দারসুল হাদিস
রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহন করো, যা করা থেকে নিষেধ করে তা পরিহার করো। [সুরা হাশর]
إظهار المزيد761
المشتركون
-124 ساعات
+37 أيام
+2630 أيام
- المشتركون
- التغطية البريدية
- ER - نسبة المشاركة
جاري تحميل البيانات...
معدل نمو المشترك
جاري تحميل البيانات...
ইয়াযীদ ইবন খালিদ (রহঃ) .... ইয়াযীদ ইবন উমায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি মু’আয ইবন জাবাল (রাঃ)-এর সাথী ছিলেন, তিনি বলেনঃ মু’আয ইবন জাবাল (রাঃ) যখন কোন যিকিরের মজলিসে বসতেন, তখন এরূপ বলতেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা সত্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সন্দেহ পোষণকারীরা ধ্বংস হয়েছে। একদিন তিনি বলেনঃ তোমাদের পরবর্তী সময়ে ব্যাপক ফিতনার সৃষ্টি হবে। সে সময় ধন-সম্পদের প্রাচুর্য হবে এবং কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে। ফলে, মু’মিন, মুনাফিক, স্ত্রী-পুরুষ, ছোট-বড় গোলাম ও স্বাধীন ব্যক্তি তার জ্ঞান অর্জন করবে।
তখন এক ব্যক্তি এরূপ বলবেঃ লোকদের কি হয়েছে? তারা আমার অনুসরণ কেন করে না, অথচ আমি কুরআন পড়েছি! তারা ততক্ষণ আমার অনুসরণ করবে না, যতক্ষণ না আমি কুরআন ব্যতীত অন্য জিনিস তাদের সামনে পেশ করি। কাজেই, কেউ যদি এরূপ কিছু করে, তবে তোমরা তা অস্বীকার করবে। কেননা, এরূপ যা কিছু উদ্ভাবিত হবে, তা গুমরাহী এবং আমি আলিমদের গুমরাহী সম্পর্কে অধিক শংকিত। কেননা, শয়তান কখনো কখনো আলিমদের মুখ থেকে গুমরাহীর কথা বের করে দেয় এবং কোন কোন সময় মুনাফিকও সত্য কথা বলে।
রাবী বলেনঃ তখন আমি মু’আয (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ জ্ঞানী ব্যক্তি যে অজ্ঞানের মত কথা বলতে পারে এবং মুনাফিক ও কোন সময় সত্য কথা বলতে পারে, তা আমরা কিভাবে অবগত হতে পারি? তিনি বলেনঃ তোমরা জ্ঞানীদের সে সব কথা পরিহার করবে, যা ভুল ও মিথ্যার সাথে প্রসিদ্ধি লাভ করবে এবং লোকেরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে। এ সময় ও তোমরা তাদের সাথে সস্পর্কচ্ছেদ করবে না; কেননা, হয়তো তারা তা থেকে ফিরে আসতে পারে। তোমরা তাদের থেকে সত্য কথা শ্রবণ করবে এবং তা গ্রহণ করবে। কেননা, হকের মধ্যে সত্যের নূর নিহিত থাকে।
( আবু দাউদ)
মিকদাম ইবন মা’দীকরাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জেনে রাখ! আমাকে কুরআন প্রদান করা হয়েছে এবং এর সাথে অনুরূপ (হাদীছ) দেয়া হয়েছ।
অদূর ভবিষ্যতে একজন অভাবহীন তৃপ্ত ব্যক্তি তার খাটের উপর অবস্থান করে বলবেঃ তোমরা এ কুরআনকে গ্রহণ কর এবং এতে যা হালাল বলা হয়েছে, তা হালাল হিসাবে গ্রহণ কর; আর যা হারাম বলা হয়েছে তা হারাম হিসাবে গ্রহণ কর।
জেনে রাখ! গৃহ-পালিত গাধার মাংস তোমাদের জন্য হালাল নয়, কোন হিংস্র জন্তুর মাংসও হালাল নয়, কোন যিম্মীর পরিত্যক্ত মাল হালাল নয়, তবে যদি তার মালিক তা থেকে বে-পরওয়া হয়, সে আলাদা ব্যাপার। আর যদি কেউ মেহমান হিসারে কোন কাওমের কাছে যায়, তবে তাদের উচিত তার মেহমানদারী করা। তারা যদি সে ব্যক্তি মেহমানদারী না করে, তবে তাদের নিকট থেকে মেহমানের হক গ্রহণ করার অধিকার তার থাকবে।
( আবু দাউদ)
" অভাবহীন - তৃপ্ত ব্যক্তি " মানে দুনিয়া নিয়ে যার সমস্ত চিন্তা এবং কর্মকাণ্ড। আখেরাত নিয়ে যার চিন্তা এবং কাজ সে কখনোই নিজের কাজে তৃপ্ত থাকে না৷ তার তৃপ্তি জান্নাতে দাখিল হওয়ার পরে৷ এবং যে সম্পদশালী। খাটের উপর অবস্থান মানে সে আরাম আয়েশের জীবন যাপন করে।
এ ধরনের ব্যক্তি কখনোই দ্বীনের জ্ঞান রাখে না৷ অথচ সে ফতোয়া দিতে থাকবে। সে হাদিস অস্বীকার করবে। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, তাঁকে কুরআন এর সাথে আরও কিছু দেয়া হয়েছে যা কুরআন এর মতোই অবশ্য পালনীয়। আর তা হচ্ছে হাদিস। এরপর এমন কিছু নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যা কুরআনে নাই কিন্তু তা পালন করতেই হবে।
যিম্মী হচ্ছে ইসলামী রাষ্ট্রে বা খিলাফতের ভুমিতে বসবাসকারী কাফের।
👍 2
আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা জাহান্নাম ও জান্নাত বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লো। জাহান্নাম বলল, অহংকারী এবং প্রভাব প্রতিপত্তি সম্পন্ন লোকেরা আমার মাঝে প্রবেশ করবে। জান্নাত বলল, আমার কি হলো, মানুষের মাঝে যারা দুর্বল, নীচু স্তরের এবং অক্ষম, তারাই আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। এ কথা শুনে আল্লাহ তা’আলা জান্নাতকে বললেন, তুমি আমার রহমত, আমার বান্দাদের যার প্রতি ইচ্ছা আমি তোমার দ্বারা রহমত বর্ষণ করব। তারপর তিনি জাহান্নামকে বললেন, তুমি আমার আযাব, আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা আমি তোমার দ্বারা ’আযাব দিব। তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই পেট ভর্তির ব্যবস্থা থাকবে। এতদসত্ত্বেও জাহান্নাম পূর্ণ হবে না। তাই আল্লাহ তা’আলা এর উপরে স্বীয় পা মুবারাক রাখবেন। তখন জাহান্নাম বলবে, যথেষ্ট হয়ে গেছে। এ সময়ই জাহান্নাম পরিপূর্ণ হবে এবং একাংশ অপরাংশের সাথে মিলে যাবে অর্থাৎ সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। ( মুসলিম)
দুনিয়ায় সেলিব্রেটি, ষ্টার, বড়লোক, খ্যাতিমান হলে আখেরাতে বিপদ। অপরিচিত, সাধারণ, কপর্দকহীন ব্যক্তির জন্য জান্নাত অপেক্ষা করছে। অবশ্যই ঈমানদার হতে হবে৷ বেঈমান কাফের সর্বাবস্থায় জাহান্নামি।
❤ 5👍 2
আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার হাওযের প্রশস্ততা এক মাসের পথের সমপরিমাণ এবং তার চতুর্দিকও সমপরিমাণ আর তার পানি দুধ অপেক্ষাও অধিক সাদা এবং তার ঘ্রাণ মৃগনাভি অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধিময়, আর তার পানপাত্রসমূহ আকাশের তারকার মতো। যে তা থেকে একবার পান করবে সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার হাওযের (উভয় পার্শ্বের) দূরত্ব আয়লাহ ও ’আদন-এর মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকেও অধিক। তার পানি বরফের চেয়ে অধিক সাদা এবং দুধমিশ্রিত মধুর তুলনায় অনেক মিষ্ট। তার পানপাত্রসমূহ নক্ষত্রের সংখ্যা অপেক্ষা অধিক। আর আমি আমার হাওযের কাওসারে আগমন করা থেকে লোকেদেরকে (অন্যান্য উম্মতদেরকে) তেমনিভাবে বাধা দেব, যেমনিভাবে কোন লোক তার নিজের হাওয থেকে অন্যের উটকে পানি পানে বাধা দিয়ে থাকে। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেদিন কি আপনি আমাদেরকে চিনতে পারবেন? তিনি (সা.) বললেন, হ্যাঁ, সেদিন তোমাদের বিশেষ চিহ্ন থাকবে যা অন্যান্য উম্মাতের কারো জন্য হবে না। তোমরা আমার কাছে এমন অবস্থায় আসবে যে, তোমাদের মুখমগুল এবং হাত-পা উযূর কারণে উজ্জ্বল থাকবে। (মুসলিম)
❤ 5👍 1
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের নিয়মপদ্ধতি অনুসরণ করবে, প্রতি গজে গজে প্রতি হাতে হাতে তাদের অনুসরণ করবে। এমনকি যদি তারা ‘দব’ তথা ষাণ্ডার গর্তেও ( অনেক অনুবাদে গুই সাপের গর্তে) প্রবেশ করে থাকে তবে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহুদী ও নাসারা সম্প্রদায়? তিনি বললেন, তবে আর কারা? [বুখারী ]
দুনিয়া ব্যাপী মুসলমানদের দিকে তাকালেই এই হাদিসের ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। হালাল - হারাম, ভালো - খারাপ, মানবিক - অমানবিক, কিছুই বুঝার জ্ঞান পর্যন্ত নাই। তথাকথিত আধুনিক হওয়ার নেশায় বুঁদ।
👍 5
আয়িশাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাজা খেজুর দিয়ে তরমুজ খেতেন। তিনি বলতেনঃ এর ঠান্ডা ওটার গরম কমাবে এবং এর গরম ওটির ঠান্ডা কমিয়ে দিবে। ( তিরমিজি, আবু দাউদ)
❤ 6👍 1
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমাকে একমাসে অতিক্রম করার মত রাস্তার দূরত্ব থেকে কাফেরদের মনে ভয় ঢুকিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।” [বুখারী, মুসলিম]
এত দুর থেকে যখন কোন এক ব্যক্তিকে কেন ভয় করা হবে? কারণ তিনি তাঁর মতাদর্শে একনিষ্ঠ, তিনি সত্যাশ্রয়ী, তিনি দুর্ধর্ষ যোদ্ধা এবং তাঁর রয়েছে দুর্ধর্ষ সৈন্যবাহিনী।
কারণ বর্তমান মুসলিমরা তাওহীদে একনিষ্ঠ নয় এবং তারা যুদ্ধ - অস্ত্র থেকে দুরে। দুনিয়ার লাভের জন্য তারা ঈমান ছেড়ে দিতে পারে, কুরআনের নির্দেশ অমান্য করা তাদের জন্য কোন ব্যপারই না। যুদ্ধকে তারা অপছন্দ করে, আরামে আয়েশে থাকা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তাদের কেউ মানুষই মনে করে না এখন।
❤ 7👍 2
আবু আইয়ুব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল।”[সহিহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ী ও সুনানে ইবনে মাজাহ]
❤ 6
ঈদের দিন কয়েকটি কাজ
১) মিসওয়াক + গোসল
২) ভালো সুন্দর পোশাক পরিধান + সুগন্ধি ব্যবহার + খেজুর খাওয়া
,৩) ঈদের স্বলাতের স্থানে যাওয়া। ফিরে আসার সময় ভিন্ন রাস্তা দিয়ে আসা।
৪) যাওয়ার সময় চুপে চুপে ( ঈদুল আজহায় শব্দ করে) তাকবির পড়া ( আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ)
৫) ঈদের দুই রাকাআত স্বলাত আদায়। এর আগে বা পরে কোন ধরনের নফল স্বলাত আদায় হবে না।
৬) স্বলাতের পরে খুতবা শোনা।
৭) খুতবার পরে দান সদকা করা।
৮) ঈদ মোবারক বলা যেতে পারে তবে সুন্নাহ দোয়া করতেই হবে। সুন্নাহ দোয়া --تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَ مِنْكُمْ
উচ্চারণ : ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেকা আমল তথা ভাল কাজগুলো কবুল করুন।’
❤ 3👍 1
ঈদের দিন হালাল বিনোদন উপভোগ জায়েজ। যেমন - বাদ্য-বাজনা ছাড়া ( দফ... এল প্রকার ঢোল ব্যবহার করা যাবে) গান শোনা বা গাওয়া জায়েজ। তবে সে গান প্রেম বা অশ্লীলতার হবে না, নারী কন্ঠে হবে না ( ৭/৮ বছরের মেয়ে অর্থাৎ হায়েজ শুরু হয় নাই এমন মেয়ে গাইতে পারবে) ।
কবিতা আবৃত্তির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
ক্রিকেট ফুটবলের মতো অপ্রয়োজনীয় খেলা নয়, জিহাদে কাজ দেয় এমন খেলা জায়েজ।
হারুন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ বকর (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। তখন তাঁর কাছে দুটি বালিকা দফ বাজাচ্ছিল আর গান গাইছিল। আর সেটা ছিল মিনা দিবসের মধ্যে। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বস্ত্রাবৃত ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) বালিকাদের ধমকালেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখের আবরণ সরিয়ে বললেন, হে আবূ বকর! এদেরকে ছেড়ে দাও, যেহেতু এটা ঈদের দিন। ( বুখারী,মুসলিম)
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঈদের দিনে মসজিদে একটি সেনাদল আগমন করলেন। যখন তারা অনূশীলন করছিল, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। আমি আমার মাথা তাঁর কাঁধের উপর রেখে দিলাম এবং তাদের অনুশীলন দেখতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই তাদের দেখা ক্ষান্ত করে চলে গেলাম। ( বুখারী,মুসলিম)
👍 4❤ 3