাসাহিফি আহলিল আমসার” গ্রন্থে লিখেছেন। ওনার নীতিগুলোকেই সাজিয়েছেন আবু মুহাম্মাদ শাতেবী রহিমাহুল্লাহু। সাখাবি এবং ইবনুল জাযারী রহিমাহুমাল্লাহুও ইমাম দানীর এই নীতিমালা পছন্দ করেছেন। সর্বত্র ব্যাপকভাবে রসমে উসমানির জন্য দানী আর শাতেবী রহিমাহুমাল্লাহুর বর্ণনাই গৃহিত হয়ে আসছিল। আমাদের অঞ্চলে ইমাম দানী রহিমাহুল্লাহুর বর্ণিত নীতিমালা অনুযায়ী-ই মাসহাফ তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য, মুফতী রশিদ আহমদ ফরীদি বলেছেন, কিছু জায়গায় কোন প্রকাশনা সংস্থার সংস্করণে ভুল থাকতে পারে। ভুল শনাক্ত হলে, সেটার সংশোধন কাম্য।
এই পুরো ধারার বিপরীতে ইমাম দানী রহিমাহুল্লাহুর শাগরিদ আবু দাউদ সুলাইমান ইবনু নাজাহ রহিমাহুল্লাহুর নীতিমালা সামনে এসেছে ওনার বই ‘আত-তাবয়ীন’ এর সাহায্যে। তখন আবু দাউদ ইবনু নাজাহের বর্ণিত নীতিমালা অনুযায়ী ১০০-১৫০ বছর আগে কুরআনের একটা মাসহাফ তৈরি করেছেন মিশরের প্রখ্যাত ক্বারী শায়খ মুহাম্মাদ রিযওয়ান মুখাল্লালাতি। (মৃ.১৩১১ হি.)
সৌদির শাসক ফাহাদ ‘মাজমাউল মালিক ফাহাদ’ থেকে পুরো বিশ্বে কুরআন প্রচারের নিয়ত করলে, তিনি যেই মাসহাফ ছাপান, সেটাকে ছাপানো হয় –আবু দাউদ সুলাইমান ইবনু নাজাহ বর্ণিত নীতিমালার আলোকে ছাপানো শায়খ রিযওয়ানের মিসরি মাসহাফের অনুকরণে। যার ফলে আরব দেশের এই মাসহাফগুলোর সাথে আগের থেকে ব্যাপকভাবে চলে আসা ইমাম দানীর নীতিমালার আলোকে সাজানো মাসহাফগুলোর সাথে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায়। আরবদেশের মাসহাফ আর উপমহাদেশীয় মাসহাফের ভিন্নতার গোঁড়ার কথা ছিল এ পর্যন্ত।
পাকিস্তানে হঠাৎ করে হাফিজ আনাস নযর মাদানী সহ কয়েকজন আহলে হাদিসের মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হল যে, ভারত-পাকিস্তানের মাসহাফগুলোতে রসমে উসমানির অনুসরণ করা হয়নি। পরিবর্তে তারা মাজমাউল মালিক ফাহাদের মাসহাফ পাকিস্তানে ছাপিয়ে গোলযোগের একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। তখন এদের প্রচারের প্রতিরোধে বেশ লেখালেখি হয়। বই, প্রবন্ধও তৈরি হয়। ‘ফাতাওয়ারে রসমে উসমানি’ও তেমন একটি বই। মাজমাউল মালিক ফাহাদের শায়খ শাফাআত রব্বানী এবং শায়খ ইলয়াস ফয়সালও তখন এদের বিরুদ্ধে লিখে দেখান যে, উপমহাদেশের মাসহাফগুলো ইমাম দানী ও শাতেবী রহিমাহুমাল্লাহুর নীতিমালা অনুযায়ী তৈরি করা।
উপরের বইটা তো দেখলেন। এ বিষয়ে আরো কয়েকটা প্রবন্ধ দিচ্ছি। সময় করে পড়ে নিলে লস হবে না ইনশাআল্লাহ।
👍 1